Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

jail

Anubrata Mondal : বীরভূমে কেষ্টতেই ভরসা তৃণমূলের! মঙ্গল কামনায় যজ্ঞের আয়োজন শহরজুড়ে


বীরভূমের দাপুটে নেতা ছিলেন তিনি। তাঁর নামে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। তিনিই ছিলেন বীরভূম জেলার শেষ কথা। তাঁর নির্দেশ ছাড়া বীরভূমের একটা পাতাও নড়ত না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন তিনি। কিন্তু, এখন তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গরু ও কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি ও সিবিআই। প্রায় দেড় বছর আগে ১১ অগাস্ট ২০২২ সালে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এখন অবশ্য তিহাড়ের চার দেওযালের মধ্যেই তাঁর দিন কাটছে। বহুবার জামিনের জন্য আবেদন করেছেন তিনি। কিন্তু, প্রতিবারই তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এদিকে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু, তাঁকে ছাড়া নির্বাচন তৃণমূল কতটা দাগ কাটতে পারবে সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, অনুব্রত না থাকায় দলীয় কর্মীদের মনোবল অনেকটাই ভেঙে গিয়েছে। আর সেই কারণে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ময়দানে নেমেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। বহুবার বীরভূমে গিয়ে সভা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকী, জেল বন্দি কেষ্টর পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। কেষ্টর হয়ে প্রকাশ্য সভায় সুর চড়াতেও শোনা গিয়েছে তাঁকে। এরই মাঝে আচমকা বিশেষ হোমযজ্ঞের আয়জন করা হয়েছে বীরভূম তৃণমূলের তরফে। প্রশ্ন উঠছে কেন হটাৎ এই যজ্ঞের আয়জন করল দল? তবে কি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের গড়ে ফিরছেন অনুব্রত? জেলে যাওয়ার পরও যে অনুব্রত তাঁর স্নেহভাজন রয়েছেন তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। এমনকী, বীরভূমে কেষ্টই যে তাঁর একমাত্র ভরসার পাত্র তাও জানিয়েছেন তিনি। তারপর থেকেই আবারও কেষ্ট রব উঠেছে বীরভূমজুড়ে।

শহরজুড়ে পোস্টার পড়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের শুভকামনায় যজ্ঞ হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি। সকাল ৯টা নাগাদ বোলপুর রেলময়দান দুর্গামন্দির প্রাঙ্গণে এই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। তবে কারা এই যজ্ঞ করছেন, তা পোস্টারে উল্লেখ করা নেই ৷ যদিও, বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী জানান, “মানুষ তাঁর অনুপস্থিতি অনুভব করতে পারছে, আমাদের নিজেদেরকে অভিভাবকহীন মনে হচ্ছে তিনি না থাকায়, লোকসভা নির্বাচনে অনুব্রতর ছবি সামনে রেখেই ভোট হবে”।

Bengal Hour Bureau | 18:17 PM, Sat Feb 10, 2024

Pregnant In Bengal Jails : রাজ্যের বহু জেলেই অন্তঃসত্ত্বা বন্দিরা! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন


রাজ্যের বিভিন্ন জেলেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন মহিলা বন্দিরা। রাজ্যের একাধিক জেল পরিদর্শনের পর এক আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে এই বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। এমনকী বিভিন্ন জেলে এভাবে ১৯৬ জন সন্তানের জন্ম হয়েছে বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে আদালতে। মায়ের সঙ্গে জেলেই রয়েছে সন্তানরাও।



সংশোধনাগারে মহিলাদের এই পরিস্থিতি নিয়ে হাইকোটে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল তাতে প্রধান বিচারপতির টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে আদালত তরফে নিযুক্ত আইনজীবী তাপস ভঞ্জ এই রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্টে ভঞ্জ সংশোধনাগারের পুরুষ কর্মচারীদের মহিলা সেলে প্রবেশের উপর নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করার অনুরোধ করেছেন। এনিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, "মহিলা বন্দিরা হেফাজতে থাকাকালীন গর্ভবতী হচ্ছেন। বিষয়টি বেশ গুরুতর।" এরপরই আদালত মামলাটি ফৌজদারি বিষয়ের মামলা বলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে স্থানান্তর করে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার।



হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৮ সালে রাজ্যের সংশোধনাগারগুলিতে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করেছিল। সম্প্রপ্তি কারাগার পরিদর্শনে যান আই জি কারাবিভাগ। সঙ্গে ছিলেন আদালতবান্ধবরা। সেখানেই তাঁরা দেখেন জেলে কয়েকজন বন্দি গর্ভবতী এবং ১৫জন শিশু জেলে মায়ের সঙ্গে রয়েছে। সেখানেই দিন কাটাচ্ছে তারা। সেই রিপোর্টই বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়।



এই বিষয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "কারা এই অভিযোগ করেছেন জানি না। নির্দিষ্ট কোনও সংশোধনাগারের কথা উল্লেখ করেননি। উল্লেখ করলে দেখব। রাজ্যে চারটি মুক্ত সংশোধনাগার আছে, যেখানে পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারেন বন্দিরা। সেখানে ঘটেছে কি না, সেটাও দেখতে হবে। দফতরে এই ধরনের অভিযোগ কখনও আসেনি। আলিপুর বাদে সব জায়গায় মহিলা পুরুষ আলাদা সেল আছে।”



এদিকে, এই ইস্যুতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ইস্যুটি বিধানসভাতেও তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি ওই অভিযোগকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর দাবি, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে জেলে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলেও সরব হয়েছে অগ্নিমিত্রা। বামেদের দাবি, এই ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে খুবই ভয়াবহ। কারণ জেলেও যদি মহিলাদের নিরাপত্তা না থাকে তাহলে আর কোথায় থাকবে? কোথাও তাঁদের কোনও নিরাপত্তা নেই। এখন জেলেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন মহিলারা।

Maitreyi Mukherjee | 16:20 PM, Fri Feb 09, 2024
upload
upload