Hemant Soren:হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে ইডি, এলাকা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
Mayuri Datta | 15:20 PM, Wed Jan 31, 2024
Leopard: দলগাঁও চা বাগানে খাঁচায় বন্দী চিতাবাঘ
Mayuri Datta | 13:58 PM, Wed Jan 31, 2024
Imran Khan: আরও বিপাকে ইমরান খান, তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা
Mayuri Datta | 13:40 PM, Wed Jan 31, 2024
Bengali Cinema: ‘শাস্ত্রী’ সিনেমায় ফের দেখা যাবে মিঠুন- দেবশ্রী জুটি, দর্শকমহলে উন্মাদনা
Mayuri Datta | 12:48 PM, Wed Jan 31, 2024
PM on Budget: বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই নারী শক্তিতে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী
Mayuri Datta | 12:22 PM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata Police : সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিশ কনস্টেবল
Mayuri Datta | 11:43 AM, Wed Jan 31, 2024
Budget 2024: আজ শুরু বাজেট অধিবেশন
Mayuri Datta | 10:36 AM, Wed Jan 31, 2024
Kashmir Snowfall: শ্বেতসুন্দরী কাশ্মীর, সাদা বরফের চাদরে পার্বত্য এলাকা
Mayuri Datta | 10:30 AM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata high court: বিচারপতি দ্বন্দ্বের জের! প্রাথমিক মামলা সরানো হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে
Mayuri Datta | 17:50 PM, Tue Jan 30, 2024
Chandigarh Mayor Election: চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয়ী বিজেপি, ব্যর্থ 'ইন্ডিয়া' মঞ্চ!
Mayuri Datta | 17:39 PM, Tue Jan 30, 2024
Uttarakhand : উত্তরাখণ্ডের প্রথম মহিলা মুখ্যসচিব হচ্ছেন রাধা রাতুরি
Mayuri Datta | 17:14 PM, Tue Jan 30, 2024
Higher secondary exam: স্কুলের শিক্ষকদের অবহেলায় এক ঘন্টা দেরিতে পৌঁছলো ৫০ জন ছাত্রছাত্রী
আজ থেকে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯০ হাজার। পরীক্ষা শুরু হয়েছে সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে। শেষ হবে দুপুর ১ টায়। প্রথমদিনেই ঘটলো বিপত্তি। মগরাহাট কুলদিয়া স্কুলের শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতার জন্য ৫০ জন ছাত্রছাত্রী এক ঘন্টা পরীক্ষা দিতে পারল না। জানা যাচ্ছে অ্যাডমিটে ছিল না পরীক্ষার সেন্টারের নাম। মগরাহাট কুলদিয়া স্কুলের শিক্ষকেরা জানিয়েছিলেন তাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার সেন্টার পড়েছে ঝিংকি কাটাখালি হাইস্কুলে। রীতিমতো মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে স্কুলের সামনে ন'টায় হাজির হয় ছাত্রছাত্রীরা। এরপর স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করে রোল নাম্বার অনুযায়ী রুম নাম্বার খুঁজতে গিয়ে পরে বিরাম্বনায় ছাত্রছাত্রীরা। লিস্টে রোল নাম্বার না থাকায় ঝিংকি কাটাখালি হাইস্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা। সেখানে কতৃপক্ষ তাঁদের পরিষ্কার জানিয়ে দেন কুলদীয়া হাইস্কুলের সীট এই স্কুলে পড়েনি।
এরপর স্বভাবত ভেঙে পড়ে স্কুলের ৫০ জন ছাত্রছাত্রীরা । পরে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কেউ তাদের ফোন তোলেনি। বহুপরে ঝিংকি কাটাখালি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জানা যায় ওই স্কুল থেকে প্রায় নয় থেকে দশ কিলোমিটার দূর মহেশপুর হাই স্কুলে তাদের সেন্টার পড়েছে। এরপর ৫০ জন ছাত্রছাত্রী আশেপাশে টোটো,অটো ভাড়া করে অতি কষ্টে তারা মহেশপুর স্কুলের সেন্টারে পৌঁছয়। এরপর এগারোটা নাগাদ অর্থাৎ ১ ঘন্টা পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর সেন্টার কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক অনুনয়-বিনয় করে তাদেরকে হলে ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এরপরে বাকি দুঘন্টায় পরীক্ষা দিয়ে ফিরে এসে কুলদিয়া হাইস্কুল অর্থাৎ নিজেদের স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক অভিভাবীকারা। উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে সামাল দিতে আসেন মগরাহাট থানার পুলিশ। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি পুনরায় তাদেরকে ৩ ঘন্টা পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
