Hemant Soren:হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে ইডি, এলাকা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
Mayuri Datta | 15:20 PM, Wed Jan 31, 2024
Leopard: দলগাঁও চা বাগানে খাঁচায় বন্দী চিতাবাঘ
Mayuri Datta | 13:58 PM, Wed Jan 31, 2024
Imran Khan: আরও বিপাকে ইমরান খান, তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা
Mayuri Datta | 13:40 PM, Wed Jan 31, 2024
Bengali Cinema: ‘শাস্ত্রী’ সিনেমায় ফের দেখা যাবে মিঠুন- দেবশ্রী জুটি, দর্শকমহলে উন্মাদনা
Mayuri Datta | 12:48 PM, Wed Jan 31, 2024
PM on Budget: বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই নারী শক্তিতে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী
Mayuri Datta | 12:22 PM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata Police : সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিশ কনস্টেবল
Mayuri Datta | 11:43 AM, Wed Jan 31, 2024
Budget 2024: আজ শুরু বাজেট অধিবেশন
Mayuri Datta | 10:36 AM, Wed Jan 31, 2024
Kashmir Snowfall: শ্বেতসুন্দরী কাশ্মীর, সাদা বরফের চাদরে পার্বত্য এলাকা
Mayuri Datta | 10:30 AM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata high court: বিচারপতি দ্বন্দ্বের জের! প্রাথমিক মামলা সরানো হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে
Mayuri Datta | 17:50 PM, Tue Jan 30, 2024
Chandigarh Mayor Election: চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয়ী বিজেপি, ব্যর্থ 'ইন্ডিয়া' মঞ্চ!
Mayuri Datta | 17:39 PM, Tue Jan 30, 2024
Uttarakhand : উত্তরাখণ্ডের প্রথম মহিলা মুখ্যসচিব হচ্ছেন রাধা রাতুরি
Mayuri Datta | 17:14 PM, Tue Jan 30, 2024
Sandeshkhali incident: সন্দেশখালি যাওয়ার আগে বার বার পুলিশি বাধা, 'খালি হাতে' ফিরল BJP-র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম
সন্দেশখালি (Sandeshkhali) না গিয়েই কলকাতায় ফিরলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধি দল। সন্দেশখালিতে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার তরফে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম তৈরি করে দেওয়া হয়। সেই দলটির শুক্রবার সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। এই টিমে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সাংসদ সুনীতা দুগ্গল, কবিতা পাতিদার, সঙ্গীতা যাদব এবং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল। বাংলা থেকে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল ও সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
আজ সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাসন্তী হাইওয়ের কাছে রামপুরে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধিদের আটকে দেয় বসিরহাট থানার পুলিশ। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করে বিজেপি। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকার জন্যই পুলিশ তাঁদের যেতে বাধা দেয়। এই পরিস্থিতি প্রতিনিধি দলের এক সদস্য সন্দেশখালিতে যাওয়ার জন্য আবেদন জানান। যদিও তাতেও রাজি হয়নি পুলিশ। কোনও মতেই সন্দেশখালিতে যাওয়া যাবে না বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। এরপর পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। এরপর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রায় ২ ঘণ্টা রাস্তার উপর বসে ছিলেন। তারপর বাধ্য হয়ে কলকাতায় ফেরেন।
প্রশ্ন উঠছে কেন বার বার কেন বিরোধীদের সেখানে যেতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ? কি চাপা দিতে চাইছে প্রশাসন? এবিষয়ে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “আগেই বলেছিলাম আমরা চারজন যাব, তাও আটকে দিল পুলিশ। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এমনকী মুখ্যমন্ত্রিও নন”।এনিয়ে বিজেপির তরফে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালি যেতে চাইলে তাঁকে টাকিতে আটকে দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান তিনি। এরপর কলকাতার এক নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন সুকান্ত। তারপর বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে সরবেড়িয়ায় বাঁশের ব্যারিকেড করে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দেয় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের নেতৃত্বে সন্দেশখালিতে গিয়েছিল তফসিলি কমিশন। জানা গিয়েছে, কমিশনকে সামনে পেয়ে গ্রামের মহিলারা তাঁদের অভিযোগ জানান। রাতের পর রাত তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের উপর যে অত্যাচার চলত সে কথা তুলে ধরেন। তাঁদের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল ১১ টায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দেয় তফসিলি কমিশন। তবে রিপোর্টে কি আছে তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি কমিশনের প্রতিনিধিরা।
