Cracker Factory Blast : মধ্যপ্রদেশের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত কমপক্ষে ১১
মঙ্গলবার সকালে ভয়ানক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মধ্য প্রদেশের হরদা জেলার অন্তর্গত বৈরাগর গ্রাম। জানা গিয়েছে, আজ সকালে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। যার জেরে আগুন লাগে যায় কারখানাটিতে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আগুনে ঝলসে কমপক্ষে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, কারখানায় পরপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। আগুনের লেলিহান শিখা বের হতে দেখা যায় কারখানা থেকে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা বেশি থাকায় ওই অঞ্চল ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল নর্মদা পুরম জেলার সিওনি মালওয়া এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই ঘটনার বেশ কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, কারখানায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ঘন কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কের জেরে পালাতে দেখা যায়। আগুন লাগার সময় ওই কারখানাতেই কাজ করছিলেন এক কর্মী। প্রথম বিস্ফোরণের পর, কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে কারখানা থেকে বের হতে সক্ষম হন তিনি।
ওই কর্মী জানান, সেই সময় কারখানায় কমপক্ষে ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ইতিমধ্যে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। জেলাশাসক ঋষি গর্গের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, “খবর পেয়ে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার কাজ চলছে। আমরা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও ডেকেছি।” ঘটনাস্থলে ৭০টি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। অগ্নিদগ্ধ কারখানায় এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আহতদের হেলিকপ্টারে করে উন্নত মানের কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি এই ঘটনার জন্য শোকপ্রকাশ করে লেখেন, “মধ্য প্রদেশের হরদার ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক। মৃতদের আত্মীয়দের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। যাঁরা আহত তাঁদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।”। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এদিন মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য ২ লাখ ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকার অনুদান ঘোষণা করেছেন।