Common Civil Code : উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল
মঙ্গলবার পেশ হল বহু চর্চ্চিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল। উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় (Uttarakhand Assembly) বিলটি আজ পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে চার দিনের বিশেষ বিধানসভা অধিবেশন। যেখানে এই বিল আজ উত্থাপন করা হয়েছে। রবিবার উত্তরাখণ্ড মন্ত্রিসভা বিলটির চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন করেছে, বিধানসভায় বিলটি পাশ হয়ে গেলে আর তাতে রাজ্যপাল অনুমোদন দিলেই তা আইনে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই আইনের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁর ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতে’র পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখেই এই আইন প্রবর্তন করার লক্ষ্য নিয়েছেন বলে জানান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি অসম ও মধ্য প্রদেশ সরকারও এই বিধি চালু করার কথা ভাবছে। অধিবেশন চলাকালীন যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য বিধানসভা চত্বর থেকে কমপ্লেক্সের বাইরে পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। যদি বিলটি আইনে পরিণত হয় তাহলে স্বাধীনতা পরবর্তী কালে উত্তরাখণ্ডই প্রথম রাজ্য হবে, যেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হবে।
এই বিলে ঠিক কি বলা আছে?
মূলত ধর্ম, লিঙ্গ ভেদে রাজ্যের সকল নাগরিকের জন্য বিবাহ, সম্পত্তির উত্তরাধিকার, বিবাহ-বিচ্ছেদ, দত্তক গ্রহণের মতো বিষয়গুলিতে এক আইন কার্যকর করা হবে। এতে ছেলে, মেয়ে উভয়ই উপকৃত হবে। বিল অনুযায়ী নিজের সন্তান ও দত্তক সন্তান উভয়েরই বাবা, মায়ের সম্পত্তির উপর সমান অধিকার থাকবে। সংবিধানেও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির উল্লেখ রয়েছে। এটি মূলত ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ভেদে দেশের সকল নাগরিকের জন্য এক ও অভিন্ন আইনের কথা বলে। যেখানে বিবাহ, বিবাহ-বিচ্ছেদ, সম্পত্তির উত্তরাধিকার, দত্তক ইত্যাদির মতো ব্যক্তিগত বিষয়ের ক্ষেত্রে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য একটি আইন থাকবে।
২০২২ সালে এই বিলের খসড়া তৈরির জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি প্যানেল গঠন করেছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। ওই প্যানেলে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রমোদ কোহলি, সমাজকর্মী মনু গৌর, উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যসচিব শত্রুঘ্ন সিং এবং দুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরেখা ডাঙ্গওয়ালকে নিয়ে গঠিত হয়। প্যানেল ৭৪০ পৃষ্ঠারও বেশি একটি খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করেছে। যার চারটি খণ্ড রয়েছে। খসড়া তৈরি করার সময় প্যানেলটি লক্ষ লক্ষ প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করেছিল। অনলাইন ও অফ লাইন মিলিয়ে বেশ কিছু প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী জানা, বিলটি তৈরি করার আগে জনসাধারণের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে ও তাঁদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছে।
Trending Tag