Sunday, October 13, 2024

Logo
Loading...
upload

দেশ ও রাজনীতি

Delhi Pragati Maidan : লোকসভার আগে দিল্লির প্রগতি ময়দানে বিজেপির জাতীয় সম্মেলন

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিজেপির (BJP) রাষ্ট্রীয় অধিবেশন। প্রত্যেক বছরই এই মহা সম্মেলন আয়োজন করা হয় বিজেপির তরফে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে জানুয়ারি মাসে দিল্লির (Delhi) রামলীলা ময়দানে এই জাতীয় সম্মেলন করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ বছর ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দু'দিনের জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করছে তারা।



আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য ৪০০-র বেশি আসনে জেতা। বিজেপির তরফে সে কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। শেষবার বিজেপির জাতীয় সম্মেলনের সময় দলের সাংসদ সংখ্যা ছিল ২৮২ জন। বর্তমানে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৩-এ। তার জেরে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, ২০১৯ সালের অধিবেশনের তুলনায় এবারের আয়োজন আরও বড় হতে চলেছে। যে কারণে বদলাচ্ছে এই জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন স্থলও। রামলীলা ময়দানের বদলে এবার তা হচ্ছে দিল্লির প্রগতি ময়দানে। এই প্রগতি ময়দানেই জি-২০ সম্মেলনের জন্য ভারত মণ্ডপম তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানেই হবে এবারে হবে বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন।



নিয়ম অনুযায়ী, এই অনুষ্ঠান শুরু হবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) ভাষণ দিয়ে। আর অধিবেশন শেষ হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) ভাষণে। বিজেপি সূত্রের খবর, এই জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেবেন দেশের আট হাজার বিজেপি নেতা। আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি বিজেপির মহা সম্মেলনে যোগ দেবেন জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যরা। যার মধ্যে বাংলা থেকে রয়েছেন সাত জন। থাকবেন জাতীয় পরিষদের সদস্যরাও। যার মধ্যে বাংলা থেকে থাকবেন মোট ৪২জন বিজেপি নেতা। এছাড়াও বাংলা থেকে এই অধিবেশনে ডাক পেয়েছেন ১৬ জন লোকসভা সাংসদ এবং রাজ্যসভার একমাত্র সাংসদ অনন্ত রায়।



বাংলা থেকে যাওয়ার কথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। কিন্তু, সন্দেশখালিকাণ্ডে আহত হওয়ায় তিনি যেতে পারবেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও এই অধিবেশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দিলীপ ঘোষ, তথাগত রায়, রাহুল সিনহার মতো প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিদেরও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে কর্মসমিতির সদস্য শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু সহ বাংলা থেকে ডাকা হয়েছে মোট ৬৮ জন বিধায়ককেও। এছাড়াও বাংলা থেকে ডাক পেয়েছেন রাজ্যের কোর কমিটির সদস্যরা। এই কমিটিতে রয়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও।



এছাড়াও লোকসভার আসন অনুযায়ী বিজেপির যে ১১টি ক্লাস্টার রয়েছে এই সম্মেলনে ডাক পেয়েছে সেই সমস্ত ক্লাস্টার প্রধানরাও। এছাড়াও যাবেন রাজ্যের প্রতিটি জোন ও বিভাগের প্রধানদেরও। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে যাবেন ভারতীয় ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও স্বপন দাশগুপ্তকে। ডাক পেয়েছেন রাজ্যের প্রতিটি শাখার প্রধান এবং রাজ্যে দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। 

Maitreyi Mukherjee | 16:23 PM, Fri Feb 16, 2024

TMC MP Deb : আর্থিক তছরুপ মামলায় দেবকে দিল্লিতে তলব ED-র

তৃণমূল সাংসদ দেবকে (Deb) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, অর্থাৎ আর্থিক তছরুপ মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে তাঁকে দিল্লির ইডি অফিসে (ED Office) হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ঘনিষ্ঠ মহলে দেব জানিয়েছেন, 'যত বার ডাকবে, তত বার যাব'। তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন দেব।



জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ইমেলে চিঠি পাঠিয়ে দেবকে তলব করেছে ED। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্তে সুবিধার জন্য দেবকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। হাজিরা দেওয়ার সময় দেবকে কিছু নথি পত্রও নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এই নোটিস প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ মহলে দেব জানিয়েছেন, নির্ধারিত দিনেই তিনি দিল্লিতে গিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন। যা যা নথি ইডি চেয়েছে সবই নিয়ে যাবেন তিনি। পাশাপাশি তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন।