এবিষয়ে কুলদিয়া হাইস্কুলের এক শিক্ষিকা জানান, “এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ছাত্র ছাত্রীরা আমায় এই ঘটনা জানালে সঙ্গে সঙ্গে আমি ঝিংকি কাটাখালি হাইস্কুলে কথা বলি। তারপর সেখানে পরীক্ষা দেয় পড়ুয়ারা।“উল্লেখ্য বিক্ষোভের চাপে পড়ে স্কুল কতৃপক্ষ এই পুরো ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এরপর তাঁদের তরফে ছাত্রছাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়। ৪ মার্চ স্কুল কতৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বলে জানা যাচ্ছে।
HS Exam 2024 : শুরু হল উচ্চ মাধ্যমিক, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থা রাজ্যজুড়ে
শুরু হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Higher Secondary Exam)। শুক্রবার সকাল থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির বাইরে ভিড় পরীক্ষার্থীদের। গত বছরে তুলনায় এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে মোট ১ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯০ হাজার। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ২৩৪১টি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। গতবছরের তুলনায় পরীক্ষা শুরুর সময় কিছুটা এগিয়ে এসেছে।
এবার উচ্চ মাধ্যমিক চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার সময়সূচি কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে। পরীক্ষা শুরু হয়েছে সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে। শেষ হবে দুপুর ১ টায়। ফলে ছাত্রছাত্রীরা বাড়তি ১৫ মিনিট হাতে সময় পাচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে সঠিক সময় কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহনে বিনামূল্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া শিয়ালদা শাখায় বেশ কিছু ট্রেন যাতে সব স্টপেজে দাঁড়ায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ বাস চলছে শহরে। শহরে যানজট কমাতে মোয়াতেন রয়েছে পুলিশও।
টুকলি এবং প্রশ্ন ফাঁস এড়াতে এ বছর একাধিক কড়া পদক্ষেপ করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পরীক্ষা কেন্দ্রে যদি মোবাইল হাতে কেউ ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হবে। চলতি বছরে আর কোনও পরীক্ষা দিতে পারবে না সেই পরীক্ষার্থী। পাশাপাশি সেন্টার সেক্রেটারি, সেন্টার-ইন-চার্জ, ভেনু সুপারভাইজার এবং কাউন্সিল নমিনিদের কেউই ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। আধিকারিকদের ভেনু সুপারভাইজারের ঘরে ফোন জমা রাখতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে দুটি করে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্রের উপরে থাকা সিরিয়াল নম্বর উত্তরপত্রে উল্লেখ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে রয়েছে কিউআর কোড বা বারকোড। কোনও পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল করলে সঙ্গে সঙ্গে সেই পরীক্ষার্থী বা কোন জেলা কোন পরীক্ষা কেন্দ্র এবং কোন পরীক্ষার ঘর থেকে সেই প্রশ্নের ছবি উঠেছে, তা সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করতে পারবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তারপরই সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 16, 2024
পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) সকলকে ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
Chopra Incident : সন্দেশখালির পাল্টা চোপড়া! রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ তৃণমূল প্রতিনিধি দলের
চার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার রাতে চোপড়ার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনাগছ এলাকায় যান। সন্তান হারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিনিধি দলের কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, “বিএসএফ চাইলেও এই দায় এড়াতে পারে না। এত বড় একটা কাজ করা হয়েছে অথচ কোনও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি। অন্তত স্থানীয় প্রশাসন মহলে বিষয়টি নজরে আনতে পারতেন। তাহলে হয়তো এই অঘটন ঘটত না”।
