Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

pm narendra modi

Abudhabi Swaminarayan Temple : অযোধ্যার পর এবার হিন্দু মন্দির আরবে ! 

অযোধ্যার রামমন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) ঘোর এখনও কাটেনি। তার এক মাসের মধ্যেই আরও একটি বিশাল মন্দির উপহার হিন্দু সমাজের জন্য। শুধু দেশে মধ্যে নয় দেশের বাইরের উড়ছে এখন হিন্দুত্বের পতাকা। তবে মন্দিরের নির্মাণকারী সংগঠন এই মন্দিরকে উন্মুক্ত রাখতে চান সকল ধর্মের মানুষের জন্য। আরব দুনিয়ার এটি প্রথম মন্দির। রক্ষণশীল আরব আমিরশাহীর আবু ধাবিতে প্রথমবার খুলতে চলেছে হিন্দু মন্দির ৷ ইতিমধ্যেই মন্দিরের ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ড করছে আবু ধাবির স্বামীনারায়ণ মন্দিরের (Abudhabi Swaminarayan Temple) ছবি। নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।


এদিকে মন্দীর উদ্বোধনের আগে তার কাজ কত দূর এগিয়েছে তা ঘুরে দেখেন দেশের কূটনীতিক ও বহু বিশিষ্ট মানুষ ৷ সাদা মার্বেল ও গোলাপি বেলে পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছে "বোচাসনবাসি অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ"। এই মন্দিরে রামায়ণ, মহাভারত, কৃষ্ণ জীবনাবলী ও পৌরাণিক নানা উপাখ্যান মূর্তি রূপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মন্দিরের কারুকাজ দেখলে মনে হয় যেন ভারতের সোনালী অতীতের কোনও রাজআমলের মন্দির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে তাঁর দ্বিতীয় সফর চলাকালীন দুবাই অপেরা হাউস থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এই মন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন।


মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৩ একর জমির উপরে ৷ আবু ধাবি থেকে মন্দিরের দূরত্ব ৩০ মিনিটের ৷ এই মন্দিরে থাকবে শিব, কৃষ্ণ ও আয়াপ্পার মূর্তি। মন্দিরটিতে রয়েছে সূক্ষ্ম কারুকাজ করা গম্বুজ। মন্দির প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছে সুন্দর উদ্যান ও জলের ফোয়ারা দিয়ে। মন্দির প্রাঙ্গণের সামনেই রয়েছে শিশুদের খেলার পার্ক। রাজস্থান ও গুজরাট থেকে আনা পাথর খোদাই করে নকশা করেন প্রায় তিন হাজার কারিগর। পৌরাণিক নানা কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাথরের মূর্তির মাধ্যমে। ভারতীয় সংস্কৃতিও ধরা পড়েছে মন্দিরের নানা নকশায় ৷ এই মন্দির সাধারণ মন্দির নয়।


তবে একটা মুসলিম প্রধান দেশে কোনও হিন্দু মন্দির তৈরি করা কম বড় কথা নয়। আরব দুনিয়ার একাধিক শহরে দীর্ঘদিন মুসলিম ব্যতীত অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হত না। অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল। এমনকী, এখনও আরব মুলুকের বহু দেশে প্রকাশ্যে অন্য ধর্ম পালনে নিষেধ রয়েছে। ফলে আমিরশাহীতে মন্দির হিন্দুদের জন্য এক নয়া দিগন্তের পথ প্রশস্ত করতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


Maitreyi Mukherjee | 15:27 PM, Mon Feb 12, 2024

Bharat Ratna 2024 : ভারতরত্ন পাচ্ছেন নরসিমা রাও-চৌধুরী চরণ সিং, ঘোষণা মোদীর


ভারতরত্ন পাচ্ছেন দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও এবং চৌধুরী চরণ সিং। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একথা ঘোষণা করেন। যদিও এতদিন বছরে সর্বাধিক তিনজনকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া যেত। কিন্তু, চলতি বছর সেই নিয়মে বদল আনা হয়েছে। এবার একসঙ্গে পাঁচজনকে ভারতরত্ন দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরি ঠাকুর।



