Thursday, November 21, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

nawaz sharif

Nawaz Sharif : নওয়াজ বা বিলাবল নন, সবাইকে চমকে দিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন অন্য কেউ!

ভোট মিটে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। শেষ গণনাও। কিন্তু, পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসবেন তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত টালবাহানা চলছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাবল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto-Zardari)। তারপর অনেকেই ভেবেছিলেন ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif)। কিন্তু, তার মাঝেই এল নতুন টুইস্ট। ভাই শাহবাজ শরিফকে (Shehbaz Sharif) প্রধানমন্ত্রীর জন্য মনোনীত করেছেন নওয়াজ।




মঙ্গলবার পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর সভাপতি শাহবাজ শরিফকে দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করে দল। মূলত নওয়াজের ইচ্ছেতেই তাঁর ভাইয়ের নাম মনোনীত করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডলে পিএমএল-এন মুখপাত্র মারিয়াম অওরঙ্গজেব জানিয়েছেন, পিএমএল-এন প্রধান ৭৪ বছরের নওয়াজ তাঁর ছোট ভাই ৭২ বছরের শাহবাজকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে এবং তাঁর কন্যা ৫০ বছরের মারিয়াম নওয়াজকে পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন।




৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়। পিএমএল-এন, পিপিপি বা পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ (পিটিআই) কেউই ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি। তবে শুরু থেকেই নওয়াজ ভেবেছিলেন এবার হয়তো তাঁর দল পিএমএল-এন সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে বাজিমাত করবে। কিন্তু, তা আর সম্ভব হয়নি। বরং জেলে বসে ভোটে লড়ে বাজিমাত করেছিলেন ইমরান খান (Imran Khan)। তিনি জেলে থাকায় দলীয় প্রতীক কেড়ে নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তার জেরে নির্দল প্রতীকেই তাঁর নেতৃত্বে লড়েছিল অনুগামীরা। একাধিক আসনে জয়ী হয়েছে ইমরানের দল। তবে সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় কোনও আসনই জিততে পারেনি মূল তিনটি দলই।




এরই মধ্যে মঙ্গলবার পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। ৩৫ বছরের বিলাবল জানিয়েছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। বরং, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য তাঁর বাবা আসিফ আলি জারদারি উপযুক্ত। পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছিলেন যে, তাঁর দল পিএমএল-এনকে সমর্থন করলেও সরকারের অংশ হবে না। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন নওয়াজ। কিন্তু, তারপরই ঘুরে যায় খেলা। নওয়াজ নিজেই মনোনীত করেন ভাই শাহবাজকে।




প্রসঙ্গত, পিএমএল-এনের সঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের সেনার সমর্থন। কিন্তু, সেনার সর্বাত্মক সমর্থন নিয়েও জনসমর্থনে সেই জোয়ার তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন নওয়াজ। আর সেনার সমর্থন থাকার ফলে নওয়াজের প্রধানমন্ত্রী হওয়া যে শুধু সময়ের অপেক্ষা তা ভেবে নিয়েছিলেন শাহবাজও। খেলা যে এভাবে ঘুরে যাবে তা ভাবতে পারেননি তিনিও। কিন্তু, রাত বাড়তেই ভাইয়ের নাম পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করে একেবারে তাক লাগিয়ে দিলেন নওয়াজ।

Maitreyi Mukherjee | 10:32 AM, Wed Feb 14, 2024

Pakistan Eelction : নিজেদের জয়ী ঘোষণা নওয়াজ-ইমরানের, দড়ি টানাটানি অব্যাহত পাকিস্তানে

তাঁরা দু'জনেই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (Pakistan Election)। দু'জনেই একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। এবার পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তাঁরা দু'জনেই লড়েছিলেন। আর কয়েক দফা গণণনা শেষ হওয়ার পর দু'জনেই নিজেদের জয়ী ঘোষণা করলেন। নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif) ও ইমরান খানের (Imran Khan) নিজেরদের জয়ী ঘোষণার পর থেকে আবারও পাকিস্তান রাজনীতিতে টানাপোড়েন শুরু হবে বলে অনুমান কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।



প্রায় ৪৮ ঘণ্টা কাটতে চলেছে ভোট গণনার। তারপরও ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হচ্ছে না পাকিস্তানে। প্রাথমিক গণনার পর দেখা গিয়েছিল, বেশিরভাগ আসনেই এগিয়ে ছিলেন ইমরান খান তথা পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। পরে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন-ও এগিয়ে যায় বেশ কিছু আসনে। প্রাথমিক গণনার ফল সামনে আসার পর অনেকেই ভেবেছিলেন জেলে থেকেই বাজিমাত করেছেন ইমরান। ফের একবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখা যাবে তাঁকে। কিন্তু, সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে নওয়াজ ঘোষণা করেন, "আমরা জিতে গিয়েছি"। যেহেতু পিএমএলএন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি তাই বাকি রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলে জোট সরকার গড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন নওয়াজ শরিফ। এর ফলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা রয়েই যাচ্ছে ইসলামাবাদে। কে সরকার গঠন করবে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।