পাশাপাশি তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে বিনীত অনুরোধ করেন অন্তত একবার এই এলাকা এসে পরিদর্শন করে যাওয়ার। রাজ্যপাল সন্দেশখালি যেতে পারলে এখানেও আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন। অন্য এক প্রতিনিধি সদস্য অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, “এখানকার সমস্ত রিপোর্ট রাজ্যতে পাঠানো হবে। নালা তৈরির সময় এলাকায় সাইনবোর্ড সহ বিভিন্ন সতর্কবার্তা অবলম্বন করা উচিত ছিল বলে তিনি মনে করেন।”
অন্যদিকে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল এদিন চোপড়া কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টচার্য, ব্রাত্য বসু, বীরবাহা হাসদা, দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সহ আরও অনেকে। তাঁরা রাজ্যপালের কাছে চোপড়া পরিদর্শন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট পাঠানোর আবেদন জানান।
চন্দ্রিমা বলেন, "আমরা আমাদের দলের তরফে একটি ডেপুটেশনে দিতে রাষ্যপালের কাছে গিয়েছিলাম। উত্তর দিনাজ পুরের চোপড়ায় হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে। আমরা রাজ্যপালকে বললাম, আপনি ঘটনা স্থলে যান। বিএসএফ অবৈধ ভাবে কাজ করছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানান। আপনি সন্দেশখালীতেও কাটছাঁট করে গিয়েছিলেন। এবারও চোপড়ায় যান।"
কুণাল ঘোষ বলেন, "আপনি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তা ভিত্তিহীন। পক্ষপাত দুষ্ট। আপনি রাজ্য সরকারের কাছ থেকেই রিপোর্ট চান। সিপিএম, বিজেপি ও আইএসএফের নেতারা যে গ্ৰেফতার হয়েছেন তাঁরা এতদিন ধরে কিছু বলেননি কেন? রাজ্যকে কলুষিত করছে। সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। এই কুৎসিত বার্তা দেওয়ার যে চেষ্টা হচ্ছে তা মিথ্যা।"
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল। BSF এর ভয়ঙ্কর গাফিলতির অভিযোগ তুলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দলটি। গ্রামবাসী ও পরিবারের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলছেন। গতকাল রাতেই BSF এর সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিনিধি দল। BSF স্বীকার করেছেন যে এই ঘটনায় সাবধানতা অভাব ছিল বলে জানিয়েছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল।
CM Nitish Kumar : মোদী শরণে আসার পর আস্থা ভোটে জয়ী নীতীশ কুমার
বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১২৯ জন বিধায়ক। বিরোধীদের ওয়াকআউটের মাঝেই আজ বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছে নীতীশ কুমার। সকাল থেকেই চর্চায় ছিল বিহারের রাজনীতি (Bihar Politics)। গোটা দেশের নজর ছিল বিহারের দিকে। জোট সরকার ভেঙে নতুন করে সরকার গড়ার পর নীতীশ কুমার কি সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে সফল হবেন? এই প্রশ্নই উঠছিল জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। যদিও শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নীতীশ কুমার। আর ভোট শেষে জয়ের হাসি হাসেন তিনিই।
নীতীশ সরকাররের কাছে আজ বিধানসভায় (Bihar Assembly) সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছিল। সকাল থেকেই পাটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছিল চরমে। বিহার বিধানসভায় মোট ২৪৩ টি আসন রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে প্রয়োজন ছিল ১২২টি ভোট। সেখানে এনডিএ জোট পেয়েছে ১২৯টি ভোট।
বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোট চলাকালীন নীতীশ কুমার বলেন, "RJD প্রধান লালু প্রসাদ এবং রাবড়ি দেবী রাজ্যের জন্য ১৫ বছর কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁরা ১৫ বছর ধরে যা করেননি, আমি তা করে দেখিয়েছি। আমি সমাজের প্রতিটি স্তরের জন্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। বিহারে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। মহিলারা গভীর রাত পর্যন্ত আজ বাইরে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াতে পারেন। তাঁরা এখন আমার কাজের ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছে।” এর আগে বিধানসভায় নীতীশকে আক্রমণ করে তেজস্বী যাদব বলেন, “বিহারের মানুষ জানতে চায় আপনি বার বার দল বদল করছেন