Hemant Soren:হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে ইডি, এলাকা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
Mayuri Datta | 15:20 PM, Wed Jan 31, 2024
Leopard: দলগাঁও চা বাগানে খাঁচায় বন্দী চিতাবাঘ
Mayuri Datta | 13:58 PM, Wed Jan 31, 2024
Imran Khan: আরও বিপাকে ইমরান খান, তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা
Mayuri Datta | 13:40 PM, Wed Jan 31, 2024
Bengali Cinema: ‘শাস্ত্রী’ সিনেমায় ফের দেখা যাবে মিঠুন- দেবশ্রী জুটি, দর্শকমহলে উন্মাদনা
Mayuri Datta | 12:48 PM, Wed Jan 31, 2024
PM on Budget: বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই নারী শক্তিতে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী
Mayuri Datta | 12:22 PM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata Police : সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিশ কনস্টেবল
Mayuri Datta | 11:43 AM, Wed Jan 31, 2024
Budget 2024: আজ শুরু বাজেট অধিবেশন
Mayuri Datta | 10:36 AM, Wed Jan 31, 2024
Kashmir Snowfall: শ্বেতসুন্দরী কাশ্মীর, সাদা বরফের চাদরে পার্বত্য এলাকা
Mayuri Datta | 10:30 AM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata high court: বিচারপতি দ্বন্দ্বের জের! প্রাথমিক মামলা সরানো হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে
Mayuri Datta | 17:50 PM, Tue Jan 30, 2024
Chandigarh Mayor Election: চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয়ী বিজেপি, ব্যর্থ 'ইন্ডিয়া' মঞ্চ!
Mayuri Datta | 17:39 PM, Tue Jan 30, 2024
Uttarakhand : উত্তরাখণ্ডের প্রথম মহিলা মুখ্যসচিব হচ্ছেন রাধা রাতুরি
Mayuri Datta | 17:14 PM, Tue Jan 30, 2024
Sandeshkhali incident: এবার সন্দেশখালিতে গেলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা
ফের একবার অশান্ত সন্দেশখালি পরিদর্শনে জাতীয় মহিলা কমিশন। গত মঙ্গলবার জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি সন্দেশখালির হালদারপাড়া, পুকুরপাড়া ও লস্করপাড়ার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট পেশ করেন তাঁরা। এরপর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সোমবার পরিস্থিতি ফের খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালি পৌঁছলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে শেখ শাহজান, শিবু হাজরা এবং তাঁদের দল বলের অত্যাচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন গ্রামবাসীরা। সেখানেই মহিলারা শেখ শাহজান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সামনে আনেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার রাজ্যে এলেন রেখা শর্মা। এই প্রসঙ্গে, বৃহস্পতিবার কমিশনের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়, “প্রশাসন নির্বিকার কারন তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট। পাশাপাশি কমিশনের তরফে নির্যাতিতাদের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা এবং দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করা হয়েছে। এদিন সন্দেশখালি পৌঁছে রেখা শর্মা বলেন, “অভিযুক্ত গ্রেফতার হলে সকলের ভয় কাটবে। এখন একজন মহিলা সাহস করে এগিয়ে এসেছে, এরপর আরও মহিলা সামনে আসবেন”। তিনি ইতিমধ্যেই এক নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সন্দেশখালি গিয়ে রাজ্যের মহিলা কমিশন জানিয়েছিলেন, কোনও মহিলা প্রকাশ্যে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেনি ।শনিবার রাজ্যপুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জানান, “একমাত্র একজন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে এছাড়া আমাদের কাছে সেরকম ভাবে কোনো রকম অভিযোগ জমা পড়েনি”। তিনি আরো বলেন যে, “যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবং সেই অভিযোগের যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে পুলিশ”।
Arvind Kejriwal : ষষ্ঠবার হাজিরা এড়ালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
ফের ইডির হাজিরা এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নিয়ে ষষ্ঠবার তিনি ইডির ডাকে সাড়া দিলেন না তিনি। আপের বক্তব্য, এই সমন পুরোপুরি অবৈধ। সোমবার আম আদমি পার্টির তরফে দাবি করা হয়েছে, “যেহেতু এখন এটি আদালতের বিচারাধীন বিষয়, ইডির উচিৎ বারবার শমন না পাঠিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা"।
উল্লেখ্য ইডি আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে ৫ বার শমন পাঠালেও তিনি হাজিরা দেননি। এরপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে হাজির না হওয়ার অভিযোগ জানিয়ে দিল্লি কোর্টের দ্বারস্থ হয় তাঁরা । শনিবার সেই মামলায় কেজরিওয়াল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন। এরপর আদালত তাঁকে হাজিরার কারন ব্যাখ্যা করতে বলে। আর জার জেরেই আবার ইডি কেজরিওয়ালকে শমন পাঠাল। সূত্রের খবর গ্রেফতারের ভয়ে হাজিরা দিচ্ছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ইডি দিল্লিতে ২০২১-২২ আবগারি নীতির মাধ্যমে যে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ সামনে আসে তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চালাচ্ছে। ইডি সূত্রে খবর, এই আইনের মাধ্যমে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তার বিনিময়ে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যাবসায়ীদের থেকে নিয়ে তা ২০২২ সালে গোয়ায় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও অভিযুক্তদের তালিকায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম না থাকলেও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং আপাতত জেলে।
Kamal Nath: হাত ছেড়ে এবার পদ্মে ‘কমল!’
ফের একবার ঘর ভাঙল কংগ্রেসের। লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও ভাঙন ধরল কংগ্রেস দলে। বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। সূত্রের খবর ছেলে নকুল নাথ এবং কংগ্রেসের আরও ২০ জন বিধায়ক ও এক সাংসদকে নিয়ে বিজেপির হাত ধরবেন এই বর্ষীয়ান নেতা।
উল্লেখ্য ২০২০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যোগ দেওয়ায় মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের পতন হয়। ফলে গদিচ্যূত হন কমল নাথ। শনিবার দুপুরে তাঁকে দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে দেখা যায়। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে নিজের কংগ্রেসি পরিচিতি মুছে সরিয়ে দিয়েছেন নকুলনাথ। বিজেপিতে যোগদানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কমল নাথ জানান, “এখানে অস্বীকার করার মত কিছু নেই। কিছু ঘটলে আপনাদের জানাব”।
প্রসঙ্গত, বেশকিছুদিন ধরেই কমলকে নিয়ে অস্বস্তি ছিল কংগ্রেসের অন্দরে। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে দলের হারের জন্য কমলনাথকেই দায়ী করেছিল অলোক শর্মা। তাঁর দাবি ছিল, “বিজেপিকে জিততে সাহায্য করেছেন কমলনাথ”।
এদিন বিজেপির মুখপাত্র তথা কমল নাথের প্রাক্তন মিডিয়া পরামর্শতদাতা নরেন্দ্র সালুজা কমল নাথ ও তাঁর ছেলে নকুল এর একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন “জয় শ্রী রাম”। এরপরই কমলনাথকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদিও ফেব্রুয়ারির শুরুতে কমলনাথের গড় হিসেবেই পরিচিত ছিন্দওয়ারা থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেন নকুলনাথ। কিন্তু হটাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর কমলনাথ মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিতে অনড় থাকে। শেষপর্যন্ত কমলনাথকেই মুখ্যমন্ত্রী করে কংগ্রেস। এইকারনে জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে চলে যায়। যার জেরে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের।
Sandeshkhali incident: এবার সন্দেশখালিতে গেল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল
গত কয়েক দিন ধরেই সন্দেশখালির পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরাদের গ্রেফতারির দাবিতে গত সপ্তাহে পথে নেমেছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের বিরুদ্ধে এলাকায় অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে আক্রমণ করেছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিরোধীদের উস্কানিতেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি। এবার সেখানে পৌঁছল শিশু সুরক্ষা কমিশনও। শনিবার সন্দেশখালিতে যান রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস, পরামর্শদাতা সুদেষ্ণা রায়-সহ মোট ৪ প্রতিনিধি। ঘুরে ঘুরে গ্রামগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন তাঁরা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে এক শিশুর উপর অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। এক শিশুকে তাঁর মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন পদক্ষেপ করে।
সন্দেশখালি পৌঁছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে পেয়ে ওই শিশুর মা জানান, সেদিন পর থেকে তাঁর বাচ্চাটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রীতিমত আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে বাচ্চাটি দিন কাটাচ্ছে। এরপর সুদেষ্ণা রায় জানান, “ শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। ২৪ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।“ পাশাপাশি শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সন্দেশখালিতে যেসব পড়ুয়া এইবছর পরীক্ষা দিচ্ছে সেসব পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির কী অবস্থা, সবরকম পরিষেবা পরীক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, বিগত কদিন ধরেই সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে উতপ্ত গোটা রাজ্য। আপাতত সন্দেশখালির ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সন্দেশখালির আঁচ পৌঁছেছে রাষ্ট্রপতির দফতরেও। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে এবিষয়ে। বিরোধীরা লাগাতার প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে। আজ সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রতিবাদে ও সেখ শাহজানের গ্রেফতারের দাবীতে পথে নামলো সারাভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্যারা । শনিবার বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করা হয়।বর্ধমান স্টেশনে থেকে মিছিল করে কার্জনগেট চত্বরে হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখায় মহিলা সমিতির সদস্যারা।তবে কোর্ট কম্পাউণ্ডের দিকে রাস্তায় ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। রাজ্য মহিলা সমিতির নেত্রী অঞ্জু কর বলেন, “আমরা চাই অবিলম্বে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হোক।“
পাশাপাশি আজ বসিরহাটে আইএসএফ এর উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তাপস ব্যানার্জীর নেতৃত্বে হাজার খানেক কর্মী সমর্থক টাউন হল থেকে মিছিল করে এসে এসপি অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবী সন্দেশখালি কাণ্ডের যারা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহাজাহান শিবু হাজরা সহ যেসব অভিযুক্তরা আছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে । এরপর সন্দেশখালি কাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এসপি অফিসে ডেপুটেশন জমা দেয়।
Arvind Kejriwal: মোদীর ডিগ্রি মামলায় অরবিন্দের আবেদন খারিজ আদালতের
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ডিগ্রি মামলায় কেজরীওয়ালের আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত মামলায় গত বছর গুজরাত হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আদালত তাঁর থেকে জরিমানাও ধার্য করে।
উল্লেখ্য কেজরীওয়াল এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহের প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি নিয়ে করা কিছু মন্তব্যের ভিত্তিতে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ প্যাটেল।
কেজরীওয়াল বলেছিলেন, “যদি সত্যি প্রধানমন্ত্রী গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে এ নিয়ে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসব করা উচিত।’’ পাশাপাশি সঞ্জয় সিংহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভুয়ো ডিগ্রিটি সত্যি প্রমাণ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন”। এরপরই পীযূষ গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মানহানি করা হয়েছে বলে কেজরীওয়াল ও সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন।
এরপর গত বছর গুজরাতের একটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। গত ১৫ এপ্রিল আদালত কেজরীওয়াল ও সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ দেয়। তবে এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান তাঁরা। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর সমনের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাত হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আপ নেতারা। সেখানেও ধাক্কা খেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলে সর্বচ্চ আদালত তাঁদের মামলা ফিরিয়ে দেয়। তারপর তাঁরা আবারও হাই কোর্টে ফিরে আসেন। সেই মামলাও খারিজ হয়ে গেল শুক্রবার।
প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি ৫ বার ডেকে পাঠালেও হাজির হননি কেজরিওয়াল। এরপর ইচ্ছাকৃতভাবে অজুহাত দিয়ে হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে অরবিন্দের বিরুদ্ধে দিল্লিকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। শনিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং এবং সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। যদিও আপের দাবি এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত।
ইতিমধ্যে শনিবার দিল্লির বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির পক্ষ থেকে আপ বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে আপ ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যদিও তাঁর দাবি, এই প্রস্তাব বিধায়করা গ্রহণ করেননি। এই মুহূর্তে বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়ক এবং বিজেপির ৮ জন বিধায়ক রয়েছে।
Arvind Kejriwal: বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক কেজরীওয়ালের
শনিবার দিল্লির বিধানসভায় আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে চলেছে আম আদমির পার্টির সরকার। শুক্রবার আচমকাই দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। কদিন আগেই কেজরীওয়াল অভিযোগ করেন বিজেপি আপ বিধায়কদের কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপরই শুক্রবার বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব আনার সময় তিনি বলেন,”দুজন আপ বিধায়ক তাকে জানিয়েছেন যে তাঁদের সঙ্গে বিজেপির সদস্যরা যোগাযোগ করছে এবং তাঁদের বলা হচ্ছে যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে”। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, তাঁর বিধানসভার বিধায়কদের বলা হচ্ছে যে ২১ জন আপ বিধায়ক দল ছেড়ে যেতে রাজি হয়েছেন এবং আরও অনেকে বিজেপির সাথে যোগাযোগ করছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে আপ বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য।পাশাপাশি কেজরীওয়াল দাবি করেছেন বিজেপির এই প্রস্তাব বিধায়করা গ্রহণ করেননি। বাকি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে দিল্লি সরকার জানতে পেরেছে ২১ নয় ৭ জনের সাথে যোগাযোগ করেছে বিজেপি।
এদিন আস্থা ভোটের কারন সপক্ষে কেজরীওয়াল বলেন,"আমি দেখাতে চাই যে আমাদের কোনো বিধায়ক দলত্যাগ করেননি, এবং সকলেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন"। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দিল্লি সরকার আস্থা ভোটের ব্যাবস্থা করেছে। বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়ক এবং বিজেপির ৮ জন বিধায়ক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিকে ৫ বার শমন পাঠালেও অরবিন্দ হাজিরা দেননি। এরপর ইডি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে শমনে সাড়া না দিয়ে একের পর এক অজুহাত দিয়ে হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে দিল্লি কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শনিবার আস্থা ভোটের আগে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ মার্চ হবে
