Sunday, January 26, 2025

Logo
Loading...
upload upload upload

tmc

Sandeshkhali incident: এবার সন্দেশখালিতে গেলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা


ফের একবার অশান্ত সন্দেশখালি পরিদর্শনে জাতীয় মহিলা কমিশন। গত মঙ্গলবার জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি সন্দেশখালির হালদারপাড়া, পুকুরপাড়া ও লস্করপাড়ার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট পেশ করেন তাঁরা। এরপর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সোমবার পরিস্থিতি ফের খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালি পৌঁছলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা।



প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে শেখ শাহজান, শিবু হাজরা এবং তাঁদের দল বলের অত্যাচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন গ্রামবাসীরা। সেখানেই মহিলারা শেখ শাহজান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সামনে আনেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার রাজ্যে এলেন রেখা শর্মা। এই প্রসঙ্গে, বৃহস্পতিবার কমিশনের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়, “প্রশাসন নির্বিকার কারন তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট। পাশাপাশি কমিশনের তরফে নির্যাতিতাদের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা এবং দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করা হয়েছে। এদিন সন্দেশখালি পৌঁছে রেখা শর্মা বলেন, “অভিযুক্ত গ্রেফতার হলে সকলের ভয় কাটবে। এখন একজন মহিলা সাহস করে এগিয়ে এসেছে, এরপর আরও মহিলা সামনে আসবেন”। তিনি ইতিমধ্যেই এক নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানা যাচ্ছে।




উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সন্দেশখালি গিয়ে রাজ্যের মহিলা কমিশন জানিয়েছিলেন, কোনও মহিলা প্রকাশ্যে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেনি ।শনিবার রাজ্যপুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জানান, “একমাত্র একজন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে এছাড়া আমাদের কাছে সেরকম ভাবে কোনো রকম অভিযোগ জমা পড়েনি”। তিনি আরো বলেন যে, “যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবং সেই অভিযোগের যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে পুলিশ”।

Bengal Hour Bureau | 14:57 PM, Mon Feb 19, 2024

Sandeshkhali incident: এবার সন্দেশখালিতে গেল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল


গত কয়েক দিন ধরেই সন্দেশখালির পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরাদের গ্রেফতারির দাবিতে গত সপ্তাহে পথে নেমেছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের বিরুদ্ধে এলাকায় অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে আক্রমণ করেছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিরোধীদের উস্কানিতেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি। এবার সেখানে পৌঁছল শিশু সুরক্ষা কমিশনও। শনিবার সন্দেশখালিতে যান রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস, পরামর্শদাতা সুদেষ্ণা রায়-সহ মোট ৪ প্রতিনিধি। ঘুরে ঘুরে গ্রামগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন তাঁরা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে এক শিশুর উপর অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। এক শিশুকে তাঁর মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন পদক্ষেপ করে।



সন্দেশখালি পৌঁছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে পেয়ে ওই শিশুর মা জানান, সেদিন পর থেকে তাঁর বাচ্চাটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রীতিমত আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে বাচ্চাটি দিন কাটাচ্ছে। এরপর সুদেষ্ণা রায় জানান, “ শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। ২৪ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।“ পাশাপাশি শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সন্দেশখালিতে যেসব পড়ুয়া এইবছর পরীক্ষা দিচ্ছে সেসব পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির কী অবস্থা, সবরকম পরিষেবা পরীক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে কমিশন।



প্রসঙ্গত, বিগত কদিন ধরেই সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে উতপ্ত গোটা রাজ্য। আপাতত সন্দেশখালির ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সন্দেশখালির আঁচ পৌঁছেছে রাষ্ট্রপতির দফতরেও। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে এবিষয়ে। বিরোধীরা লাগাতার প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে। আজ সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রতিবাদে ও সেখ শাহজানের গ্রেফতারের দাবীতে পথে নামলো সারাভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্যারা । শনিবার বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করা হয়।বর্ধমান স্টেশনে থেকে মিছিল করে কার্জনগেট চত্বরে হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখায় মহিলা সমিতির সদস্যারা।তবে কোর্ট কম্পাউণ্ডের দিকে রাস্তায় ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। রাজ্য মহিলা সমিতির নেত্রী অঞ্জু কর বলেন, “আমরা চাই অবিলম্বে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হোক।“
পাশাপাশি আজ বসিরহাটে আইএসএফ এর উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তাপস ব্যানার্জীর নেতৃত্বে হাজার খানেক কর্মী সমর্থক টাউন হল থেকে মিছিল করে এসে এসপি অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবী সন্দেশখালি কাণ্ডের যারা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহাজাহান শিবু হাজরা সহ যেসব অভিযুক্তরা আছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে । এরপর সন্দেশখালি কাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এসপি অফিসে ডেপুটেশন জমা দেয়।

Bengal Hour Bureau | 17:52 PM, Sat Feb 17, 2024

Supreme Court : নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বাংলা থেকে সরানো হোক সন্দেশখালি মামলা, আবেদন সুপ্রিম কোর্টে


বিগত ক'দিন ধরেই খবর শিরোনামে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ওই এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী রাতের পর পর মেয়ে-বউদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালাত। এবার এই অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়। চার দফা দাবিও জানানো হয়েছে। প্রথমত, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই বা সিট গঠন করে তদন্ত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মণিপুরের মতো সন্দেশখালিতেও হাই কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের কমিটি গঠন করে তদন্ত করতে হবে। তৃতীয়ত, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। চতুর্থত, প্রশাসনের যে সব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।


এদিন আইনজীবী অলোক বলেন, “সন্দেশখালিতে যে সব তথ্য উঠে আসছে তাতে বাংলায় সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া সম্ভব নয়, তাই ন্যায়বিচারের জন্য মামলাটি রাজ্যের বাইরে সরিয়ে আনা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করে তাঁকে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন, তার থেকে প্রমাণ হচ্ছে প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়।” এছাড়াও সন্দেশখালিতে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েনের আর্জিও জানান তিনি। সূত্রের খবর, দ্রুত তদন্ত সম্পূর্ণ করে দিল্লির ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে সময়সীমা বেঁধে বিচার প্রক্রিয়ার আবেদন জানিয়েছেন অলোক শ্রীবাস্তব।


প্রসঙ্গত, শুক্রবারই সন্দেশখালি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করার অনুমতি চেয়েছেন আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সন্দেশখালিতে দ্রুত সিআরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ। আগামী সোমবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।




উল্লেখ্য, আজও অধরা শেখ শাহজাহান। ৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু, সেই সময় তাঁর অনুগামীদের হাতে হেনস্থা হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। এই ঘটনার পর থেকেই শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মহিলাদের উপর অত্যাচার থেকে শুরু করে ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়া, আবাস যোজনার টানা না দেওয়া, জলের দরে জমি হাতিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গ্রামের মহিলাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। সন্দেশখালির আঁচ রাষ্ট্রপতির ভবন পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। আজ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সন্দেশখালি নিয়ে এক রিপোর্ট জমা দিয়েছে তফসিলি কমিশন।  

Bengal Hour Bureau | 16:21 PM, Fri Feb 16, 2024

Sandeshkhali incident: সন্দেশখালি যাওয়ার আগে বার বার পুলিশি বাধা, 'খালি হাতে' ফিরল BJP-র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম


সন্দেশখালি (Sandeshkhali) না গিয়েই কলকাতায় ফিরলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধি দল। সন্দেশখালিতে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার তরফে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম তৈরি করে দেওয়া হয়। সেই দলটির শুক্রবার সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। এই টিমে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সাংসদ সুনীতা দুগ্গল, কবিতা পাতিদার, সঙ্গীতা যাদব এবং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল। বাংলা থেকে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল ও সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।





আজ সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাসন্তী হাইওয়ের কাছে রামপুরে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধিদের আটকে দেয় বসিরহাট থানার পুলিশ। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করে বিজেপি। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকার জন্যই পুলিশ তাঁদের যেতে বাধা দেয়। এই পরিস্থিতি প্রতিনিধি দলের এক সদস্য সন্দেশখালিতে যাওয়ার জন্য আবেদন জানান। যদিও তাতেও রাজি হয়নি পুলিশ। কোনও মতেই সন্দেশখালিতে যাওয়া যাবে না বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। এরপর পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। এরপর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রায় ২ ঘণ্টা রাস্তার উপর বসে ছিলেন। তারপর বাধ্য হয়ে কলকাতায় ফেরেন।





প্রশ্ন উঠছে কেন বার বার কেন বিরোধীদের সেখানে যেতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ? কি চাপা দিতে চাইছে প্রশাসন? এবিষয়ে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “আগেই বলেছিলাম আমরা চারজন যাব, তাও আটকে দিল পুলিশ। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এমনকী মুখ্যমন্ত্রিও নন”।এনিয়ে বিজেপির তরফে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে। 





উল্লেখ্য, বুধবার সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালি যেতে চাইলে তাঁকে টাকিতে আটকে দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান তিনি। এরপর কলকাতার এক নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন  সুকান্ত। তারপর বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে সরবেড়িয়ায় বাঁশের ব্যারিকেড করে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দেয় পুলিশ। 





প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের নেতৃত্বে সন্দেশখালিতে গিয়েছিল তফসিলি কমিশন। জানা গিয়েছে, কমিশনকে সামনে পেয়ে গ্রামের মহিলারা তাঁদের অভিযোগ জানান। রাতের পর রাত তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের উপর যে অত্যাচার চলত সে কথা তুলে ধরেন। তাঁদের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল ১১ টায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দেয় তফসিলি কমিশন। তবে রিপোর্টে কি আছে তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি কমিশনের প্রতিনিধিরা।

Bengal Hour Bureau | 15:00 PM, Fri Feb 16, 2024

Idrish Ali: প্রয়াত ইদ্রিশ আলি,  শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল 


শুক্রবার ভোর ২টো ২০ মিনিটে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে
প্রয়াত হলেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি। বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। সূত্রের খবর আজই পার্কসার্কাসের একটি কবরস্থানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন।

করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই আরও অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি। বেশকিছু দিন থেকেই হাঁটাচলায় সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। এরপর কদিন আগেই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। এরপরই আজ তাঁর মৃত্যু হয়। অসুস্থতার কারনে চলতি বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি তিনি। ইদ্রিসের মৃত্যুতে শুক্রবারের বিধানসভার বাজেট অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে।