পিভি নরসিমা রাও



১৯৯১ সালের ২১ জুন থেকে ১৯৯৬ সালের ১৬ মে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নরসিমা রাও। তাঁর জন্ম ১৯২১ সালে অন্ধ্র প্রদেশের করিমনগরে। হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয় এবং নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তিনি। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। এছাড়া ১৯৮০ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৪ সালের ১৮ জুলাই পর্যন্ত বিদেশমন্ত্রী, ১৯৮৪ সালের জুলাই মাস থেকে ১৯৮৪-র ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।



চৌধুরী চরণ সিং



১৯০২ সালে উত্তর প্রদেশের মিরাটে জন্ম চৌধুরী চরণ সিংয়ের। এরপর ১৯৭৯ সালের ২৮ জুলাই থেকে ১৯৮০-র ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৩৭ সালে ছাপরাউলি থেকে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় প্রথমবার নির্বাচিত হন। তারপর থেকে ১৯৪৬, ১৯৫২, ১৯৬২ এবং ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এই আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। দু'বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন চরণ সিং। প্রথমে ১৯৬৭ সালে এবং তারপর ১৯৭০ সালে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।



এমএস স্বামীনাথন



১৯২৫ সালে জন্ম কএমএস স্বামীনাথনের। ভারতে সবুজ বিপ্লবের জনক হিসেবে পরিচিত তিনি। তিরুবনন্তপুরমের মহারাজা কলেজ থেকে প্রাণীবিদ্যায় এবং কোয়েম্বাটোর কৃষি কলেজ থেকে কৃষি বিজ্ঞানে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (IARI) থেকে কৃষি বিজ্ঞানে (জেনেটিক্স এবং উদ্ভিদ প্রজননে বিশেষজ্ঞ) স্নাতকত্তর ডিগ্রি এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন তিনি।



এল কে আডবাণী



১৯৮৬ থেকে ১৯৯০, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ এবং ২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিজেপির জাতীয় সভাপতি ছিলেন এলকে আডবাণী। প্রায় তিন দশক ধরে সাংসদ ছিলেন তিনি। আডবাণী প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।



কার্পুরি ঠাকুর



১৯২৪ সালে বিহারের সমস্তিপুর জেলায় জন্ম কার্পুরি ঠাকুরের। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দু'বার দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। প্রথমে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের জুন ও ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব সহ রাজ্যের বর্তমান প্রজন্মের অনেক নেতার পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি।



কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানান কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, "আমি সকলকে স্বাগত জানাই।" এদিন প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "রাও-এর দূরদর্শীতা ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে সাহায্য করেছিল। দেশের প্রতি অবদানের জন্য চরণ সিংকে ভারতরত্ন উৎসর্গ করা হল। স্বামীনাথন কৃষি এবং কৃষকদের কল্যাণে দেশে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তিনি ভারতকে কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।"

Maitreyi Mukherjee | 17:33 PM, Fri Feb 09, 2024

PM Narendra Modi : নজর না লাগার জন্য ‘কালো টিকা’! কংগ্রেসের কৃষ্ণপত্রকে খোঁচা মোদীর

দেশের উপর যাতে কারও নজর না লাগে তার জন্য 'কালো টিকা' লাগানোর চেষ্টা করেন কিছু মানুষ। কংগ্রেসের (Congress) কৃষ্ণপত্রকে এভাবেই খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। রাজ্য সভায় আজ বিদায়ী ভাষণে তিনি বলেন, "গোটা বিশ্বকে যখন ভারত পথ দেখাচ্ছে তখন এখানে কিছু মানুষ কেবলই হতাশার কথা বলছেন। ভারতকে টেনে নিচে নামানোর চেষ্টা করছেন। আমরা সকলেই জানি কুদৃষ্টি এড়াতে ‘কালো টিকা’ দেওয়ার একটি প্রবণতা রয়েছে। আর ওই মানুষরা সেই কাজ করার দায়িত্ব নিজেরাই কাঁধে তুলে নিচ্ছেন।"