বলে জানিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য আদালত গত সপ্তাহে “আইনিভাবে বাধ্য” জানিয়ে আজ হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছিল কেজরিওয়ালকে। যদিও আপের তরফে ইডির শমনকে বেআইনি এবং রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করা হচ্ছে।
ইডির প্রথম শমনের পর থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতার হওয়ার তীব্র জল্পনা ছিল। মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং এবং সত্যেন্দ্র জৈন
ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। যদিও আপের তরফে জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে কেজরিওয়াল গ্রেফতার হলেও তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।
ইডির অভিযোগ, দিল্লিতে ২০২১-২২ আবগারি নীতির মাধ্যমে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তা
থেকে প্রাপ্ত ৪৫ কোটি টাকা ২০২২ সালে গোয়ায় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছিল।
Delhi Pragati Maidan : লোকসভার আগে দিল্লির প্রগতি ময়দানে বিজেপির জাতীয় সম্মেলন
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিজেপির (BJP) রাষ্ট্রীয় অধিবেশন। প্রত্যেক বছরই এই মহা সম্মেলন আয়োজন করা হয় বিজেপির তরফে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে জানুয়ারি মাসে দিল্লির (Delhi) রামলীলা ময়দানে এই জাতীয় সম্মেলন করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ বছর ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দু'দিনের জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করছে তারা।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য ৪০০-র বেশি আসনে জেতা। বিজেপির তরফে সে কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। শেষবার বিজেপির জাতীয় সম্মেলনের সময় দলের সাংসদ সংখ্যা ছিল ২৮২ জন। বর্তমানে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৩-এ। তার জেরে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, ২০১৯ সালের অধিবেশনের তুলনায় এবারের আয়োজন আরও বড় হতে চলেছে। যে কারণে বদলাচ্ছে এই জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন স্থলও। রামলীলা ময়দানের বদলে এবার তা হচ্ছে দিল্লির প্রগতি ময়দানে। এই প্রগতি ময়দানেই জি-২০ সম্মেলনের জন্য ভারত মণ্ডপম তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানেই হবে এবারে হবে বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন।
নিয়ম অনুযায়ী, এই অনুষ্ঠান শুরু হবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) ভাষণ দিয়ে। আর অধিবেশন শেষ হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) ভাষণে। বিজেপি সূত্রের খবর, এই জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেবেন দেশের আট হাজার বিজেপি নেতা। আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি বিজেপির মহা সম্মেলনে যোগ দেবেন জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যরা। যার মধ্যে বাংলা থেকে রয়েছেন সাত জন। থাকবেন জাতীয় পরিষদের সদস্যরাও। যার মধ্যে বাংলা থেকে থাকবেন মোট ৪২জন বিজেপি নেতা। এছাড়াও বাংলা থেকে এই অধিবেশনে ডাক পেয়েছেন ১৬ জন লোকসভা সাংসদ এবং রাজ্যসভার একমাত্র সাংসদ অনন্ত রায়।
বাংলা থেকে যাওয়ার কথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। কিন্তু, সন্দেশখালিকাণ্ডে আহত হওয়ায় তিনি যেতে পারবেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও এই অধিবেশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দিলীপ ঘোষ, তথাগত রায়, রাহুল সিনহার মতো প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিদেরও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে কর্মসমিতির সদস্য শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু সহ বাংলা থেকে ডাকা হয়েছে মোট ৬৮ জন বিধায়ককেও। এছাড়াও বাংলা থেকে ডাক পেয়েছেন রাজ্যের কোর কমিটির সদস্যরা। এই কমিটিতে রয়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও।
এছাড়াও লোকসভার আসন অনুযায়ী বিজেপির যে ১১টি ক্লাস্টার রয়েছে এই সম্মেলনে ডাক পেয়েছে সেই সমস্ত ক্লাস্টার প্রধানরাও। এছাড়াও যাবেন রাজ্যের প্রতিটি জোন ও বিভাগের প্রধানদেরও। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে যাবেন ভারতীয় ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও স্বপন দাশগুপ্তকে। ডাক পেয়েছেন রাজ্যের প্রতিটি শাখার প্রধান এবং রাজ্যে দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
Supreme Court : নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বাংলা থেকে সরানো হোক সন্দেশখালি মামলা, আবেদন সুপ্রিম কোর্টে
বিগত ক'দিন ধরেই খবর শিরোনামে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ওই এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী রাতের পর পর মেয়ে-বউদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালাত। এবার এই অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়। চার দফা দাবিও জানানো হয়েছে। প্রথমত, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই বা সিট গঠন করে তদন্ত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মণিপুরের মতো সন্দেশখালিতেও হাই কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের কমিটি গঠন করে তদন্ত করতে হবে। তৃতীয়ত, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। চতুর্থত, প্রশাসনের যে সব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিন আইনজীবী অলোক বলেন, “সন্দেশখালিতে যে সব তথ্য উঠে আসছে তাতে বাংলায় সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া সম্ভব নয়, তাই ন্যায়বিচারের জন্য মামলাটি রাজ্যের বাইরে সরিয়ে আনা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করে তাঁকে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন, তার থেকে প্রমাণ হচ্ছে প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়।” এছাড়াও সন্দেশখালিতে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েনের আর্জিও জানান তিনি। সূত্রের খবর, দ্রুত তদন্ত সম্পূর্ণ করে দিল্লির ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে সময়সীমা বেঁধে বিচার প্রক্রিয়ার আবেদন জানিয়েছেন অলোক শ্রীবাস্তব।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই সন্দেশখালি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করার অনুমতি চেয়েছেন আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সন্দেশখালিতে দ্রুত সিআরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ। আগামী সোমবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, আজও অধরা শেখ শাহজাহান। ৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু, সেই সময় তাঁর অনুগামীদের হাতে হেনস্থা হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। এই ঘটনার পর থেকেই শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মহিলাদের উপর অত্যাচার থেকে শুরু করে ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়া, আবাস যোজনার টানা না দেওয়া, জলের দরে জমি হাতিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গ্রামের মহিলাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। সন্দেশখালির আঁচ রাষ্ট্রপতির ভবন পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। আজ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সন্দেশখালি নিয়ে এক রিপোর্ট জমা দিয়েছে তফসিলি কমিশন।
Sandeshkhali incident: সন্দেশখালি যাওয়ার আগে বার বার পুলিশি বাধা, 'খালি হাতে' ফিরল BJP-র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম
সন্দেশখালি (Sandeshkhali) না গিয়েই কলকাতায় ফিরলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধি দল। সন্দেশখালিতে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার তরফে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম তৈরি করে দেওয়া হয়। সেই দলটির শুক্রবার সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। এই টিমে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সাংসদ সুনীতা দুগ্গল, কবিতা পাতিদার, সঙ্গীতা যাদব এবং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল। বাংলা থেকে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল ও সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
আজ সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাসন্তী হাইওয়ের কাছে রামপুরে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধিদের আটকে দেয় বসিরহাট থানার পুলিশ। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করে বিজেপি। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকার জন্যই পুলিশ তাঁদের যেতে বাধা দেয়। এই পরিস্থিতি প্রতিনিধি দলের এক সদস্য সন্দেশখালিতে যাওয়ার জন্য আবেদন জানান। যদিও তাতেও রাজি হয়নি পুলিশ। কোনও মতেই সন্দেশখালিতে যাওয়া যাবে না বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। এরপর পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। এরপর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রায় ২ ঘণ্টা রাস্তার উপর বসে ছিলেন। তারপর বাধ্য হয়ে কলকাতায় ফেরেন।
প্রশ্ন উঠছে কেন বার বার কেন বিরোধীদের সেখানে যেতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ? কি চাপা দিতে চাইছে প্রশাসন? এবিষয়ে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “আগেই বলেছিলাম আমরা চারজন যাব, তাও আটকে দিল পুলিশ। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এমনকী মুখ্যমন্ত্রিও নন”।এনিয়ে বিজেপির তরফে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালি যেতে চাইলে তাঁকে টাকিতে আটকে দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান তিনি। এরপর কলকাতার এক নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন সুকান্ত। তারপর বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে সরবেড়িয়ায় বাঁশের ব্যারিকেড করে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দেয় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের নেতৃত্বে সন্দেশখালিতে গিয়েছিল তফসিলি কমিশন। জানা গিয়েছে, কমিশনকে সামনে পেয়ে গ্রামের মহিলারা তাঁদের অভিযোগ জানান। রাতের পর রাত তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের উপর যে অত্যাচার চলত সে কথা তুলে ধরেন। তাঁদের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল ১১ টায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দেয় তফসিলি কমিশন। তবে রিপোর্টে কি আছে তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি কমিশনের প্রতিনিধিরা।
Mimi Chakraborty: প্রার্থী না হতে চেয়ে মমতাকে চিঠি সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার ঠিক আগেই তৃণমূলের অন্দরে জোর কোন্দল। একের পর এক সাংসদদের ইস্তফা নিয়ে বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস। কদিন আগেই ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব ইস্তফা দেন। যদিও শেষপর্যন্ত তাঁকে মানিয়ে ধরে রেখেছেন মমতা ব্যানার্জি। এবার দেবের দেখানো পথেই হাঁটলেন আরেক তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মমতাকে চিঠি লেখেন মিমি। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁকে বিধানসভায় ডাকা হয়। সেইমত আজ সকালে উপস্থিত হন তিনি। সূত্রের খবর একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর চিঠিতে। চিঠিতে তিনি জানান তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। নানানভাবে বহু জায়গায় হেনস্থার শিকার হচ্ছেন তিনি । তবে জানা যাচ্ছে চিঠিতে কারোর নাম উল্লেখ করেনি মিমি। তবে সূত্রের খবর, নিজের দলের বিরোধী গোষ্ঠীর ওপর ক্ষোভের কারনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারকা সাংসদ। শুধু তাই নয়, করোনাকালে যাদবপুর কেন্দ্রে কী কী কাজ করেছেন, সেই কথাও চিঠিতে লিখে জানিয়েছেন মিমি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথমবারের জন্য তৃণমূলের টিকিটে যাদবপুর থেকে লোকসভা ভোটে লড়েন তিনি। এরপর সিপিআই(এম) এর নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে হারিয়ে সাংসদ হন অভিনেত্রী।
এদিন মিমি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “ রাজনীতি আমার জন্য না। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি যদি কিছু বাজে কাজ করতাম বা করেছি তাহলে তো আপনারাই সবার আগে দেখাতেন। আমি নিজের দল তো ছেড়েই দিন অন্য দলকে নিয়েও কখনো খারাপ কথা বলিনি। তাহলে আমাকে কেন এত খারাপ কথা শুনতে হবে। আমি দিল্লিতে থাকলে বলা হয় সাংসদ তো দিল্লিতেই থাকেন আবার কলকাতায় থাকলে বলা হবে আমি তো দিল্লিতেই যাই না। আমি আজ আমার কাজের হিসাব দিতে আসিনি। এমপি ল্যাড ইউটিলাইজেশনে কার নাম এক নম্বরে আছে দেখে নিন। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে খুব ভালোবাসেন। স্নেহ করেন। আমি দুই দিন আগে আমার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দিদির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু উনি এখনও সেটা অ্যাকসেপ্ট করেননি। উনি অ্যাকসেপ্ট করলে আমি লোকসভার স্পিকার কে পাঠিয়ে দেবো। আমার যে অভিযোগ ছিলো সেটা আমি দিদিকে জানিয়েছি। দেখি উনি কি স্টেপ নেন। কাদের কাছ থেকে বাঁধা পেয়েছি, সেটা আমার দলের সুপ্রিমোকে জানিয়েছি।“
“তিনি আরও বলেন,”দলের সদস্যপদ এখনও রয়েছে। আইনত রাজনীতি থেকে সরতে গেলে যা যা করার সেটাই আমি করেছি। আমি প্রার্থী হতে চাই না।“
এদিন মিমির ইস্তফা প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ শিল্পীরা আজ বীতশ্রদ্ধ। তৃণমূল নিজের স্বার্থে এই শিল্পীদের ব্যবহার করে। নিজেদের পাক এই শিল্পীদের গায়ে ফেলে দেয়।” বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, যারা গণতন্ত্র লুঠ করার চক্রান্ত দেখতে পারছেন না তারাই বেরিয়ে আসছেন, কেউ আগে মুখ খুলছে, কেউ পরে।”
Sandeshkhali Incident : সরবেড়িয়ায় আটকানো হল বাস, রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুভেন্দুর
বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে ফের একবার সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। যদিও ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। তার মধ্যেই ১৪৪ ধারার নিয়ম মেনে মাত্র তিন জন বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বাসে করে সন্দেশখালি যাওয়ার প্রস্তুতি নেন শুভেন্দু। তিন জন বিজেপি বিধায়কের মধ্যে ছিলেন তাপসী মণ্ডল, চন্দনা বাউড়ি এবং শঙ্কর ঘোষ।
এদিন বিধানসভার সামনে থেকে তাঁদের বাস ছাড়ে। বাসে ওঠার আগে শুভেন্দু বলেন, “আজ যদি পুলিশ তাঁদের আটকায় তাহলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন”। যদিও বাসন্তী হাইওয়েতে কিছুক্ষণের জন্য তাঁদের বাস আটকায় পুলিশ। পরে ছেড়েও দেওয়া হয়। এরপর ফের সরবেড়িয়াতে আটকে দেয় পুলিশ। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেখানে এক কর্তব্যরত এসডিপিও জুতো দিয়ে শুভেন্দুর পায়ে আঘাত করেন। তারপরই শুভেন্দু সহ বিজেপির নেতারা রাস্তায় বসে পরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার পথে সায়েন্স সিটির কাছে শুভেন্দুকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ।
অন্যদিকে শুভেন্দুর সন্দেশখালি যাত্রা আটকাতে পুলিশি তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। সন্দেশখালির আগে রামপুরে ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা ঘিরে রাখে প্রশাসন। জায়গায় জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নামানো হয়েছে ব়্যাফ। ধামাখালির রামপুর থেকেই জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। গোটা এলাকাকে দুর্গে পরিণত করে ফেলেছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির অভিযানকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তাঁর অনুগামীদের হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এক আধিকারিকের মাথা ফাটে। ইডির পাশাপাশি হামলা চালানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও। তবে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