ইদ্রিস আলি পেশায় ছিলেন আইনজীবী। সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে আইন নিয়ে পাশ করার পর রাজনীতিতে যোগ দেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন ছিল বেশ বর্ণময়। রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন কংগ্রেস কর্মী হিসেবে। এরপর সোমেন মিত্রের হাত ধরেই তৃণমূলে পা রাখেন তিনি। ২০১৪ সালে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি।এরপর ২০২১ সালের বিধানসভাভোটে ভগবানগোলা থেকে জয়ী হন।

রাজনীতিতে আসার পর থেকে একাধিক বিতর্কে জড়ান ইদ্রিস আলি। কখনও বিডিও দফতরে দলীয় সভা করা বা লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অঞ্চল সভাপতি পদ বিক্রির অভিযোগ আনা। প্রায়শই শিরোনামে আসতেন তিনি। বাম জমানার শেষের দিকে ২০০৭ সালে কলকাতায় একটি ধর্মীয় সংগঠনের হয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই পেট্রল বোমা ছুঁড়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন ইদ্রিস। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এক কংগ্রেস নেতার মন্তব্যের প্রতিবাদে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বই লিখে যদি কেউ অপপ্রচার করার চেষ্টা করে , তবে তাঁর জিভ, হাত-পা কেটে নেওয়া হবে।’’ এছাড়াও অধীর চৌধুরী, দিলীপ ঘোষের উদ্দেশে বলেছিলেন, “আবার যদি মিথ্যা ভাবে বই প্রচার করে, তাদের মুখমণ্ডলটা পাল্টে দেওয়া হবে।’’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর থেকে ধমকও খেয়েছিলেন তিনি।

শুধু বিরোধীদের সম্পর্কে নয়, বেশকিছু সময়ে নিজের দলের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের আগে ওই আসনে হারের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ইদ্রিস। মুসলিম প্রার্থী না থাকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এরপর মমতা তাঁকে দলীয় বৈঠকে তীব্র ভৎসনা করেছিলেন।যদিও এতকিছুর পর তিনি বা তাঁরদল পরস্পরকে ছাড়েনি। উল্টে প্রশাসনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

Bengal Hour Bureau | 13:21 PM, Fri Feb 16, 2024

Mimi Chakraborty: প্রার্থী না হতে চেয়ে মমতাকে চিঠি সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর 

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার ঠিক আগেই তৃণমূলের অন্দরে জোর কোন্দল। একের পর এক সাংসদদের ইস্তফা নিয়ে বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস। কদিন আগেই ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব ইস্তফা দেন। যদিও শেষপর্যন্ত তাঁকে মানিয়ে ধরে রেখেছেন মমতা ব্যানার্জি। এবার দেবের দেখানো পথেই হাঁটলেন আরেক তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।


গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মমতাকে চিঠি লেখেন মিমি। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁকে বিধানসভায় ডাকা হয়। সেইমত আজ সকালে উপস্থিত হন তিনি। সূত্রের খবর একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর চিঠিতে। চিঠিতে তিনি জানান তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। নানানভাবে বহু জায়গায় হেনস্থার শিকার হচ্ছেন তিনি । তবে জানা যাচ্ছে চিঠিতে কারোর নাম উল্লেখ করেনি মিমি। তবে সূত্রের খবর, নিজের দলের বিরোধী গোষ্ঠীর ওপর ক্ষোভের কারনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারকা সাংসদ। শুধু তাই নয়, করোনাকালে যাদবপুর কেন্দ্রে কী কী কাজ করেছেন, সেই কথাও চিঠিতে লিখে জানিয়েছেন মিমি।



প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথমবারের জন্য তৃণমূলের টিকিটে যাদবপুর থেকে লোকসভা ভোটে লড়েন তিনি। এরপর সিপিআই(এম) এর নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে হারিয়ে সাংসদ হন অভিনেত্রী।


এদিন মিমি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “ রাজনীতি আমার জন্য না। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি যদি কিছু বাজে কাজ করতাম বা করেছি তাহলে তো আপনারাই সবার আগে দেখাতেন। আমি নিজের দল তো ছেড়েই দিন অন্য দলকে নিয়েও কখনো খারাপ কথা বলিনি। তাহলে আমাকে কেন এত খারাপ কথা শুনতে হবে। আমি দিল্লিতে থাকলে বলা হয় সাংসদ তো দিল্লিতেই থাকেন আবার কলকাতায় থাকলে বলা হবে আমি তো দিল্লিতেই যাই না। আমি আজ আমার কাজের হিসাব দিতে আসিনি। এমপি ল্যাড ইউটিলাইজেশনে কার নাম এক নম্বরে আছে দেখে নিন। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে খুব ভালোবাসেন। স্নেহ করেন। আমি দুই দিন আগে আমার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দিদির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু উনি এখনও সেটা অ্যাকসেপ্ট করেননি। উনি অ্যাকসেপ্ট করলে আমি লোকসভার স্পিকার কে পাঠিয়ে দেবো। আমার যে অভিযোগ ছিলো সেটা আমি দিদিকে জানিয়েছি। দেখি উনি কি স্টেপ নেন। কাদের কাছ থেকে বাঁধা পেয়েছি, সেটা আমার দলের সুপ্রিমোকে জানিয়েছি।“
“তিনি আরও বলেন,”দলের সদস্যপদ এখনও রয়েছে। আইনত রাজনীতি থেকে সরতে গেলে যা যা করার সেটাই আমি করেছি। আমি প্রার্থী হতে চাই না।“


এদিন মিমির ইস্তফা প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ শিল্পীরা আজ বীতশ্রদ্ধ। তৃণমূল নিজের স্বার্থে এই শিল্পীদের ব্যবহার করে। নিজেদের পাক এই শিল্পীদের গায়ে ফেলে দেয়।” বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, যারা গণতন্ত্র লুঠ করার চক্রান্ত দেখতে পারছেন না তারাই বেরিয়ে আসছেন, কেউ আগে মুখ খুলছে, কেউ পরে।”

Bengal Hour Bureau | 17:50 PM, Thu Feb 15, 2024

Sandeshkhali Incident : সরবেড়িয়ায় আটকানো হল বাস, রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুভেন্দুর


বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে ফের একবার সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। যদিও ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। তার মধ্যেই ১৪৪ ধারার নিয়ম মেনে মাত্র তিন জন বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বাসে করে সন্দেশখালি যাওয়ার প্রস্তুতি নেন শুভেন্দু। তিন জন বিজেপি বিধায়কের মধ্যে ছিলেন তাপসী মণ্ডল, চন্দনা বাউড়ি এবং শঙ্কর ঘোষ।


এদিন বিধানসভার সামনে থেকে তাঁদের বাস ছাড়ে। বাসে ওঠার আগে শুভেন্দু বলেন, “আজ যদি পুলিশ তাঁদের আটকায় তাহলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন”। যদিও বাসন্তী হাইওয়েতে কিছুক্ষণের জন্য তাঁদের বাস আটকায় পুলিশ। পরে ছেড়েও দেওয়া হয়। এরপর ফের সরবেড়িয়াতে আটকে দেয় পুলিশ। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেখানে এক কর্তব্যরত এসডিপিও জুতো দিয়ে শুভেন্দুর পায়ে আঘাত করেন। তারপরই শুভেন্দু সহ বিজেপির নেতারা রাস্তায় বসে পরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার পথে সায়েন্স সিটির কাছে শুভেন্দুকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ।


অন্যদিকে শুভেন্দুর সন্দেশখালি যাত্রা আটকাতে পুলিশি তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। সন্দেশখালির আগে রামপুরে ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা ঘিরে রাখে প্রশাসন। জায়গায় জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নামানো হয়েছে ব়্যাফ। ধামাখালির রামপুর থেকেই জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। গোটা এলাকাকে দুর্গে পরিণত করে ফেলেছে প্রশাসন।


উল্লেখ্য বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির অভিযানকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তাঁর অনুগামীদের হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এক আধিকারিকের মাথা ফাটে। ইডির পাশাপাশি হামলা চালানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও। তবে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।


এরপর শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসে। গ্রামবাসীরা তাঁর গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামেন। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। যদিও মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় সরকার। তবে বুধবারে নতুন করে ১৯টি জায়গা স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া, দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়া, দাউদপুর, ধামাখালি ঘাট, হালদার পাড়া, পিঁপড়ে খালি ঘাট সহ আরও বেশ কিছু জায়গায় আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।


ইতিমধ্যে রাজ্যপাল গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। পিছিয়ে নেই কোনও রাজনৈতিক দলও। মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস অভিযান করে বিজেপি। তাকে ঘিরে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিজেপি ও পুলিশের মধ্যে। এরপর বুধবার টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে সুকান্ত এবং কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের আটকে দেয় পুলিশ। সেসময় বচসার জেরে আঘাত পান সুকান্ত যার জেরে তিনি কলকাতার এক নার্সিংহমে চিকিৎসাধীন।

Bengal Hour Bureau | 15:09 PM, Thu Feb 15, 2024

Chopra Incident : সন্দেশখালির পাল্টা চোপড়া! রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ তৃণমূল প্রতিনিধি দলের

চার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার রাতে চোপড়ার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনাগছ এলাকায় যান। সন্তান হারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিনিধি দলের কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, “বিএসএফ চাইলেও এই দায় এড়াতে পারে না। এত বড় একটা কাজ করা হয়েছে অথচ কোনও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি। অন্তত স্থানীয় প্রশাসন মহলে বিষয়টি নজরে আনতে পারতেন। তাহলে হয়তো এই অঘটন ঘটত না”।



পাশাপাশি তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে বিনীত অনুরোধ করেন অন্তত একবার এই এলাকা এসে পরিদর্শন করে যাওয়ার। রাজ্যপাল সন্দেশখালি যেতে পারলে এখানেও আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন। অন্য এক প্রতিনিধি সদস্য অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, “এখানকার সমস্ত রিপোর্ট রাজ্যতে পাঠানো হবে। নালা তৈরির সময় এলাকায় সাইনবোর্ড সহ বিভিন্ন সতর্কবার্তা অবলম্বন করা উচিত ছিল বলে তিনি মনে করেন।”