Sandeshkhali Incident : সরবেড়িয়ায় আটকানো হল বাস, রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুভেন্দুর
বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে ফের একবার সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। যদিও ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। তার মধ্যেই ১৪৪ ধারার নিয়ম মেনে মাত্র তিন জন বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বাসে করে সন্দেশখালি যাওয়ার প্রস্তুতি নেন শুভেন্দু। তিন জন বিজেপি বিধায়কের মধ্যে ছিলেন তাপসী মণ্ডল, চন্দনা বাউড়ি এবং শঙ্কর ঘোষ।
এদিন বিধানসভার সামনে থেকে তাঁদের বাস ছাড়ে। বাসে ওঠার আগে শুভেন্দু বলেন, “আজ যদি পুলিশ তাঁদের আটকায় তাহলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন”। যদিও বাসন্তী হাইওয়েতে কিছুক্ষণের জন্য তাঁদের বাস আটকায় পুলিশ। পরে ছেড়েও দেওয়া হয়। এরপর ফের সরবেড়িয়াতে আটকে দেয় পুলিশ। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেখানে এক কর্তব্যরত এসডিপিও জুতো দিয়ে শুভেন্দুর পায়ে আঘাত করেন। তারপরই শুভেন্দু সহ বিজেপির নেতারা রাস্তায় বসে পরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার পথে সায়েন্স সিটির কাছে শুভেন্দুকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ।
অন্যদিকে শুভেন্দুর সন্দেশখালি যাত্রা আটকাতে পুলিশি তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। সন্দেশখালির আগে রামপুরে ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা ঘিরে রাখে প্রশাসন। জায়গায় জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নামানো হয়েছে ব়্যাফ। ধামাখালির রামপুর থেকেই জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। গোটা এলাকাকে দুর্গে পরিণত করে ফেলেছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির অভিযানকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তাঁর অনুগামীদের হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এক আধিকারিকের মাথা ফাটে। ইডির পাশাপাশি হামলা চালানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও। তবে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
এরপর শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসে। গ্রামবাসীরা তাঁর গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামেন। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। যদিও মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় সরকার। তবে বুধবারে নতুন করে ১৯টি জায়গা স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া, দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়া, দাউদপুর, ধামাখালি ঘাট, হালদার পাড়া, পিঁপড়ে খালি ঘাট সহ আরও বেশ কিছু জায়গায় আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
ইতিমধ্যে রাজ্যপাল গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। পিছিয়ে নেই কোনও রাজনৈতিক দলও। মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস অভিযান করে বিজেপি। তাকে ঘিরে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিজেপি ও পুলিশের মধ্যে। এরপর বুধবার টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে সুকান্ত এবং কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের আটকে দেয় পুলিশ। সেসময় বচসার জেরে আঘাত পান সুকান্ত যার জেরে তিনি কলকাতার এক নার্সিংহমে চিকিৎসাধীন।
Sukanta Majumdar : বমি বমি ভাব সুকান্তর, স্যালাইন ছাড়া কিছুই নিতে পারছেন না
মঙ্গলবার সুকান্তের সন্দেশখালি যাত্রা নিয়ে টাকিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ টাকির এক হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর ইছামতীর পাড়ে বসে সরস্বতী পুজো করে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। এরপরই সেখানে সুকান্ত সহ বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়। বচসা চলাকালীন পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যাওয়ায় সুকান্ত মজুমদারকে জোর করে নামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সেই ধস্তাধস্তিতে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান তিনি। এরপর তাঁকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে ভর্তি করে বিজেপি কর্মীরা। যদিও স্থানীয় হাসপাতালে তাঁর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাতেই তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। নিউরো ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে তাঁকে। রাতেই তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে পেটে, বুকে, মাথায়, ঘাড়ে ও স্পইনাল কর্ডে। ডঃ এস এন সিং এর নজরদারিতে ভর্তি রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, স্যালাইন ও অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ।