এরপর শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসে। গ্রামবাসীরা তাঁর গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামেন। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। যদিও মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় সরকার। তবে বুধবারে নতুন করে ১৯টি জায়গা স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া, দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়া, দাউদপুর, ধামাখালি ঘাট, হালদার পাড়া, পিঁপড়ে খালি ঘাট সহ আরও বেশ কিছু জায়গায় আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
ইতিমধ্যে রাজ্যপাল গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। পিছিয়ে নেই কোনও রাজনৈতিক দলও। মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস অভিযান করে বিজেপি। তাকে ঘিরে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিজেপি ও পুলিশের মধ্যে। এরপর বুধবার টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে সুকান্ত এবং কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের আটকে দেয় পুলিশ। সেসময় বচসার জেরে আঘাত পান সুকান্ত যার জেরে তিনি কলকাতার এক নার্সিংহমে চিকিৎসাধীন।
Sukanta Majumdar : বমি বমি ভাব সুকান্তর, স্যালাইন ছাড়া কিছুই নিতে পারছেন না
মঙ্গলবার সুকান্তের সন্দেশখালি যাত্রা নিয়ে টাকিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ টাকির এক হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর ইছামতীর পাড়ে বসে সরস্বতী পুজো করে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। এরপরই সেখানে সুকান্ত সহ বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়। বচসা চলাকালীন পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যাওয়ায় সুকান্ত মজুমদারকে জোর করে নামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সেই ধস্তাধস্তিতে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান তিনি। এরপর তাঁকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে ভর্তি করে বিজেপি কর্মীরা। যদিও স্থানীয় হাসপাতালে তাঁর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাতেই তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। নিউরো ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে তাঁকে। রাতেই তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে পেটে, বুকে, মাথায়, ঘাড়ে ও স্পইনাল কর্ডে। ডঃ এস এন সিং এর নজরদারিতে ভর্তি রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, স্যালাইন ও অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ।
গতকালই দিল্লি থেকে ফিরে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আমার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে বাংলার মানুষের কাছে রিপোর্ট দেওয়া। আমি রাজ্যর নির্বাচিত সরকারের কাছে, রিপোর্ট চেয়েছি অপেক্ষা করছি, তারপর দরকার পড়লে রিপোর্ট পাঠাব দিল্লিতে। আমায় কিছুটা সময় দিন। সংবিধানের ১৭৫ (২) ধারা অনুযায়ী আমার নির্দেশিকা সরকারের কাছে পৌঁছে যাবে। তারপরে এই বিষয়ে আমি কথা বলব।”
এরপর সোজা সেখান থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দেখতে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছে যান। সুকান্তর চিকিৎসা ভালো চলছে বলে জানান তিনি।
সুকান্ত প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আই সি ইউ তে আছেন সুকান্ত, তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শারীরিক হেনস্থা হয়েছে তাঁর। আমার মনে হয় মমতার নির্দেশেই হয়েছে। স্যালাইন ছাড়া কিছু নিতে পারছেন না। বমি ভাব আছে। ওঁর বিশ্রাম দরকার। ভালো চিকিৎসা হচ্ছে। যদিও আমরা ক্রস চেক করেও চিকিৎসার উপর নজর রাখছি।” এরপরই সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলেন, "৯২০ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। প্রত্যেক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে আমরা আছি। গ্রেফতার হলে আমরা দাঁড়াব তাঁদের পাশে।" সেই সঙ্গে আজ ফের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
Farmer Protest In Delhi : উত্তাল দিল্লি সীমান্ত, আজ ফের কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক কেন্দ্রের
বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড়ে কৃষকদের সঙ্গে ফের একবার বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্র। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা এবং অন্য দুই মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও নিত্যানন্দ রাই। বুধবার চণ্ডীগড়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের বলেন, “বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা এবং অন্য দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়াল এবং নিত্যানন্দ রাই বিকেল ৫টায় বিক্ষোভকারী কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন। যতক্ষণ বৈঠক না হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন বন্ধ থাকবে।” যদিও এদিন সারওয়ান সিংয়ের অভিযোগ, বুধবার তাঁরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখালেও, আধা-সামরিক বাহিনী ড্রোনে মাধ্যমে তাঁদের উপর টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার পেলেট ছোড়ে। যদিও এত কিছুর পরও তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর আর্জি জানান। এরপরই আন্দোলনকারীরা বৈঠকে বসতে রাজি হয়। এর আগে বুধবার কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা কৃষকদের বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয় এমন কিছু না করার জন্য আর্জি জানান। কৃষিমন্ত্রী বলেন, “সব দিক বিবেচনা করে সরকারের সঙ্গে কৃষক পক্ষের আলোচনায় বসা উচিত। আমি মনে করি সাধারণ মানুষের অসুবিধার সৃষ্টি করে এমন কিছু করে কোনও সমাধান পাওয়া যাবে না।”
গত মঙ্গলবার থেকে কৃষক আন্দোলনের জেরে উত্তাল রাজধানী। ৩ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে কৃষক সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার “দিল্লি চলো”-র ডাক দিয়েছিল সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং কিসান মজদুর মোর্চা। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের তরফে ১২ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে দিল্লিতে। ইতিমধ্যে হরিয়ানার সঙ্গে সিংগু এবং টিকরি সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের রাজ্যে প্রবেশে বাধা দিতে কংক্রিট ব্লক, লোহার পেরেক এবং কাঁটাতারের ব্যবহার করে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে প্রশাসন। আন্দোলনের জেরে কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার সকাল থেকে সাময়িকভাবে লালকেল্লা বন্ধ রেখেছে সরকার। সোমবার মধ্যরাতে খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।কিন্তু বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় আন্দোলনে নামেন কৃষকরা। মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের সীমানা অতিক্রম করতে গেলে হরিয়ানা পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। যার জেরে আহত হন অনেক কৃষক।
Sukanta Mazumdar : টাকিতে অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হল হাসপাতালে
মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানকে ঘিরে খণ্ড যুদ্ধ বাধে বিজেপি ও পুলিশের মধ্যে। আটক করা হয় সুকান্ত এবং কয়েক জন বিজেপি কর্মীদের। পরে সুকান্তকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদিন ফের সন্দেশখালিতে যাবেন বলে জানান তিনি। রাতে টাকির একটি হোটেলে ছিলেন সুকান্ত। পরিকল্পনা ছিল হোটেলেই সরস্বতী পুজো করে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেবেন। এদিকে তাঁকে সন্দেশখালি যাওয়া থেকে আটকাতে হোটেলে মোতায়েন ছিল পুলিশও। কিন্তু, বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে নিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর ইছামতীর পাড়ে বসে সরস্বতী পুজো সারেন। পূর্বপরিকল্পনা মাফিক টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এরপরই বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, বচসা চলাকালীন পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যান সুকান্ত। গাড়ি থেকে সুকান্ত মজুমদারকে জোর করে নামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু, ধস্তাধস্তিতে তিনি গাড়ি থেকে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারান। তারপর চোখেমুখে জল দিয়ে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। ওই সময় তড়িঘড়ি তাঁকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায় সুকান্তর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপির দাবি, সরস্বতী পুজোর জন্য উপোস করেছিলেন সুকান্ত। ধস্তাধস্তির সময় পুলিশের গাড়ির চালক গাড়ি চালিয়ে দেওয়াতেই পড়ে যান তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে ইডি। মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের। ইডির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও হামলা চালানো হয়। যদিও সেই ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর আচমকা শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের মধ্যে অত্যাচার চালাত শাহজাহান। ঘর থেকে বউদের তুলে যেত তাঁর শাগরেদরা। শুধু তাই নয় আবাস যোজনা, ১০০ দিনের টাকাও তাঁরা পাননা বলে অভিযোগ করছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। সেখানে প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখলিতে ১৪৪ ধারা তুলে নিতে বাধ্য হয় রাজ্য। এরপর নতুন করে ফের ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া, দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়া, দাউদপুর, ধামাখালি ঘাট, হালদার পাড়া, পিঁপড়ে খালি ঘাট সহ আরও বেশ কিছু জায়গায়। তার মধ্যেই আজ সন্দেশখালিতে যেতে উদ্যত হন সুকান্ত।
Farmer Protest : "আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব", কৃষক আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত দিল্লি
বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে মঙ্গলবার “দিল্লি চলো”-র ডাক দিয়েছিল দু’টি বড় কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং কিসান মজদুর মোর্চা। অতীতের কৃষক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে প্রশাসনের তরফে ১২ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে দিল্লিতে। কৃষকরা মূলত স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাব মেনে ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা, সমস্ত কৃষিঋণ মকুব এবং ২০২০-২১ সালে প্রতিবাদী কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলাগুলি খারিজের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে দিল্লি।
উল্লেখ্য, মিছিলকে দিল্লিতে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশ সিংগু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে। বিক্ষোভকারীদের রাজ্যে প্রবেশে বাধা দিতে কংক্রিট ব্লক, লোহার পেরেক এবং কাঁটাতারের ব্যবহার করে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আন্দোলনের জেরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বুধবার সকাল থেকে সাময়িকভাবে লালকেল্লা বন্ধ রেখেছে সরকার। BKU (রাজেওয়াল) সভাপতি বলবীর সিং রাজেওয়ালের নেতৃত্বে ৩৭টি খামার সংস্থা ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারত বনধের ডাক দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মধ্যরাতে খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু, তারপরও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের সীমানা অতিক্রম করতে বাধা দিতে গিয়ে হরিয়ানা পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। যার জেরে আহত হন অনেক কৃষক। তবে সেই সব উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষকদের বিক্ষোভ ও নাকা তল্লাশির কারণে বুধবার সকাল থেকে দিল্লি-গাজিয়াবাদ সীমান্তে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভের জেরে দিল্লির সিংহু বর্ডারে ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের কর্মী, পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে হরিয়ানার আম্বালার শম্ভু সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বহু স্তরের ব্যারিকেড থাকায় বুধবার দিল্লির সীমান্ত এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যদিও হরিয়ানার সঙ্গে সিংগু এবং টিকরি সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, গাজিপুর সীমান্তে এখনও নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে যানবাহন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের অপ্সরা এবং গাজিপুর সীমান্তে যান চলাচল করলেও উভয় স্থানেই নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
এই পরিস্থিতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব সহ বিরোধীরা কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর আর্জি জানানো হয়েছে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর প্রতিবাদী কৃষকদের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য আহ্বান জানান। তাঁর মতে, "যদি নৌসেনার প্রাক্তন কর্তাদের আলোচনার মাধ্যমে কাতার থেকে ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে এই সমস্যাও মিটে যাবে।” রাজ্যের কিছু সীমান্তে কেন কাঁটাতার লাগানো হয়েছিল এবং পেরেক দেওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, "আইন প্রয়োগ করা রাষ্ট্রের বিষয়।"
এই ঘটনা প্রসঙ্গে শম্ভু সীমান্তে এক কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের বলেন, "আমাদের সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আমরা সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব করতে এসেছি। এটা ঠিক নয়।"
Sonia Gandhi : রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সোনিয়া, মায়ের ছাড়া আসনে লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা
পাঁচ দফায় লোকসভার সাংসদ ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তবে এবার আর লোকসভা নয়। রাজ্যসভায় যাচ্ছেন তিনি। রাজস্থান আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের তিনটি আসনের মধ্যে রাজস্থান আসনেও কংগ্রেসের জয় একপ্রকার নিশ্চিত। ফলে যদি তাই হয় তাহলে সোনিয়া হবেন গান্ধী পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য যিনি ইন্দিরা গান্ধীর পর রাজ্যসভায় যাবেন। ফলে খুব শীঘ্রই ইন্দিরা-পুত্রবধূ সংসদের উচ্চকক্ষে প্রথমবার তাঁর ইনিংস শুরু করতে চলেছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
এতদিন সোনিয়া রায়বেরেলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতেন। এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না তিনি। কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৯৯৯ সালে প্রথম নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন তিনি। সোনিয়ার রাজ্যসভার প্রার্থী হওয়া এপ্রসঙ্গে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সোনিয়া গান্ধীকে স্বাগত জানাই। গোটা রাজস্থান আজ খুশি রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে সোনিয়া গান্ধীর নাম ঘোষণা করায়। এই ঘোষণার সঙ্গে সব পুরোনো স্মৃতি তাজা হয়ে গিয়েছে।"
২৭ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি। এর আগে রাজস্থান আসন থেকে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এপ্রিলে তাঁর ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হবে। তার জেরেই শূন্য হবে আসনটি। আর সেই আসন থেকেই এবার মনোনয়ন জমা দিলেন সোনিয়া। উল্লেখ্য, রাজ্যসভা ৫৬টি আসনের মধ্যে ৯ থেকে ১০টি আসনে জয়ের মতো জায়গায় রয়েছে কংগ্রেস। তার মধ্যে কংগ্রেসের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ দুটি রাজ্য হল তেলেঙ্গানা এবং কর্ণাটক। রাজস্থান এবং হিমাচল প্রদেশেও একটি করা আসন জেতার জায়গায় রয়েছে হাত শিবির। হিন্দি বলয়ে যে কংগ্রেস একেবারে আশা ছেড়ে দেয়নি সেটা বোঝাতেই দক্ষিণের দুই রাজ্যকে বাদ দিয়ে সোনিয়া রাজস্থানকে বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, চলতি লোকসভা নির্বাচনে যে দাঁড়াবেন না তা ২০১৯ সালেই ঘোষণা করেছিলেন সোনিয়া। জানিয়েছিলেন, সেটিই ছিল তাঁর শেষ লোকসভা নির্বাচন। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয় যে সোনিয়ার পর তাঁর রায়বেরেলি কেন্দ্রে থেকে কাকে প্রার্থী করবে কংগ্রেস। সূত্রে খবর, মায়ের আসন থেকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
