Friday, November 22, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

mohamed muizzu

Maldives Row : মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার ভারতের! কী বলছে দুই দেশ?

কয়েক মাস ধরেই ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। তলানিতে ঠেকেছে দুই দেশের সম্পর্ক। আর এর মধ্যেই এবার মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মালদ্বীপ থেকে কি সত্যিই সেনা সরাবে ভারত? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে কূটনৈতিক মহলের একাংশের মনে। সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিল ভারত ও মালদ্বীপের প্রতিনিধিরা। সেখানেই ভারতের তরফে জানানো হয়, মিলিতভাবে সমস্যার সমাধান করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। অন্যদিকে, মালদ্বীপের তরফে দাবি করা হয়েছে মে মাসের মধ্যেই মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে।

মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েন কী নিয়ে?

জানুয়ারি মাসে লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধআনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে সমুদ্র সৈকতে বসে থাকার ও ঘুরে বেড়ানোর ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন তিনি। আর তা দেখেই গা জ্বলে ওঠে মালদ্বীপের। সেই সফর নিয়ে কটাক্ষ করেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন তাঁরা। যা দেখে রে রে করে ওঠে ভারত। দুই দেশের মধ্যে শুরু হয় কূটনৈতিক টানাপোড়েন। দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই অপমান মেনে নিতে পারেনি বিভিন্ন ট্রাভেল সংস্থাও। সঙ্গে সঙ্গে মালদ্বীপে যাওয়ার সব টিকিট বাতিল করে দেওয়া হয়। এর ফলে বেজায় চাপে পড়ে যায় মালদ্বীপ। চাপে পড়ে তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করে মালদ্বীপ সরকার। যদিও তারপরও টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে।

পরিস্থিতি যাই হোক না কেন বরাবরই পড়শি দেশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা গিয়েছে ভারতকে। মালদ্বীপকেও সাহায্য করা হয়েছিল ভারতের তরফে। তবুও সেই উপকারী দেশের সঙ্গেই কূটনৈতিক টানাপোড়েনে জড়িয়েছে মালদ্বীপ। চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। মুইজ্জু মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হওয়ার দিনই ওই দ্বীপরাষ্ট্র থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের কথা বলেছিলেন। সম্প্রতিই ফের ভারতকে বলা হয়, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে যেন মলদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শুক্রবার এই বিষয় নিয়েই আলোচনায় বসেছিল দুই দেশ।

বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, “বৈঠকে দুই পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে মজবুত করতে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। বর্তমানে যে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই পক্ষই ভারতীয় বিমান পরিষেবা, যা মালদ্বীপকে মানবিক ও চিকিৎসা পরিষেবা দেয়, তা নিয়ে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে রাজি হয়েছে।”

উল্লেখ্য, মালদ্বীপে প্রায় ৮০ জন সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। যাঁরা উপহার হিসেবে মালদ্বীপকে দেওয়া ভারতের তিনটি বিমান চালানো ও সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করেন। মূলত সেই জওয়ানদের নিয়েই আপত্তি জানিয়েছে মালদ্বীপ। মুইজ্জু সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "১০ মার্চের মধ্যে ভারত প্রথম ধাপে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে। তারপর ১০ মে-র মধ্যে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। এই বিষয়ে দুই দেশই সহমত হয়েছে।"

Maitreyi Mukherjee | 15:09 PM, Sat Feb 03, 2024
upload
upload