গতকালই দিল্লি থেকে ফিরে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আমার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে বাংলার মানুষের কাছে রিপোর্ট দেওয়া। আমি রাজ্যর নির্বাচিত সরকারের কাছে, রিপোর্ট চেয়েছি অপেক্ষা করছি, তারপর দরকার পড়লে রিপোর্ট পাঠাব দিল্লিতে। আমায় কিছুটা সময় দিন। সংবিধানের ১৭৫ (২) ধারা অনুযায়ী আমার নির্দেশিকা সরকারের কাছে পৌঁছে যাবে। তারপরে এই বিষয়ে আমি কথা বলব।”
এরপর সোজা সেখান থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দেখতে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছে যান। সুকান্তর চিকিৎসা ভালো চলছে বলে জানান তিনি।
সুকান্ত প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আই সি ইউ তে আছেন সুকান্ত, তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শারীরিক হেনস্থা হয়েছে তাঁর। আমার মনে হয় মমতার নির্দেশেই হয়েছে। স্যালাইন ছাড়া কিছু নিতে পারছেন না। বমি ভাব আছে। ওঁর বিশ্রাম দরকার। ভালো চিকিৎসা হচ্ছে। যদিও আমরা ক্রস চেক করেও চিকিৎসার উপর নজর রাখছি।” এরপরই সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলেন, "৯২০ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। প্রত্যেক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে আমরা আছি। গ্রেফতার হলে আমরা দাঁড়াব তাঁদের পাশে।" সেই সঙ্গে আজ ফের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
High court on Sandeshkhali : সন্দেশখালি নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের
উত্তপ্ত সন্দেশখালিকে শান্ত করতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল রাজ্যপ্রশাসন। এই নিয়ে মঙ্গলবার মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই প্রশ্নের মুখে পরে রাজ্য। এদিন আদালত ১৪৪ ধারা জারির কারন জানতে চায় রাজ্যের কাছে। কিন্তু তা নিয়ে কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি প্রশাসন। এরপরই ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। গোটা পরিস্থিতিকে খুব যত্ন নিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে বলে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সাথে এলাকায় বেশি করে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, "কোন কোন এলাকায় গণ্ডগোল হচ্ছে তা উল্লেখ করা হয়নি ১৪৪ ধারা জারির বিজ্ঞপ্তিতে। ১৪৪ ধারা জারি করার আগে পরিস্থিতি পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল বলে বলে তাঁর মত। এ কদিন যা যা ঘটনা সামনে এসেছে, তা নিয়ে বিচারপতি বলেন, “যে সব অভিযোগ আসছে সেটা গুরুতর”। পুলিশ তিন বছর ধরে মামলা গ্রহণ করেনি, মহিলাদের নিরাপত্তার অভাব আছে”। ১৪৪ ধারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২-৩ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি হলেও বোঝা যেত কিন্তু গোটা সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করার এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয়তা নেই”।
এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, “১৪৪ ধারা জারি করা ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ আছে। এ ক্ষেত্রে তা মানেনি রাজ্য”।
প্রসঙ্গত, আজ বিজেপির এসপি অফিস অভিযানকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বসিরহাট। শেখ শাহাজানকে গ্রেফতার এবং বিকাশ সিংহের মুক্তির দাবিতে বিজেপির পক্ষ থেকে বসিরহাট এসপি অফিস অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুটো থেকে এসপি অফিস অভিযান শুরু হয় বসিরহাটে বিজেপির সাংগঠনিক দলীয় কার্যালয় থেকে। সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে এক বিশাল মিছিল করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সকাল থেকেই এই অভিযান ঘিরে পুলিশের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। বসিরহাট এসপি অফিসের সামনেই পুলিশের বিশাল ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়। ব্যারিকেডের সামনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পৌঁছানোর পর পুলিশের সাথে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এরপরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের, তারপর ইট বৃষ্টি করা হয় বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। পুলিশের দাবি বিজেপির মিছিল থেকেই প্রথমে ইট ছোড়া হয় পুলিশের দিকে। তারপরেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। একই সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় উত্তেজিত বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার লক্ষ্য রেখে। সব মিলিয়ে ধন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে। বিজেপির মহিলা কর্মী সমর্থক সহ বেশ কিছু বিজেপি কর্মীরা আহত হয়।