এদিকে বুধবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনের সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী, বিহার থেকে লড়বেন ডঃ অখিলেশ প্রসাদ সিং, অভিষেক মনু সিংভি হিমাচল প্রদেশ ও চন্দ্রকান্ত হান্ডরে লড়বেন মহারাষ্ট্র থেকে।
Sandeshkhali: ফের ১৪৪ ধারা জারি সন্দেশখালিতে
গোটা সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ভৎসনার মুখে পরে রাজ্য প্রশাসন। আদালত ১৪৪ ধারা জারির করার কারন জানতে চাইলে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি রাজ্য। এরপরই ১৪৪ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন,” কোন কোন অঞ্চলে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি,১৪৪ ধারা জারি করার আগে প্রশাসনের পুরো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল”। ফলে আদালতের রায় মেনে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় রাজ্য। তবে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টা থেকে নতুন করে ১৯টি জায়গা স্পর্শকাতর উল্লেখ করে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধামাখালি ঘাট সহ সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। যার মধ্যে সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া, দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়া, দাউদপুর, ধামাখালি ঘাট, হালদার পাড়া, পিঁপড়ে খালি ঘাট সহ আরও বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বেশ কদিন ধরেই অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি। অবিলম্বে শাহজাহানকে গ্রেফতারে দাবিতে গতকাল বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে যান বিজেপির সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি কর্মীরা। অভিযানকে ঘিরে তুমুল অশান্তি হয় বসিরহাটে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় উত্তেজিত বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। সব মিলিয়ে ধন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে। বিজেপির মহিলা কর্মী সমর্থক সহ বেশ কিছু বিজেপি কর্মীরা আহত হয়। এরপর বাসন্তী ব্লকের পালবাড়ি বাজারের রাস্তা অবরোধ করে সন্ধ্যা থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তাদের বিক্ষোভের মূল কারণ ছিল রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ হাজারের বিজেপির কর্মী সমর্থক ও মহিলাদের উপর পুলিশি প্রশাসনের ও নির্বিচার।যার জেরে তারা পথ অবরোধ করে।
পাশাপাশি, মঙ্গলবার দুপুরে সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন ও সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়নের ডাকে একাধিক দাবি দাওয়াকে সামনে রেখে বহরমপুরে জেলা শাসক দফতর অভিযান কে কেন্দ্র করে উতপ্ত হয়।উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও জেলার সিপিএমের নেতৃত্বরা।সভা শেষ করেই জেলা শাসক অফিস অভিযান করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে বাম কর্মীদের ।পুলিশ কে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট ছুড়তে থাকেন বাম কর্মীরা। পাল্টা পুলিশ কাঁদানী গ্যাসের সেল ফাটায় এবং লাঠি চার্জ করে। ঘটনাকে ঘিরে রনক্ষত্রের চেহারা নেয় বহরমপুর শহর।
High court on Sandeshkhali : সন্দেশখালি নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের
উত্তপ্ত সন্দেশখালিকে শান্ত করতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল রাজ্যপ্রশাসন। এই নিয়ে মঙ্গলবার মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই প্রশ্নের মুখে পরে রাজ্য। এদিন আদালত ১৪৪ ধারা জারির কারন জানতে চায় রাজ্যের কাছে। কিন্তু তা নিয়ে কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি প্রশাসন। এরপরই ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। গোটা পরিস্থিতিকে খুব যত্ন নিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে বলে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সাথে এলাকায় বেশি করে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, "কোন কোন এলাকায় গণ্ডগোল হচ্ছে তা উল্লেখ করা হয়নি ১৪৪ ধারা জারির বিজ্ঞপ্তিতে। ১৪৪ ধারা জারি করার আগে পরিস্থিতি পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল বলে বলে তাঁর মত। এ কদিন যা যা ঘটনা সামনে এসেছে, তা নিয়ে বিচারপতি বলেন, “যে সব অভিযোগ আসছে সেটা গুরুতর”। পুলিশ তিন বছর ধরে মামলা গ্রহণ করেনি, মহিলাদের নিরাপত্তার অভাব আছে”। ১৪৪ ধারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২-৩ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি হলেও বোঝা যেত কিন্তু গোটা সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করার এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয়তা নেই”।
এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, “১৪৪ ধারা জারি করা ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ আছে। এ ক্ষেত্রে তা মানেনি রাজ্য”।
প্রসঙ্গত, আজ বিজেপির এসপি অফিস অভিযানকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বসিরহাট। শেখ শাহাজানকে গ্রেফতার এবং বিকাশ সিংহের মুক্তির দাবিতে বিজেপির পক্ষ থেকে বসিরহাট এসপি অফিস অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুটো থেকে এসপি অফিস অভিযান শুরু হয় বসিরহাটে বিজেপির সাংগঠনিক দলীয় কার্যালয় থেকে। সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে এক বিশাল মিছিল করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সকাল থেকেই এই অভিযান ঘিরে পুলিশের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। বসিরহাট এসপি অফিসের সামনেই পুলিশের বিশাল ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়। ব্যারিকেডের সামনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পৌঁছানোর পর পুলিশের সাথে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এরপরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের, তারপর ইট বৃষ্টি করা হয় বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। পুলিশের দাবি বিজেপির মিছিল থেকেই প্রথমে ইট ছোড়া হয় পুলিশের দিকে। তারপরেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। একই সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় উত্তেজিত বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার লক্ষ্য রেখে। সব মিলিয়ে ধন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে। বিজেপির মহিলা কর্মী সমর্থক সহ বেশ কিছু বিজেপি কর্মীরা আহত হয়।
Ashok Chavan : হাত ছেড়ে এবার পদ্মে আশোক চৌহান
সোমবার কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অশোক চৌহান। তারপর থেকেই অশোকের বিজেপিতে যোগদানের গুঞ্জন ওঠে রাজনৈতিক মহলে। সেই জল্পনাকে সত্যি প্রমান করে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দেবেন্দ্র ফোড়নবিশের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চৌহান।সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর পদ প্রার্থী হয়ে দাঁড়াতে পারেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আগেই মিলিন্দ দেওরা কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনাতে যোগ দেন। এছাড়াও বাবা সিদ্দিকও অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিতে যোগদান করেছে।এবার সেই পথেই হাঁটলেন আশোক। রাজ্য নির্বাচন এবং সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে অশোক চৌহানের দলত্যাগ মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের জন্য আরেকটি ধাক্কা।
গতকাল পদত্যাগের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, “আমি বিধায়ক হিসেবে বিধানসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। এছাড়াও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এবং কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। কোন দলে যোগদান করব তা নিয়ে দু'দিন পরে আমার অবস্থান পরিষ্কার করব"। গতকাল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় অশোক জানান,”ভোটের মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকা সত্ত্বেও মহা বিকাশ আঘাদি দলের সাথে আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে বিলম্বের জন্য তিনি ক্ষুব্ধ”।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজ্যের দলীয় প্রধান নানা পাটলের সঙ্গে চৌহানের মতপার্থক্যর জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে মুম্বই কংগ্রেসের নেতা সঞ্জয় নিরুপমের বক্তব্য, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মহারাষ্ট্রের একজন কংগ্রেস নেতার কাজেকর্মের ওপর বিরক্ত ছিলেন। সেকথা অশোক শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হলে, এই পরিস্থিতি ঘটত না"।
উল্লেখ্য কংগ্রেস নেতারা অশোকের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বিজেপিকে "ওয়াশিং মেশিন" বলে কটাক্ষ করে। তিনি আরও বলেন, যখন বন্ধু এবং সহকর্মীরা এমন একটি রাজনৈতিক দল ছেড়ে যায়, যা তাদের প্রাপ্য থেকে অনেক কিছু বেশি দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বেদনাদায়ক। কিন্তু যারা দুর্বল তাদের কাছে যে ওয়াশিং মেশিন সবসময় আদর্শর থেকে বেশি আকর্ষণীয় তা প্রমাণিত”। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান নানা পাটল বলেছেন, "দুর্ভাগ্যজনক যে নেতারা সবকিছু পেয়েছেন তারা কংগ্রেস দল এবং আদর্শ ছেড়ে যাচ্ছেন"।
এখন পর্যন্ত অশোকের রাজনৈতিক জীবন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কলেজে জীবনে ছাত্র নেতা হিসাবে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করন, এরপর তিনি মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সহ কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি দুইবার নান্দেদ থেকে সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং রাজ্য আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর, মুম্বাইতে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর বিলাসরাও দেশমুখ পদত্যাগ করার পর তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। আদর্শ হাউজিং সোসাইটি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেও ২০০৯ সালের রাজ্য নির্বাচনের পরও কংগ্রেস তাকে শীর্ষ পদে বহাল রেখেছিল।
Sandeshkhali News: তৃণমূলের প্যান্ডোরা বক্স খুলে যাবে : সুকান্ত মজুমদার
সন্দেশখালির উত্তাল পরিস্থির মাঝেই ট্রেনে চেপে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন সুকান্ত মজুমদার। বসিরহাটের উদ্দেশ্যে হৃদয়পুর স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে রওনা দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। রাস্তায় পুলিশের বাধ আটকাতে সুকান্ত বাবুর এই পদক্ষেপ। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি এদিন বলেন, “১০০০ টাকা দিয়ে বাংলার মহিলাদের ইজ্জত নেবেন এটা বিজেপি চলতে দেবে না।রাজ্যসরকার ভয় পাচ্ছে, বিজেপি গেলে তৃণমূলের প্যান্ডোরার বক্স খুলে যাবে, তাই বিজেপিকে ওখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না”। তাঁর আরও দাবি, “পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে শাহজাহানকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে”।
মঙ্গলবার এপ্রসঙ্গে বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান বলেছেন, 'সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আগুনে ঘি ঢালার চেয়ে, আগুন নেভানো উচিত”।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার পুলিশের এক ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার সহ ১০ জনের মহিলা পুলিশের দল সন্দেশখালিতে পৌঁছেছে। সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের সমস্যার কথা শোনেন বলে জানা যায়। মঙ্গলবার ইন্টারনেট পরিষেবা পুনর্বহাল করা হয়েছে। এর আগে বেশ কয়েকদিন একালায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
এখনও উত্তপ্ত সন্দেশখালি। অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। গোটা ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। প্রকাশ্যে এসেছে শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনী। পরিস্থিতির হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে সোমবার সন্দেশখালি যান রাজ্যপাল। সেখানেই গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলার পর যথা সম্ভব সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। যদিও সোমবার সন্দেশখালি যাওয়ার মাঝপথে শুভেন্দু অধিকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। ইতিপূর্বে হিংসায় জড়িত থাকার কারনে তৃণমূলের উত্তম সর্দার ও বিজেপির বিকাশ সিংহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও ফের গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। সন্দেশখালিকাণ্ডে শেখ শাজাহান,শিবু হাজরার গ্রেফতার এবং সন্দেশখালীর প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার ও বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার আহবায়ক বিকাশ সিংহের নিঃশর্তে মুক্তির দাবীতে সিপিআইএম ও বিজেপির পৃথক পৃথকভাবে আজ দুপুর থেকেই বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে বিজেপি ও সিপিআইএম এর । বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিজেপির এই ঘেরাও আন্দোলন কর্মসূচীতে অংশ নেবেন। সিপিআইএমের স্থানীয় নেতৃত্ব ও রাজ্যনেতৃত্বের ও সেখানে যাবার কথা আছে। তার আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।গোটা এলাকা জুড়ে পুলিশি টহলদারি চলছে সাথে মাইকিং এর মাধ্যমে পাঁচজনের বেশি এক জাগায় জমায়েত করা যাবে না বলে প্রচার করা হচ্ছে। যদি কেউ জমায়েত করে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করবে বলে জানানো হচ্ছে। বসিরহাটের সংগ্রামপুরে এসপি অফিসের থেকে ৫০০ মিটার দূরে সামনে এবং পেছনে উভয় দিকেই ব্যারিকেট দিয়ে রাখা হয়েছে। ইছামতি নদীর ওপর যে ব্রীজ রয়েছে সেই ব্রীজ টপকে কোন রকম ভাবেই ব্যারিকেড ভেঙ্গে ভিতরে না প্রবেশ করতে পারে তার জন্য প্রশাসন যথেষ্ট সক্রিয়।
Sandeshkhali incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিস্ফোরক স্মৃতি ইরানি
বিগত কদিন ধরে উত্তাল সন্দেশখালি। ইতিমধ্যে সেখানে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বঙ্গের রাজনীতিতে তার আঁচ পড়েছে যথেষ্ট।আজ সকালে গোটা পরিস্থিতির হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে জান স্বয়ং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।এরমাঝেই সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সেখনানেই “বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের গুন্ডারা হিন্দু পরিবারের অল্পবয়সী মেয়েদের ধর্ষণ করছে' বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে যৌন শোষণের অভিযোগের ঘটনা সামনে আসায় নিন্দার ঝড়ের মুখে পড়েছে রাজ্য। অভিযোগের তীর তৃণমূল জেলা পরিষদের সদস্য শেখ শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদ বিরুদ্ধে। রেশন দুর্নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগে তাকে খুঁজছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে একজন মহিলা অভিযোগ করেছেন তাঁদের রাতে তৃণমূলের অফিসে টেনে নিয়ে যায় শাহজাহানবাহিনী তারপর সারারাত চলে যৌন নির্যাতন। সেই ভিডিও এর সূত্র ধরে বিজেপি নেত্রী বলেন,"অল্প বয়সী হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে”।
এদিন স্মৃতি কটাক্ষর সুরে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন তার দলের ছেলেদের হিন্দু বিবাহিত নারীদের তুলে নিয়ে গিয়ে টিএমসি অফিসে রাতের পর রাত ধর্ষণের অনুমতি দিচ্ছেন” নাগরিক হিসেবে আমরা কি নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারি?