এর আগে, গরুপাচার কাণ্ডে অন্যতম সাক্ষী হিসেবে দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই (CBI)। এনামুল হককে দেব চেনেন কি না, কোনও রকম টাকার লেনদেন হয়েছিল কি না, সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। যদিও সেই সময় দেব জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এনামুলকে চেনেন না। কোনও রকম টাকার লেনদেনও করেননি। আর এবার দেবকে ডেকে পাঠাল ইডি।


গত কয়েক দিন ধরেই খরব শিরোনামে রয়েছেন দেব। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তাঁর একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকেই বেড়েছিল জল্পনা। রটে গিয়েছিল, তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন দেব। এবার আর ভোটেও লড়বেন না তিনি। তবে সেসব জল্পনায় জল পড়ে গত সপ্তাহে। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে দিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন দেব। সেই বৈঠক সেরে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও যান তিনি। এরপরই সব জল্পনার মোড় ঘুরতে শুরু করে। দেব নিজেই বলেন, তিনি রাজনীতি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি তাঁকে ছাড়বে না। এরপরই গত সোমবার আরামবাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভাসঙ্গী হিসেবে দেখা যায় ঘাটালের সাংসদ দেবকে। সেই মঞ্চ থেকেই মমতা জানিয়ে দেন, দেব আবারও ঘাটালের প্রার্থী হচ্ছেন।


তবে শুধু দেব নয়, জানা গিয়েছে তৃণমূলের পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিককেও তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট উত্তমকে তলব করেছে।

Maitreyi Mukherjee | 12:18 PM, Fri Feb 16, 2024

JP Nadda : গুজরাট থেকে বিজেপির প্রার্থী নাড্ডা, জমা দিলেন মনোনয়ন

গুজরাট থেকে রাজ্যসভার (Rajya Sabha) বিজেপির প্রার্থী হলেন দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। আজ মনোনয়ন জমা দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দির প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের একাধিক নেতা। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র থেকে গেরুয়া শিবির রাজ্যসভায় প্রার্থী করল প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অশোক চহ্বানকে। গত সোমবারই কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।


বুধবার গুজরাট ও মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানেই জানা যায়, যে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে গুজরাট থেকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। এর আগে হিমাচল প্রদেশ থেকে প্রার্থী হয়ে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া সদ্য দলত্যাগী কংগ্রেস নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বানকেও গুজরাট থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। পাশাপাশি গুজরাটের বাকি তিনটি আসনের জন্যও নামপ্রকাশ করেছে কেন্দ্রের শাসকদল। তাঁরা হলেন, গোবিন্দভাই ঢোলকিয়া, মায়াঙ্কভাই নায়েক ও যশবন্ত সিং সালাম সিং পরমার। আর মহারাষ্ট্রের অন্য় দুটি আসনের জন্য মেধা কুলকার্নি ও অজিত গোপচড্ডেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এছাড়া গেরুয়া শিবির ওড়িশা থেকে প্রার্থী করেছে অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। আর মধ্য প্রদেশ থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন এল মুরুগান।  


লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যসভার নির্বাচন হতে চলেছে। দেশের ১৫টি রাজ্যের মোট ৫৬টি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন। গত জানুয়ারি মাসেই এই ৫৬টি রাজ্যসভা আসনের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি আসনও। জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এই ৫৬টি আসনের ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ১৩টি রাজ্যের ৫০টি আসনের সদস্যদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ এপ্রিল। আর দুই রাজ্যের ৬টি আসনের সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে ৩ এপ্রিল। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও যে সব রাজ্যগুলোতে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, কর্ণাটক, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশ।

Maitreyi Mukherjee | 15:14 PM, Thu Feb 15, 2024

CM Nitish Kumar : মোদী শরণে আসার পর আস্থা ভোটে জয়ী নীতীশ কুমার

বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১২৯ জন বিধায়ক। বিরোধীদের ওয়াকআউটের মাঝেই আজ বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছে নীতীশ কুমার। সকাল থেকেই চর্চায় ছিল বিহারের রাজনীতি (Bihar Politics)। গোটা দেশের নজর ছিল বিহারের দিকে। জোট সরকার ভেঙে নতুন করে সরকার গড়ার পর নীতীশ কুমার কি সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে সফল হবেন? এই প্রশ্নই উঠছিল জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। যদিও শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নীতীশ কুমার। আর ভোট শেষে জয়ের হাসি হাসেন তিনিই।