Sandeshkhali News: তৃণমূলের প্যান্ডোরা বক্স খুলে যাবে : সুকান্ত মজুমদার
সন্দেশখালির উত্তাল পরিস্থির মাঝেই ট্রেনে চেপে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন সুকান্ত মজুমদার। বসিরহাটের উদ্দেশ্যে হৃদয়পুর স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে রওনা দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। রাস্তায় পুলিশের বাধ আটকাতে সুকান্ত বাবুর এই পদক্ষেপ। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি এদিন বলেন, “১০০০ টাকা দিয়ে বাংলার মহিলাদের ইজ্জত নেবেন এটা বিজেপি চলতে দেবে না।রাজ্যসরকার ভয় পাচ্ছে, বিজেপি গেলে তৃণমূলের প্যান্ডোরার বক্স খুলে যাবে, তাই বিজেপিকে ওখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না”। তাঁর আরও দাবি, “পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে শাহজাহানকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে”।
মঙ্গলবার এপ্রসঙ্গে বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান বলেছেন, 'সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আগুনে ঘি ঢালার চেয়ে, আগুন নেভানো উচিত”।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার পুলিশের এক ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার সহ ১০ জনের মহিলা পুলিশের দল সন্দেশখালিতে পৌঁছেছে। সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের সমস্যার কথা শোনেন বলে জানা যায়। মঙ্গলবার ইন্টারনেট পরিষেবা পুনর্বহাল করা হয়েছে। এর আগে বেশ কয়েকদিন একালায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
এখনও উত্তপ্ত সন্দেশখালি। অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। গোটা ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। প্রকাশ্যে এসেছে শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনী। পরিস্থিতির হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে সোমবার সন্দেশখালি যান রাজ্যপাল। সেখানেই গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলার পর যথা সম্ভব সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। যদিও সোমবার সন্দেশখালি যাওয়ার মাঝপথে শুভেন্দু অধিকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। ইতিপূর্বে হিংসায় জড়িত থাকার কারনে তৃণমূলের উত্তম সর্দার ও বিজেপির বিকাশ সিংহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও ফের গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। সন্দেশখালিকাণ্ডে শেখ শাজাহান,শিবু হাজরার গ্রেফতার এবং সন্দেশখালীর প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার ও বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার আহবায়ক বিকাশ সিংহের নিঃশর্তে মুক্তির দাবীতে সিপিআইএম ও বিজেপির পৃথক পৃথকভাবে আজ দুপুর থেকেই বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে বিজেপি ও সিপিআইএম এর । বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিজেপির এই ঘেরাও আন্দোলন কর্মসূচীতে অংশ নেবেন। সিপিআইএমের স্থানীয় নেতৃত্ব ও রাজ্যনেতৃত্বের ও সেখানে যাবার কথা আছে। তার আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।গোটা এলাকা জুড়ে পুলিশি টহলদারি চলছে সাথে মাইকিং এর মাধ্যমে পাঁচজনের বেশি এক জাগায় জমায়েত করা যাবে না বলে প্রচার করা হচ্ছে। যদি কেউ জমায়েত করে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করবে বলে জানানো হচ্ছে। বসিরহাটের সংগ্রামপুরে এসপি অফিসের থেকে ৫০০ মিটার দূরে সামনে এবং পেছনে উভয় দিকেই ব্যারিকেট দিয়ে রাখা হয়েছে। ইছামতি নদীর ওপর যে ব্রীজ রয়েছে সেই ব্রীজ টপকে কোন রকম ভাবেই ব্যারিকেড ভেঙ্গে ভিতরে না প্রবেশ করতে পারে তার জন্য প্রশাসন যথেষ্ট সক্রিয়।
Sandeshkhali : "আমাদের বাঁচান...", অশান্ত সন্দেশখালিতে রাজ্যপালের কাছে কাতর আর্জি মহিলাদের
সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। বিগত কদিন ধরেই তৃণমূলনেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও। এদিকে ১৪৪ ধারা জারি থাকায়ে সন্দেশখালিতে বিরোধীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। তাই সেখানে ১৪৪ ধারা তোলার দাবিতে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ধারা তোলা না হলে, সেই ধারা ভেঙে সেখানে প্রবেশ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এদিকে মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। বামেরাও সোমবার সন্দেশখালিতে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে।