গত কয়েকদিন ধরে, সন্দেশখালীতে বিপুল সংখ্যক নারী লাঠি ও ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, অভিযোগ করেছেন যে শেখ শাহজাহান ও তার "দল" জোরপূর্বক জমি দখল করেছে, এবং তাদের যৌন শোষণ করেছে। গত মাসে রেশন কেলেঙ্কারির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একটি দল তার বাড়িতে অভিযান চালাতে যাওয়ার পর থেকে পলাতক শাহজাহান। সেদিন ইডির ওপর হামলা চালায় তাঁর বাহিনী। এমনকি ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা পেত না বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। ভয়ে কিছু বলতে পারতেন না তাঁরা, মুখ খুলতে গেলে মিলত প্রাননাশের হুমকি। এখনও অধরা শাহজাহান যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, গ্রামেই আছে শাহজাহান।
আজ সকালে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের অন্যান্য বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালিতে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়।
রাজ্জ্যপাল আজ সন্দেশখালি পরিদর্শনে যান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ শোনেন এবং আশ্বাস দেন তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী তিনি যতটা সম্ভব সাহায্য করবেন।
রাজ্যপালের সফরকে স্বাগত জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সাংবাদিকদের বলেছেন যে, "হিংসায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।রাজ্য মহিলা কমিশনও এলাকা পরিদর্শন করেছে এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে”।
Amit Shah : ফের বঙ্গে আসবেন অমিত শাহ, যাবেন মায়াপুরে
লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের বঙ্গে পা রাখতে চলেছেন শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সূত্রের খবর, ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় পৌঁছনোর কথা তাঁর। পরদিনই তিনি যাবেন মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে।
সূত্রে খবর, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতের দিকে কলকাতায় পৌঁছবেন অমিত শাহ। সেদিন রাতে কলকাতায় থাকবেন তিনি। তার পরের দিন যাবেন মায়াপুরে। সেখানে মন্দির দর্শন করবেন। এরপর রানাঘাট-সহ বেশ কয়েকটি লোকসভার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর কলকাতায় ফিরে দলীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন তিনি। অবশ্য কলকাতায় তিনি কোনও সমাবেশ করবেন না। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্যই সমাবেশ করবেন না বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসূচি নিয়ে কিছুই নিশ্চিত করেননি। তিনি জানান, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসূচি নিয়ে এখনই কিছু জানা সম্ভব নয়। তবে ফেব্রুয়ারির শেষে তিনি বাংলায় থাকবেন বলেই কথা দিয়েছেন।”
এদিকে সম্প্রতি CAA নিয়ে আশ্বাস দেন শাহ। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA লাগু হবে বলেই বড়সড় দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্প্রতি সিএএ প্রসঙ্গে শাহ বলেন, "২০১৯ সালে এই আইন তৈরি হয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগেই এই আইন কার্যকর করা হবে। শীঘ্রই এই সংক্রান্ত নিয়ম জারি করা হবে।"
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সিএএ পাশ করিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ (Bangladesh), পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। সংসদের দু’কক্ষে পাশের পরে রাষ্ট্রপতিও অনুমোদন দিয়েছিলেন সিএএ বিলে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এ সংক্রান্ত আইনের ধারা তৈরি হয়নি। সিএএ প্রসঙ্গে শাহ বলেন, "দেশের মুসলিম ভাইদের সিএএ নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে এবং উসকানো হচ্ছে। যাঁরা পাকিস্তান (Pakistan), আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের নিপীড়নের শিকার হওয়ার পর ভারতে এসেছিলেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। কারও ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য এই আইন আনা হয়নি।"
এদিকে গত মাসেও কলকাতায় আসার কথা ছিল অমিত শাহের। বিহারের রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা মাথায় রেখেই সফর বাতিল করেন তিনি। তবে বড় কোনও ঘটনা না ঘটলে চলতি মাসের শেষে তিনি বঙ্গ সফরে আসবেন তা এক প্রকার নিশ্চিত বলেই গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে।
Locket Chatterjee : "টাকা দিয়ে মহিলাদের শাহজাহানদের ঘরে পাঠানো মানবে না বাংলা", বললেন লকেট
সামনেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। এই সময় জমি শক্ত করতে মরিয়া সব রাজনৈতিক দলই। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে সবদলেরই প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। যদিও নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। তার আগেই মাঠে নামলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে শুরু করলেন প্রচার। সোমবার ব্যান্ডেল কেওটা এলাকায় দলীয় প্রতীক এঁকে দেয়াল লিখন শুরু করেন সাংসদ নিজেই।
প্রচার প্রসঙ্গে লকেট বলেন, “দেশজুড়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপির প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা থেকে রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার সবাই দেয়াল লিখন শুরু করেছেন অনেক আগেই। পাশাপাশি অনেক বিজেপি কর্মীরা নিজেদের মতো করে অঞ্চলে অঞ্চলে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় সাংসদ, কাউন্সিলর সবাই দেওয়াল লিখন শুরু করেছেন।” তাঁদের দেওয়াল লিখনের মূল বার্তা হল, “ফের একবার মোদী সরকার”। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস তৃতীয় বারের জন্য ৪০০ বেশি আসন পেয়ে ফের দিল্লির কুর্সি দখল করবেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলা থেকে বিজেপিকে যে ৩৫ টি আসন তুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেই লক্ষ্য পূরণের দিকেই বঙ্গ বিজেপি এগোচ্ছে বলেও জানিয়েছেন লকেট।
এদিকে আগুন জ্বলছে সন্দেশখালিতে। কিন্তু, তা নিয়ে কার্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি লকেট। তিনি বলেন, “মানুষের সেবা করতে এলে অনেক ত্যাগ করতে হয়, দলের ক্যাপ্টেন যেখানে ঠিক নয়, বাকিদের থেকে কি বা আশা করা যায়।” অন্যদিকে রাজ্যপালের সন্দেশখালি সফর নিয়ে বলেন, “তাঁর যাওয়াই উচিত। সন্দেশখালি ছোট পাকিস্তান বা ইরানে পরিণত হয়েছে। দিনের পর দিন যে অমানবিক অত্যাচার চলছে তা অসহনীয়। বিশেষত মহিলারা যে রাতের পর রাত অসম্মানের স্বীকার হয়েছেন তা ভাবনার বাইরে। যাতে আরও ১০টা সন্দেশখালি তৈরি না হয় তার জন্য মহিলাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।” সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "তিনি যদি ভাবেন ৫০০, ১০০০ দিয়ে মহিলাদের শেখ শাহজাহানদের মতো নেতাদের ঘরে পাঠিয়ে দেবেন, সেটা মেনে নেবে না বাংলা।”
গত কয়েক দিন ধরেই জ্বলছে সন্দেশখালি। উত্তেজনা থাকায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। যদিও সেই ধারা তুলে দেওয়ার দাবিতে সরব বিজেপি। মঙ্গলবার সেখানে এসপি অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে ঘেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতির মধ্যে আজ সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তাঁকে বাসন্দী হাইওয়েতে আটকে দেয় পুলিশ। এ প্রসঙ্গে লকেট বলেন, “তৃণমূল চায় না কোনও বিরোধী দল ওখানে যাক, গেলে আসল খবর বেরিয়ে আসবে তাই পুলিশ দিয়ে আটকে দিয়েছে।”
CM Nitish Kumar : মোদী শরণে আসার পর আস্থা ভোটে জয়ী নীতীশ কুমার
বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১২৯ জন বিধায়ক। বিরোধীদের ওয়াকআউটের মাঝেই আজ বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছে নীতীশ কুমার। সকাল থেকেই চর্চায় ছিল বিহারের রাজনীতি (Bihar Politics)। গোটা দেশের নজর ছিল বিহারের দিকে। জোট সরকার ভেঙে নতুন করে সরকার গড়ার পর নীতীশ কুমার কি সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে সফল হবেন? এই প্রশ্নই উঠছিল জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। যদিও শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নীতীশ কুমার। আর ভোট শেষে জয়ের হাসি হাসেন তিনিই।
নীতীশ সরকাররের কাছে আজ বিধানসভায় (Bihar Assembly) সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছিল। সকাল থেকেই পাটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছিল চরমে। বিহার বিধানসভায় মোট ২৪৩ টি আসন রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে প্রয়োজন ছিল ১২২টি ভোট। সেখানে এনডিএ জোট পেয়েছে ১২৯টি ভোট।
বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোট চলাকালীন নীতীশ কুমার বলেন, "RJD প্রধান লালু প্রসাদ এবং রাবড়ি দেবী রাজ্যের জন্য ১৫ বছর কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁরা ১৫ বছর ধরে যা করেননি, আমি তা করে দেখিয়েছি। আমি সমাজের প্রতিটি স্তরের জন্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। বিহারে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। মহিলারা গভীর রাত পর্যন্ত আজ বাইরে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াতে পারেন। তাঁরা এখন আমার কাজের ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছে।” এর আগে বিধানসভায় নীতীশকে আক্রমণ করে তেজস্বী যাদব বলেন, “বিহারের মানুষ জানতে চায় আপনি বার বার দল বদল করছেন কেন?” এদিকে বিহার বিধানসভার স্পিকার এবং আরজেডি নেতা আওধ বিহারী চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে। ১২৫ জন সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১১২ জন। এর ফলে বিহার বিধানসভায় আরজেডির মুখ পুড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিকে আস্থা ভোটের শুরুতেই নীতীশকে খোঁচা দিয়ে তেজস্বী বলেন, “প্রথমত, আমি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে চাই। একটানা নবমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে তিনি ইতিহাস রচনা করেছেন। এক মেয়াদে তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার এমন অপূর্ব দৃশ্য আমরা দেখিনি।” উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই ভাঙন ধরছে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটে। প্রশ্ন উঠছে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন নীতীশ। জোটের বৈঠকের আয়োজন করা থেকে শুরু করে, বিভিন্ন দলের নেতৃদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সবই করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, লাভের লাভ কিছুই হয়নি।
যদিও নীতীশের দাবি ছিল, ইন্ডিয়া জোটের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। মতানৈক্যের অভাব রয়েছে দলের মধ্যে। বার বার বলেও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে ইন্ডিয়া জোট ছাড়েন তিনি। তারপর আবারও এনডিএ-র হাত ধরেন। এরপর এনডিএ-র সঙ্গে জোট বেঁধে নতুন সরকারও গড়েন তিনি। দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। এনডিএ-র হাত আর কখনও ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর আজ বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে শেষ হাসি হাসলেন নীতীশ।
Sandeshkhali : "আমাদের বাঁচান...", অশান্ত সন্দেশখালিতে রাজ্যপালের কাছে কাতর আর্জি মহিলাদের
সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। বিগত কদিন ধরেই তৃণমূলনেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও। এদিকে ১৪৪ ধারা জারি থাকায়ে সন্দেশখালিতে বিরোধীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। তাই সেখানে ১৪৪ ধারা তোলার দাবিতে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ধারা তোলা না হলে, সেই ধারা ভেঙে সেখানে প্রবেশ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এদিকে মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। বামেরাও সোমবার সন্দেশখালিতে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে।
এর মাঝেই সোমবার সকালে সন্দেশখালি পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেরালা সফর কাটছাঁট করে সন্দেশখালিতে যান তিনি। কিন্তু, সকাল ১১টা নাগাদ মালঞ্চের কাছে পৌঁছতেই রাজ্যপালের কনভয় আটকে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তারা। রাস্তার দু’পাশে প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার হাতে নিয়ে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবি তুলতে দেখা যায় তাদের। বিক্ষোভের জেরে মিনাখাঁ বিডি অফিসের সামনে প্রায় চার মিনিটের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল রাজ্যপালের কনভয়। তারপর পুলিশের হস্তক্ষেপে সেখান থেকে আবার সন্দেশখালিতে রওনা দেন তিনি। রাজভবনসূত্রে খবর, এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথাও বলেছেন সি ভি আনন্দ বোস।
রাজ্যপাল সন্দেশখালি পৌঁছলে তাঁকে উলুধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানান স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন সিভি আনন্দ বোস। রাখিও পরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যপালের হাতে। তারপরই দীর্ঘদিন ধরে চলা, শাহজাহান শেখ সহ উত্তম সদ্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরার অত্যাচারের বর্ণনা তুলে ধরা হয় রাজ্যপালের সামনে, লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে উত্তম তবে এখনও অধরা শিবু আর তা নিয়েই খবর আগুনে ফুটছে সন্দেশখালির বাসিন্দারা। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও রাত হলেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ও প্রশাসনের একাংশ মিলে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকি দিচ্ছে বলেও মহিলারা অভিযোগ করেন রাজ্যপালের কাছে। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ শুনে গ্রামবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। মহিলাদের কাতর আরতি "আমাদের বাঁচান"। রাজ্যপাল জানান, “যা করার করব”।
এদিকে সন্দেশখালি নিয়ে ফের সরগরম বিধানসভা। “সঙ্গে আছি সন্দেশখালি” লেখা জামা গায়ে দিয়ে অধিবেশনে ঢোকেন বিজেপি বিধায়করা। তাতে আপত্তি জানিয়েছেন স্পিকার। এমন ঘটনায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। হুইসেল বাজান তাঁরা। শেষে ওয়াকআউট করেন। এরপর মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বিজেপি পরিষদীয় দলকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। পরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব সংশোধন করে ৬ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। ওই ছয়জনের মধ্যে রয়েছেন বঙ্কিম ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, শুভেন্দু অধিকারী, তাপসী মণ্ডল, মিহির গোস্বামী ও শংকর ঘোষ। তৃণমূল পরিষদীয় দলের দাবি, “শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি পরিষদীয় দল অভব্য আচরণ করেছে। অধিবেশনের কাগজপত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। হুইসল বাজানো হচ্ছিল। এমন আচরণ দেখেই বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
শুভেন্দুর দাবি, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসেন না। বিধানসভায় সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেননি। আমরা প্রশ্ন তোলায় সাসপেন্ড করা হয়েছে। সন্দেশখালির মা বোনেদের সম্মান বাঁচাতে যদি এভাবে সাসপেন্ড করা হয় তাহলে ভয় করব না লড়াই করে যাব”। জানা যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাসন্তী হাইওয়েতে ওঠার আগেই আটকে দিয়েছে পুলিশ।