কেন?” এদিকে বিহার বিধানসভার স্পিকার এবং আরজেডি নেতা আওধ বিহারী চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে। ১২৫ জন সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১১২ জন। এর ফলে বিহার বিধানসভায় আরজেডির মুখ পুড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিকে আস্থা ভোটের শুরুতেই নীতীশকে খোঁচা দিয়ে তেজস্বী বলেন, “প্রথমত, আমি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে চাই। একটানা নবমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে তিনি ইতিহাস রচনা করেছেন। এক মেয়াদে তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার এমন অপূর্ব দৃশ্য আমরা দেখিনি।” উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই ভাঙন ধরছে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটে। প্রশ্ন উঠছে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন নীতীশ। জোটের বৈঠকের আয়োজন করা থেকে শুরু করে, বিভিন্ন দলের নেতৃদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সবই করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, লাভের লাভ কিছুই হয়নি।
যদিও নীতীশের দাবি ছিল, ইন্ডিয়া জোটের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। মতানৈক্যের অভাব রয়েছে দলের মধ্যে। বার বার বলেও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে ইন্ডিয়া জোট ছাড়েন তিনি। তারপর আবারও এনডিএ-র হাত ধরেন। এরপর এনডিএ-র সঙ্গে জোট বেঁধে নতুন সরকারও গড়েন তিনি। দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। এনডিএ-র হাত আর কখনও ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর আজ বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে শেষ হাসি হাসলেন নীতীশ।
Nitish Kumar : বিহারে শুরু আস্থা ভোট, সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে আশাবাদী নীতীশ
সোমবার সকাল থেকে আবারও চর্চায় বিহার রাজনীতি। ইন্ডিয়া থেকে ডিগবাজি খেয়ে ফের এনডিএ জোটে নাম লিখিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ২৮ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের শপথ নেন তিনি। সোমবার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে তাঁকে। ইতিমধ্যেই বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোট শুরু হয়ে গিয়েছে।
যদিও আস্থা ভোট নিয়ে আশাবাদী জেডিইউ-এর সভাপতি রাজীব রঞ্জন প্রসাদ। তিনি বলেন, "নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে আস্থা ভোটে জিতে সরকার গড়বে জেডিইউ।" এদিকে আস্থা ভোটের আগে রবিবার কড়া নিরাপত্তায় আরজেডি বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হয় আরজেডি নেতা তেজস্বি যাদবের বাড়িতে। সেখানে দলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। আরজেডির অভিযোগ, রাতে তাঁদের দলীয় বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করে পুলিশ। তেজস্বির বাড়ি ঘিরে ফেলে জোর করে সেখানে পুলিশ ঢোকার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আরজেডির মুখপাত্র শক্তি সিং যাদব বলেন, “স্বাধীন রাষ্ট্রে কোনও রাজ্যে এমনটা কোনও দিন হয়নি। বিজেপি করলে সব ঠিক, আর আমরা করলেই ভুল?” যদিও এই ঘটনা নিয়ে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। শাহনাওয়াজ বলেন, “পুলিশ তার কাজ করছে। যদি তেজস্বি মনে করে তিনি তাঁর বাড়িতে বিধায়কদের আটকে রেখে দেবেন তাহলে তো পুলিশ তাঁর বাড়ি যাবেই।”
লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই ভাঙন ধরছে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটে। প্রশ্ন উঠছে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন নীতীশ। জোটের বৈঠকের আয়োজন করা থেকে শুরু করে, বিভিন্ন দলের নেতৃদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সবই করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, ধোপে টেকেনি কোনও কিছুই। যদিও নীতীশের দাবি, ইন্ডিয়া জোটের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। মতানৈক্যের অভাব রয়েছে দলের মধ্যে। বার বার বলেও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে ইন্ডিয়া জোট ছাড়েন তিনি। তারপর আবারও এনডিএ জোটের হাত ধরেন।
