Friday, May 17, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

myanmar

Unrest Situation In Rakhine : "দ্রুত এলাকা ছাড়ুন", মায়ানমারে থাকা ভারতীয়দের নির্দেশ বিদেশ মন্ত্রকের


ফের উত্তেজনা বাড়ছে মায়ানমারে (Myanmar)। ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। সেনা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মায়ানমারের নিরাপত্তা ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে মানয়ানমার ভারতীয়দের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয় বলে আশঙ্কা প্রকাশ কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের (Ministry of External Affairs)। আর সেই কারণেই আগেভাগে সেখানে থাকা ভারতীয়দের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ভারতের তরফে। ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ। সেখান থেকে ভারতীয়দের অবিলম্বে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাখাইনে এই ঘুরতে যাওয়ার উপরও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাখাইনে যে অচলবস্থা চলছে তার জেরে ভেঙে পড়েছে নিরাপত্তা। টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় এবং অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর তীব্র সঙ্কট থাকায় ভারতীয়দের মায়ানমারের রাখিনে-তে যেতে বারণ করা হয়েছে। যাঁরা ওখানে রয়েছেন, তাঁদেরও অবিলম্বে ওই রাজ্য ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। দেশের প্রধান আন সু-কিকে গ্রেফতার করে সেনা। দেশের ক্ষমতা চলে যায় সেনার হাতে। সেই থেকেই মায়ানমারের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এর বিরদ্ধে শুরু হয়েছিল প্রতিবাদ আন্দোলন। কিন্তু, সেনার অস্ত্রের সামনে আন্দোলন খুব বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেনি। আন্দোলন থামাতে বোমা, গুলি কোনও কিছুই বাদ দেয়নি সেনা। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয় সেখানে। ঘরছাড়া হন বহু। ২০২৩ সালের শেষভাগে দেশে সামরিক শাসন শেষ ও গণতন্ত্র পুনর্স্থাপনের দাবিতে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়। রাতারাতি তা হিংসার রূপ নেয়। গত অক্টোবর মাস থেকেই রাখাইনে সহ একাধিক রাজ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

নভেম্বর মাসে এই পরিস্থিতি দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। যার জেরে ভারত এবং মায়ানমারের বর্ডার সংলগ্ন মিজোরাম (Mizoram) ও মণিপুরে (Manipur) তার আঁচ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাণ বাঁচাতে ভারত, বাংলাদেশে মায়ানমারের কয়েক হাজার নাগরিক অনুপ্রবেশ করেছে বলে অনুমান।

গত সপ্তাহে ভারতের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ যুদ্ধ বিরতির আবেদন করা হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। এর প্রভাব ভারতের উপর সরাসরি পড়ছে। আমরা চাই মায়ানমারে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক।"

Bengal Hour Bureau | 14:48 PM, Wed Feb 07, 2024
upload
upload