এর মাঝেই সোমবার সকালে সন্দেশখালি পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেরালা সফর কাটছাঁট করে সন্দেশখালিতে যান তিনি। কিন্তু, সকাল ১১টা নাগাদ মালঞ্চের কাছে পৌঁছতেই রাজ্যপালের কনভয় আটকে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তারা। রাস্তার দু’পাশে প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার হাতে নিয়ে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবি তুলতে দেখা যায় তাদের। বিক্ষোভের জেরে মিনাখাঁ বিডি অফিসের সামনে প্রায় চার মিনিটের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল রাজ্যপালের কনভয়। তারপর পুলিশের হস্তক্ষেপে সেখান থেকে আবার সন্দেশখালিতে রওনা দেন তিনি। রাজভবনসূত্রে খবর, এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথাও বলেছেন সি ভি আনন্দ বোস।
রাজ্যপাল সন্দেশখালি পৌঁছলে তাঁকে উলুধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানান স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন সিভি আনন্দ বোস। রাখিও পরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যপালের হাতে। তারপরই দীর্ঘদিন ধরে চলা, শাহজাহান শেখ সহ উত্তম সদ্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরার অত্যাচারের বর্ণনা তুলে ধরা হয় রাজ্যপালের সামনে, লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে উত্তম তবে এখনও অধরা শিবু আর তা নিয়েই খবর আগুনে ফুটছে সন্দেশখালির বাসিন্দারা। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও রাত হলেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ও প্রশাসনের একাংশ মিলে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকি দিচ্ছে বলেও মহিলারা অভিযোগ করেন রাজ্যপালের কাছে। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ শুনে গ্রামবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। মহিলাদের কাতর আরতি "আমাদের বাঁচান"। রাজ্যপাল জানান, “যা করার করব”।
এদিকে সন্দেশখালি নিয়ে ফের সরগরম বিধানসভা। “সঙ্গে আছি সন্দেশখালি” লেখা জামা গায়ে দিয়ে অধিবেশনে ঢোকেন বিজেপি বিধায়করা। তাতে আপত্তি জানিয়েছেন স্পিকার। এমন ঘটনায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। হুইসেল বাজান তাঁরা। শেষে ওয়াকআউট করেন। এরপর মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বিজেপি পরিষদীয় দলকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। পরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব সংশোধন করে ৬ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। ওই ছয়জনের মধ্যে রয়েছেন বঙ্কিম ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, শুভেন্দু অধিকারী, তাপসী মণ্ডল, মিহির গোস্বামী ও শংকর ঘোষ। তৃণমূল পরিষদীয় দলের দাবি, “শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি পরিষদীয় দল অভব্য আচরণ করেছে। অধিবেশনের কাগজপত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। হুইসল বাজানো হচ্ছিল। এমন আচরণ দেখেই বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
শুভেন্দুর দাবি, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসেন না। বিধানসভায় সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেননি। আমরা প্রশ্ন তোলায় সাসপেন্ড করা হয়েছে। সন্দেশখালির মা বোনেদের সম্মান বাঁচাতে যদি এভাবে সাসপেন্ড করা হয় তাহলে ভয় করব না লড়াই করে যাব”। জানা যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাসন্তী হাইওয়েতে ওঠার আগেই আটকে দিয়েছে পুলিশ।
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আজ সকালে রাজ্যের মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছি,তাঁরা রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”
Sandeshkhali Incident : "বউদের তুলে নিয়ে যাওয়া হত পার্টি অফিসে", ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সন্দেশখালির মহিলাদের
বেশ কয়েকদিন ধরেই অশান্তির আগুনে পুড়ছে সন্দেশখালি। বিক্ষোভ, অবরোধ, ভাঙচুর কোনও কিছুই বাদ যায়নি। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেখানে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। মূলত, তৃণমূলের অত্যাচারে জেরবার স্থানীয় বাসিন্দারা। দিনের পর দিন ধরে এলাকায় অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের ভয়ে তঠস্থ হয়ে ছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কিন্তু, এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এসে প্রতিবাদ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিগত কয়েক বছর ধরেই দলের নাম ভাঙিয়ে অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল নেতা শাহজাহান ও তাঁর দলবল। এলাকায় অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। কথা না