নীতীশ সরকাররের কাছে আজ বিধানসভায় (Bihar Assembly) সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছিল। সকাল থেকেই পাটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছিল চরমে। বিহার বিধানসভায় মোট ২৪৩ টি আসন রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে প্রয়োজন ছিল ১২২টি ভোট। সেখানে এনডিএ জোট পেয়েছে ১২৯টি ভোট।




বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোট চলাকালীন নীতীশ কুমার বলেন, "RJD প্রধান লালু প্রসাদ এবং রাবড়ি দেবী রাজ্যের জন্য ১৫ বছর কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁরা ১৫ বছর ধরে যা করেননি, আমি তা করে দেখিয়েছি। আমি সমাজের প্রতিটি স্তরের জন্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। বিহারে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। মহিলারা গভীর রাত পর্যন্ত আজ বাইরে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াতে পারেন। তাঁরা এখন আমার কাজের ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছে।” এর আগে বিধানসভায় নীতীশকে আক্রমণ করে তেজস্বী যাদব বলেন, “বিহারের মানুষ জানতে চায় আপনি বার বার দল বদল করছেন কেন?” এদিকে বিহার বিধানসভার স্পিকার এবং আরজেডি নেতা আওধ বিহারী চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে। ১২৫ জন সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১১২ জন। এর ফলে বিহার বিধানসভায় আরজেডির মুখ পুড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।


এদিকে আস্থা ভোটের শুরুতেই নীতীশকে খোঁচা দিয়ে তেজস্বী বলেন, “প্রথমত, আমি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে চাই। একটানা নবমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে তিনি ইতিহাস রচনা করেছেন। এক মেয়াদে তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার এমন অপূর্ব দৃশ্য আমরা দেখিনি।” উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই ভাঙন ধরছে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটে। প্রশ্ন উঠছে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন নীতীশ। জোটের বৈঠকের আয়োজন করা থেকে শুরু করে, বিভিন্ন দলের নেতৃদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সবই করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, লাভের লাভ কিছুই হয়নি।



যদিও নীতীশের দাবি ছিল, ইন্ডিয়া জোটের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। মতানৈক্যের অভাব রয়েছে দলের মধ্যে। বার বার বলেও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে ইন্ডিয়া জোট ছাড়েন তিনি। তারপর আবারও এনডিএ-র হাত ধরেন। এরপর এনডিএ-র সঙ্গে জোট বেঁধে নতুন সরকারও গড়েন তিনি। দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। এনডিএ-র হাত আর কখনও ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর আজ বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে শেষ হাসি হাসলেন নীতীশ।

Maitreyi Mukherjee | 16:28 PM, Mon Feb 12, 2024

Omar Abdullah On Modi : "ইন্ডিয়া নয় মোদীর জেতার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি", জল্পনা বাড়িয়ে মন্তব্য ওমর আবদুল্লার  

লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন প্রকাশ্যে আসছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের (India Alliance) ফাটল। সম্প্রতি শিবির বদলে জোটে বড় ধাক্কা দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। ইন্ডিয়া জোটের হাত ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন এনডিএ-তে। আর এবার এনডিএ-র স্তুতি শোনা গেল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah) মুখে। তাঁর মতে, লোকসভা নির্বাচনে ৪০০-র বেশি আসনে বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-র পক্ষে জেতা অসম্ভব কিছু নয়।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা আবদুল্লা বলেন, "তৃতীয় দফায় নরেন্দ্র মোদীর জেতার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এনডিএ লোকসভা ভোটে ৪০০-র বেশি আসনে জিততেই পারে। কারণ, বিরোধী দলগুলি নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি করতেই ব্যস্ত।"

লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত না হলেও, তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাদ যায়নি বিজেপিও। এবারে লোকসভা ভোটে ‘মিশন ৪০০’ লক্ষ্য নিয়ে লড়তে নেমেছে ঘেরুয়া শিবির। তাদের স্লোগান, ‘অব কি বার, ৪০০ পার’। প্রধানমন্ত্রী মোদী সংসদে দাবি করেছেন লোকসভার ৫৪৩ আসনের ভোটে বিজেপি একাই ৩৭০টি আসনে জিতবে। তাঁর দাবি, এনডিএ শরিকদের নিয়ে সেই সংখ্যা ৪০০ পেরোবে। আর সেই একই সুর শোনা গিয়েছে ওমর আবদুল্লার গলাতেও।

কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্সের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি-ও রয়েছে ‘ইন্ডিয়া’য়। কাশ্মীর উপত্যকার তিনটি লোকসভা আসন ঘিরে ইতিমধ্যেই দু’দলের টানাপড়েন শুরু হয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সহযোগী হিসাবে লড়ে ওই তিনটি আসনেই জিতেছিল ওমর। কিন্তু এ বার মেহবুবা কোনও অবস্থাতেই তাঁর প্রাক্তন লোকসভা কেন্দ্র অনন্তনাগের দাবি ছাড়তে রাজি নয় বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল কনফারেন্স আবারও এনডিএ-র হাত ধরতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

এদিকে ক্রমশ বাড়ছে ইন্ডিয়া জোটের ফাটল। কংগ্রেসের সঙ্গে কখনও তৃণমূল, কখনও আপ আবার কখনও সমাজবাদী পার্টির সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। আসন বণ্টন নিয়ে প্রকাশ্যেই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। তারপরই কংগ্রেসের সঙ্গে না লড়ে 'একলা চলো'-র নীতি নেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, কাশ্মীরেও অব্যাহত রয়েছে জোটের জট। জোট শরিকদের সঙ্গে না লড়ে একাই উপত্যকার নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কংগ্রেস। আর যদি সত্যিই তাই হয় তাহলে নির্বাচনের আগেই জোট 'ধূলিস্যাৎ' হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Maitreyi Mukherjee | 11:57 AM, Fri Feb 09, 2024

Modi vs Congress : ৪০ আসনও পাবে না! কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে মমতার চ্যালেঞ্জকে ‘হাতিয়ার’ মোদীর

ফাটলটা প্রকাশ্যে এসেছিল অনেক আগেই। কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) সম্পর্ক যে খুব একটা মধুর নয়, তা প্রায় সবারই জানা। জোট করলেও কংগ্রেসের কথা শুনে যে চলতে পারবেন না তাও আগে থেকেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর সবই ঠিকঠাক চলছিল। ইন্ডিয়া জোটের সনিয়ার ও রাহুলের পাশে দেখা গিয়েছিল মমতাকে। কিন্তু, ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন কংগ্রেসের সঙ্গে ফাটল আরও বাড়ছে। আসন বণ্টন নিয়ে কংগ্রেসকে প্রকাশ্যেই আক্রমণ করেছেন মমতা। লোকসভায় কংগ্রেস ৪০টা আসনও পাবে না বলে দাবি করেছেন তিনি। রেড রোডের কেন্দ্র-বিরোধী ধর্নামঞ্চ থেকে কংগ্রসকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, "কংগ্রেস সারা দেশে ৪০টা আসন পাবে কি না জানি না! আগে নিজের জায়গা দেখাও! পারলে বারাণসীতে গিয়ে বিজেপিকে হারাও। রাজস্থান তোমরা জেতা জায়গা হেরেছ। মধ্যপ্রদেশে গিয়ে বিজেপিকে হারাও।"

মমতার মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই বুধবার কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ থেকে চ্যালেঞ্জ এসেছে, কংগ্রেস ৪০ পার করতে পারবে না। আমি চাই কংগ্রেস ৪০ আসন রক্ষা করুক।"

এভাবে বিজেপিকে মমতা সুবিধা করে দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের একাংশের। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বিজেপি বিরোধী শিবিরে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি জানিয়ে চলেছে তৃণমূল। এমনকী, কংগ্রেস নিজেদের সুর নরম করতে চাইলেও তাতে যেন কানই দিচ্ছেন না মমতা। গত কয়েকদিন আগে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা রাজ্যে ঢোকার পর থেকে চলছে লাগাতার প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক আক্রমণ। বারেরবারেই কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম)’কে নিশানা করছেন মমতা।