একক দল হিসেবে সবথেকে বেশি আসন পেয়েছেন নওয়াজের দল। যেহেতু ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এবার একক দল হিসেবে ভোটে লড়েনি, তাই সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে ধরা যাচ্ছে না তাদের। এদিকে, নওয়াজ শরিফ জয়ের কথা ঘোষণা করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন করতে পারবে না তাঁর দল। তাই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শরণাপন্ন হচ্ছেন তিনি।



এদিকে গণনা শেষ হওয়ার আগে পিটিআই-এর তরফে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়। যেখানে নওয়াজের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ইমরান। তাঁর দাবি, তাঁর প্রার্থীরাই জিতেছে। সবাইকে অভিনন্দনও জানাচ্ছে পিটিআই। এমনকী, 'লন্ডন প্ল্যান' ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন ইমরান।



মোট ২৬৫টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে পাকিস্তানে। তার মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ আসনের ফলাফল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরই জয় ঘোষণা করেছেন নওয়াজ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাক ভোটে ত্রিশঙ্কু হতে পারে, সম্ভবত কোনও একটি দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইমরান খান সমর্থির নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন ৯৮টি আসনে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ -নওয়াজ জিতেছে ৬৯ আসনে ও পিপিপ জিতেছে ৫১টি আসনে। বাকি আসনে অন্যান্য কিছু ছোট দল জিতেছে। এবার তাদের সঙ্গে আলোচনার করেই জোট করে ক্ষমতায় ফিরতে পারেন নওয়াজ শরিফ।

Maitreyi Mukherjee | 11:23 AM, Sat Feb 10, 2024

Pakistan General Election 2024 : জেলে বসেই 'বাজিমাত' ইমরানের! বোল্ড আউটের সম্ভাবনা শরিফ-ভুট্টোদের

গ্রেফতারির পর থেকে সেই জেলেই রয়েছেন পাকিস্তানের (Pakistan Election) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। জেলে বসেই ম্যাজিক দেখাচ্ছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে (Pakistan General Election) তিনি নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। দলীয় প্রতীকে লড়তে পারছে না তাঁর দলের কেউই। তার পরিবর্তে বেগুন প্রতীক নিয়ে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রার্থীরা। আর সেই নির্দলে লড়েই বাজিমাত করতে চলেছেন তিনি। অন্তত ভোটগণনার প্রাথমিক রিপোর্ট সেই কথাই বলছে।

পাকিস্তানের স্থানীয় সময় অনুসারে বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছিল। কিন্তু, তারপরই গণনা শুরু করা যায়নি। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর শুরু হয় গণনা। তারপর নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোর ৩টের সময় সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাথমিক ফলাফল জানানো হয়। অধিকাংশ আসনেই এখন গণনা চলছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির খবর অনুযায়ী, ১২৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের প্রার্থীরা। প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা এগিয়ে মাত্র ৪৪টি আসনে। আর বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি এগিয়ে মাত্র ২৮ আসনে। ৩৩৬ আসনের পাকিস্তান লোকসভায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৬৯টি আসন।

এদিকে গণনায় দেরি হওয়ার জন্য মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে, স্থানীয় স্তরে গণনার উপর ভিত্তি করে, পাক সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, জয়ের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সবার আগে রয়েছে ইমরান খানের দলই। প্রসঙ্গত, ইমরানের নাম জড়িয়েছে একাধিক মামলায়। দোষী সাব্যস্ত হয়ে এখন জেলে রয়েছেন তিনি। তার জেরে এবার ভোটে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দল পিটিআই-এর নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট কেড়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে এবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে অন্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামেন তিনি। আর সেখানেই একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

যদিও এবার অনেকেই ভেবেছিলেন যে নির্বাচনে বাকি রাজনৈতিক দলের তুলনায় এগিয়ে থাকবে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পার্টি। মনে করা হচ্ছিল সব থেকে বেশই আসন তারাই জিতবে। এমনকী, নওয়াজ শরিফের উপর পাক সামরিক নেতৃত্বের আশীর্বাদও ছিল। কিন্তু, প্রাথমিক ফলাফল যা দেখা যাচ্ছে তাতে মুখ থুবরে পড়েছে শরিফ-ভুট্টোরা।

আর প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ইমরান। লেখেন, “জনগণের ইচ্ছাকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য সম্ভাব্য প্রতিটি পদ্ধতি অবলম্বন করা সত্ত্বেও, আমাদের জনগণ আজ ব্যাপক হারে ভোট দিয়ে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। আমরা বারবার বলেছি, সময়ের দাবিতে যে ধারণার জন্ম হয়, কোনও শক্তি তাকে পরাজিত করতে পারে না।”

Maitreyi Mukherjee | 10:35 AM, Fri Feb 09, 2024
upload
upload