Saturday, November 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

rjd

CM Nitish Kumar : মোদী শরণে আসার পর আস্থা ভোটে জয়ী নীতীশ কুমার

বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১২৯ জন বিধায়ক। বিরোধীদের ওয়াকআউটের মাঝেই আজ বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছে নীতীশ কুমার। সকাল থেকেই চর্চায় ছিল বিহারের রাজনীতি (Bihar Politics)। গোটা দেশের নজর ছিল বিহারের দিকে। জোট সরকার ভেঙে নতুন করে সরকার গড়ার পর নীতীশ কুমার কি সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে সফল হবেন? এই প্রশ্নই উঠছিল জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। যদিও শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নীতীশ কুমার। আর ভোট শেষে জয়ের হাসি হাসেন তিনিই।




নীতীশ সরকাররের কাছে আজ বিধানসভায় (Bihar Assembly) সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছিল। সকাল থেকেই পাটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছিল চরমে। বিহার বিধানসভায় মোট ২৪৩ টি আসন রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে প্রয়োজন ছিল ১২২টি ভোট। সেখানে এনডিএ জোট পেয়েছে ১২৯টি ভোট।




বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোট চলাকালীন নীতীশ কুমার বলেন, "RJD প্রধান লালু প্রসাদ এবং রাবড়ি দেবী রাজ্যের জন্য ১৫ বছর কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁরা ১৫ বছর ধরে যা করেননি, আমি তা করে দেখিয়েছি। আমি সমাজের প্রতিটি স্তরের জন্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। বিহারে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। মহিলারা গভীর রাত পর্যন্ত আজ বাইরে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াতে পারেন। তাঁরা এখন আমার কাজের ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছে।” এর আগে বিধানসভায় নীতীশকে আক্রমণ করে তেজস্বী যাদব বলেন, “বিহারের মানুষ জানতে চায় আপনি বার বার দল বদল করছেন কেন?” এদিকে বিহার বিধানসভার স্পিকার এবং আরজেডি নেতা আওধ বিহারী চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে। ১২৫ জন সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১১২ জন। এর ফলে বিহার বিধানসভায় আরজেডির মুখ পুড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।


এদিকে আস্থা ভোটের শুরুতেই নীতীশকে খোঁচা দিয়ে তেজস্বী বলেন, “প্রথমত, আমি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে চাই। একটানা নবমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে তিনি ইতিহাস রচনা করেছেন। এক মেয়াদে তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার এমন অপূর্ব দৃশ্য আমরা দেখিনি।” উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই ভাঙন ধরছে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটে। প্রশ্ন উঠছে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন নীতীশ। জোটের বৈঠকের আয়োজন করা থেকে শুরু করে, বিভিন্ন দলের নেতৃদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সবই করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, লাভের লাভ কিছুই হয়নি।



যদিও নীতীশের দাবি ছিল, ইন্ডিয়া জোটের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। মতানৈক্যের অভাব রয়েছে দলের মধ্যে। বার বার বলেও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে ইন্ডিয়া জোট ছাড়েন তিনি। তারপর আবারও এনডিএ-র হাত ধরেন। এরপর এনডিএ-র সঙ্গে জোট বেঁধে নতুন সরকারও গড়েন তিনি। দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। এনডিএ-র হাত আর কখনও ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর আজ বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে শেষ হাসি হাসলেন নীতীশ।

Maitreyi Mukherjee | 16:28 PM, Mon Feb 12, 2024

Nitish Kumar : বিহারে শুরু আস্থা ভোট, সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে আশাবাদী নীতীশ


সোমবার সকাল থেকে আবারও চর্চায় বিহার রাজনীতি। ইন্ডিয়া থেকে ডিগবাজি খেয়ে ফের এনডিএ জোটে নাম লিখিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ২৮ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের শপথ নেন তিনি। সোমবার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে তাঁকে। ইতিমধ্যেই বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোট শুরু হয়ে গিয়েছে।


যদিও আস্থা ভোট নিয়ে আশাবাদী জেডিইউ-এর সভাপতি রাজীব রঞ্জন প্রসাদ। তিনি বলেন, "নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে আস্থা ভোটে জিতে সরকার গড়বে জেডিইউ।" এদিকে আস্থা ভোটের আগে রবিবার কড়া নিরাপত্তায় আরজেডি বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হয় আরজেডি নেতা তেজস্বি যাদবের বাড়িতে। সেখানে দলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। আরজেডির অভিযোগ, রাতে তাঁদের দলীয় বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করে পুলিশ। তেজস্বির বাড়ি ঘিরে ফেলে জোর করে সেখানে পুলিশ ঢোকার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আরজেডির মুখপাত্র শক্তি সিং যাদব বলেন, “স্বাধীন রাষ্ট্রে কোনও রাজ্যে এমনটা কোনও দিন হয়নি। বিজেপি করলে সব ঠিক, আর আমরা করলেই ভুল?” যদিও এই ঘটনা নিয়ে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। শাহনাওয়াজ বলেন, “পুলিশ তার কাজ করছে। যদি তেজস্বি মনে করে তিনি তাঁর বাড়িতে বিধায়কদের আটকে রেখে দেবেন তাহলে তো পুলিশ তাঁর বাড়ি যাবেই।”


লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই ভাঙন ধরছে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটে। প্রশ্ন উঠছে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন নীতীশ। জোটের বৈঠকের আয়োজন করা থেকে শুরু করে, বিভিন্ন দলের নেতৃদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সবই করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, ধোপে টেকেনি কোনও কিছুই। যদিও নীতীশের দাবি, ইন্ডিয়া জোটের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। মতানৈক্যের অভাব রয়েছে দলের মধ্যে। বার বার বলেও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে ইন্ডিয়া জোট ছাড়েন তিনি। তারপর আবারও এনডিএ জোটের হাত ধরেন।


এদিকে এই ঘটনার জেরে ঝড় বয়ে গিয়েছে বিহারের রাজনীতিতে। ২০২০ সালে এনডিএ-তে ছিলেন নীতীশ। তারপর ফের শরিক বদল করেন তিনি। এনডিএ-র সঙ্গে জোট ভেঙে লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আবারও বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন। কিন্তু, তারপর ২ বছরও কাটল না। তার আগেই ফের আরজেডির সঙ্গ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নীতীশ। পাল্টি খেয়ে আবারও বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের হাত ধরেন তিনি। ২৮ জানুয়ারি বিহারের জোট সরকার ভেঙে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। এই মুহূর্তে বিহার বিধানসভার ২৪৫ জন বিধায়কের মধ্যে জেডিইউ এর ৪৫ জন সদস্য আছে। এছাড়া বিজেপি ও হিন্দুস্তানি আওয়ামী মোর্চা সেকুলার দলের ৭৯ ও ৪ জন করে বিধায়ক আছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য নীতীশের প্রয়োজন ১২২ জন বিধায়ককে। এনডিএ শরিকদের সঙ্গে জোট সরকারের অনায়াসেই নীতীশের জেডিইউ ম্যাজির ফিগারে পৌঁছতে পারবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

Bengal Hour Bureau | 13:20 PM, Mon Feb 12, 2024
upload
upload