Thursday, November 21, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

enforcement directorate

ED Raid : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর ইডি, পার্থ ঘনিষ্ঠের বাড়িতে তল্লাশি !

শুক্রবার সকাল থেকে আবারও তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। পাঁচটি জায়গায় চলছে তল্লাশি। এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রোমোটারের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। নাকতলায় পার্থর বাড়ির ঠিক উল্টোদিকেই পাঁচতলা বাড়ি রাজীব দের। সেখানে তল্লাশি চালান ইডি (ED Raid) আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি, রাজীব দে-র শ্রীরাম কনস্ট্রাকশনের অফিসেও চালানো হয় তল্লাশি। তার সঙ্গে বাঁশদ্রোনি ও বালিগঞ্জেও তল্লাশি চলে।


ইডি সূত্রে খবর, বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বাজারে খাটিয়েছেন রাজীব দে। তিনি পার্থ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাঁর নামে একাধিক বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। এর আগেও ৩-৪ বার রাজীব দে-কে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। আর আজ তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। প্রোমোটিং-এর টাকা দুর্নীতিতে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।



এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অঙ্গ হিসেবেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল ওই কাউন্সিরলের বাড়িতে। পাঁচজন প্রোমোটারের সঙ্গে পার্থর যোগাযোগ ছিল বলে সন্দেহ রয়েছে ইডি। সেই সূত্র ধরেই রাজীবের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত কোনও নথি উদ্ধার হয় কিনা তাই খুঁজে দেখছেন তদন্তকারীরা।


বাপ্পাদিত্য কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এর পাশাপাশি তিনি পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকও বটে। পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবেই পরিচিত তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআইয়ের আনা অভিযোগের শুনানিও চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে বহু বার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ। সম্প্রতি দিল্লি থেকে পার্থের হয়ে সওয়াল করতে এসেছিলেন ইডিরই এক প্রাক্তন আইনজীবী। পার্থের দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। হাই কোর্টেও এই একই আর্জি নিয়ে মামলা করেন পার্থ। এর পর চলতি মাসের ৮ তারিখ বাপ্পাদিত্যকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়। ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই এই নয়া অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

Maitreyi Mukherjee | 12:48 PM, Fri Feb 16, 2024

TMC MP Deb : আর্থিক তছরুপ মামলায় দেবকে দিল্লিতে তলব ED-র

তৃণমূল সাংসদ দেবকে (Deb) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, অর্থাৎ আর্থিক তছরুপ মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে তাঁকে দিল্লির ইডি অফিসে (ED Office) হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ঘনিষ্ঠ মহলে দেব জানিয়েছেন, 'যত বার ডাকবে, তত বার যাব'। তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন দেব।



জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ইমেলে চিঠি পাঠিয়ে দেবকে তলব করেছে ED। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্তে সুবিধার জন্য দেবকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। হাজিরা দেওয়ার সময় দেবকে কিছু নথি পত্রও নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এই নোটিস প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ মহলে দেব জানিয়েছেন, নির্ধারিত দিনেই তিনি দিল্লিতে গিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন। যা যা নথি ইডি চেয়েছে সবই নিয়ে যাবেন তিনি। পাশাপাশি তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন।



এর আগে, গরুপাচার কাণ্ডে অন্যতম সাক্ষী হিসেবে দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই (CBI)। এনামুল হককে দেব চেনেন কি না, কোনও রকম টাকার লেনদেন হয়েছিল কি না, সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। যদিও সেই সময় দেব জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এনামুলকে চেনেন না। কোনও রকম টাকার লেনদেনও করেননি। আর এবার দেবকে ডেকে পাঠাল ইডি।


গত কয়েক দিন ধরেই খরব শিরোনামে রয়েছেন দেব। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তাঁর একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকেই বেড়েছিল জল্পনা। রটে গিয়েছিল, তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন দেব। এবার আর ভোটেও লড়বেন না তিনি। তবে সেসব জল্পনায় জল পড়ে গত সপ্তাহে। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে দিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন দেব। সেই বৈঠক সেরে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও যান তিনি। এরপরই সব জল্পনার মোড় ঘুরতে শুরু করে। দেব নিজেই বলেন, তিনি রাজনীতি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি তাঁকে ছাড়বে না। এরপরই গত সোমবার আরামবাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভাসঙ্গী হিসেবে দেখা যায় ঘাটালের সাংসদ দেবকে। সেই মঞ্চ থেকেই মমতা জানিয়ে দেন, দেব আবারও ঘাটালের প্রার্থী হচ্ছেন।


তবে শুধু দেব নয়, জানা গিয়েছে তৃণমূলের পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিককেও তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট উত্তমকে তলব করেছে।

Maitreyi Mukherjee | 12:18 PM, Fri Feb 16, 2024

Arvind Kejriwal : ইডির ভয়ে জুজু! এবার কেজরিওয়ালকে তলব আদালতের

কিছুতেই ইডির মুখোমুখি হতে চাইছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। ইডির ভয়ে যেন জুজু হয়ে রয়েছেন তিনি! পাঁচবার তাঁকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। যদিও একবরাও হাজিরা দেননি তিনি। আর সেই কারণেই খানিক বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। এবার আদালতের তরফেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে (Delhi Chief Minister) কড়া নির্দেশ দেওয়া হল। ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।

দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মণীশ সিসোধিয়াকে। এই মামলায় কেজরিওয়ালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। পাঁচবার তাঁকে সমনও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, বিভিন্ন অজুহাতে বার বার তা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ইডি যে সমন পাঠাচ্ছে তা আইনত বৈধ নয়। তা ইডিকেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন তিনি। জানান, তদন্তে যে কোনও রকমের সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত। যে কোনও আইনত বৈধ সমনেরও জবাব দিতে রাজি। কিন্তু, শুধুমাত্র গ্রেফতারের চেষ্টাতেই তাঁকে বার বার সমন পাঠানো হচ্ছে।

এদিকে এর আগে গত বছরের ২ নভেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বরের পর চলতি বছরে ৩ জানুয়ারি, ১৯ জানুয়ারি আপ প্রধানকে ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, কোনও তলবেই সাড়া দেননি তিনি। তার মধ্যে ২১ ডিসেম্বর কেজরিওয়াল তাঁর যোগাভ্যাসের অনুশীলনের জন্য যেতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ। আর নভেম্বরে ইডির সমনে সাড়া না দিয়ে মধ্যপ্রদেশে প্রচারের কাজে গিয়েছিলেন তিনি। বাকি দুটি তলবে না যাওয়ার কারণও জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল।

এরপর বাধ্য হয়ে রাউস অ্য়াভিনিউ আদালতে যায় ইডি। আদালতের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিব্যা মালহোত্রা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগের মামলা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তাঁকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠান। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, "আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ৫০ নম্বর ধারার অধীনে তদন্তকারী সংস্থার যে কাউকে তলব করার অধিকার রয়েছে, যাদের উপস্থিতি তদন্তের জন্য বা প্রমাণ সংগ্রহ বা পেশ করার জন্য প্রয়োজনীয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও এই নিয়ম মানতে বাধ্য।" কেন তিনি বারবার হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন, সেই বিষয়ও তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে।

প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ২০২১-২২ আবগারি নীতি নিয়েই ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এরপরে ইডি-সিবিআই এই দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করে। আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। সেই মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার তলব করা হচ্ছিল কেজরিওয়ালকে।

Maitreyi Mukherjee | 10:48 AM, Thu Feb 08, 2024

Shahjahan Sheikh : সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ, ফের হাজিরা এড়ালেন শাহজাহান

সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) মামলায় সিট গঠনের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের তদন্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের (Kolkata High Court) দ্বারস্থ হয় ইডি। সেখানেই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আদালতে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য নষ্টের আশঙ্কা প্রকাশ করে ইডি। এরপরই সিট গঠন ও রাজ্যপুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। যদিও এদিন ফের আদালতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় ইডি (Enforcement Directorate)।

এদিকে সন্দেশখালিতে ইডি-র উপর হামলার পর ৩৩ দিন পার। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ ফের তাঁকে তলব করেছিল ইডি। আজ সকাল ১১টার সময় সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁর হাজিরার কথা ছিল। তবে এবারও হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। দেখা মেলল না শেখ শাহজাহানের।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান তাঁরা। এদিকে সেখানে তাঁরা পৌঁছতেই তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। মারধরও করা হয় তাঁদের। মাথা ফাটে এক আধিকারিকের। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে এলাকা ছাড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে। শুনানির পর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, এই মামলার তদন্ত করবে সিট। সিবিআই ও রাজ্যের আইপিএসদের নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। বুধবার সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ মার্চ।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) দাবি, আদালতের এই ঢিলেমির জন্য তৃণমূল তার লক্ষ্যে সফল হয়ে যাচ্ছে। কারণ তৃণমূলের লক্ষ্য লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে শেখ শাহজাহানকে জেলে যাওয়ার থেকে আড়াল করা। এদিকে আবার মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে। তাই ৬ মার্চ এই মামলার শুনানির পর সিবিআই যদি এই মামলার তদন্তের ভার পায়ও, তাহলে লোকসভা ভোটের আগে সিবিআইয়ের (CBI) পক্ষে সেই সময় শাহজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Maitreyi Mukherjee | 16:41 PM, Wed Feb 07, 2024

ED Raid In Hooghly : ঘুমের ঘোর কাটার আগেই ভুল বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ল ইডি! 

