Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

electoral bond

Electoral Bonds : নির্বাচনী বন্ড "অসাংবিধানিক", শীঘ্রই বন্ধ করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bonds) সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। অবিলম্বে এটি বন্ধ করা উচিত। বৃহস্পতিবার এই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই প্রকল্প সাধারণ মানুষের তথ্যের অধিকার আইন লঙ্ঘন করে। রায়দানের সময় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "এই প্রকল্প অসাংবিধানিক ও নিয়মবহির্ভূত।"



নির্বাচনী বন্ড কি?



২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটি এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কালো টাকার রমরমা রুখতেই নির্বাচনী বন্ড আনা হয়েছিল। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া অনুদানের পদ্ধতিতে স্বচ্ছতার আনার জন্যই তৈরি হয়েছিল এই বন্ড। এটি আদতে রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচনের আগে আর্থিক অনুদান দেওয়ার একটি পদ্ধতি। ২০১৭ সালে অর্থবিলে একাধিক সংশোধন করা হয় এই নিয়ম চালুর জন্য। এর নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনও রাজনৈতিক দলকে আর্থিক অনুদান দিতে চাইলে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে ইলেকটোরিয়াল বন্ড কিনে পছন্দের রাজনৈতিক দলকে দিতে পারেন। ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ এবং ১ কোটি টাকা মূল্যের বন্ড পাওয়া যায় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় (State Bank Of India)। অনুদানপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলগুলি ১৫ দিনের মধ্যে এসবিআই-র শাখায় গিয়ে বন্ড ভাঙিয়ে নগদ করতে পারে। কে অর্থ অনুদান দিচ্ছেন, তা গোপন রাখা হবে।


তথ্য গোপন রাখার বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই প্রকল্পের বিরোধিতা করে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, এই প্রক্রিয়াতে নির্বাচনে অস্বচ্ছতাই বাড়বে। বিশ্বের কোনও দেশেই এমন ব্যবস্থা নেই, যেখানে রাজনৈতিক দল বন্ড ভাঙিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে। কোন কর্পোরেট সংস্থা নির্বাচনে কাকে অর্থ সাহায্য করছে, তার বিনিময়ে ক্ষমতাসীন দলের থেকে কী সুবিধা পাচ্ছে, সেই তথ্য জানারও উপায় নেই সাধারণ জনগণ বা ভোটারের। যেখানে শাসক দলের আর্থিক অনুদানের কোনও তথ্য থাকবে না, সেখানেই বিরোধী দলে কে কত অনুদান দিচ্ছেন, তা জানা সম্ভব। এই অভিযোগ নিয়েই মামলা দায়ের হয়।


এনিয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইলেকটোরাল বন্ডের ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দল ও আর্থিক অনুদানকারীর মধ্যে সুবিধার সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্যের অধিকার আবশ্যক। ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানানো জরুরি। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রাজনৈতিক দলগুলিই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ২০১৯ সাল থেকে এতদিন পর্যন্ত যে আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করেছে রাজনৈতিক দলগুলি, তার বিস্তারিত তথ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এই তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। 


প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের তরফে রায়ে সাফ জানানো হয়, এই প্রকল্পের লক্ষ্য কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই ও আর্থিক অনুদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হিসাবে তুলে ধরা হলেও, তা কার্যকর নয়। নির্বাচনী বন্ডই কালো টাকা রোখার একমাত্র উপায় নয়।

Maitreyi Mukherjee | 13:02 PM, Thu Feb 15, 2024

Electoral Bonds Scheme : নির্বাচনী বন্ড কি বৈধ? রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট

নির্বাচনী বন্ড বা ইলেকটোরাল বন্ড (Electoral Bond) কি আদৌ বৈধ? আজ এই মামলার রায়দান করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। লোকসভা নির্বাচনের আগে শীর্ষ আদালতের এই রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। মামলাটি নিয়ে ইতিপূর্বে মামলাকারীরা দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ তোলেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।



নির্বাচনে কালো টাকা ঢালা রুখতেই ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) এই প্রকল্প এনেছিল। কিন্তু অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে তা চ্যালেঞ্জ করে বিরোধীরা। গত বছরই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় সংরক্ষিত রাখে। আজ সেই মামলারই রায়দান হতে পারে।



নির্বাচনী বন্ড কি?



কালো টাকার রমরমা রুখতেই নির্বাচনী বন্ড আনা হয়েছিল। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া অনুদানের পদ্ধতিতে স্বচ্ছতার আনার জন্যই এই বন্ড তৈরি করা হয়েছিল। এই বন্ড হল রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচনের আগে আর্থিক অনুদান দেওয়ার একটি পদ্ধতি। ২০১৭ সালে অর্থবিলে একাধিক সংশোধন করা হয় এই নিয়ম চালুর জন্য। এর নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনও রাজনৈতিক দলকে আর্থিক অনুদান দিতে চাইলে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে ইলেকটোরিয়াল বন্ড কিনে পছন্দের রাজনৈতিক দলকে দিতে পারেন। ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ এবং ১ কোটি টাকা মূল্যের বন্ড পাওয়া যায় স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায়। অনুদানপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলগুলি ১৫ দিনের মধ্যে এসবিআই-র শাখায় গিয়ে বন্ড ভাঙিয়ে নগদ করতে পারে। কে অর্থ অনুদান দিচ্ছেন, তা গোপন রাখা হবে।



তবে এর কিছু শর্ত আছে। যেমন, যে রাজনৈতিক দল গত লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে কমপক্ষে এক শতাংশ ভোট পেয়েছে, তারাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান পেতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড আনা হয়।


যদিও এই বন্ড নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। বন্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা। তাদের অভিযোগ, এই প্রক্রিয়াতে নির্বাচনে অস্বচ্ছতাই বাড়বে। বিশ্বের কোনও দেশেই এমন ব্যবস্থা নেই, যেখানে রাজনৈতিক দল বন্ড ভাঙিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে। কোন কর্পোরেট সংস্থা কাকে ভোটে সাহায্য করছে, তার বিনিময়ে ক্ষমতাসীন দলের থেকে কী সুবিধা পাচ্ছে, সেই তথ্য জানারও উপায় নেই সাধারণ জনগণ বা ভোটারের। যেখানে শাসক দলের আর্থিক অনুদানের কোনও তথ্য থাকবে না, সেখানেই বিরোধী দলে কে কত অনুদান দিচ্ছেন, তা জানা সম্ভব। এই অভিযোগ নিয়েই মামলা দায়ের হয়।

Maitreyi Mukherjee | 11:33 AM, Thu Feb 15, 2024
upload
upload