শুনলেই স্থানীয়দের প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হত। শুধু তাই নয় তাঁদের সামনে নিরাপদ ছিলেন না মহিলারাও। অভিযোগ, কোন বাড়ির বউকে কেমন দেখতে, তাঁদের বয়স কত তা আগে দলের তরফে এসে দেখে যাওয়া হত। এরপরই স্বামীর কাছে যেত হুমকি। বলা হত, রাতে যেন বউকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একরাত বা দু-রাতের ঘটনা নয়, রাতের পর রাত তুলে নিয়ে চলত অত্যাচার। জোর করে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া হত। তারপর সকালে আবার বাড়িতে ফেরত পাঠানো হত বলে অভিযোগ। গ্রামের এক মহিলা বলেন, "ভোটের সময় অত্যাচারের মাত্রা দ্বিগুণ হত। জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হত মিটিং, মিছিলে। সেখানেই চাপ দেওয়া হত শাসকদল কে ভোট দিতে। ভোট না দিলে মিলত প্রাণনাশের হুমকি।" তাঁদের আরও অভিযোগ, ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা কোনও কিছুই তাঁরা পাননি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত থেকে সন্দেশখালির ১৬ টি পঞ্চায়েত জুড়ে প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। এর মাঝেই পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামের ১৭১ জনকে বিনাদোষে গ্রেফতার করার অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। গ্রেফতার হওয়া এক ব্যক্তির দিদি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, "শাহজাহান গ্রামেই আছেন। পুলিশের সঙ্গে মিটিং করছেন। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এই অত্যাচার দেখে তাঁর লজ্জা পাওয়া উচিত। পুলিশ প্রশাসন তাঁদের উর্দিকে কলঙ্কিত করছে।" গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের অনেক জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করে ফেলেছেন শাহজাহান। এমনকী, বাচ্চদের স্কুলের খেলার মাঠও জবরদখল হয়ে গিয়েছে। কোনও কিছুই ছাড়েনি তৃণমূল।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শনিবার বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস ঘোষ ও বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে যান। তবে ধামাখালি রোডে পুলিশ আটকে দেয় তাঁদের। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করেন বিজেপি বিধায়করা। অবিলম্বে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার দাবিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। সেখানে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর আর্জি জানানো হয়।
Sandeshkhali Incident : অশান্তি অব্যাহত সন্দেশখালিতে, অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি ১৪৪ ধারা
দিনটি ছিল ৫ জানুয়ারি, রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাতে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষার পর তালা ভাঙতে যায় ইডি আধিকারিরা। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। শাহজাহানের অনুগামীরা চরাও হয় তাঁদের ওপর। দুষ্কৃতীদের হাতে ইডি আধিকারিক সহ সাংবাদিকরা মার খান, ভেঙ্গে দেওয়া হয় একাধিক গাড়ি । সেই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহান বেপাত্তা। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, শাহজাহান এলাকাতেই আছেন।পুলিশ জানে তাঁরা কোথায় লুকিয়ে আছে। গ্রেফতার না করে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে গোপন ডেরায় বসে মিটিং করছে।
বেশকদিন ধরেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গ্রামবাসিন্দারা । শুক্রবার সকালেও রাস্তায় নামেন তাঁরা। তবে গতকাল মূলত গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা, লাঠি হাতে নিয়ে সন্দেশখালির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, সেই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পরে স্থানীয় থানায়। শাহজাহান শেখ (Sheikh Shahjahan), শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারের গ্রেফতারির দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল নেতার পোলট্রি ফার্ম জ্বালিয়ে দেয় গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ দলের নাম ভাঙিয়ে অত্যাচার চালায় শাহজাহান আর তাঁর দলবল। জোর করে তাঁদের জমি দখল করা থেকে শুরু করে কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়ার মতন নানান অভিযোগ উঠে আসে মহিলাদের গলায়। পুলিসের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ গ্রামের ১৭১ জনকে বিনা দোষে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এরপরই তাঁরা জানান “ আমাদের দেওয়ালে পিঠ থেকে ”।
এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। মোট ১৬ টি পঞ্চায়েত জুড়ে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।এরসাথে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকালরাতে নবান্ন থেকে জানান হয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ডে দোষীদের কঠিন শাস্তি দেবে সরকার। তারপরই বিশাল পুলিশবাহিনী সঙ্গে নিয়ে ডিজি এসসিআরবি সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, আইজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এস আর ঝাঁঝারিয়া, ডিআইজি বারাসত সুমিত কুমার, এসপি বসিরহাট ঘটনাস্থলে যায়।
গতকাল রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, পুরো পরিস্থিতি আপাতত পুলিশের আওতায় আছে, তদন্ত চলছে, দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাহজাহানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন “এটি তদন্তের বিষয়,তদন্তে যা উঠে আসবে সেই মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”।গতকালের ঘটনাতে আপাতত আটজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজভবনের সামনে মিছিল করে বিজেপি বিধায়করা। অবিলম্বে ১৪৪ ধারা তুলে নিয়ে সন্দেশখালিতে শান্তি ফেরানোর দাবিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারলে ১৪৪ ধারা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আজ বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস ঘোষ ও বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দেয় ধামাখালি রোডে।
Suvendu Slams Mamata : "চোর মমতাকে টাইট দিতে দিল্লি গিয়েছিলাম", কলকাতায় ফিরে কটাক্ষ শুভেন্দুর
সোমবার রাতে দিল্লি সফর শেষ করে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার রাতের দিকেই কলকাতায় পা রাখেন তিনি। আর বিমানবন্দরে পা রাখার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। দিল্লি সফর নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "চোর মমতাকে টাইট দিতে গিয়েছিলাম, টাইট দিয়ে এসেছি।"
রবিবার হঠাৎই দিল্লি উড়ে যান শুভেন্দু। সেখানে দেখা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitaraman) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে। সূত্রের খবর, রাজ্যে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করে দুর্নীতির তদন্ত চেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি যে ক্যাগ (CAG) রিপোর্ট সামনে এসেছে সেখানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় অনুদানের টাকা নিয়ে গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা অবশ্য খোলসা করতে চাননি শুভেন্দু। শুধু বলেন, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হল তা আমি এখানে বলব না। যা হবে দেখতেই পাবেন, চোর মমতাকে টাইট দিতে গিয়েছিলাম টাইট দিয়ে এসেছি।”
প্রসঙ্গত, আজ মুখ্যমন্ত্রীরও দিল্লিতে (Mamata Banerjee In Delhi) যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তা হঠাৎ বাতিল করেন তিনি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ডাকা এক দেশ এক ভোট নিয়ে যে বৈঠক আছে সেখানেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল মমতার। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "উনি কোথায় যাবেন, না যাবেন, কেন যাবেন সেটা আমি বলব কেন। ওঁকে নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তিত নই।” মমতার ধর্নায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, "অভিষেক কোথায় গিয়েছে সেটা পিসিকে গিয়ে জিজ্ঞেসা করুন। ওটা কোনও দলই নয়। কোম্পানি। দু'জনে মিলে চালায় পিসি ও ভাইপো।"
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলের দিকেই মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, আচমকাই তা বাতিল করে দেওয়া হয়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য বাজেটকে সামনে রেখে প্রচুর কাজ রয়েছে। ৮ তারিখ বাজেট। মাঝে সময় একেবারেই নেই। সে কারণেই তিনি দিল্লিতে যাচ্ছেন না। যদিও মমতার দিল্লি সফর বাতিলের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
BJP State Election Committee : লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আস্থা দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দুতে, চূড়ান্ত নির্বাচন পরিচালন কমিটি
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে হাতে আর বেশিদিন বাকি নেই। ইতিমধ্যেই নিজেদের জমি শক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সব রাজনৈতিক দলই। তারই মধ্যে এবার লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য চূড়ান্ত কমিটি তৈরি করল বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে শীর্ষে রেখে ২০ জনের সেই কমিটিতে রাখা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এছাড়াও রয়েছেন চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর ও জন বার্লা। পাশাপাশি সেই কমিটিতে রয়েছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, দীপক বর্মন। কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে চারজনের অমিত মালব্য, সুনীল বনশাল, মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লাকড়া।