অন্যদিকে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল এদিন চোপড়া কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টচার্য, ব্রাত্য বসু, বীরবাহা হাসদা, দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সহ আরও অনেকে। তাঁরা রাজ্যপালের কাছে চোপড়া পরিদর্শন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট পাঠানোর আবেদন জানান।


চন্দ্রিমা বলেন, "আমরা আমাদের দলের তরফে একটি ডেপুটেশনে দিতে রাষ্যপালের কাছে গিয়েছিলাম। উত্তর দিনাজ পুরের চোপড়ায় হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে। আমরা রাজ্যপালকে বললাম, আপনি ঘটনা স্থলে যান। বিএসএফ অবৈধ ভাবে কাজ করছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানান। আপনি সন্দেশখালীতেও কাটছাঁট করে গিয়েছিলেন। এবারও চোপড়ায় যান।"


কুণাল ঘোষ বলেন, "আপনি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তা ভিত্তিহীন। পক্ষপাত দুষ্ট। আপনি রাজ্য সরকারের কাছ থেকেই রিপোর্ট চান। সিপিএম, বিজেপি ও আইএসএফের নেতারা যে গ্ৰেফতার হয়েছেন তাঁরা এতদিন ধরে কিছু বলেননি কেন? রাজ্যকে কলুষিত করছে। সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। এই কুৎসিত বার্তা দেওয়ার যে চেষ্টা হচ্ছে তা মিথ্যা।"


অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল। BSF এর ভয়ঙ্কর গাফিলতির অভিযোগ তুলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দলটি। গ্রামবাসী ও পরিবারের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলছেন। গতকাল রাতেই BSF এর সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিনিধি দল। BSF স্বীকার করেছেন যে এই ঘটনায় সাবধানতা অভাব ছিল বলে জানিয়েছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল।

Maitreyi Mukherjee | 14:08 PM, Thu Feb 15, 2024

Sukanta Majumdar : বমি বমি ভাব সুকান্তর, স্যালাইন ছাড়া কিছুই নিতে পারছেন না

মঙ্গলবার সুকান্তের সন্দেশখালি যাত্রা নিয়ে টাকিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ টাকির এক হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর ইছামতীর পাড়ে বসে সরস্বতী পুজো করে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। এরপরই সেখানে সুকান্ত সহ বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়। বচসা চলাকালীন পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যাওয়ায় সুকান্ত মজুমদারকে জোর করে নামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সেই ধস্তাধস্তিতে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান তিনি। এরপর তাঁকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে ভর্তি করে বিজেপি কর্মীরা। যদিও স্থানীয় হাসপাতালে তাঁর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাতেই তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। নিউরো ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে তাঁকে। রাতেই তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে পেটে, বুকে, মাথায়, ঘাড়ে ও স্পইনাল কর্ডে। ডঃ এস এন সিং এর নজরদারিতে ভর্তি রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, স্যালাইন ও অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ।


গতকালই দিল্লি থেকে ফিরে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আমার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে বাংলার মানুষের কাছে রিপোর্ট দেওয়া। আমি রাজ্যর নির্বাচিত সরকারের কাছে, রিপোর্ট চেয়েছি অপেক্ষা করছি, তারপর দরকার পড়লে রিপোর্ট পাঠাব দিল্লিতে। আমায় কিছুটা সময় দিন। সংবিধানের ১৭৫ (২) ধারা অনুযায়ী আমার নির্দেশিকা সরকারের কাছে পৌঁছে যাবে। তারপরে এই বিষয়ে আমি কথা বলব।”
এরপর সোজা সেখান থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দেখতে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছে যান। সুকান্তর চিকিৎসা ভালো চলছে বলে জানান তিনি।


সুকান্ত প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আই সি ইউ তে আছেন সুকান্ত, তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শারীরিক হেনস্থা হয়েছে তাঁর। আমার মনে হয় মমতার নির্দেশেই হয়েছে। স্যালাইন ছাড়া কিছু নিতে পারছেন না। বমি ভাব আছে। ওঁর বিশ্রাম দরকার। ভালো চিকিৎসা হচ্ছে। যদিও আমরা ক্রস চেক করেও চিকিৎসার উপর নজর রাখছি।” এরপরই সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলেন, "৯২০ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। প্রত্যেক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে আমরা আছি। গ্রেফতার হলে আমরা দাঁড়াব তাঁদের পাশে।" সেই সঙ্গে আজ ফের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

Bengal Hour Bureau | 13:52 PM, Thu Feb 15, 2024

Sukanta Mazumdar : টাকিতে অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হল হাসপাতালে

মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানকে ঘিরে খণ্ড যুদ্ধ বাধে বিজেপি ও পুলিশের মধ্যে। আটক করা হয় সুকান্ত এবং কয়েক জন বিজেপি কর্মীদের। পরে সুকান্তকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদিন ফের সন্দেশখালিতে যাবেন বলে জানান তিনি। রাতে টাকির একটি হোটেলে ছিলেন সুকান্ত। পরিকল্পনা ছিল হোটেলেই সরস্বতী পুজো করে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেবেন। এদিকে তাঁকে সন্দেশখালি যাওয়া থেকে আটকাতে হোটেলে মোতায়েন ছিল পুলিশও। কিন্তু, বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে নিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর ইছামতীর পাড়ে বসে সরস্বতী পুজো সারেন। পূর্বপরিকল্পনা মাফিক টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এরপরই বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়।


জানা গিয়েছে, বচসা চলাকালীন পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যান সুকান্ত। গাড়ি থেকে সুকান্ত মজুমদারকে জোর করে নামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু, ধস্তাধস্তিতে তিনি গাড়ি থেকে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারান। তারপর চোখেমুখে জল দিয়ে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। ওই সময় তড়িঘড়ি তাঁকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায় সুকান্তর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও বিজেপি কর্মীরা।



বিজেপির দাবি, সরস্বতী পুজোর জন্য উপোস করেছিলেন সুকান্ত। ধস্তাধস্তির সময় পুলিশের গাড়ির চালক গাড়ি চালিয়ে দেওয়াতেই পড়ে যান তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।


প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে ইডি। মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের। ইডির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও হামলা চালানো হয়। যদিও সেই ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর আচমকা শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের মধ্যে অত্যাচার চালাত শাহজাহান। ঘর থেকে বউদের তুলে যেত তাঁর শাগরেদরা। শুধু তাই নয় আবাস যোজনা, ১০০ দিনের টাকাও তাঁরা পাননা বলে অভিযোগ করছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। সেখানে প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখলিতে ১৪৪ ধারা তুলে নিতে বাধ্য হয় রাজ্য। এরপর নতুন করে ফের ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া, দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়া, দাউদপুর, ধামাখালি ঘাট, হালদার পাড়া, পিঁপড়ে খালি ঘাট সহ আরও বেশ কিছু জায়গায়। তার মধ্যেই আজ সন্দেশখালিতে যেতে উদ্যত হন সুকান্ত।


Bengal Hour Bureau | 17:44 PM, Wed Feb 14, 2024

Sandeshkhali: ফের ১৪৪ ধারা জারি সন্দেশখালিতে 

গোটা সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ভৎসনার মুখে পরে রাজ্য প্রশাসন। আদালত ১৪৪ ধারা জারির করার কারন জানতে চাইলে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি রাজ্য। এরপরই ১৪৪ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন,” কোন কোন অঞ্চলে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি,১৪৪ ধারা জারি করার আগে প্রশাসনের পুরো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল”। ফলে আদালতের রায় মেনে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় রাজ্য। তবে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টা থেকে নতুন করে ১৯টি জায়গা স্পর্শকাতর উল্লেখ করে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধামাখালি ঘাট সহ সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। যার মধ্যে সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া, দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়া, দাউদপুর, ধামাখালি ঘাট, হালদার পাড়া, পিঁপড়ে খালি ঘাট সহ আরও বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

বেশ কদিন ধরেই অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি। অবিলম্বে শাহজাহানকে গ্রেফতারে দাবিতে গতকাল বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে যান বিজেপির সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি কর্মীরা। অভিযানকে ঘিরে তুমুল অশান্তি হয় বসিরহাটে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় উত্তেজিত বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। সব মিলিয়ে ধন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে। বিজেপির মহিলা কর্মী সমর্থক সহ বেশ কিছু বিজেপি কর্মীরা আহত হয়। এরপর বাসন্তী ব্লকের পালবাড়ি বাজারের রাস্তা অবরোধ করে সন্ধ্যা থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তাদের বিক্ষোভের মূল কারণ ছিল রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ হাজারের বিজেপির কর্মী সমর্থক ও মহিলাদের উপর পুলিশি প্রশাসনের ও নির্বিচার।যার জেরে তারা পথ অবরোধ করে।

পাশাপাশি, মঙ্গলবার দুপুরে সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন ও সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়নের ডাকে একাধিক দাবি দাওয়াকে সামনে রেখে বহরমপুরে জেলা শাসক দফতর অভিযান কে কেন্দ্র করে উতপ্ত হয়।উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও জেলার সিপিএমের নেতৃত্বরা।সভা শেষ করেই জেলা শাসক অফিস অভিযান করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে বাম কর্মীদের ।পুলিশ কে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট ছুড়তে থাকেন বাম কর্মীরা। পাল্টা পুলিশ কাঁদানী গ্যাসের সেল ফাটায় এবং লাঠি চার্জ করে। ঘটনাকে ঘিরে রনক্ষত্রের চেহারা নেয় বহরমপুর শহর।

Bengal Hour Bureau | 11:19 AM, Wed Feb 14, 2024

High court on Sandeshkhali : সন্দেশখালি নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের

উত্তপ্ত সন্দেশখালিকে শান্ত করতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল রাজ্যপ্রশাসন। এই নিয়ে মঙ্গলবার মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই প্রশ্নের মুখে পরে রাজ্য। এদিন আদালত ১৪৪ ধারা জারির কারন জানতে চায় রাজ্যের কাছে। কিন্তু তা নিয়ে কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি প্রশাসন। এরপরই ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। গোটা পরিস্থিতিকে খুব যত্ন নিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে বলে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সাথে এলাকায় বেশি করে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, "কোন কোন এলাকায় গণ্ডগোল হচ্ছে তা উল্লেখ করা হয়নি ১৪৪ ধারা জারির বিজ্ঞপ্তিতে। ১৪৪ ধারা জারি করার আগে পরিস্থিতি পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল বলে বলে তাঁর মত। এ কদিন যা যা ঘটনা সামনে এসেছে, তা নিয়ে বিচারপতি বলেন, “যে সব অভিযোগ আসছে সেটা গুরুতর”। পুলিশ তিন বছর ধরে মামলা গ্রহণ করেনি, মহিলাদের নিরাপত্তার অভাব আছে”। ১৪৪ ধারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২-৩ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি হলেও বোঝা যেত কিন্তু গোটা সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করার  এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয়তা নেই”।


এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, “১৪৪ ধারা জারি করা ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ আছে। এ ক্ষেত্রে তা মানেনি রাজ্য”।

প্রসঙ্গত, আজ বিজেপির এসপি অফিস অভিযানকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বসিরহাট। শেখ শাহাজানকে গ্রেফতার এবং  বিকাশ সিংহের মুক্তির দাবিতে বিজেপির পক্ষ থেকে বসিরহাট এসপি অফিস অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুটো থেকে এসপি অফিস অভিযান শুরু হয় বসিরহাটে বিজেপির সাংগঠনিক দলীয় কার্যালয় থেকে। সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে এক বিশাল মিছিল করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সকাল থেকেই এই অভিযান ঘিরে পুলিশের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। বসিরহাট এসপি অফিসের সামনেই পুলিশের বিশাল ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়। ব্যারিকেডের সামনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পৌঁছানোর পর পুলিশের সাথে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এরপরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের, তারপর ইট বৃষ্টি করা হয় বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। পুলিশের দাবি বিজেপির মিছিল থেকেই প্রথমে ইট ছোড়া হয় পুলিশের দিকে।  তারপরেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। একই সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় উত্তেজিত বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার লক্ষ্য রেখে। সব মিলিয়ে ধন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে। বিজেপির মহিলা কর্মী সমর্থক সহ বেশ কিছু বিজেপি কর্মীরা আহত হয়।

Maitreyi Mukherjee | 18:03 PM, Tue Feb 13, 2024

Sandeshkhali News: তৃণমূলের প্যান্ডোরা বক্স খুলে যাবে : সুকান্ত মজুমদার


সন্দেশখালির উত্তাল পরিস্থির মাঝেই ট্রেনে চেপে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন সুকান্ত মজুমদার। বসিরহাটের উদ্দেশ্যে হৃদয়পুর স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে রওনা দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। রাস্তায় পুলিশের বাধ আটকাতে সুকান্ত বাবুর এই পদক্ষেপ। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি এদিন বলেন, “১০০০ টাকা দিয়ে বাংলার মহিলাদের ইজ্জত নেবেন এটা বিজেপি চলতে দেবে না।রাজ্যসরকার ভয় পাচ্ছে, বিজেপি গেলে তৃণমূলের প্যান্ডোরার বক্স খুলে যাবে, তাই বিজেপিকে ওখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না”। তাঁর আরও দাবি, “পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে শাহজাহানকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে”।



মঙ্গলবার এপ্রসঙ্গে বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান বলেছেন, 'সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আগুনে ঘি ঢালার চেয়ে, আগুন নেভানো উচিত”।



উল্লেখ্য মঙ্গলবার পুলিশের এক ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার সহ ১০ জনের মহিলা পুলিশের দল সন্দেশখালিতে পৌঁছেছে। সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের সমস্যার কথা শোনেন বলে জানা যায়। মঙ্গলবার ইন্টারনেট পরিষেবা পুনর্বহাল করা হয়েছে। এর আগে বেশ কয়েকদিন একালায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।


এখনও উত্তপ্ত সন্দেশখালি। অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। গোটা ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। প্রকাশ্যে এসেছে শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনী। পরিস্থিতির হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে সোমবার সন্দেশখালি যান রাজ্যপাল। সেখানেই গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলার পর যথা সম্ভব সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। যদিও সোমবার সন্দেশখালি যাওয়ার মাঝপথে শুভেন্দু অধিকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। ইতিপূর্বে হিংসায় জড়িত থাকার কারনে তৃণমূলের উত্তম সর্দার ও বিজেপির বিকাশ সিংহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও ফের গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। সন্দেশখালিকাণ্ডে শেখ শাজাহান,শিবু হাজরার গ্রেফতার এবং সন্দেশখালীর প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার ও বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার আহবায়ক বিকাশ সিংহের নিঃশর্তে মুক্তির দাবীতে সিপিআইএম ও বিজেপির পৃথক পৃথকভাবে আজ দুপুর থেকেই বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে বিজেপি ও সিপিআইএম এর । বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিজেপির এই ঘেরাও আন্দোলন কর্মসূচীতে অংশ নেবেন। সিপিআইএমের স্থানীয় নেতৃত্ব ও রাজ্যনেতৃত্বের ও সেখানে যাবার কথা আছে। তার আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।গোটা এলাকা জুড়ে পুলিশি টহলদারি চলছে সাথে মাইকিং এর মাধ্যমে পাঁচজনের বেশি এক জাগায় জমায়েত করা যাবে না বলে প্রচার করা হচ্ছে। যদি কেউ জমায়েত করে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করবে বলে জানানো হচ্ছে। বসিরহাটের সংগ্রামপুরে এসপি অফিসের থেকে ৫০০ মিটার দূরে সামনে এবং পেছনে উভয় দিকেই ব্যারিকেট দিয়ে রাখা হয়েছে। ইছামতি নদীর ওপর যে ব্রীজ রয়েছে সেই ব্রীজ টপকে কোন রকম ভাবেই ব্যারিকেড ভেঙ্গে ভিতরে না প্রবেশ করতে পারে তার জন্য প্রশাসন যথেষ্ট সক্রিয়।



Maitreyi Mukherjee | 15:25 PM, Tue Feb 13, 2024

Sandeshkhali incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিস্ফোরক স্মৃতি ইরানি


বিগত কদিন ধরে উত্তাল সন্দেশখালি। ইতিমধ্যে সেখানে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বঙ্গের রাজনীতিতে তার আঁচ পড়েছে যথেষ্ট।আজ সকালে গোটা পরিস্থিতির হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে জান স্বয়ং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।এরমাঝেই সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সেখনানেই “বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের গুন্ডারা হিন্দু পরিবারের অল্পবয়সী মেয়েদের ধর্ষণ করছে' বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।


স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে যৌন শোষণের অভিযোগের ঘটনা সামনে আসায় নিন্দার ঝড়ের মুখে পড়েছে রাজ্য। অভিযোগের তীর তৃণমূল জেলা পরিষদের সদস্য শেখ শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদ বিরুদ্ধে। রেশন দুর্নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগে তাকে খুঁজছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও।


সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে একজন মহিলা অভিযোগ করেছেন তাঁদের রাতে তৃণমূলের অফিসে টেনে নিয়ে যায় শাহজাহানবাহিনী তারপর সারারাত চলে যৌন নির্যাতন। সেই ভিডিও এর সূত্র ধরে বিজেপি নেত্রী বলেন,"অল্প বয়সী হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে”।

এদিন স্মৃতি কটাক্ষর সুরে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন তার দলের ছেলেদের হিন্দু বিবাহিত নারীদের তুলে নিয়ে গিয়ে টিএমসি অফিসে রাতের পর রাত ধর্ষণের অনুমতি দিচ্ছেন” নাগরিক হিসেবে আমরা কি নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারি?



গত কয়েকদিন ধরে, সন্দেশখালীতে বিপুল সংখ্যক নারী লাঠি ও ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, অভিযোগ করেছেন যে শেখ শাহজাহান ও তার "দল" জোরপূর্বক জমি দখল করেছে, এবং তাদের যৌন শোষণ করেছে। গত মাসে রেশন কেলেঙ্কারির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একটি দল তার বাড়িতে অভিযান চালাতে যাওয়ার পর থেকে পলাতক  শাহজাহান। সেদিন ইডির ওপর হামলা চালায় তাঁর বাহিনী। এমনকি ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা পেত না বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। ভয়ে কিছু বলতে পারতেন না তাঁরা,  মুখ খুলতে গেলে মিলত প্রাননাশের হুমকি। এখনও অধরা শাহজাহান যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, গ্রামেই আছে শাহজাহান।  


আজ সকালে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের অন্যান্য বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালিতে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়।



রাজ্জ্যপাল আজ সন্দেশখালি পরিদর্শনে যান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ শোনেন এবং আশ্বাস দেন তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী তিনি যতটা সম্ভব সাহায্য করবেন।


রাজ্যপালের সফরকে স্বাগত জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সাংবাদিকদের বলেছেন যে, "হিংসায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।রাজ্য মহিলা কমিশনও এলাকা পরিদর্শন করেছে এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে”।





Bengal Hour Bureau | 22:07 PM, Mon Feb 12, 2024

Sandeshkhali : "আমাদের বাঁচান...", অশান্ত সন্দেশখালিতে রাজ্যপালের কাছে কাতর আর্জি মহিলাদের 

সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। বিগত কদিন ধরেই তৃণমূলনেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও। এদিকে ১৪৪ ধারা জারি থাকায়ে সন্দেশখালিতে বিরোধীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। তাই সেখানে ১৪৪ ধারা তোলার দাবিতে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ধারা তোলা না হলে, সেই ধারা ভেঙে সেখানে প্রবেশ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এদিকে মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। বামেরাও সোমবার সন্দেশখালিতে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে।


এর মাঝেই সোমবার সকালে সন্দেশখালি পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেরালা সফর কাটছাঁট করে সন্দেশখালিতে যান তিনি। কিন্তু, সকাল ১১টা নাগাদ মালঞ্চের কাছে পৌঁছতেই রাজ্যপালের কনভয় আটকে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তারা। রাস্তার দু’পাশে প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার হাতে নিয়ে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবি তুলতে দেখা যায় তাদের। বিক্ষোভের জেরে মিনাখাঁ বিডি অফিসের সামনে প্রায় চার মিনিটের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল রাজ্যপালের কনভয়। তারপর পুলিশের হস্তক্ষেপে সেখান থেকে আবার সন্দেশখালিতে রওনা দেন তিনি। রাজভবনসূত্রে খবর, এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথাও বলেছেন সি ভি আনন্দ বোস।


