Saturday, November 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

locket chatterjee

Locket Chatterjee : "টাকা দিয়ে মহিলাদের শাহজাহানদের ঘরে পাঠানো মানবে না বাংলা", বললেন লকেট


সামনেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। এই সময় জমি শক্ত করতে মরিয়া সব রাজনৈতিক দলই। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে সবদলেরই প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। যদিও নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। তার আগেই মাঠে নামলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে শুরু করলেন প্রচার। সোমবার ব্যান্ডেল কেওটা এলাকায় দলীয় প্রতীক এঁকে দেয়াল লিখন শুরু করেন সাংসদ নিজেই।



প্রচার প্রসঙ্গে লকেট বলেন, “দেশজুড়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপির প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা থেকে রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার সবাই দেয়াল লিখন শুরু করেছেন অনেক আগেই। পাশাপাশি অনেক বিজেপি কর্মীরা নিজেদের মতো করে অঞ্চলে অঞ্চলে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় সাংসদ, কাউন্সিলর সবাই দেওয়াল লিখন শুরু করেছেন।” তাঁদের দেওয়াল লিখনের মূল বার্তা হল, “ফের একবার মোদী সরকার”। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস তৃতীয় বারের জন্য ৪০০ বেশি আসন পেয়ে ফের দিল্লির কুর্সি দখল করবেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলা থেকে বিজেপিকে যে ৩৫ টি আসন তুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেই লক্ষ্য পূরণের দিকেই বঙ্গ বিজেপি এগোচ্ছে বলেও জানিয়েছেন লকেট।



এদিকে আগুন জ্বলছে সন্দেশখালিতে। কিন্তু, তা নিয়ে কার্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি লকেট। তিনি বলেন, “মানুষের সেবা করতে এলে অনেক ত্যাগ করতে হয়, দলের ক্যাপ্টেন যেখানে ঠিক নয়, বাকিদের থেকে কি বা আশা করা যায়।” অন্যদিকে রাজ্যপালের সন্দেশখালি সফর নিয়ে বলেন, “তাঁর যাওয়াই উচিত। সন্দেশখালি ছোট পাকিস্তান বা ইরানে পরিণত হয়েছে। দিনের পর দিন যে অমানবিক অত্যাচার চলছে তা অসহনীয়। বিশেষত মহিলারা যে রাতের পর রাত অসম্মানের স্বীকার হয়েছেন তা ভাবনার বাইরে। যাতে আরও ১০টা সন্দেশখালি তৈরি না হয় তার জন্য মহিলাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।” সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "তিনি যদি ভাবেন ৫০০, ১০০০ দিয়ে মহিলাদের শেখ শাহজাহানদের মতো নেতাদের ঘরে পাঠিয়ে দেবেন, সেটা মেনে নেবে না বাংলা।”


গত কয়েক দিন ধরেই জ্বলছে সন্দেশখালি। উত্তেজনা থাকায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। যদিও সেই ধারা তুলে দেওয়ার দাবিতে সরব বিজেপি। মঙ্গলবার সেখানে এসপি অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে ঘেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতির মধ্যে আজ সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তাঁকে বাসন্দী হাইওয়েতে আটকে দেয় পুলিশ। এ প্রসঙ্গে লকেট বলেন, “তৃণমূল চায় না কোনও বিরোধী দল ওখানে যাক, গেলে আসল খবর বেরিয়ে আসবে তাই পুলিশ দিয়ে আটকে দিয়েছে।”

Bengal Hour Bureau | 17:02 PM, Mon Feb 12, 2024

BJP State Election Committee : লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আস্থা দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দুতে, চূড়ান্ত নির্বাচন পরিচালন কমিটি

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে হাতে আর বেশিদিন বাকি নেই। ইতিমধ্যেই নিজেদের জমি শক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সব রাজনৈতিক দলই। তারই মধ্যে এবার লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য চূড়ান্ত কমিটি তৈরি করল বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে শীর্ষে রেখে ২০ জনের সেই কমিটিতে রাখা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এছাড়াও রয়েছেন চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর ও জন বার্লা। পাশাপাশি সেই কমিটিতে রয়েছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, দীপক বর্মন। কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে চারজনের অমিত মালব্য, সুনীল বনশাল, মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লাকড়া।

এই কমিটি নিয়ে অনেক দিন ধরেই দলের অন্দরে জল্পনা চলছিল। কমিটির মাথায় কে থাকবে তা নিয়ে জলঘোলা হচ্ছিল কর্মীদের মধ্যে। এর আগে ১০১ জনের কমিটিতে ৩৫টি বিভাগ তৈরি করা হয়েছিল। সেই সব কমিটির প্রধানদের নাম ঠিক করলেও চেয়ারম্যান কে হবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রাজ্য বিজেপি। যা নিয়ে অনেক জল্পনা এবং বিতর্ক তৈরি হয় বিজেপির অন্দরে। অবশেষে সেই কমিটির মাথায় আরও একটি কমিটি তৈরি করা হল। যার মাথায় রাখা হয়েছে সুকান্তকে। শনিবার দলের সল্টলেকের রাজ্য দফতরে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই এই কমিটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, অত্যন্ত ভারসাম্য বজায় রেখেই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।

ওই কমিটিতে সুকান্তের পরেই নাম রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এর পরে রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর এবং জন বার্লার নাম রয়েছে। এর পরেই জায়গা পেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এখন রাজ্য বা সর্বভারতীয় কোনও দায়িত্বই নেই মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপের। ইদানীং, তাঁর কাজকর্ম দেখে এটাও মনে হয়েছে যে তিনি নিজের আসন ছাড়া অন্য এলাকা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে চাইছেন না। তবে রাজ্য বিজেপি যে, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপকে লোকসভা নির্বাচনেও গুরুত্ব দিতে চায় সেই বার্তা দিয়ে দিল কমিটিতে জায়গা দিয়ে। দিলীপের পাশাপাশি কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন আর এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংও।

Maitreyi Mukherjee | 11:56 AM, Mon Feb 05, 2024
upload
upload