এদিকে এই ঘটনার জেরে ঝড় বয়ে গিয়েছে বিহারের রাজনীতিতে। ২০২০ সালে এনডিএ-তে ছিলেন নীতীশ। তারপর ফের শরিক বদল করেন তিনি। এনডিএ-র সঙ্গে জোট ভেঙে লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আবারও বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন। কিন্তু, তারপর ২ বছরও কাটল না। তার আগেই ফের আরজেডির সঙ্গ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নীতীশ। পাল্টি খেয়ে আবারও বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের হাত ধরেন তিনি। ২৮ জানুয়ারি বিহারের জোট সরকার ভেঙে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। এই মুহূর্তে বিহার বিধানসভার ২৪৫ জন বিধায়কের মধ্যে জেডিইউ এর ৪৫ জন সদস্য আছে। এছাড়া বিজেপি ও হিন্দুস্তানি আওয়ামী মোর্চা সেকুলার দলের ৭৯ ও ৪ জন করে বিধায়ক আছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য নীতীশের প্রয়োজন ১২২ জন বিধায়ককে। এনডিএ শরিকদের সঙ্গে জোট সরকারের অনায়াসেই নীতীশের জেডিইউ ম্যাজির ফিগারে পৌঁছতে পারবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
Anubrata Mondal : বীরভূমে কেষ্টতেই ভরসা তৃণমূলের! মঙ্গল কামনায় যজ্ঞের আয়োজন শহরজুড়ে
বীরভূমের দাপুটে নেতা ছিলেন তিনি। তাঁর নামে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। তিনিই ছিলেন বীরভূম জেলার শেষ কথা। তাঁর নির্দেশ ছাড়া বীরভূমের একটা পাতাও নড়ত না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন তিনি। কিন্তু, এখন তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গরু ও কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি ও সিবিআই। প্রায় দেড় বছর আগে ১১ অগাস্ট ২০২২ সালে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এখন অবশ্য তিহাড়ের চার দেওযালের মধ্যেই তাঁর দিন কাটছে। বহুবার জামিনের জন্য আবেদন করেছেন তিনি। কিন্তু, প্রতিবারই তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এদিকে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু, তাঁকে ছাড়া নির্বাচন তৃণমূল কতটা দাগ কাটতে পারবে সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, অনুব্রত না থাকায় দলীয় কর্মীদের মনোবল অনেকটাই ভেঙে গিয়েছে। আর সেই কারণে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ময়দানে নেমেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। বহুবার বীরভূমে গিয়ে সভা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকী, জেল বন্দি কেষ্টর পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। কেষ্টর হয়ে প্রকাশ্য সভায় সুর চড়াতেও শোনা গিয়েছে তাঁকে। এরই মাঝে আচমকা বিশেষ হোমযজ্ঞের আয়জন করা হয়েছে বীরভূম তৃণমূলের তরফে। প্রশ্ন উঠছে কেন হটাৎ এই যজ্ঞের আয়জন করল দল? তবে কি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের গড়ে ফিরছেন অনুব্রত? জেলে যাওয়ার পরও যে অনুব্রত তাঁর স্নেহভাজন রয়েছেন তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। এমনকী, বীরভূমে কেষ্টই যে তাঁর একমাত্র ভরসার পাত্র তাও জানিয়েছেন তিনি। তারপর থেকেই আবারও কেষ্ট রব উঠেছে বীরভূমজুড়ে।
শহরজুড়ে পোস্টার পড়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের শুভকামনায় যজ্ঞ হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি। সকাল ৯টা নাগাদ বোলপুর রেলময়দান দুর্গামন্দির প্রাঙ্গণে এই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। তবে কারা এই যজ্ঞ করছেন, তা পোস্টারে উল্লেখ করা নেই ৷ যদিও, বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী জানান, “মানুষ তাঁর অনুপস্থিতি অনুভব করতে পারছে, আমাদের নিজেদেরকে অভিভাবকহীন মনে হচ্ছে তিনি না থাকায়, লোকসভা নির্বাচনে অনুব্রতর ছবি সামনে রেখেই ভোট হবে”।
Mamata vs Governor : রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের জের! সিভি আনন্দ বোসের ভাষণ ছাড়াই শুরু বাজেট অধিবেশন
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। কখনও প্রকাশ্য সভা থেকে আবার কখনও নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। যত দিন যাচ্ছে ততই তলানিতে ঠেকছে সম্পর্ক। আর এবার সেই আঁচ গিয়ে পড়ল বিধানসভার বাজেট অধিবেশনেও (Budget Session)!
নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও রাজ্যের বাজেট অধিবেশন শুরু হয় সেই রাজ্যের রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে। আজ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। যদিও এবার ভাষণ দেননি রাজ্যপাল। শোকপ্রস্তাব পাশ করে প্রথম দিনের অধিবেশন মুলতুবি হয়ে গিয়েছে সোমবার। মঙ্গলবার হাওড়া পুরসভা সংক্রান্ত বিল পেশ করা হবে। বুধবার রাজ্য বাজেট পেশ করবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া কেন বাজেট অধিবেশন শুরু করা হল তা নিয়ে সোমবার দুপুর পর্যন্ত রাজভবনের তরফে কোনও বিবৃতি মেলেনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, এটা রাজ্যর সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের এক নতুন সংযোজন।
উল্লেখ্য, এ বার বাজেট অধিবেশনে যে রাজ্যপালের ভাষণ থাকবে না, সেই ইঙ্গিত মিলেছিল গত শীতকালীন অধিবেশনেই। কারণ, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশন শেষ না করেই অধিবেশন মুলতুবি করে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, বাজেট অধিবেশন কোন ‘নতুন অধিবেশন’ নয়। এটি শীতকালীন অধিবেশনেরই প্রলম্বিত বা বাকি অংশ। ফলে সেখানে শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণ না থাকলেও চলে। যদিও সরকারপক্ষ চাইলে পরে আলোচনার ভিত্তিতে শীতকালীন অধিবেশন চালানো যেত এবং অধিবেশন শেষ করা যেত। কিন্তু তা হয়নি। তাই এ বছর বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণ রাখা হয়নি।
রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে শাসকদলের মধ্যে ‘ক্ষোভ’ রয়েছে। নবান্নের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজভবনের দ্বন্দ্ব, সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। বাজেট অধিবেশনকে ঘিরে তা আরও একবার প্রকাশ্যে এল। অতীতে বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বক্তৃতা না পড়তে চাওয়ায় জগদীপ ধনখড়কে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছিল বিধানসভায়। গোটা ভাষণ না পড়ে নেমে আসতে চাওয়ায় শাসকদলের মহিলা বিধায়কেরা কার্যত ঘিরে ফেলেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল ধনখড়কে। তা নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছিল। তবে বর্তমান রাজ্যপালকে এখনও পর্যন্ত বিধানসভায় এতটা ঘোরাল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়নি। যদিও বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণ না দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
WB HS Exam 2024 : টাকা দিলে তবেই মিলছে অ্যাডমিট কার্ড! অভিযোগ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Exam)। শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি। মাধ্যমিক পরীক্ষার মতই ৯টা বেজে ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (WB HS Exam 2024)। এর মাঝেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল মালদার (Malda) মানিকচক শিক্ষানিকেতন হাইস্কুলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সেই স্কুলে টাকা দিলে তবেই মিলছে উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড (Admit Card)। এমনটাই অভিযোগ করেছে বিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এনিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানায় তারা। এমনকী, স্কুল কর্তৃপক্ষ মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর ভয় দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ ছাত্রদের। এর প্রতিবাদে আজ স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ওই স্কুলের চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা (School)। টাকা ফেরত দেওয়ারও দাবি জানায় তারা।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, অ্যাডমিট কার্ডের জন্য তাদের থেকে ২২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। সেই টাকা দিলে তবেই মিলছে অ্যাডমিট কার্ড (HS Exam Admit Card)। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সেই বিষয়ে কিছুই জানাচ্ছে না তারা। অভিভাবকদের অভিযোগ, টাকা ছাড়া কোনও কথাই বলে না কর্তৃপক্ষ। হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে বকলমে চলছে ভর্তি। বিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কুড়ি টাকার খাতা রীতিমত ১২০ টাকায় বিক্রি করছে। তন্ময় লালা নামে এক অভিভাবক বলেন, "ভর্তির সময় ২০৫ টাকার পরিবর্তে ২৬০ এবং রেজিস্ট্রেশনের (Registration) সময় ৩০০ টাকা অবৈধ ভাবে নেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের থেকে।"