রাজ্যপাল সন্দেশখালি পৌঁছলে তাঁকে উলুধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানান স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন সিভি আনন্দ বোস। রাখিও পরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যপালের হাতে। তারপরই দীর্ঘদিন ধরে চলা, শাহজাহান শেখ সহ উত্তম সদ্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরার অত্যাচারের বর্ণনা তুলে ধরা হয় রাজ্যপালের সামনে, লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে উত্তম তবে এখনও অধরা শিবু আর তা নিয়েই খবর আগুনে ফুটছে সন্দেশখালির বাসিন্দারা। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও রাত হলেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ও প্রশাসনের একাংশ মিলে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকি দিচ্ছে বলেও মহিলারা অভিযোগ করেন রাজ্যপালের কাছে। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ শুনে গ্রামবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। মহিলাদের কাতর আরতি "আমাদের বাঁচান"। রাজ্যপাল জানান, “যা করার করব”।


এদিকে সন্দেশখালি নিয়ে ফের সরগরম বিধানসভা। “সঙ্গে আছি সন্দেশখালি” লেখা জামা গায়ে দিয়ে অধিবেশনে ঢোকেন বিজেপি বিধায়করা। তাতে আপত্তি জানিয়েছেন স্পিকার। এমন ঘটনায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। হুইসেল বাজান তাঁরা। শেষে ওয়াকআউট করেন। এরপর মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বিজেপি পরিষদীয় দলকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। পরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব সংশোধন করে ৬ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। ওই ছয়জনের মধ্যে রয়েছেন বঙ্কিম ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, শুভেন্দু অধিকারী, তাপসী মণ্ডল, মিহির গোস্বামী ও শংকর ঘোষ। তৃণমূল পরিষদীয় দলের দাবি, “শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি পরিষদীয় দল অভব্য আচরণ করেছে। অধিবেশনের কাগজপত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। হুইসল বাজানো হচ্ছিল। এমন আচরণ দেখেই বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।”


শুভেন্দুর দাবি, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসেন না। বিধানসভায় সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেননি। আমরা প্রশ্ন তোলায় সাসপেন্ড করা হয়েছে। সন্দেশখালির মা বোনেদের সম্মান বাঁচাতে যদি এভাবে সাসপেন্ড করা হয় তাহলে ভয় করব না লড়াই করে যাব”। জানা যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাসন্তী হাইওয়েতে ওঠার আগেই আটকে দিয়েছে পুলিশ।


সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আজ সকালে রাজ্যের মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছি,তাঁরা রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”

Bengal Hour Bureau | 15:23 PM, Mon Feb 12, 2024

Anubrata Mondal : বীরভূমে কেষ্টতেই ভরসা তৃণমূলের! মঙ্গল কামনায় যজ্ঞের আয়োজন শহরজুড়ে


বীরভূমের দাপুটে নেতা ছিলেন তিনি। তাঁর নামে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। তিনিই ছিলেন বীরভূম জেলার শেষ কথা। তাঁর নির্দেশ ছাড়া বীরভূমের একটা পাতাও নড়ত না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন তিনি। কিন্তু, এখন তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গরু ও কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি ও সিবিআই। প্রায় দেড় বছর আগে ১১ অগাস্ট ২০২২ সালে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এখন অবশ্য তিহাড়ের চার দেওযালের মধ্যেই তাঁর দিন কাটছে। বহুবার জামিনের জন্য আবেদন করেছেন তিনি। কিন্তু, প্রতিবারই তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এদিকে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু, তাঁকে ছাড়া নির্বাচন তৃণমূল কতটা দাগ কাটতে পারবে সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, অনুব্রত না থাকায় দলীয় কর্মীদের মনোবল অনেকটাই ভেঙে গিয়েছে। আর সেই কারণে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ময়দানে নেমেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। বহুবার বীরভূমে গিয়ে সভা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকী, জেল বন্দি কেষ্টর পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। কেষ্টর হয়ে প্রকাশ্য সভায় সুর চড়াতেও শোনা গিয়েছে তাঁকে। এরই মাঝে আচমকা বিশেষ হোমযজ্ঞের আয়জন করা হয়েছে বীরভূম তৃণমূলের তরফে। প্রশ্ন উঠছে কেন হটাৎ এই যজ্ঞের আয়জন করল দল? তবে কি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের গড়ে ফিরছেন অনুব্রত? জেলে যাওয়ার পরও যে অনুব্রত তাঁর স্নেহভাজন রয়েছেন তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। এমনকী, বীরভূমে কেষ্টই যে তাঁর একমাত্র ভরসার পাত্র তাও জানিয়েছেন তিনি। তারপর থেকেই আবারও কেষ্ট রব উঠেছে বীরভূমজুড়ে।

শহরজুড়ে পোস্টার পড়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের শুভকামনায় যজ্ঞ হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি। সকাল ৯টা নাগাদ বোলপুর রেলময়দান দুর্গামন্দির প্রাঙ্গণে এই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। তবে কারা এই যজ্ঞ করছেন, তা পোস্টারে উল্লেখ করা নেই ৷ যদিও, বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী জানান, “মানুষ তাঁর অনুপস্থিতি অনুভব করতে পারছে, আমাদের নিজেদেরকে অভিভাবকহীন মনে হচ্ছে তিনি না থাকায়, লোকসভা নির্বাচনে অনুব্রতর ছবি সামনে রেখেই ভোট হবে”।

Bengal Hour Bureau | 18:17 PM, Sat Feb 10, 2024

Sandeshkhali Incident : "বউদের তুলে নিয়ে যাওয়া হত পার্টি অফিসে", ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সন্দেশখালির মহিলাদের     

বেশ কয়েকদিন ধরেই অশান্তির আগুনে পুড়ছে সন্দেশখালি। বিক্ষোভ, অবরোধ, ভাঙচুর কোনও কিছুই বাদ যায়নি। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেখানে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। মূলত, তৃণমূলের অত্যাচারে জেরবার স্থানীয় বাসিন্দারা। দিনের পর দিন ধরে এলাকায় অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের ভয়ে তঠস্থ হয়ে ছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কিন্তু, এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এসে প্রতিবাদ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিগত কয়েক বছর ধরেই দলের নাম ভাঙিয়ে অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল নেতা শাহজাহান ও তাঁর দলবল। এলাকায় অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। কথা না শুনলেই স্থানীয়দের প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হত। শুধু তাই নয় তাঁদের সামনে নিরাপদ ছিলেন না মহিলারাও। অভিযোগ, কোন বাড়ির বউকে কেমন দেখতে, তাঁদের বয়স কত তা আগে দলের তরফে এসে দেখে যাওয়া হত। এরপরই স্বামীর কাছে যেত হুমকি। বলা হত, রাতে যেন বউকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একরাত বা দু-রাতের ঘটনা নয়, রাতের পর রাত তুলে নিয়ে চলত অত্যাচার। জোর করে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া হত। তারপর সকালে আবার বাড়িতে ফেরত পাঠানো হত বলে অভিযোগ। গ্রামের এক মহিলা বলেন, "ভোটের সময় অত্যাচারের মাত্রা দ্বিগুণ হত। জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হত মিটিং, মিছিলে। সেখানেই চাপ দেওয়া হত শাসকদল কে ভোট দিতে। ভোট না দিলে মিলত প্রাণনাশের হুমকি।" তাঁদের আরও অভিযোগ, ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা কোনও কিছুই তাঁরা পাননি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত থেকে সন্দেশখালির ১৬ টি পঞ্চায়েত জুড়ে প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। এর মাঝেই পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামের ১৭১ জনকে বিনাদোষে গ্রেফতার করার অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। গ্রেফতার হওয়া এক ব্যক্তির দিদি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, "শাহজাহান গ্রামেই আছেন। পুলিশের সঙ্গে মিটিং করছেন। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এই অত্যাচার দেখে তাঁর লজ্জা পাওয়া উচিত। পুলিশ প্রশাসন তাঁদের উর্দিকে কলঙ্কিত করছে।" গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের অনেক জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করে ফেলেছেন শাহজাহান। এমনকী, বাচ্চদের স্কুলের খেলার মাঠও জবরদখল হয়ে গিয়েছে। কোনও কিছুই ছাড়েনি তৃণমূল।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শনিবার বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস ঘোষ ও বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে যান। তবে ধামাখালি রোডে পুলিশ আটকে দেয় তাঁদের। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করেন বিজেপি বিধায়করা। অবিলম্বে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার দাবিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। সেখানে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর আর্জি জানানো হয়।

Bengal Hour Bureau | 18:06 PM, Sat Feb 10, 2024

Sandeshkhali Incident : অশান্তি অব্যাহত সন্দেশখালিতে, অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি ১৪৪ ধারা 

দিনটি ছিল ৫ জানুয়ারি, রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাতে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষার পর তালা ভাঙতে যায় ইডি আধিকারিরা। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। শাহজাহানের অনুগামীরা চরাও হয় তাঁদের ওপর। দুষ্কৃতীদের হাতে ইডি আধিকারিক সহ সাংবাদিকরা মার খান, ভেঙ্গে দেওয়া হয় একাধিক গাড়ি । সেই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহান বেপাত্তা। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, শাহজাহান এলাকাতেই আছেন।পুলিশ জানে তাঁরা কোথায় লুকিয়ে আছে। গ্রেফতার না করে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে গোপন ডেরায় বসে মিটিং করছে।


বেশকদিন ধরেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গ্রামবাসিন্দারা । শুক্রবার সকালেও রাস্তায় নামেন তাঁরা। তবে গতকাল মূলত গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা, লাঠি হাতে নিয়ে সন্দেশখালির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, সেই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পরে স্থানীয় থানায়। শাহজাহান শেখ (Sheikh Shahjahan), শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারের গ্রেফতারির দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল নেতার পোলট্রি ফার্ম জ্বালিয়ে দেয় গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ দলের নাম ভাঙিয়ে অত্যাচার চালায় শাহজাহান আর তাঁর দলবল। জোর করে তাঁদের জমি দখল করা থেকে শুরু করে কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়ার মতন নানান অভিযোগ উঠে আসে মহিলাদের গলায়। পুলিসের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ গ্রামের ১৭১ জনকে বিনা দোষে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এরপরই তাঁরা জানান “ আমাদের দেওয়ালে পিঠ থেকে ”।



এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। মোট ১৬ টি পঞ্চায়েত জুড়ে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।এরসাথে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকালরাতে নবান্ন থেকে জানান হয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ডে দোষীদের কঠিন শাস্তি দেবে সরকার। তারপরই বিশাল পুলিশবাহিনী সঙ্গে নিয়ে ডিজি এসসিআরবি সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, আইজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এস আর ঝাঁঝারিয়া, ডিআইজি বারাসত সুমিত কুমার, এসপি বসিরহাট ঘটনাস্থলে যায়।


গতকাল রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, পুরো পরিস্থিতি আপাতত পুলিশের আওতায় আছে, তদন্ত চলছে, দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাহজাহানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন “এটি তদন্তের বিষয়,তদন্তে যা উঠে আসবে সেই মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”।গতকালের ঘটনাতে আপাতত আটজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।



এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজভবনের সামনে মিছিল করে বিজেপি বিধায়করা। অবিলম্বে ১৪৪ ধারা তুলে নিয়ে সন্দেশখালিতে শান্তি ফেরানোর দাবিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারলে ১৪৪ ধারা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।


আজ বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস ঘোষ ও বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দেয় ধামাখালি রোডে।

Maitreyi Mukherjee | 14:39 PM, Sat Feb 10, 2024

Sandeshkhali Incident : ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি, TMC নেতার পোলট্রি ফার্মে আগুন ক্ষিপ্ত জনতার

বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃতীয় দিনে পড়ল এই আন্দোলন। তৃণমূল নেতা (TMC Leader) শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির হানার পর থেকেই একের পর এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। গত এক সপ্তাহ ধরেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গ্রামের মহিলারা। আজ সকালেও রাস্তায় নামেন তাঁরা। শাহজাহান শেখ (Sheikh Shahjahan), শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারের গ্রেফতারির দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান।

সকাল থেকেই থমথমে বসিরহাটের সন্দেশখালি। উত্তেজনা থাকায় এাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানা চত্বরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল সন্দেশখালি। তবে রাতের দিকে বিক্ষোভ কিছুটা হলেও কম ছিল। সকালের দিকে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আন্দোলনে যোগ দেন একাধিক জনজাতি মহিলা। ঝাঁটা, লাঠি হাতে নিয়ে সন্দেশখালি থানার সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শাহজাহান, শিবু ও উত্তমকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শুক্রবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় জেলিয়াখালিতে। তৃণমূল নেতার পোলট্রি ফার্ম জ্বালিয়ে দিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ, ওই ফার্ম তাঁদের জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছিল। মহিলারা জানান, তাঁদের স্বামীদের জোর করে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। কাজ করার পর মেলে না প্রাপ্য পারিশ্রমিক। টাকা চাইতে গেলে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ শিবুদের বিরুদ্ধে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের মধ্যে অত্যাচার চালান ওই তিন তৃণমূল নেতা। তাঁদের অত্যাচারে জেরবার সাধারণ মানুষ জোর খাটিয়ে গ্রামবাসীদের দিয়ে নানা কাজ করিয়ে নেন ইচ্ছার বিরুদ্ধে। জমির জবরদখল থেকে শুরু করে একাধিক অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে শাহজাহানদের গ্রেফতারির দাবিতে যাঁরা পথে নেমেছিলেন, তাঁরা নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলেই দাবি করেছিলেন। অভিযোগ, দলের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান শাহজাহান, শিবু, উত্তম এবং তাঁদের সহযোগীরা। তৃণমূল নেতাদের ভয়ে এতদিন মুখ খুলতে পারেননি তাঁরা। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার সহ ১১৭ জনের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা। তাঁকে খুনের চেষ্টা, জনজাতিদের উস্কে আন্দোলন, বেআইনি জমায়েত করে অপরাধ সংগঠিত করা, শান্ত সন্দেশখালিকে অশান্ত করার পরিকল্পনা করা, বারবার মিছিল বিক্ষোভ করে পুলিশকে হেনস্থা করার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শিবপ্রসাদ। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষের মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে 'নিখোঁজ' শাহজাহান। ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সে দিন শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে ইডি আধিকারিকেরা মার খেয়েছিলেন। সেই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। গ্রামবাসীদের দাবি, শাহজাহান এলাকাতেই আছেন। পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে। তাঁদের অভিযোগ, শাহজাহান, শিবু ও উত্তমকে গ্রেফতার না করে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে গোপন ডেরায় বসে মিটিং করছে।

Maitreyi Mukherjee | 14:53 PM, Fri Feb 09, 2024

Arabul Islam Arrest : পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি-সহ খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার আরাবুল ইসলাম

গ্রেফতার ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। পঞ্চায়েত ভোটের সময় অশান্তি, মনোনয়নে বাধা দেওয়া, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের কাশীপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে সম্প্রতি এই থানা কলকাতা পুলিশের আওতায় এসেছে। আর বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। গোটা রাত লালবাজারেই কাটান তিনি।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু আরাবুলের নেতার গ্রেফতারি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ঘটনা, তাই তাঁকে স্থানীয় থানায় না নিয়ে গিয়ে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবারই তাঁকে বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেরের আদালতে পেশ করা হবে।

আরাবুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ

২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আইএসএফকে মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আরাবুলের বিরুদ্ধে। এক আইএসএফ কর্মী খুন হন। এরপরই বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি স্থানীয় থানায় আরাবুলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া বিজয়গঞ্জ বাজারে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। সেই ঘটনারও তদন্ত শুরু হয়। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অশান্তি, অস্ত্র রাখা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল।

আরাবুলের ছেলে বলেন, "থানায় বাবাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ১৩ তারিখের মিটিং নিয়ে আলোচনার জন্যই ডাকা হয়েছিল। আলোচনা চলছিল। হঠাৎ করেই একজন এসে বললেন আপনাকে আমার সঙ্গে লালবাজারে যেতে হবে। এটা বলেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর জানা যায় বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।" এমনকী, নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। বলেন, "যেভাবে আইএসএফ-রা দোষ করল। নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাতটা খুন হল। আর যেই অভিযোগে বাবাকে গ্রেফতার করা হল সেদিন কিন্তু, বাবা পঞ্চায়েত সমিতির ঘরের ভিতরেই ছিল। সিসিটিভি দেখলে সেটা ভালো করেই জানা যাবে। যেভাবে বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অনৈতিক। তাই আমাদের দাবি অবিলম্বে নওশাদকে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আগামীদিনে তৃণমূল ভাঙড়ে বৃহত্তর আন্দোলন করবে।"

আরাবুলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আরাবুলকে পুলিশ ধরেছে! লালবাজারে নিয়ে গিয়েছে বিরিয়ানি খাওয়াতে। পরে ঠিক ছেড়ে দেবে।" শাহজাহানের থেকে নজর ঘোরাতেই আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, "এদের ঝগড়া নতুন নয়। যার রাজনৈতিক শক্তি বেশি থাকে সে অন্যকে দমিয়ে রাখে পুলিশ দিয়ে। এদের এই অত্যাচার লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। এর কোনও সমাধান নেই। কারণ এর পিছনে বড় নেতাদের হাত রয়েছে। আমার যেটা মনে হয়েছে শাহজাহান শেখের যে কেস তার থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে ওটাকে হালকা করার জন্য এটা করা হয়েছে। কারণ ওখানে সরকারই তাঁকে নিরাপত্তা দিচ্ছে।"

Maitreyi Mukherjee | 11:02 AM, Fri Feb 09, 2024

Narendra Modi vs Mamata Banerjee : কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে মমতার চ্যালেঞ্জকে হাতিয়ার’ মোদীর

ফাটলটা প্রকাশ্যে এসেছিল অনেক আগেই। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক যে খুব একটা মধুর নয়, তা প্রায় সবারই জানা। জোট করলেও কংগ্রেসের কথা শুনে যে চলতে পারবেন না তাও আগে থেকেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সবই ঠিকঠাক চলছিল। ইন্ডিয়া জোটের সনিয়ার ও রাহুলের পাশে দেখা গিয়েছিল মমতাকে। কিন্তু, ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন কংগ্রেসের সঙ্গে ফাটল আরও বাড়ছে। আসন বণ্টন নিয়ে কংগ্রেসকে প্রকাশ্যেই আক্রমণ করেছেন মমতা। লোকসভায় কংগ্রেস ৪০টা আসনও পাবে না বলে দাবি করেছেন তিনি।

Maitreyi Mukherjee | 18:11 PM, Thu Feb 08, 2024

Sandeshkhali Incident : উত্তপ্ত সন্দেশখালি, শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে বাঁশ হাতে রাস্তায় মহিলারা


একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে সন্দেশখালিতে। তৃণমূলের দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান, ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা এবং তাঁর সঙ্গী উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে লাঠি ও বাঁশ হাতে রাস্তায় নামেন স্থানীয় মহিলারা। জানা গিয়েছে, তাঁরাও তৃণমূল কর্মী। দলের নাম ভাঙিয়ে শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা বহুদিন ধরেই এলাকায় অত্যাচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এর প্রতিবাদেই আজ সকালে প্রতিবাদে নামেন তাঁরা। সন্দেশখালি থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এরপর রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন মিলে প্রথমে নিজেদের পোলট্রি ফার্মে ভাঙচুর চালায়। তারপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর এই গোটা ঘটনার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের উপর। তারই প্রতিবাদে এলাকার মহিলারা বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সন্দেশখালি থানায়।
তাঁদের আরও অভিযোগ, শাহজাহান এতদিন ধরে একের পর এক জমি দখল করেছে। তাঁর ভয়ে মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করে গিয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের এক মহিলার অভিযোগ, বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে তাঁদের উপর অত্যাচার চালাতেন শাহজাহান। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আজ রাস্তায় নেমেছে তাঁরা। পুলিশের কাছে গেলেও কোনও সমাধান মিলত না বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক মহিলা বলেন, "থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেখান থেকে শাহজাহানের কাছে পাঠিয়ে দিত। আবার শাহজাহানের কাছে গেলে বলে শিবু হাজরার কাছে যাও। গ্রামের মানুষ কোথায় যাবেন?"