সাত সকালে তখনও ঘুম ঘোর কাটেনি। তার মধ্যেই আচমকা দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। বাড়ির উঠোন ততক্ষণে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ছয়লাপ। সেই দৃশ্য দেখে বাড়ির সদস্যরা তখন ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছেন। কী করবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না। কোনওরকমে ভয়ে ভয়ে বাড়ির দরজা খুলে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেন। জানতে পারেন ইডি তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে এসেছে। কিন্তু, সাতে পাঁচে না থাকা চুঁচুড়ার ময়নাডাঙার ব্যবসায়ী সন্দীপ কুমার সাধুখাঁ বুঝেই উঠতে পারছিলেন না যে তাঁর বাড়িতে কেন ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালাতে এলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপবাবুর লজেন্সের ব্যবসা রয়েছে। পোলবা থানা এলাকার মহেশপুরে রয়েছে তাঁর কারখানা। সেখানে কয়েকজন শ্রমিক কাজও করে। আজ সকালে সবাই তখন সবে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। ঠিক সেই সময় ইডি এসে ডাকায় বেশ কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে শুধুমাত্র তিনিই নন, অবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাঁরা জানান, সাধুখাঁ পরিবার কারও সাতে পাঁচে থাকেন না। হুট করে কেন তাঁদের বাড়িতে ইডি এল তা বুঝতেই পারছিলেন না তাঁরা।

বাড়ির বাইরে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কনভয় দেখে প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে গিয়েছিলেন সন্দীপবাবু। এরপর ইডির সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা কথা কাটাকাটি হয় তাঁদের। তারপর একপ্রকার হাল ছেড়ে দিয়ে ইডিকে তল্লাশি চালানোর অনুমতিও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, মেমো নম্বরে সই করার সময়ই খটকা লাগে সন্দীপবাবু। দেখেন তাঁর নাম ঠিক থাকলেও তাঁর বাবার নামের বানান ভুল রয়েছে। তার সঙ্গে চুঁচুড়া থানারও কোনও উল্লেখ ছিল না। মেমো নম্বরে সই করতে অস্বীকার করেন সন্দীপবাবু। তখন ইডি আধিকারিকরা সন্দীপবাবুর ভোটার ও আধার কার্ড দেখাতে বলেন। তখনই ভুল ভাঙে ইডি আধিকারিকদের। বুঝতে পারেন নাম বিভ্রাটের জেরে ভুল বাড়িতে চলে গিয়েছেন তাঁরা। ভুল বুঝতে পেরে সোজা বেরিয়ে পড়েন ওই বাড়ি থেকে। এদিকে ইডি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর যুদ্ধ জয়ের হাসি ফোটে সাধুখাঁ পরিবারের মুখে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে সন্দীপবাবুর ছেলে শুভদ্বীপ বলেন, "আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। কলকাতায় চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় আমরা সবাই বেশ ভয়ে পেয়ে গিয়েছিলাম। কী করব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তারপর মেমো নম্বরে সই করতে গিয়ে দেখতে পাই নামের বানান ভুল রয়েছে। থানার নামও সেখআনে উল্লেখ করা নেই। তখনই আমাদের সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি ইডিকে জানাই। তারপর ওঁরা যাচাই করে দেখে বুঝতে পারেন ভুল বাড়িতে চলে এসেছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁরা বেরিয়ে যান।"

তবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বেশ তৎপর ইডি। রাজ্যের একাধিক জায়গায় চলে তল্লাশি। একদিকে ঝাড়গ্রামে যখন ডব্লুবিসিএস অফিসারের আবাসনে অভিযান চলছে, তখন হুগলির চুঁচুড়াতেও ইডির হানা। অন্যদিকে বহরমপুরের বিষ্ণুপুরে এক পঞ্চায়েত কর্মীর বাড়িতেও মঙ্গলবার সকালে গিয়ে হাজির হয় ইডি। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজে প্রায় ১.৭৯ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় তদন্তে নেমেছে ইডি।

Maitreyi Mukherjee | 14:37 PM, Tue Feb 06, 2024

Hemant Soren : ২২ জানুয়ারি ২৫০০ যুবকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন হেমন্ত সোরেন

আগামী ২২ জানুয়ারি ২৫০০ যুবকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বেসরকারি সেক্টরের যুবকদের এই নিয়োগ পত্র প্রদান করা হবে। এই উপলক্ষ্যে খেলগাঁওতে অবস্থিত তানা ভগত স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অরবিন্দ টেক্সটাইল, কিশোর এক্সপোর্ট, শ্রী গণপতি ক্রিয়েশন, আরবান ডিজাইন প্রাইভেট লিমিটেড, ম্যাট্রিক্স ক্লোথিং, ভ্যালেন্সিয়া অ্যাপারেলস এবং ওরিয়েন্ট ক্রাফট টেক্সটাইল কোম্পানিগুলিতে যুবকদের নিয়োগপত্র প্রদান করা হবে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মসংস্থান মেলার আয়োজন করে প্রায় ৫৬ হাজার যুবককে বেসরকারি খাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্থানীয় যুবকদের বেসরকারি খাতে ৭৫ শতাংশ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে, যেসব কোম্পানিতে যুবকদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে তার বেশিরভাগই ওরমাঞ্জির কুলিতে অবস্থিত। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কুলহি শিল্প এলাকায় বেশ কয়েকটি টেক্সটাইল প্ল্যান্ট উদ্বোধন করা হয়েছিল। এই কোম্পানিগুলিতে কর্মরত ৯০ শতাংশ মহিলা কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছিল।

Maitreyi Mukherjee | 15:20 PM, Sun Jan 21, 2024
upload
upload