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আজ সকালে রাজ্যের মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছি,তাঁরা রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”
Sandeshkhali Incident : "বউদের তুলে নিয়ে যাওয়া হত পার্টি অফিসে", ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সন্দেশখালির মহিলাদের
বেশ কয়েকদিন ধরেই অশান্তির আগুনে পুড়ছে সন্দেশখালি। বিক্ষোভ, অবরোধ, ভাঙচুর কোনও কিছুই বাদ যায়নি। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেখানে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। মূলত, তৃণমূলের অত্যাচারে জেরবার স্থানীয় বাসিন্দারা। দিনের পর দিন ধরে এলাকায় অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের ভয়ে তঠস্থ হয়ে ছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কিন্তু, এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এসে প্রতিবাদ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিগত কয়েক বছর ধরেই দলের নাম ভাঙিয়ে অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল নেতা শাহজাহান ও তাঁর দলবল। এলাকায় অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। কথা না শুনলেই স্থানীয়দের প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হত। শুধু তাই নয় তাঁদের সামনে নিরাপদ ছিলেন না মহিলারাও। অভিযোগ, কোন বাড়ির বউকে কেমন দেখতে, তাঁদের বয়স কত তা আগে দলের তরফে এসে দেখে যাওয়া হত। এরপরই স্বামীর কাছে যেত হুমকি। বলা হত, রাতে যেন বউকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একরাত বা দু-রাতের ঘটনা নয়, রাতের পর রাত তুলে নিয়ে চলত অত্যাচার। জোর করে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া হত। তারপর সকালে আবার বাড়িতে ফেরত পাঠানো হত বলে অভিযোগ। গ্রামের এক মহিলা বলেন, "ভোটের সময় অত্যাচারের মাত্রা দ্বিগুণ হত। জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হত মিটিং, মিছিলে। সেখানেই চাপ দেওয়া হত শাসকদল কে ভোট দিতে। ভোট না দিলে মিলত প্রাণনাশের হুমকি।" তাঁদের আরও অভিযোগ, ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা কোনও কিছুই তাঁরা পাননি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত থেকে সন্দেশখালির ১৬ টি পঞ্চায়েত জুড়ে প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। এর মাঝেই পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামের ১৭১ জনকে বিনাদোষে গ্রেফতার করার অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। গ্রেফতার হওয়া এক ব্যক্তির দিদি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, "শাহজাহান গ্রামেই আছেন। পুলিশের সঙ্গে মিটিং করছেন। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এই অত্যাচার দেখে তাঁর লজ্জা পাওয়া উচিত। পুলিশ প্রশাসন তাঁদের উর্দিকে কলঙ্কিত করছে।" গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের অনেক জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করে ফেলেছেন শাহজাহান। এমনকী, বাচ্চদের স্কুলের খেলার মাঠও জবরদখল হয়ে গিয়েছে। কোনও কিছুই ছাড়েনি তৃণমূল।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শনিবার বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস ঘোষ ও বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে যান। তবে ধামাখালি রোডে পুলিশ আটকে দেয় তাঁদের। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করেন বিজেপি বিধায়করা। অবিলম্বে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার দাবিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। সেখানে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর আর্জি জানানো হয়।
Sandeshkhali Incident : অশান্তি অব্যাহত সন্দেশখালিতে, অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি ১৪৪ ধারা
দিনটি ছিল ৫ জানুয়ারি, রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাতে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষার পর তালা ভাঙতে যায় ইডি আধিকারিরা। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। শাহজাহানের অনুগামীরা চরাও হয় তাঁদের ওপর। দুষ্কৃতীদের হাতে ইডি আধিকারিক সহ সাংবাদিকরা মার খান, ভেঙ্গে দেওয়া হয় একাধিক গাড়ি । সেই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহান বেপাত্তা। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, শাহজাহান এলাকাতেই আছেন।পুলিশ জানে তাঁরা কোথায় লুকিয়ে আছে। গ্রেফতার না করে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে গোপন ডেরায় বসে মিটিং করছে।
বেশকদিন ধরেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গ্রামবাসিন্দারা । শুক্রবার সকালেও রাস্তায় নামেন তাঁরা। তবে গতকাল মূলত গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা, লাঠি হাতে নিয়ে সন্দেশখালির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, সেই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পরে স্থানীয় থানায়। শাহজাহান শেখ (Sheikh Shahjahan), শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারের গ্রেফতারির দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল নেতার পোলট্রি ফার্ম জ্বালিয়ে দেয় গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ দলের নাম ভাঙিয়ে অত্যাচার চালায় শাহজাহান আর তাঁর দলবল। জোর করে তাঁদের জমি দখল করা থেকে শুরু করে কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়ার মতন নানান অভিযোগ উঠে আসে মহিলাদের গলায়। পুলিসের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ গ্রামের ১৭১ জনকে বিনা দোষে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এরপরই তাঁরা জানান “ আমাদের দেওয়ালে পিঠ থেকে ”।
এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। মোট ১৬ টি পঞ্চায়েত জুড়ে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।এরসাথে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকালরাতে নবান্ন থেকে জানান হয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ডে দোষীদের কঠিন শাস্তি দেবে সরকার। তারপরই বিশাল পুলিশবাহিনী সঙ্গে নিয়ে ডিজি এসসিআরবি সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, আইজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এস আর ঝাঁঝারিয়া, ডিআইজি বারাসত সুমিত কুমার, এসপি বসিরহাট ঘটনাস্থলে যায়।
গতকাল রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, পুরো পরিস্থিতি আপাতত পুলিশের আওতায় আছে, তদন্ত চলছে, দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাহজাহানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন “এটি তদন্তের বিষয়,তদন্তে যা উঠে আসবে সেই মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”।গতকালের ঘটনাতে আপাতত আটজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজভবনের সামনে মিছিল করে বিজেপি বিধায়করা। অবিলম্বে ১৪৪ ধারা তুলে নিয়ে সন্দেশখালিতে শান্তি ফেরানোর দাবিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারলে ১৪৪ ধারা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আজ বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস ঘোষ ও বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দেয় ধামাখালি রোডে।
Bharat Ratna 2024 : ভারতরত্ন পাচ্ছেন নরসিমা রাও-চৌধুরী চরণ সিং, ঘোষণা মোদীর
ভারতরত্ন পাচ্ছেন দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও এবং চৌধুরী চরণ সিং। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একথা ঘোষণা করেন। যদিও এতদিন বছরে সর্বাধিক তিনজনকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া যেত। কিন্তু, চলতি বছর সেই নিয়মে বদল আনা হয়েছে। এবার একসঙ্গে পাঁচজনকে ভারতরত্ন দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরি ঠাকুর।
পিভি নরসিমা রাও
১৯৯১ সালের ২১ জুন থেকে ১৯৯৬ সালের ১৬ মে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নরসিমা রাও। তাঁর জন্ম ১৯২১ সালে অন্ধ্র প্রদেশের করিমনগরে। হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয় এবং নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তিনি। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। এছাড়া ১৯৮০ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৪ সালের ১৮ জুলাই পর্যন্ত বিদেশমন্ত্রী, ১৯৮৪ সালের জুলাই মাস থেকে ১৯৮৪-র ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
চৌধুরী চরণ সিং
১৯০২ সালে উত্তর প্রদেশের মিরাটে জন্ম চৌধুরী চরণ সিংয়ের। এরপর ১৯৭৯ সালের ২৮ জুলাই থেকে ১৯৮০-র ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৩৭ সালে ছাপরাউলি থেকে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় প্রথমবার নির্বাচিত হন। তারপর থেকে ১৯৪৬, ১৯৫২, ১৯৬২ এবং ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এই আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। দু'বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন চরণ সিং। প্রথমে ১৯৬৭ সালে এবং তারপর ১৯৭০ সালে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এমএস স্বামীনাথন
১৯২৫ সালে জন্ম কএমএস স্বামীনাথনের। ভারতে সবুজ বিপ্লবের জনক হিসেবে পরিচিত তিনি। তিরুবনন্তপুরমের মহারাজা কলেজ থেকে প্রাণীবিদ্যায় এবং কোয়েম্বাটোর কৃষি কলেজ থেকে কৃষি বিজ্ঞানে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (IARI) থেকে কৃষি বিজ্ঞানে (জেনেটিক্স এবং উদ্ভিদ প্রজননে বিশেষজ্ঞ) স্নাতকত্তর ডিগ্রি এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন তিনি।
এল কে আডবাণী
১৯৮৬ থেকে ১৯৯০, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ এবং ২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিজেপির জাতীয় সভাপতি ছিলেন এলকে আডবাণী। প্রায় তিন দশক ধরে সাংসদ ছিলেন তিনি। আডবাণী প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
কার্পুরি ঠাকুর
১৯২৪ সালে বিহারের সমস্তিপুর জেলায় জন্ম কার্পুরি ঠাকুরের। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দু'বার দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। প্রথমে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের জুন ও ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব সহ রাজ্যের বর্তমান প্রজন্মের অনেক নেতার পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানান কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, "আমি সকলকে স্বাগত জানাই।" এদিন প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "রাও-এর দূরদর্শীতা ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে সাহায্য করেছিল। দেশের প্রতি অবদানের জন্য চরণ সিংকে ভারতরত্ন উৎসর্গ করা হল। স্বামীনাথন কৃষি এবং কৃষকদের কল্যাণে দেশে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তিনি ভারতকে কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।"
Omar Abdullah On Modi : "ইন্ডিয়া নয় মোদীর জেতার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি", জল্পনা বাড়িয়ে মন্তব্য ওমর আবদুল্লার
লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন প্রকাশ্যে আসছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের (India Alliance) ফাটল। সম্প্রতি শিবির বদলে জোটে বড় ধাক্কা দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। ইন্ডিয়া জোটের হাত ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন এনডিএ-তে। আর এবার এনডিএ-র স্তুতি শোনা গেল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah) মুখে। তাঁর মতে, লোকসভা নির্বাচনে ৪০০-র বেশি আসনে বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-র পক্ষে জেতা অসম্ভব কিছু নয়।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা আবদুল্লা বলেন, "তৃতীয় দফায় নরেন্দ্র মোদীর জেতার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এনডিএ লোকসভা ভোটে ৪০০-র বেশি আসনে জিততেই পারে। কারণ, বিরোধী দলগুলি নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি করতেই ব্যস্ত।"
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত না হলেও, তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাদ যায়নি বিজেপিও। এবারে লোকসভা ভোটে ‘মিশন ৪০০’ লক্ষ্য নিয়ে লড়তে নেমেছে ঘেরুয়া শিবির। তাদের স্লোগান, ‘অব কি বার, ৪০০ পার’। প্রধানমন্ত্রী মোদী সংসদে দাবি করেছেন লোকসভার ৫৪৩ আসনের ভোটে বিজেপি একাই ৩৭০টি আসনে জিতবে। তাঁর দাবি, এনডিএ শরিকদের নিয়ে সেই সংখ্যা ৪০০ পেরোবে। আর সেই একই সুর শোনা গিয়েছে ওমর আবদুল্লার গলাতেও।
কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্সের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি-ও রয়েছে ‘ইন্ডিয়া’য়। কাশ্মীর উপত্যকার তিনটি লোকসভা আসন ঘিরে ইতিমধ্যেই দু’দলের টানাপড়েন শুরু হয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সহযোগী হিসাবে লড়ে ওই তিনটি আসনেই জিতেছিল ওমর। কিন্তু এ বার মেহবুবা কোনও অবস্থাতেই তাঁর প্রাক্তন লোকসভা কেন্দ্র অনন্তনাগের দাবি ছাড়তে রাজি নয় বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল কনফারেন্স আবারও এনডিএ-র হাত ধরতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিকে ক্রমশ বাড়ছে ইন্ডিয়া জোটের ফাটল। কংগ্রেসের সঙ্গে কখনও তৃণমূল, কখনও আপ আবার কখনও সমাজবাদী পার্টির সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। আসন বণ্টন নিয়ে প্রকাশ্যেই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। তারপরই কংগ্রেসের সঙ্গে না লড়ে 'একলা চলো'-র নীতি নেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, কাশ্মীরেও অব্যাহত রয়েছে জোটের জট। জোট শরিকদের সঙ্গে না লড়ে একাই উপত্যকার নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কংগ্রেস। আর যদি সত্যিই তাই হয় তাহলে নির্বাচনের আগেই জোট 'ধূলিস্যাৎ' হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Arabul Islam Arrest : পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি-সহ খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার আরাবুল ইসলাম
গ্রেফতার ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। পঞ্চায়েত ভোটের সময় অশান্তি, মনোনয়নে বাধা দেওয়া, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের কাশীপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে সম্প্রতি এই থানা কলকাতা পুলিশের আওতায় এসেছে। আর বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। গোটা রাত লালবাজারেই কাটান তিনি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু আরাবুলের নেতার গ্রেফতারি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ঘটনা, তাই তাঁকে স্থানীয় থানায় না নিয়ে গিয়ে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবারই তাঁকে বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেরের আদালতে পেশ করা হবে।
আরাবুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আইএসএফকে মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আরাবুলের বিরুদ্ধে। এক আইএসএফ কর্মী খুন হন। এরপরই বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি স্থানীয় থানায় আরাবুলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া বিজয়গঞ্জ বাজারে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। সেই ঘটনারও তদন্ত শুরু হয়। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অশান্তি, অস্ত্র রাখা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল।