এই কমিটি নিয়ে অনেক দিন ধরেই দলের অন্দরে জল্পনা চলছিল। কমিটির মাথায় কে থাকবে তা নিয়ে জলঘোলা হচ্ছিল কর্মীদের মধ্যে। এর আগে ১০১ জনের কমিটিতে ৩৫টি বিভাগ তৈরি করা হয়েছিল। সেই সব কমিটির প্রধানদের নাম ঠিক করলেও চেয়ারম্যান কে হবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রাজ্য বিজেপি। যা নিয়ে অনেক জল্পনা এবং বিতর্ক তৈরি হয় বিজেপির অন্দরে। অবশেষে সেই কমিটির মাথায় আরও একটি কমিটি তৈরি করা হল। যার মাথায় রাখা হয়েছে সুকান্তকে। শনিবার দলের সল্টলেকের রাজ্য দফতরে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই এই কমিটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, অত্যন্ত ভারসাম্য বজায় রেখেই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
ওই কমিটিতে সুকান্তের পরেই নাম রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এর পরে রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর এবং জন বার্লার নাম রয়েছে। এর পরেই জায়গা পেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এখন রাজ্য বা সর্বভারতীয় কোনও দায়িত্বই নেই মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপের। ইদানীং, তাঁর কাজকর্ম দেখে এটাও মনে হয়েছে যে তিনি নিজের আসন ছাড়া অন্য এলাকা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে চাইছেন না। তবে রাজ্য বিজেপি যে, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপকে লোকসভা নির্বাচনেও গুরুত্ব দিতে চায় সেই বার্তা দিয়ে দিল কমিটিতে জায়গা দিয়ে। দিলীপের পাশাপাশি কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন আর এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংও।
Suvendu Adhikari: বিধায়কদের নিয়ে অযোধ্যা যাত্রা শুভেন্দুর, রামমন্দির দেখে ফের কর্মসূচীতে যোগ দেবেন বিরোধী দলনেতা
সোমবারই অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়ে গেল রামলালার। প্রধানমন্ত্রীর হাতেই রামমন্দিরের উদ্বোধন ও প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান দেখতে মুখিয়ে ছিলেন গোটা ভারতবাসী। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরদিন সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দ্বার। প্রথমদিনেই দর্শকের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এবার রাম দর্শনে যাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তিনি একা নন যাবেন আরও অনেক বিজেপি বিধায়ক। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কলকাতা ও হাওড়া জেলাতেই কর্মসূচী পালন করেছেন তিনি। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি দলীয় বিধায়কদের নিয়ে অযোধ্যায় রামমন্দির দর্শনে যাবেন বলে সূত্রের খবর।
Suvendu Adhikari On DA : "নবান্ন অভিযান ডাকুন, আমি থাকব", ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে শুভেন্দু
মঙ্গলবার সকালেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্নামঞ্চে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেছেন, প্রয়োজনে ডিএ আন্দোলনকারীরা নবান্ন অভিযান ডাকলে তাঁদের সঙ্গে থাকবেন তিনি। তাঁর এও দাবি, সরকারি কর্মচারীদের পাশে পাবেন না বলেই ডিএ বন্ধ করেছে রাজ্য সরকার। বলেন, “ডাকুন নবান্ন অভিযান। আমি থাকব।”
এ দিন বিরোধী দলনেতা বলেন, “এই সরকারি কর্মচারীরা দেখেছেন আবাস যোজনায় ঘর না দিয়ে তৃণমূলের নেতা নিজের গোয়াল ঘর দেখিয়ে বাড়ি নিয়ে নিয়েছেন। এই সরকারি কর্মচারীরা দেখেছেন শৌচালয়ের টাকা গরিব মানুষকে না দিয়ে, হাজার হাজার টাকা তৃণমূল নেতারা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছেন। এই সরকারি কর্মচারীরা দেখেছেন চুরি, এই সরকারি কর্মচারীরা দেখেছেন স্থায়ী ৬ লক্ষ পোস্ট অবলুপ্ত করছে সরকার। অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করছেন চার হাজার থেকে বারো হাজার।”
Suvendu Adhikary: রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন রাজ্যের মিছিলে আপত্তি তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু
২২ জানুয়ারির রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা।রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিনে আবার কলকাতাতে সংহতি যাত্রার ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর এই বিতর্কিত কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এই মর্মে যে সংহতি যাত্রা হলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। বুধবারই জনস্বার্থ মামলার আবেদন জানান নন্দীগ্রামে বিধায়ক। মামলায় অন্যতম পার্টি হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। বৃহস্পতিবারই শুনানি হতে পারে এই মামলার।