প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে ৫ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষের শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু, অনেক ডাকাডাকির পরও বাড়ির দরজা খুলতে দেখা যায়নি কাউকে। প্রায় ঘণ্টা খানেক ডাকাডাকির পর কেন্দ্রীয় বাহিনী তালা ভাঙার চেষ্টা করে। তখনই শাহজাহানের অনুগামীরা তাঁদের উপর চড়াও হয়। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায়। মেরে এক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ইডি আধিকারিক সহ সাংবাদিকদের মারধর করে গ্রাম ছাড়া করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁকে বার বার হাজিরা দিতে বলা হলেও তা এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। শাহজাহান কোথায় রয়েছেন তা এক বিক্ষোভকারীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "শাহজাহান বাঘ হয়ে বিড়ালের মতো লুকিয়ে আছে!"

Bengal Hour Bureau | 16:29 PM, Thu Feb 08, 2024

Suvendu Slams Mamata : "চোর মমতাকে টাইট দিতে দিল্লি গিয়েছিলাম", কলকাতায় ফিরে কটাক্ষ শুভেন্দুর  

সোমবার রাতে দিল্লি সফর শেষ করে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার রাতের দিকেই কলকাতায় পা রাখেন তিনি। আর বিমানবন্দরে পা রাখার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। দিল্লি সফর নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "চোর মমতাকে টাইট দিতে গিয়েছিলাম, টাইট দিয়ে এসেছি।"

রবিবার হঠাৎই দিল্লি উড়ে যান শুভেন্দু। সেখানে দেখা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitaraman) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে। সূত্রের খবর, রাজ্যে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করে দুর্নীতির তদন্ত চেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি যে ক্যাগ (CAG) রিপোর্ট সামনে এসেছে সেখানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় অনুদানের টাকা নিয়ে গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা অবশ্য খোলসা করতে চাননি শুভেন্দু। শুধু বলেন, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হল তা আমি এখানে বলব না। যা হবে দেখতেই পাবেন, চোর মমতাকে টাইট দিতে গিয়েছিলাম টাইট দিয়ে এসেছি।”

প্রসঙ্গত, আজ মুখ্যমন্ত্রীরও দিল্লিতে (Mamata Banerjee In Delhi) যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তা হঠাৎ বাতিল করেন তিনি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ডাকা এক দেশ এক ভোট নিয়ে যে বৈঠক আছে সেখানেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল মমতার। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "উনি কোথায় যাবেন, না যাবেন, কেন যাবেন সেটা আমি বলব কেন। ওঁকে নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তিত নই।” মমতার ধর্নায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, "অভিষেক কোথায় গিয়েছে সেটা পিসিকে গিয়ে জিজ্ঞেসা করুন। ওটা কোনও দলই নয়। কোম্পানি। দু'জনে মিলে চালায় পিসি ও ভাইপো।"

উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলের দিকেই মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, আচমকাই তা বাতিল করে দেওয়া হয়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য বাজেটকে সামনে রেখে প্রচুর কাজ রয়েছে। ৮ তারিখ বাজেট। মাঝে সময় একেবারেই নেই। সে কারণেই তিনি দিল্লিতে যাচ্ছেন না। যদিও মমতার দিল্লি সফর বাতিলের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।  

Maitreyi Mukherjee | 12:27 PM, Tue Feb 06, 2024

Sheikh Shahjahan : ‘অধরা’ শাহজাহানকে দ্বিতীয় নোটিশ ইডির, ৭ ফেব্রুয়ারি হাজিরার নির্দেশ 

রেশন বণ্টন (Ration Scam) দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে (Sheikh Shahjahan) দ্বিতীয়বার নোটিশ পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। সন্দেশখালির ঘটনার পর প্রথমবার তার বাড়ির দরজায় নোটিশ সেঁটে দিয়েছিল ইডি। ওই নোটিশে ২৯ জানুয়ারি ‘পলাতক’ এই তৃণমূল নেতাকে ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু হাজির হননি শাহজাহান। উল্টে আইনজীবী মারফত কলকাতার নগর দায়রা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। আজ শনিবার সেই মামলারই শুনানি রয়েছে। এর মধ্যেই ই-মেল মারফত ফের তাকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠালো ইডি। এই নোটিশে শাহজাহানকে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সল্টলেকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও তারা শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকতে পারেনি। উল্টে বাড়ির ভেতর থেকে অনুগামীদের ফোনে নিজের অনুগামীদের উস্কানি দিয়ে ইডির উপর হামলা চালান এই তৃণমূল নেতা। ইডির দাবি সেদিন বাড়ির ভেতরেই ছিলেন শাহজাহান, ঝামেলার সুযোগ নিয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এরপর থেকেই পুলিশ এবং ইডি কেউই তার সন্ধান পায়নি।

পরে দ্বিতীয়বার পুলিশি পাহারায় ফের সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়ির দরজা ভেঙে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। শাহজাহানকে না পেয়ে ওই বাড়ির দরজাতেই নোটিশ সেঁটে দিয়ে আসে তারা। কিন্তু সে নোটিশের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি এই তৃণমূল নেতার তরফে। এর মধ্যেই আগাম জামিনের আবেদন করে শাহজাহান। যদিও নগর দায়রা আদালত তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না করার অনুরোধ শোনেনি। তবে শাহজাহান যাতে আগাম জামিন না পায় তা আটকাতে তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

ওই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ শাহজাহানকে নিয়ে বাংলার বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকেই আসছে প্রতিক্রিয়া। কারও মতে বিতর্কিত এই তৃণমূল নেতা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন, আবার কারও মতে এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তিনি। মন্ত্রী অখিল গিরির দাবি চিকিৎসার জন্য বাইরে গিয়েছেন শাহজাহান। অন্যদিকে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য আগাম জামিনের আবেদন করা শাহজাহান রয়েছেন আদালতেরই তত্ত্বাবধানে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য পুলিশের যোগসাজশে এলাকাতেই নিজের ‘গর্তে’ লুকিয়ে রয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা।

আজ ইডির বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানিতে শাহজাহান যাতে জামিন না পান তার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি। ইতিমধ্যেই তল্লাশিতে পাওয়া বিভিন্ন নথি, এবং মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি থেকে পাওয়া বিভিন্ন প্রমাণ সহ নিজেদের যুক্তি সাজাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এই মামলার আগের শুনানিতে পুলিশকে কড়া বার্তা দিয়েছিল নগর দায়রা আদালত। তবে এত কিছুর পরও শাহজাহান কোথায় তা নিয়ে থেকে গিয়েছে ধোঁয়াশাই। এখন দেখার ইডির দফতরে আগামী ৭ তারিখ শাহজাহান হাজির হন কি না।

Maitreyi Mukherjee | 17:21 PM, Sat Feb 03, 2024

Mamata Banerjee vs Congress : মমতাকে ফোন খাড়গের, অব্যাহত জোটের জট

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, ভোটের আগে অন্তত বাংলায় কোনও জোটে তিনি নেই। লোকসভা নির্বাচনে বাংলার সবকটি আসনে একাই লড়বে তৃণমূল। আসন ভাগাভাগি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেস যে মমতাকে জোটে রাখতে মরিয়া, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে নেতাদের কথায়। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ আগেই বলেছেন মমতাকে ছাড়া জোট অসম্ভব। আর এবার সেই রাজনৈতিক জল্পনার মাঝেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ফোন করলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। জয়রাম রমেশ বলেন, "আমাদের লক্ষ্য ইন্ডিয়া জোট গঠন করে বিজেপিকে হারানো। মমতাকে ছাড়া আমরা বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে পারব না। বিরোধী জোটের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে মমতার বড় ভূমিকা রয়েছে।"

Mayuri Datta | 11:54 AM, Fri Jan 26, 2024

Rahul Gandhi in Bengal : শিলিগুড়িতে বাতিল রাহুলের সভা, অনুমতি দিল না পুলিশ

অসমের পর এবার বাংলাতেও বাধার মুখে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা’। যাত্রার দ্বিতীয় পর্যায়ে শিলিগুড়িতে রাহুল গান্ধীর দুটি সভা বাতিল করতে হচ্ছে। পুলিশের অনুমতি মিলছে না বলে দাবি কংগ্রেসের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, পুলিশের পরীক্ষা থাকায় অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ফলে মিছিলের মাঝে মাঝে যে সভা করার পরিকল্পনা ছিল কংগ্রেসের তা বাতিল করতে হচ্ছে। সভা বাতিল হলেও ন্যায় যাত্রা নির্ধারিত পথেই এগোবে। পুলিশের অনুমতি না মেলায় বৃহস্পতিবারই সন্ধ্যায় দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা। আগামী ২৭ জানুয়ারি দিল্লি থেকে ফিরে রাহুল গান্ধী আবার যোগ দেবেন ন্যায় যাত্রায়।

Mayuri Datta | 11:25 AM, Fri Jan 26, 2024

Coochbehar Protest : 'বাংলায় দিদি একাই একশো', রাহুলের ন্যায় যাত্রার সময় পোস্টার কোচবিহারে

লোকসভার আগে প্রশ্নের মুখে ইন্ডি জোটের ভবিষ্যৎ। আসন বণ্টন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের মনোমালিন্য অব্যাহত রয়েছে। এদিকে আজই বাংলায় প্রবেশ করেছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। সেই যাত্রা নিয়েও মুখ ভার মমতার। তাঁর অভিযোগ, "ভারত জোড়ো যাত্রা বাংলায় এসে পৌঁছেছে। কিন্তু, আমাকে তা নিয়ে কংগ্রেস কিছুই বলেনি। এটা একটা সৌজন্য।" আর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা আজ কোচবিহার প্রবেশের আগে কোচবিহার শহরে বেশ কিছু নাগরিককে পোস্টার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যেখানে লেখা, "বিজেপিকে ঠেকাতে বাংলায় দিদি একাই একশো"। পোস্টারে কোচবিহার নাগরিকবৃন্দ লেখা থাকলেও অনেকে দাবি, বিক্ষুব্ধরা তৃণমূল কর্মী। এরপর মনোমালিন্য আরও বাড়বে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

Mayuri Datta | 16:44 PM, Thu Jan 25, 2024

CBI : নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের ২ নেতাকে নিজামে তলব সিবিআইয়ের