যদিও ছাত্রদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্জ সুব্রত প্রামাণিক। তিনি বলেন, "ছাত্ররা যে অভিযোগ এনেছে সবই ভিত্তিহীন। বিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় যে অর্থ নেওয়া হয় সেটি দুটি কিস্তিতে আমাদের বিদ্যালয় নিয়ে থাকে। ছাত্রদের দ্বিতীয় কিস্তির বকেয়া ২২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে এ বছর বিদ্যালয় থেকে ১৬৬ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রয়েছে তারা ইতিমধ্যে সকলেই অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে গিয়েছে। যে সব ছাত্ররা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করছে তাদের সঙ্গে আমরা খুব শীঘ্রই বসে বিষয়টি আলোচনা করে মিটিয়ে নেব। অভিভাবকদের অভিযোগের কোনও অর্থ নেই। বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও ভাবেই কোনও টাকা পয়সা নিয়ে ভর্তি হয় না। শুধুমাত্র কিছু মানুষ বিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করার জন্য হয়তো এই বদনাম ছড়াচ্ছে।"
LOKSABHA ELECTION : ‘জিতছে NDA’, ভবিষ্যদ্বাণী পি কে –র
রবিবারই I.N.D.I.A জোট ছেড়ে ফের এনডিএ-তে ফিরে গিয়েছেন নীতীশ কুমার। সকালে জোট ছেড়ে যাওয়া এবং বিকালে ফের এনডিএ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। রবিবার নীতীশ কুমারের রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করতে শোনা গেল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করলেন প্রশান্ত কিশোর। এক সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য, ‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি’ । এনডিএ জোট পুনরায় ক্ষমতায় ফিরবে বলে মনে করেন তিনি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড় বইতে চলেছে। তৃতীয়বারও যে মোদী সরকারই শেষ হাসি হাসবে তাই সুনিশ্চিত করলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
Nitish Kumar : নীতিশের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে শপথ নিলেন আরও ৬ জন
বিহার বিজেপির সভাপতি এবং বিধান পরিষদের সদস্য সম্রাট চৌধুরী রবিবারই শপথ নিয়েছেন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে। তাঁর সঙ্গে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিজয় কুমার সিনহাও। রবিবারই বিহারের বিধানসভার বিজেপি বিধায়কদের দলের নেতা নির্বাচিত হন সম্রাট চৌধুরী। সেখানে স্থির করা হয় তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হবে।
দুই ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রবিবার নীতীশ কুমারের সঙ্গে শপথ নিয়েছেন ৬ জন মন্ত্রী যাদের মধ্যে JDU থেকে রয়েছেন বিজয় কুমার চৌধুরী, দ্বিজেন্দ্রপ্রসাদ যাদব। বিজেপির মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন প্রেম কুমার, হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার সভাপতি ডঃ সন্তোষ কুমার সুমন, JDU -র শ্রাবণ কুমার এবং এক নির্দল বিধায়ক সুমিত কুমার এদিন শপথ নেন নীতীশের মন্ত্রিসভায়।
Nitish Kumar : ‘এতদিন চুপ ছিলাম আমি’, ইস্তফা দেওয়ার পরই বিস্ফোরক নীতীশ
রবিবার সকালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন নীতীশ কুমার। রবিবার সকালে তিনি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকরের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন। ইস্তফা দেওয়ার পরই রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতীশ কুমার বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। এই সরকার ভেঙে দেওয়ার জন্যও আবেদন জানিয়েছি রাজ্যপালকে। সবকিছু ঠিক চলছিল না, তাই ইস্তফা দিলাম। আমি এতদিন চুপ ছিলাম, চারিদিকে দেখছিলাম। সবার মত গ্রহণ করেই ইস্তফা দিয়েছি। পুরনো গঠবন্ধন ভেঙে নয়া জোটে যাব। বিগত দেড় বছর ধরে যে জোট ছিল, তা আমার সঠিক বলে মনে হয়নি। যেভাবে অভিযোগ আসছিল, তা জনগণের খারাপ লাগছিল। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।”