তার মধ্যে শিবির বদলে ইন্ডিয়া জোটে বড় ধাক্কা দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিরোধী জোট ছেড়ে আবারও এনডিএ জোটে ফিরে গিয়েছেন তিনি। আর কখনও জোট পরিবর্তন করবেন না বলেও মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে জানিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আবার গ্রেফতারির আশঙ্কায় ভুগছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। পাঁচবার ইডির সমন এড়িয়ে রীতিমতো চাপে রয়েছেন তিনি। এবার তাঁকে সমন পাঠিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতিতে ভারে জর্জরিত তৃণমূল ও আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়া জোট কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের দাবি, টালমাটাল পরিস্থিতি ইন্ডিয়া জোটের। ফলে জোটের পালে হাওয়া লাগিয়ে বিরোধীদের পক্ষে লোকসভার বৈতরণী পার করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।

Maitreyi Mukherjee | 16:26 PM, Thu Feb 08, 2024

upload
upload

Nitish Kumar Meets PM Modi : "আর NDA ছাড়ব না", মোদীর সঙ্গে দেখা করে বললেন নীতীশ

কখনও তিনি এনডিএ-তে। কখনও আবার ইন্ডিয়াতে। আবার কখনও ইন্ডিয়ার উপর গোঁসা করে ফের পাল্টি এনডিএ-তে। এভাবে বেশ কয়েকবার পাল্টি খেয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। রাজনীতির অন্দরে এখন 'পাল্টিবাজ' নামেই পরিচিত তিনি। সম্প্রতি ইন্ডিয়ার (INDIA Alliance) হাত ছেড়ে তিনি আবারও এনডিএ-র হাত ধরেছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar Chief Minister) হিসেবে নতুন করে শপথও নিয়েছেন তিনি। তারপর বুধবার দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে। আর জোট পরিবর্তন করবে না বলেও মোদীর হাত ধরে কথা দিয়েছেন তিনি।

লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা না হলেও, এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। নিজেদের জমি শক্ত করতে মরিয়া তারা। চলছে নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করার পালা। যতদিন যাচ্ছে ততই শক্ত হচ্ছে এনডিএ জোটের হাত। অন্যদিকে চিড় ধরছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ায়। শুরু থেকেই তেমন একটা মজবুত ছিল না এই জোট। যদিও শরিকদের তরফে দাবি করা হয়েছিল 'জোট একেবারে মজবুত' বলেই। কিন্তু, শুরু থেকেই কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল, আবার কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে আপ, কখনও সমাজবাদী পার্টির সঙ্গেও বিরোধী দেখা যায়। বার বার তা প্রকাশ্যে এসেছে। এরপর আসন বণ্টন নিয়েও শরিকদের মধ্যে শুরু হয় সংঘাত। ফলে জোটের জট যে কাটার নয় তা খানিক স্পষ্ট রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।

এদিকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু, নির্বাচন এগিয়ে আসতেই ভোল বদলে আবারও এনডিএ-তে ফেরেন তিনি। গত মাসেই বিহারের সরকারে ফের পালাবদল হয়। বিজেপির সমর্থনে নবমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলেন নীতীশ কুমার। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করেন। আর মোদীর সঙ্গে দেখা করে তিনি বলেন, "আর কোথাও যাব না। এবার এখানেই (এনডিএ) থাকব।"

প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি বিহারের বিধানসভায় আস্থাভোট রয়েছে। বিজেপির সমর্থনে নতুন সরকার গঠন করার পর নীতীশ কুমারের সঙ্গে মাত্র ৮ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন। বাকি মন্ত্রী পরিষদ গঠন এখনও বাকি। মূলত আরজেডি-র মন্ত্রীদেরই সরিয়ে তার জায়গায় বিজেপি ও জেডি(ইউ)-র বিধায়করা শপথ নিয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোটের সদস্য বিজেপি ও জেডি(ইউ) ১৭টি করে আসনে লড়েছিলেন। তবে এবার আসন ভাগাভাগি কীভাবে হবে তা নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

Maitreyi Mukherjee | 11:53 AM, Thu Feb 08, 2024

Loksabha Election 2024 : মার্চেই লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার সম্ভাবনা!

সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। তার জন্য এখন থেকেই নিজেদের জমি শক্ত করতে মরিয়া রাজনৈতিক দলগুলি। তবে ভোটের দিনক্ষণ (Loksabha Election Date) এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু, তার আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বহু দলগুলি। মার্চেই লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, মার্চের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ফুল বেঞ্চ। ১০ মার্চের মধ্যেই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে আসতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই আসছেন তাঁরা। আর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে পারে।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছিল ১১ এপ্রিল। সাত দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ১৯ মে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়। ভোট গণনা হয়েছিল ২৩ মে। এরই মধ্যে একটি আনুমানিক দিন সামনে এসেছে। দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)র তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ১৬ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ধরে প্রস্তুত থাকতে। তবে সেই দিনটি একেবারে নিশ্চিত নয়। সামনের মাসে দিন ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও, নির্বাচনী ফল নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। কে কত আসনে জিতবে তা নিয়ে এখন থেকেই বিভিন্ন সভায় সুর চড়াতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভায় এনডিএ কতগুলি আসনে জিতবে তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। এবারও দিল্লিতে এনডিএ-র জয় হবে বলে আশাবাদী মোদী। তবে শুধুমাত্র এই দাবি করেই তিনি থেমে থাকেননি। তার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কতগুলি আসন পাবেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, শুধু ভারতীয় জনতা পার্টি এবার মোট ৩৭০টি আসনে জয়ী হবে। আর এনডিএ ৪০০-র বেশি আসন পাবে।

তবে এনডিএ শিবির লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও, টালমাটাল পরিস্থিতি বিরোধী শিবিরের। যত দিন যাচ্ছে ততই প্রকাশ্যে আসছে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের ফাটল। আসন সমঝোতা নিয়ে শরিক দলগুলির মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। তারই মধ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে কখনও তৃণমূল, কখনও আপ তো কখনও সমাজবাদী পার্টির সংঘাত সামনে আসছে। তারই মধ্যে আবার ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে ফের এনডিএ-তে যোগ দিয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ফলে ভোটের আগে জোটের এই জট কাটে কিনা সেই প্রশ্নই এখন সব থেকে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মনে।

Maitreyi Mukherjee | 13:31 PM, Wed Feb 07, 2024

Rajasthan News: রাজস্থানে রাজ্য বিজেপি অফিসে আনন্দ-উদ্দীপনার পরিবেশ

রাজস্থান বিধানসভায় ভোট গণনার প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি । যার জন্য রাজ্য বিজেপি অফিসে আনন্দ ও উদ্দীপনার পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। বিজেপি অফিসে ঢোল বাজানো হচ্ছে এবং কর্মীরা আনন্দে নাচছে। এছাড়া একে অপরকে লাড্ডু খাইয়ে খুশি ভাগ করে নিচ্ছে কর্মীরা।

বিজেপি অফিসে তিনটি বড় এলইডি বসানো হয়েছে। এলডিমার মতো, যতই বিজেপি প্রার্থীকে এগিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে, ততই কর্মীরা জয় শ্রী রাম এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জয়জয়কার করে আনন্দ মেতে উঠছেন। রাজ্য বিজেপি অফিসের পরিবেশ এমন যে সেখানে পা রাখার জায়গা নেই। একে অপরকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বিজেপির কর্মকর্তা-কর্মীরা।

Maitreyi Mukherjee | 15:06 PM, Sun Dec 03, 2023

Rajasthan Assembly Election Results 2023: রাজস্থানে বিজেপি জিতলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? যোগ্য জবাব প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

বিগত ২৫ বছরের রীতি ধরে রেখেই ফের পাশা উলটাতে চলেছে রাজস্থানে। কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। এখনও গণনা চলছে, তবে জয় নিয়ে আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব। এ দিন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোর বলেন, “আজকের এই লড়াই হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুশাসনের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অপশাসনের লড়াই। বিজেপি বিপুল জনসমর্থন নিয়ে জয়ী হবে।”

বিজেপি ক্ষমতায় আসলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যবর্ধন রাঠোর বলেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বই ঠিক করবে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। ভোটের ফল প্রকাশের পরই শীর্ষ নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন। সব খবর সঠিক সময়ে দেওয়া হবে। নির্বাচন হল দলগত লড়াই। তবে কাউকে তো নেতৃত্ব দিতেই হবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সেই সিদ্ধান্ত নেবে।”

এ দিন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “উত্তেজনায় ভরপুর একটা দিন আজ। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সুশাসন বনাম কংগ্রেসের অপশাসনের লড়াই হচ্ছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে বিজেপি বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সরকার গড়বে। বিপুল সংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছে, তার মানে তাঁরা পরিবর্তন আনতে চান।”

Maitreyi Mukherjee | 13:50 PM, Sun Dec 03, 2023

upload