কংগ্রেসের কৃষ্ণপত্রকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "খাড়গে জির ব্ল্যাক পেপার একটি ‘কালো টিকার মতো’। কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে কালো টিকা লাগানো হয়। একইভাবে সরকার অনেক ভালো কাজ করছে এবং অশুভ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে কংগ্রেস তাতে ‘কালো টিকা’ দিয়েছে।" এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতায় কিছু সাংসদ আজ সংসদে কালো পোশাক পরে এসেছিলেন। এনিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মোদী। তিনি বলেন, "কালো রঙের পোশাক পরে সংসদে বিরোধীরা ফ্যাশন শো করতে আসেন।" 

প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেন, "দেশ গত ১০ বছর ধরে সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছে। সৃষ্টি হয়েছে এক বিশাল ও ঐশ্বরিক পরিবেশ। তাতে যেন কুদৃষ্টি না লাগে সেজন্য আজ কংগ্রেস কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করে তাতে কালো টিকা লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর জন্য মল্লিকার্জুন খাড়গেকেও অনেক ধন্যবাদ জানাই।"

পাশাপাশি বিদায়ী ভাষণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কথাও উল্লেখ করেছেন মোদী। তিনি বলেন, "যখনই সংসদে গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা হবে, মনমোহন সিংকে স্মরণ করা হবে। সাংসদদের জন্য মনমোহন সিং এক উদাহরণ হয়ে থাকবেন। মনমোহন সিং সংসদে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।"

মনমোহনের প্রশংসা করে মোদী বলেন, "আমি বিশেষ করে মনমোহন জিকে স্মরণ করতে চাই। তিনি দীর্ঘকাল সংসদ ও দেশকে পথ দেখিয়েছেন। মনমোহন সিং জি হুইল চেয়ারে এসেও সংসদে ভোটদান করে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। মনমোহন জি গণতন্ত্রকে শক্তি দিয়েছিলেন।" প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন আরও বলেছেন, "মনমোহন সিং দেখিয়েছেন একজন সাংসদ তার দায়িত্বের জন্য কতটা দায়বদ্ধ। হুইল চেয়ারে বসে ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি। তিনি কাকে ভোট দিয়েছেন সেটা বড় প্রশ্ন নয়। তিনি গণতন্ত্রের ভিতকে শক্ত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।"

Maitreyi Mukherjee | 17:58 PM, Thu Feb 08, 2024

PM Modi : অধ্যাত্মিকতায় মগ্ন প্রধানমন্ত্রী, পুজো দিলেন শ্রী কোথান্দারামা স্বামী মন্দিরে

অধ্যাত্মিকতায় মগ্ন হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সকালে তামিলনাড়ুর ধনুশকোডির শ্রী কোথান্দারামা স্বামী মন্দিরে যান তিনি। রীতি মেনে সেখানে পুজো দিতে দেখা যায় তাঁকে। উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন ও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার ঠিক একদিন আগে, রবিবার সকালে তামিলনাড়ুর ধনুশকোডির আরিচাল মুনাই পয়েন্ট পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন তিনি। বলা হয়ে থাকে যে, এই আরিচাল মুনাই পয়েন্ট থেকেই রামসেতু তৈরি হয়েছিল। এদিন সকালে সমুদ্রের তীরে বসে বেশ কিছু সময় প্রাণায়ামও করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সূর্য প্রণামও করেন তিনি। এরপর শ্রী কোথান্দারামা স্বামী মন্দিরে পুজো দেন।

Maitreyi Mukherjee | 15:54 PM, Sun Jan 21, 2024
upload
upload