আরাবুলের ছেলে বলেন, "থানায় বাবাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ১৩ তারিখের মিটিং নিয়ে আলোচনার জন্যই ডাকা হয়েছিল। আলোচনা চলছিল। হঠাৎ করেই একজন এসে বললেন আপনাকে আমার সঙ্গে লালবাজারে যেতে হবে। এটা বলেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর জানা যায় বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।" এমনকী, নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। বলেন, "যেভাবে আইএসএফ-রা দোষ করল। নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাতটা খুন হল। আর যেই অভিযোগে বাবাকে গ্রেফতার করা হল সেদিন কিন্তু, বাবা পঞ্চায়েত সমিতির ঘরের ভিতরেই ছিল। সিসিটিভি দেখলে সেটা ভালো করেই জানা যাবে। যেভাবে বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অনৈতিক। তাই আমাদের দাবি অবিলম্বে নওশাদকে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আগামীদিনে তৃণমূল ভাঙড়ে বৃহত্তর আন্দোলন করবে।"
আরাবুলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আরাবুলকে পুলিশ ধরেছে! লালবাজারে নিয়ে গিয়েছে বিরিয়ানি খাওয়াতে। পরে ঠিক ছেড়ে দেবে।" শাহজাহানের থেকে নজর ঘোরাতেই আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, "এদের ঝগড়া নতুন নয়। যার রাজনৈতিক শক্তি বেশি থাকে সে অন্যকে দমিয়ে রাখে পুলিশ দিয়ে। এদের এই অত্যাচার লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। এর কোনও সমাধান নেই। কারণ এর পিছনে বড় নেতাদের হাত রয়েছে। আমার যেটা মনে হয়েছে শাহজাহান শেখের যে কেস তার থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে ওটাকে হালকা করার জন্য এটা করা হয়েছে। কারণ ওখানে সরকারই তাঁকে নিরাপত্তা দিচ্ছে।"
Narendra Modi vs Mamata Banerjee : কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে মমতার চ্যালেঞ্জকে হাতিয়ার’ মোদীর
ফাটলটা প্রকাশ্যে এসেছিল অনেক আগেই। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক যে খুব একটা মধুর নয়, তা প্রায় সবারই জানা। জোট করলেও কংগ্রেসের কথা শুনে যে চলতে পারবেন না তাও আগে থেকেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সবই ঠিকঠাক চলছিল। ইন্ডিয়া জোটের সনিয়ার ও রাহুলের পাশে দেখা গিয়েছিল মমতাকে। কিন্তু, ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন কংগ্রেসের সঙ্গে ফাটল আরও বাড়ছে। আসন বণ্টন নিয়ে কংগ্রেসকে প্রকাশ্যেই আক্রমণ করেছেন মমতা। লোকসভায় কংগ্রেস ৪০টা আসনও পাবে না বলে দাবি করেছেন তিনি।
Amit Shah Bengal Tour : ফেব্রুয়ারিতেই বঙ্গে আসছেন শাহ! সঙ্গে থাকতে পারেন নাড্ডা
লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বাংলায় আনাগোনাও ততই বাড়ছে। সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকেই রাজ্যে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তবে তার দিনক্ষণ এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে হতে চলা দু'দিনের রাষ্ট্রীয় অধিবেশনের পরেই জানা যাবে কবে রাজ্যে আসবেন শাহ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যে আসতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও (JP Nadda)।
সূত্রের খবর, এবারের রাজ্য সফরে তাঁরা কোনও রকম সমাবেশ করবেন না। কারণ, মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) চলছে রাজ্যে। এরপরই শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে মাসের শেষ পর্যন্ত। তাই পরীক্ষা না শেষ হওয়া পর্যন্ত মাইক লাগিয়ে সমাবেশ করা যাবে না। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ফেব্রুয়ারি সফরে মূলত সাংগঠনিক বৈঠক হবে। সেই সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেন তাঁরা। বৈঠকের পাশাপাশি হবে কর্মীসভাও। তবে সবটাই হবে কোনও হলে বা প্রেক্ষাগৃহে।
প্রসঙ্গত, ২৯ নভেম্বর কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই দিন ধর্মতলায় সভা করে যাওয়ার পরে ডিসেম্বরের শেষে আবার দুদিনের সফরে ২৫ তারিখ বঙ্গে এসেছিলেন তিনি। সঙ্গী ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সাংগঠনিক বৈঠক ছিল সে বার। জানুয়ারির শেষ রবিবারও তাঁর আসার কথা ছিল রাজ্যে।
জানা গেছে সাংগঠনিক বৈঠকের পাশাপাশি, পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির কর্মী সমাবেশও ছিল সেবার। তবে চূড়ান্ত প্রস্তুতির মধ্যেই জানা যায়, শাহ আসছেন না। প্রসঙ্গত, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য বিজেপিকে বাংলা থেকে অন্তত ৩৫টি লোকসভা আসন জেতার টার্গেট দিয়েছে। এমন অবস্থায়, প্রচার থেকে শুরু করে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে সেই কারণে অমিত শাহের বারংবার আগমণ হচ্ছে বঙ্গে,এমনটাই মনে করছে আম জনতা।
Modi vs Congress : ৪০ আসনও পাবে না! কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে মমতার চ্যালেঞ্জকে ‘হাতিয়ার’ মোদীর
ফাটলটা প্রকাশ্যে এসেছিল অনেক আগেই। কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) সম্পর্ক যে খুব একটা মধুর নয়, তা প্রায় সবারই জানা। জোট করলেও কংগ্রেসের কথা শুনে যে চলতে পারবেন না তাও আগে থেকেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর সবই ঠিকঠাক চলছিল। ইন্ডিয়া জোটের সনিয়ার ও রাহুলের পাশে দেখা গিয়েছিল মমতাকে। কিন্তু, ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন কংগ্রেসের সঙ্গে ফাটল আরও বাড়ছে। আসন বণ্টন নিয়ে কংগ্রেসকে প্রকাশ্যেই আক্রমণ করেছেন মমতা। লোকসভায় কংগ্রেস ৪০টা আসনও পাবে না বলে দাবি করেছেন তিনি। রেড রোডের কেন্দ্র-বিরোধী ধর্নামঞ্চ থেকে কংগ্রসকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, "কংগ্রেস সারা দেশে ৪০টা আসন পাবে কি না জানি না! আগে নিজের জায়গা দেখাও! পারলে বারাণসীতে গিয়ে বিজেপিকে হারাও। রাজস্থান তোমরা জেতা জায়গা হেরেছ। মধ্যপ্রদেশে গিয়ে বিজেপিকে হারাও।"
মমতার মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই বুধবার কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ থেকে চ্যালেঞ্জ এসেছে, কংগ্রেস ৪০ পার করতে পারবে না। আমি চাই কংগ্রেস ৪০ আসন রক্ষা করুক।"
এভাবে বিজেপিকে মমতা সুবিধা করে দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের একাংশের। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বিজেপি বিরোধী শিবিরে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি জানিয়ে চলেছে তৃণমূল। এমনকী, কংগ্রেস নিজেদের সুর নরম করতে চাইলেও তাতে যেন কানই দিচ্ছেন না মমতা। গত কয়েকদিন আগে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা রাজ্যে ঢোকার পর থেকে চলছে লাগাতার প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক আক্রমণ। বারেরবারেই কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম)’কে নিশানা করছেন মমতা।
তার মধ্যে শিবির বদলে ইন্ডিয়া জোটে বড় ধাক্কা দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিরোধী জোট ছেড়ে আবারও এনডিএ জোটে ফিরে গিয়েছেন তিনি। আর কখনও জোট পরিবর্তন করবেন না বলেও মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে জানিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আবার গ্রেফতারির আশঙ্কায় ভুগছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। পাঁচবার ইডির সমন এড়িয়ে রীতিমতো চাপে রয়েছেন তিনি। এবার তাঁকে সমন পাঠিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতিতে ভারে জর্জরিত তৃণমূল ও আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়া জোট কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের দাবি, টালমাটাল পরিস্থিতি ইন্ডিয়া জোটের। ফলে জোটের পালে হাওয়া লাগিয়ে বিরোধীদের পক্ষে লোকসভার বৈতরণী পার করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।
Arvind Kejriwal : আরও বিপদে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী! কেজরিওয়ালের সচিবের বাড়িতে ইডির তল্লাশি
মঙ্গলবার সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব ও আম আদমি পার্টির কয়েকজন মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তাঁদের বিরুদ্ধে জল বোর্ডের টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন সকালে দিল্লি, চণ্ডীগড় ও বারাণসী সহ মোট বারোটি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। বৈভব কুমার (যিনি কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব তথা রাজ্যসভার সাংসদ), রাজ্যসভার সাংসদ এন ডি গুপ্তা এবং দিল্লির জল বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য সলভ কুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিররা। যদিও ইডির অভিযানকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ মন্ত্রী অতিশী। তিনি বলে, "আমরা একটুই ভীত নই, কোনও প্রমাণ নেই, ইডি অভিযুক্তদের রাজসাক্ষী করার চেষ্টা করছে।"
জলবোর্ডের যে দুর্নীতি হয়েছে তাকে কেন্দ্র করেই আজকের তল্লাশি। সিবিআইয়ের দায়ের করা মূলত দুটি আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত করছে ইডি। এখন পর্যন্ত জলবোর্ডের প্রাক্তন দুই প্রধান ইঞ্জিনিয়ার গ্রেফতার হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জগদীশ কুমার অরোরা ও কন্ট্রাক্টর অনীল কুমার আগরওয়ালকে গত সপ্তাহেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, কেজরিওয়ালকে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় পাঁচবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু, একবারও হাজিরা দেননি তিনি। ইডির সমন বৈধ নয় বলে যুক্তি দেখিয়ে তা এড়িয়ে গিয়েছেন। এই মামলায় কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে চায় ইডি।
এদিকে কেজরিওয়াল না যাওয়ায় এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শনিবার মামলার কিছুটা অংশের শুনানি হলেও বাকিটা ৭ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত শুক্রবার কেজরিওয়াল সহ আপ মন্ত্রীরা ও দলীয় কর্মীরা মিলে বিজেপির সদর দফতর ডিডিইউ মার্গের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। আপের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী কোনওমতেই ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না। তাঁকে বেআইনিভাবে তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের দাবি কেজরিয়ালকে গ্রেফতার করে বিজেপি তাদের সরকার ফেলে দিতে চাইছে।
যদিও আপের সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি কটাক্ষ করে বলেন, “কেজরিওয়াল ইডির ডাকে সাড়া না দিয়ে বিজেপির সদর দফতরের সামনে নাটক করছেন। কারণ তিনি জানেন আবগারি নীতিতে দুর্নীতি হয়েছে।” বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারির প্রশ্ন, "তিনি কি বাচ্চাদের আইন ভাঙার বার্তা দিচ্ছেন? এর জন্যই কি তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন?"
উল্লেখ্য, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি ডিসেম্বরের ২ তারিখ ৬ নম্বর চার্জশিট পেশ করে। তাতে আপ নেতা সঞ্জয় সিং ও তাঁর সহকারি সারভেশ মিশ্রর নাম ছিল। অভিযোগ, এই নীতির মাধ্যমে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার মাধ্যমে বেআইনিভাবে প্রাপ্ত ৪৫ কোটি টাকা ২০২২ সালে গোয়ায় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়। এই মামলায় গত বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি আপ নেতা মণীশ সিশোদিয়া সিবিআই এর হাতে এবং ৫ অক্টোবর ইডির হাতে গ্রেফতার হন সঞ্জয় সিং।
Suvendu Slams Mamata : "চোর মমতাকে টাইট দিতে দিল্লি গিয়েছিলাম", কলকাতায় ফিরে কটাক্ষ শুভেন্দুর
সোমবার রাতে দিল্লি সফর শেষ করে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার রাতের দিকেই কলকাতায় পা রাখেন তিনি। আর বিমানবন্দরে পা রাখার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। দিল্লি সফর নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "চোর মমতাকে টাইট দিতে গিয়েছিলাম, টাইট দিয়ে এসেছি।"
রবিবার হঠাৎই দিল্লি উড়ে যান শুভেন্দু। সেখানে দেখা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitaraman) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে। সূত্রের খবর, রাজ্যে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করে দুর্নীতির তদন্ত চেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি যে ক্যাগ (CAG) রিপোর্ট সামনে এসেছে সেখানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় অনুদানের টাকা নিয়ে গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা অবশ্য খোলসা করতে চাননি শুভেন্দু। শুধু বলেন, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হল তা আমি এখানে বলব না। যা হবে দেখতেই পাবেন, চোর মমতাকে টাইট দিতে গিয়েছিলাম টাইট দিয়ে এসেছি।”
প্রসঙ্গত, আজ মুখ্যমন্ত্রীরও দিল্লিতে (Mamata Banerjee In Delhi) যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তা হঠাৎ বাতিল করেন তিনি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ডাকা এক দেশ এক ভোট নিয়ে যে বৈঠক আছে সেখানেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল মমতার। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "উনি কোথায় যাবেন, না যাবেন, কেন যাবেন সেটা আমি বলব কেন। ওঁকে নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তিত নই।” মমতার ধর্নায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, "অভিষেক কোথায় গিয়েছে সেটা পিসিকে গিয়ে জিজ্ঞেসা করুন। ওটা কোনও দলই নয়। কোম্পানি। দু'জনে মিলে চালায় পিসি ও ভাইপো।"
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলের দিকেই মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, আচমকাই তা বাতিল করে দেওয়া হয়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য বাজেটকে সামনে রেখে প্রচুর কাজ রয়েছে। ৮ তারিখ বাজেট। মাঝে সময় একেবারেই নেই। সে কারণেই তিনি দিল্লিতে যাচ্ছেন না। যদিও মমতার দিল্লি সফর বাতিলের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Champai Soren : ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোটে জয় চম্পাই সোরেনের
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোটে (Jharkhand Assembly) জয়ী চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিলেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পক্ষে মোট ভোট পড়েছে ৪৭টি। আর বিপক্ষে পড়েছে ২৯টি ভোট। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ৮১। তার মধ্যে ম্যাজিক ফিগার হল ৪১। অর্থাৎ, ৪১টি ভোট পেলেই চম্পাই সোরেনের সরকার গড়তে আর কোনও বাধা থাকত না। কিন্তু, ভোটাভুটির পরে দেখা যায় ম্যাজিক ফিগারের থেকে ৬টি বেশি ভোট পেয়েছে নতুন এই সরকার।
ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের মোট বিধায়ক সংখ্যা ৪৭। এ ছাড়া বিজেপির ২৫ জন, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তিন জন, এনসিপি এবং সিপিআই (এমএল)-এর এক জন করে বিধায়ক রয়েছেন। সিপিআই (এমএল) সমর্থন রয়েছে শাসক জোটের পক্ষে। তিন জন নির্দল বিধায়কও রয়েছেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়। শাসক জোটের সকলেই নতুন সরকারকে ভোট দিয়েছেন। নতুন সরকার যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে তা নিয়ে আগে থেকেই আশাবাদী ছিল জোট।
কেন আস্থাভোট হল ঝাড়খণ্ডে?