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের একবার তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।CBI  স্ক্যানারে এবার তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী। বিধায়ক তথা শিল্পী অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজের বাড়িতে নিয়োগ মামলায় এর আগেও তল্লাশি চালিয়েছে আধিকারিকেরা। এবার তাঁকে সরাসরি নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে তলব করা হল ।  বৃহস্পতিবার সকালে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন তিনি। মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিসে তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। শুধুমাত্র দেবরাজ নন, আরও এক কাউন্সিলর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ  কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকেও তলব করা হয়েছে এদিন।

Mayuri Datta | 11:32 AM, Thu Jan 25, 2024

Mamata Banerjee: জোটে ‘ভাঙন’? ‘কংগ্রেসের সঙ্গে কথা হয়নি’ মুখ ফেরালেন মমতা

লোকসভা নির্বাচনে একলা লড়ার পথে তৃণমূল সুপ্রিমো। কার্যত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নিশানা মমতার। ‘কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই’ সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস। তাতেই বেজায় ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে মমতার সম্পর্ক ভালো, কিন্তু সেই বক্তব্যে র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ভোলবদল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কংগ্রেসকে সরাসরি বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, “জোটটা কারও একার নয়। ৩০০ আসনে ওরা একাই লড়ুক। বাকি আসনে আঞ্চলিক দলগুলি লড়বে। সেখানে হস্তক্ষেপ করলে বুঝে নেব।”

Mayuri Datta | 13:37 PM, Wed Jan 24, 2024

Mamata Without Helmet : মুখ্যমন্ত্রী কি ট্র্যাফিক বিধির ঊর্ধ্বে? প্রশ্ন জনতার

তিনি পথ সুরক্ষার কথা বলেন। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভের কথা বলেন। তাঁর মাথায় কি না নেই হেলমেট। স্কুটির পেছনে বসে র‍্যালিতে অংশ নিতে যাওয়ায় সময় মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ছিল না হেলমেট। সাব্ধানতার তোয়াক্কা না করেই সমর্থকদের উদ্দেশ্যে নাড়লেন হাত। পাশেই পুলিশ যাদের কাজ নিয়ম রক্ষা তারাও এবেলায় ধৃতরাষ্ট্র হয়েই রইলেন।

হেলমেট ছাড়া রাস্তায় বেরলেই বেড়েছে কড়াকড়ি। খুব ভাল কথা। হওয়াও দরকার। আগেত তুলনায় ফাইন বেড়েছে। ১০০ থেকে সর্বনিম্ন জরিমানা বেড়ে হয়েছে ৫০০। কিন্তু সেই জরিমানা শুধু আম জনতার জন্য। জরিমানা ব্যবস্থাতেও রয়েছে দ্বিচারিতা। পুলিশ অনেকক্ষেত্রেই হেলমেট ও সিগনালের তোয়াক্কা করে না। তোয়াক্কা করলেন না মুখ্যমন্ত্রীও। কিন্তু তিনিই যে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের বিধান দিয়েছেন। বছর কয়েক আগে কামদুনিতে তিনি বিনা হেলমেটে বাইকের পিছনে সওয়ার হয়েছিলেন। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন লালগড়েও তিনি পিলিয়ন রাইডার হয়েছিলেন বিনা হেলমেটেই। তখন ছিলেন বিরোধী নেত্রী। তাঁর উপর বামজমানা। তখন হেলমেট নিয়ে অত কড়াকড়ি ছিল না। জমানা বদলে বদলেছে প্রশাসনের মনোভাব। পথে বেড়েছে পুলিশের কড়াকড়ি। বেড়েছে সিসিটিভি। সঙ্গে বেড়েছে জরিমানার বহড়। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ বদল হয়নি প্রশাসনের সর্বময় কর্ত্রীর মনোভাব।

Maitreyi Mukherjee | 17:54 PM, Tue Jan 23, 2024

Malay Adhya ED : ফের মলয়কে তলব ইডির, হাজিরা এড়ালে হতে পারেন গ্রেফতার!

আবারও তলব মলয় আঢ্যকে। বনগাঁর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর ভাই মলয়। এর আগে তাঁকে তিনবার তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু সাড়া মেলেনি। ফের আজ তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। শঙ্কর আঢ্যর আইসক্রিম ব্যবসা ‘অঞ্জলি আইসক্রিম’ সংস্থাতে ডিরেক্টর মলয় আঢ্য। আরও এক সংস্থার ডিরেক্টর মলয়। দুই সংস্থার দফতরে তল্লাশি চালায় ইডি। মলয়ের সঙ্গে কথা বলতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

গত ৬ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় শঙ্কর আঢ্য গ্রেফতার হয়েছেন। শঙ্কর জ্যোতিপ্রিয়র ঘনিষ্ঠ বলে ইডি সূত্রে খবর। এবার তদন্তকারীদের নজরে শঙ্করের ভাই। চতুর্থবারের হাজিরা এড়ালে কড়া আইনি পদক্ষেপ করতে পারে ইডি।

Maitreyi Mukherjee | 17:20 PM, Tue Jan 23, 2024

Cash for Queries Case : ঘুষের বদলে প্রশ্ন মামলায় এবার আইনজীবী জয় দেহাদ্রাইকে তলব CBI-এর

মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যর আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইকে তলব করল সিবিআই। গত মাসে, ‘ঘুষের বদলে প্রশ্ন’ করার অভিযোগে এথিক্স কমিটির তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার পর, লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল মহুয়া মৈত্রকে। তাঁর বিরুদ্ধে শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ অর্থ এবং দামী উপহার সামগ্রী ঘুষ হিসেবে নিয়ে, সংসদে গৌতম আদানি এবং মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করা অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সংসদ নিশিকান্ত দাস। জয় অনন্ত দেহদ্রাই তাঁকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠির ভিত্তিতেই এই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। ‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলাতেই দেহাদ্রাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।


Maitreyi Mukherjee | 16:10 PM, Tue Jan 23, 2024

Primary Recruitment | হুগলিতে প্রাথমিকের নিয়োগপত্র ঘিরে শোরগোল; কেন জানেন?

'কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়!', গানটির কথাগুলি যেন সব সময়ই প্রাসঙ্গিক হয়ে যায়, বাংলার বুকে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে। একেকটি দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে মমতা সরকারের ভরসার পাত্র-পাত্রীদের মুখোশ যেন খুলে যাচ্ছে। আর যতই তদন্ত এগোচ্ছে ততই যেন তালিকা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে এসবকে ছাপিয়ে গেল হুগলির একটি ঘটনা। অবসরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর নাকি চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন অনেকে। এখানেই শেষ নয় নিয়োগপত্র প্রাপকদের তালিকায় এমনও কয়েকজন রয়েছেন, যাঁরা ইহলোকেই নেই।

Mayuri Datta | 13:21 PM, Fri Jan 19, 2024

Mahua Moitra : মহুয়াকে বাংলো থেকে উচ্ছেদ করতে দল পাঠাল কেন্দ্র

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে উচ্ছেদ করতে দিল্লির বাংলোতে দল পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সকালেই তাঁর বাংলোয় এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় সরকারের একটি দল। ডিরেক্টরেট অব এস্টেটের পাঠানো নোটিসে, কড়া ভাষায় জানানো হয়েছিল, মহুয়া মৈত্র যদি নিজে থেকে বাংলো খালি করে না দেন, তাহলে তাঁকে ওই প্রাঙ্গণ থেকে উচ্ছেদ করা হবে। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করা হবে বলেও জানানো হয়। তবে মহুয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় দল পৌঁছনোর আগেই বাংলো খালি করে দিয়েছেন তাঁর মক্কেল। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ বাংলো খালি করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলো ছাড়ার নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন মহুয়া। কিন্তু, বৃহস্পতিবারই তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আদালত।

Mayuri Datta | 13:06 PM, Fri Jan 19, 2024

Dilip Ghosh On TMC : সংহতির নামে হিন্দু বিরোধিতা তৃণমূলের, অভিযোগ দিলীপের

রাজ্যে সংহতির নামে হিন্দু বিরোধীদের এককাট্টা করার চেষ্টা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে ইকো পার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন রাজ্যে সংহতি যাত্রার ঘোষণা করেছে তৃণমূল। কিন্তু সেই মিছিলে রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও আদালত সেই মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, "আগে তৃণমূলের মধ্যে সংহতি করুন। আমার মনে হয় না কোনও হিন্দু এই সংহতি মিছিলে যাবে। যার শরীরে হিন্দু রক্ত আছে সে রামের বিরুদ্ধে যাবে না। কিছু বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ যাবে। যারা তৃণমূলের উচ্ছিষ্ট ভোগী, এই করেই খাচ্ছে আর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, এরকম কিছু লোক যাবে।"

Mayuri Datta | 11:44 AM, Fri Jan 19, 2024

Recruitment Scam | বৃহস্পতিবার ফের তল্লাশি ইডি'র; জামিনে মুক্ত প্রসন্ন রায়ের বাড়িসহ ৬ জায়গায় হানা

কখনও রেশন বন্টন দুর্নীতি, কখনওবা নিয়োগ দুর্নীতি, বিভিন্ন দুর্নীতিতে জর্জরিত বাংলা। আর এই সব দুর্নীতির জট ছাড়াতে আসরে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়ে ইডি আধিকারিকরা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে মোট ৬টি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালায় ইডি।

Mayuri Datta | 15:43 PM, Thu Jan 18, 2024

Shahjahan Sk: অধরা শাহজাহান যেন ‘লাদেন’এর মেজাজে, আড়ালে বার্তা পাঠাচ্ছেন সন্দেশখালির ‘বাদশা’

সন্দেশখালি কান্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। লাদেনের মতো ভয়েস মেসেজ পাঠাচ্ছেন শাহজাহান অভিযোগ ইডির আইনজীবীর।

রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় খুশি নয় আদালত। তবে কি পরবর্তীকালে তদন্তভার যাবে সিবিআইয়ের কাঁধে? যদিও নিখোঁজ শাহজাহানের জন্য আপাতত রাজ্য পুলিশের সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে দরকারে কেন্দ্রীয় সংস্থা সাহায্য করতে পারে বলেও জানিয়ে দেয় আদালত।

Mayuri Datta | 16:14 PM, Wed Jan 17, 2024
upload
upload