Nitish Kumar : মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা নীতীশ কুমারের, বিকেলেই ফের শপথ
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার। রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ বিহারের রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের হাতে ইস্তফা পত্র তুলে দেন। বিকেলেই তিনি এনডিএ-তে যোগ দিতে পারেন। তারপর ফের শপথ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। রাজভবন থেকে বেরিয়ে নীতীশ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দলের মতামত নিয়েই ইস্তফা দিয়েছি। আগের জোট ছেড়ে নতুন জোটে যোগ দেব। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক আয়োজন থেকে আলোচনা কী কী না করেছি, কিন্তু কিছুই হচ্ছে না।” উল্লেখ্য, ২০২২ সালে যে এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন এবং আরজেডি-কংগ্রেস সহ ১৯টি দলের সঙ্গে মহাগঠবন্ধন জোট তৈরি করেছিলেন। দেড় বছর কাটতে না কাটতেই আবার সেই জোট ভেঙে এনডিএ-তে ফিরবেন নীতীশ।
NITISH KUMAR : বিজেপির এনডিএ তে নীতিশ কুমার ? জল্পনা তুঙ্গে
বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বিহারে জেডিইউ এবং আরজেডির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। সূত্রের খবর, আগামী ২, ৩ দিনের মধ্যে নীতিশ কুমার বিজেপির এনডিএ জোটে যোগ দিতে পারেন। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত জেডিইউয়ের তরফে যেমন কোনও মন্তব্য করা হয়নি, তেমনি নীতিশ নিজেও কোনও কথা বলেননি। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারে যে জোরদার রাজনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, তা কার্যত স্পষ্ট।
Kolkata high court: মাধ্যমিকের সময়সীমা বদলের আর্জি জানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের
গত ১৮ জানুয়ারি পর্ষদের তরফে মাধ্যমিকের নতুন সময়সূচী প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেখা যায়, ১২ টার পরিবর্তে পরীক্ষা শুরু হবে ৯ টা ৪৫ মিনিটে। এবার মাধ্যমিকের সময়সূচী বদলের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হল। মামলাকারীর দাবি, হঠাৎ সময় এগিয়ে আনায় অসুবিধায় পরবেন অনেক পরীক্ষার্থী। এই নিয়ে দ্রুত শুনানির আবেদন করা হয়। এর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষা সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, নয়া নির্দেশ অনুযায়ী এই বছর মাধ্যমিক শুরু হতে চলেছে ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। এর আগে বিভিন্ন সংগঠন এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সরব হয়।
BOARD EXAM TIME : এগিয়ে এল মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়, কখন থেকে পরীক্ষা শুরু জেনে নিন
২০২৪ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনা হচ্ছে। কেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা অবশ্য জানা যায়নি।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা। ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। এতদিন পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হত সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে, শেষ হত দুপুর ৩টেয়। প্রথম ১৫ মিনিট প্রশ্নপত্র পড়ে দেখার জন্য সময় দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। এবার পরীক্ষা শুরু হবে ৯ টা ৪৫ মিনিটে, শেষ হবে দুপুর ১টায়।
২ ফেব্রুয়ারি প্রথম ভাষা, ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ভাষা, ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস, ৬ ফেব্রুয়ারি ভূগোল, ৮ ফেব্রুয়ারি অঙ্ক, ৯ ফেব্রুয়ারি জীবন বিজ্ঞান, ১০ ফেব্রুয়ারি ভৌত বিজ্ঞান ও ১২ ফেব্রুয়ারি ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পাশাপাশি , উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জারি করে জানানো হয়েছে, এবার সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে বেলা ১ টা পর্যন্ত।