জমি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। ৩১ জানুয়ারি প্রথমে রাজভবনে গিয়ে ইস্তফা দেন তিনি। তারপর সেদিন রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তারপর থেকে ইডি হেফাজতেই রয়েছেন। তবে আদালতের অনুমতিতে আজ বিধানসভায় আস্থাভোটে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর গ্রেফতারির জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন।
এদিকে হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির পর রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য হেমন্তের স্ত্রী কল্পনা সোরেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু, পরিবারের আপত্তির কারণে তা বাতিল করা হয়। তখনই দলের তরফে চম্পাই সোরেনের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি রাজভবনে গিয়ে শপথ নেন চম্পাই। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলেছিলেন।
সেই অনুযায়ী আজ ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়। যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী চম্পাইয়ের সমর্থনে রয়েছেন, প্রথমে তাঁদের দাঁড়াতে বলা হয়। ৪৭ জন বিধায়কই দাঁড়িয়ে সমর্থন জানান। এর পর বিপক্ষে কারা রয়েছেন, জানতে চান স্পিকার। তখন ২৯ জন বিধায়ক দাঁড়িয়েছিলেন। তার পরেই আস্থা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে দেওয়া হয়। করতালিতে ফেটে পড়ে সভাকক্ষ। শেষ হাসি হাসেন চম্পাই সোরেন।
Hemant Soren : ইডি হেফাজতে থেকেই বিধানসভায় বক্তব্য রাখলেন হেমন্ত সোরেন
একেবারে বেনজির ঘটনা! জমি সংক্রান্ত ইডির হাতে গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। গ্রেফতারির পর থেকে ইডি হেফাজতেই (Enforcement Directorate) ছিলেন তিনি। ২ ফেব্রুয়ারি রাঁচীর বিশেষ অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর আজকের আস্থাভোটে অংশ নেওয়ার জন্য শনিবার হেমন্তের তরফে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে অনুমতি দেয় আদালত। তার প্রেক্ষিতেই ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আজ বিধানসভায় যান তিনি। সেখানে গিয়ে নিজের গ্রেফতারি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর গ্রেফতারির নেপথ্যে হাত রয়েছে রাজভবনের।
বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন হেমন্ত। বলেন, "৩১ জানুয়ারি দিনটি দেশের গণতন্ত্রের একটা কালো রাত ও কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনের ভিতর থেকে গ্রেফতার করা দেশের ইতিহাসে এটা প্রথম ঘটনা। এটা আগে কখনও হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। আমার অনুমান, এই ঘটনায় রাজভবনের হাত ছিল।"
সরাসরি নাম না করা হলেও মনে করা হচ্ছে, তাঁর গ্রেফতারির জন্য রাজ্যপালকেই দায়ী করলেন হেমন্ত। বিজেপিকে তোপ দেখে তিনি বলেন, “যদি তাদের সাহস থাকে, তবে যে জমি আমার নাম নথিভুক্ত হয়েছে, তার নথি দেখাক। যদি দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।” তাঁর মতে, এই ঘটনার ছককষা শুরু হয়েছিল বহু বছর আগে। বলেন, "৩১ জানুয়ারির ঘটনার ছক অনেক দিন আগে থেকেই কষা শুরু হয়েছিল। সেই ২০২২ সাল থেকেই পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। কম আঁচে অনেকদিন ধরেই তারা রান্না করছিল। কিন্তু, রান্না এখনও শেষ হয়নি। রান্না অর্ধেক হতেই তারা আমাকে গ্রেফতার করিয়েছে।"
জনজাতিদের উপর কোনও অত্যাচার এবং অপমান তিনি সহ্য করবেন না বলেও জানিয়ে দেন হেমন্ত। তাঁর কথায়, “এরা ভাবে আমাকে জেলে ভরে উদ্দেশ্য সফল হবে। এটা ঝাড়খণ্ড। দেশের এমন রাজ্য, যার প্রতি কোণে জনজাতিরা আছেন। রক্তের বিনিময়ে তাঁরা লড়াই করেছেন। জনজাতিদের জোর এত কম নয়।" তিনি না কেঁদে কান্না জমিয়ে রাখছেন বলেও দাবি করেছেন হেমন্ত। তিনি বলেন, “এদের কাছে জনজাতিদের চোখের জলের কোনও দাম নেই।” রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন, লোকসভা ভোটের আগে নিজের জনজাতি ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতেই জোরালো এই বার্তা দিলেন হেমন্ত।
তবে গ্রেফতার হওয়া কোনও রাজনীতিক এর আগে বিধানসভায় এসে বক্তব্য রেখেছেন এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এবার সেই বেনজির ঘটনারই সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। এদিন রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। বক্তব্য রাখেন হেমন্তের গ্রেফতারির পর দল এবং সরকারের দায়িত্ব সামলানো ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। তার পরই বক্তব্য রাখেন হেমন্ত। আর নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে কার্যত বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি।
BJP State Election Committee : লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আস্থা দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দুতে, চূড়ান্ত নির্বাচন পরিচালন কমিটি
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে হাতে আর বেশিদিন বাকি নেই। ইতিমধ্যেই নিজেদের জমি শক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সব রাজনৈতিক দলই। তারই মধ্যে এবার লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য চূড়ান্ত কমিটি তৈরি করল বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে শীর্ষে রেখে ২০ জনের সেই কমিটিতে রাখা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এছাড়াও রয়েছেন চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর ও জন বার্লা। পাশাপাশি সেই কমিটিতে রয়েছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, দীপক বর্মন। কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে চারজনের অমিত মালব্য, সুনীল বনশাল, মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লাকড়া।
এই কমিটি নিয়ে অনেক দিন ধরেই দলের অন্দরে জল্পনা চলছিল। কমিটির মাথায় কে থাকবে তা নিয়ে জলঘোলা হচ্ছিল কর্মীদের মধ্যে। এর আগে ১০১ জনের কমিটিতে ৩৫টি বিভাগ তৈরি করা হয়েছিল। সেই সব কমিটির প্রধানদের নাম ঠিক করলেও চেয়ারম্যান কে হবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রাজ্য বিজেপি। যা নিয়ে অনেক জল্পনা এবং বিতর্ক তৈরি হয় বিজেপির অন্দরে। অবশেষে সেই কমিটির মাথায় আরও একটি কমিটি তৈরি করা হল। যার মাথায় রাখা হয়েছে সুকান্তকে। শনিবার দলের সল্টলেকের রাজ্য দফতরে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই এই কমিটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, অত্যন্ত ভারসাম্য বজায় রেখেই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
ওই কমিটিতে সুকান্তের পরেই নাম রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এর পরে রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর এবং জন বার্লার নাম রয়েছে। এর পরেই জায়গা পেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এখন রাজ্য বা সর্বভারতীয় কোনও দায়িত্বই নেই মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপের। ইদানীং, তাঁর কাজকর্ম দেখে এটাও মনে হয়েছে যে তিনি নিজের আসন ছাড়া অন্য এলাকা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে চাইছেন না। তবে রাজ্য বিজেপি যে, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপকে লোকসভা নির্বাচনেও গুরুত্ব দিতে চায় সেই বার্তা দিয়ে দিল কমিটিতে জায়গা দিয়ে। দিলীপের পাশাপাশি কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন আর এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংও।
Mumbai Incident : থানায় জোটসঙ্গীকে গুলি, গ্রেফতার বিজেপি বিধায়ক
মুম্বইতে থানার ভিতরে চলল গুলি। তার জেরে জখম হয়েছেন দু'জন। বিজেপি বিধায়ক গণপত গায়কোয়াড়ের বিরুদ্ধে গুলির চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জোটসঙ্গী শিব সেনা নেতা মহেশ গায়কোয়াড়ের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে রয়েছেন তিনি।
শুক্রবার রাতের ঘটনা। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগরের হিল লাইন থানায় এসেছিলেন শিব সেনা নেতা মহেশ গায়কোয়াড় ও বিজেপি বিধায়ক গণপত গায়কোয়াড়। মূলত আলোচনার জন্যই সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই সময় থানার মধ্যেই মহেশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান গণপত।
জানা গিয়েছে, শিন্ডে শিবিরের ওই নেতা এবং বিজেপি বিধায়ক তাঁদের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে থানায় জমি বিবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তার জেরেই মহেশের উপর পাঁচ রাউন্ড গুলি চালান গণপত। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তারপরই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। এই ঘটনায় জখম হন আরও এক বিজেপি বিধায়ক রাহুল পাতিলও। তাঁরা দু'জনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে গণপতকে। পাশাপাশি যে বন্দুক থেকে গুলি চালানো হয়েছে তাও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে উল্লাসনগরের মীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গণপতকে। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ১১টা নাগাদ থানের জুপিটার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। হাসপাতালের বাইরে ভিড় করেন শিব সেনা কর্মী, সমর্থকরা। একনাথ শিন্ডে শিবিরের মুখপাত্র আনন্দ দুবে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “থানার ভিতরেই এখন গুলি চলছে। ভাবুন, মহারাষ্ট্রে কেমন জঙ্গল রাজ শুরু হয়েছে।”
অভিযুক্ত গণপত কল্যাণ পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ে বিধায়ক হন। তাঁর দল শিন্ডের শিব সেনার সঙ্গে জোট করে ভোট লড়েছিল। আর বচসা চলাকালীন সেই জোটসঙ্গীর বিধায়ককে লক্ষ্য করেই গুলি চালান তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে।
তবে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন গণপত। এই ঘটনায় আদালতের নির্দেশ মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে একনাথ সরকারকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাঁর অভিযোগ, শিন্ডের জমানায় মহারাষ্ট্রে অপরাধের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিজেপির সঙ্গে যে কোনও সময় শিন্ডে সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি।
Chandigarh Mayor Election: চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয়ী বিজেপি, ব্যর্থ 'ইন্ডিয়া' মঞ্চ!
লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপির কাছে ব্যর্থ হলো 'ইন্ডিয়া' মঞ্চ! পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ সোনকর। কংগ্রেস এবং আপ এক জোট হয়ে লড়াই করলেও কোনও লাভ হয়নি। ম আদমি পার্টির কুলদীপ কুমারকে পরাস্ত করলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ সোনকর। প্রসঙ্গত, আম আদমি পার্টির মেয়র নির্বাচনে জোট হয় কংগ্রেসেরও। সকলেই ধারণা হয়েছিল মেয়র হচ্ছেন আপের কুলদীপ সিং। কিন্তু জোটপ্রার্থীর ৮টি ভোট বাতিল ঘোষণা হতেই বাধে বিপত্তি। ৮টি ভোট কমে যাওয়ায় জোটপ্রার্থীর মোট ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১২টি এবং বিজেপি প্রার্থীর ১৬টি ভোটই থাকে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে জয়ী ঘোষণা করা হয় বিজেপির মনোজ সোনকরকে।
BJP JOINING: লোকসভা ভোটের আগে চাপে কংগ্রেস! অধীর গড়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ কয়েকশো কর্মীর
সাংসদ অধীর চৌধুরীর গড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। তাও আবার দলের সুপ্রিমো রাহুল গান্ধীর জেলা সফরে আসার আগেই। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন কয়েকশো পরিবার। তারমধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে অধীর গড়ে কংগ্রেসে ভাঙন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
অধীর চৌধুরীর খাসতালুক মুর্শিদাবাদে ন্যায় যাত্রা করতে আসছেন রাহুল গান্ধী । তার আগেই সোমবার হরিহরপাড়ায় কংগ্রেসে নামল ধস। হরিহরপাড়ার চোয়া গ্রামপঞ্চায়েতের পাঁচগাছি শিবনগর এলাকায় বিজেপির এই যোগদান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। কংগ্রেসের ২ জন গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য আব্দুস সামাদ ও দিবস মণ্ডলের সঙ্গে প্রায় ৪০০টি পরিবার এদিন হাত ছেড়ে পদ্মশিবিরে নাম লেখায়। সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে এসেছে সেই পরিবারগুলি। বিজেপি নেতা তন্ময় বিশ্বাসের হাত ধরে এই যোগদান হয়।
Kerala : বিজেপি নেতা খুনের মামলায় ১৫ PFI সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা
কেরলের বিজেপি নেতাকে খুনের মামলায় ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল সে রাজ্যের একটি আদালত। ১৫ জনই অধুনা নিষিদ্ধ সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বা পিএফআইয়ের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। সোমবার এই সাজার কথা শুনিয়েছে কেরলের আলাপুঝার একটি আদালত। ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শ্রীনিবাসনকে পরিবারের সামনেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে পিএফআই এবং আর এক সংগঠন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এফ ইন্ডিয়া বা এসডিপিআই সদস্যদের বিরুদ্ধে।
LOKSABHA ELECTION : ‘জিতছে NDA’, ভবিষ্যদ্বাণী পি কে –র
রবিবারই I.N.D.I.A জোট ছেড়ে ফের এনডিএ-তে ফিরে গিয়েছেন নীতীশ কুমার। সকালে জোট ছেড়ে যাওয়া এবং বিকালে ফের এনডিএ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। রবিবার নীতীশ কুমারের রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করতে শোনা গেল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করলেন প্রশান্ত কিশোর। এক সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য, ‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি’ । এনডিএ জোট পুনরায় ক্ষমতায় ফিরবে বলে মনে করেন তিনি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড় বইতে চলেছে। তৃতীয়বারও যে মোদী সরকারই শেষ হাসি হাসবে তাই সুনিশ্চিত করলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
Amit Shah : বাতিল অমিত শাহের বঙ্গসফর, নেপথ্যে কোন কারণ?
বাতিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাংলা সফর। রবিবার তাঁর কলকাতায় আসার কথা ছিল। সোমবার দুপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় জনসভা করারও কথা ছিল। কিন্তু, বিশেষ পরিস্থিতিতে আচমকাই বাতিল হয়ে গেল শাহের বঙ্গসফর। বিহারে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। দেড় বছরের মাথায় ‘মহাগঠবন্ধন’ ছেড়ে আবার বিজেপির সহযোগী হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, এমন খবর হাওয়ায় ভাসছে। শনিবারই রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র দিতে পারেন নীতীশ, এমনও শোনা যাচ্ছে। একটি সূত্র জানাচ্ছে, নীতীশ যদি আবার এনডিএতে ফিরে আসেন, তাহলে আপত্তি নেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। বিহারে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে শাহের বাংলা সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Suvendu Adhikari: বিধায়কদের নিয়ে অযোধ্যা যাত্রা শুভেন্দুর, রামমন্দির দেখে ফের কর্মসূচীতে যোগ দেবেন বিরোধী দলনেতা
সোমবারই অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়ে গেল রামলালার। প্রধানমন্ত্রীর হাতেই রামমন্দিরের উদ্বোধন ও প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান দেখতে মুখিয়ে ছিলেন গোটা ভারতবাসী। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরদিন সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দ্বার। প্রথমদিনেই দর্শকের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এবার রাম দর্শনে যাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তিনি একা নন যাবেন আরও অনেক বিজেপি বিধায়ক। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কলকাতা ও হাওড়া জেলাতেই কর্মসূচী পালন করেছেন তিনি। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি দলীয় বিধায়কদের নিয়ে অযোধ্যায় রামমন্দির দর্শনে যাবেন বলে সূত্রের খবর।
Suvendu Adhikari On DA : "নবান্ন অভিযান ডাকুন, আমি থাকব", ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে শুভেন্দু
মঙ্গলবার সকালেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্নামঞ্চে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেছেন, প্রয়োজনে ডিএ আন্দোলনকারীরা নবান্ন অভিযান ডাকলে তাঁদের সঙ্গে থাকবেন তিনি। তাঁর এও দাবি, সরকারি কর্মচারীদের পাশে পাবেন না বলেই ডিএ বন্ধ করেছে রাজ্য সরকার। বলেন, “ডাকুন নবান্ন অভিযান। আমি থাকব।”
এ দিন বিরোধী দলনেতা বলেন, “এই সরকারি কর্মচারীরা দেখেছেন আবাস যোজনায় ঘর না দিয়ে তৃণমূলের নেতা নিজের গোয়াল ঘর দেখিয়ে বাড়ি নিয়ে নিয়েছেন। এই সরকারি কর্মচারীরা দেখেছেন শৌচালয়ের টাকা গরিব মানুষকে না দিয়ে, হাজার হাজার টাকা তৃণমূল নেতারা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছেন। এই সরকারি কর্মচারীরা দেখেছেন চুরি, এই সরকারি কর্মচারীরা দেখেছেন স্থায়ী ৬ লক্ষ পোস্ট অবলুপ্ত করছে সরকার। অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করছেন চার হাজার থেকে বারো হাজার।”
Kolkata Ram Puja: গেরুয়া শিবিরের রাম পুজোতে দিল অনুমতি হাইকোর্ট
আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কালীঘাটে রাম পুজো করার অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। পুলিশের অনুমতি না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিজেপির মিডিয়া সেলের কনভেনর তুষারকান্তি ঘোষ রামের পুজোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যান। উচ্চ আদালত এদিন বিজেপিকে ২২ জানুয়ারি রাম পুজোর অনুমতি দিয়েছে।