Friday, November 22, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

sonia gandhi

Sonia Gandhi : রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সোনিয়া, মায়ের ছাড়া আসনে লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা

পাঁচ দফায় লোকসভার সাংসদ ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তবে এবার আর লোকসভা নয়। রাজ্যসভায় যাচ্ছেন তিনি। রাজস্থান আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের তিনটি আসনের মধ্যে রাজস্থান আসনেও কংগ্রেসের জয় একপ্রকার নিশ্চিত। ফলে যদি তাই হয় তাহলে সোনিয়া হবেন গান্ধী পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য যিনি ইন্দিরা গান্ধীর পর রাজ্যসভায় যাবেন। ফলে খুব শীঘ্রই ইন্দিরা-পুত্রবধূ সংসদের উচ্চকক্ষে প্রথমবার তাঁর ইনিংস শুরু করতে চলেছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।



এতদিন সোনিয়া রায়বেরেলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতেন। এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না তিনি। কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৯৯৯ সালে প্রথম নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন তিনি। সোনিয়ার রাজ্যসভার প্রার্থী হওয়া এপ্রসঙ্গে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সোনিয়া গান্ধীকে স্বাগত জানাই। গোটা রাজস্থান আজ খুশি রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে সোনিয়া গান্ধীর নাম ঘোষণা করায়। এই ঘোষণার সঙ্গে সব পুরোনো স্মৃতি তাজা হয়ে গিয়েছে।"


২৭ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি। এর আগে রাজস্থান আসন থেকে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এপ্রিলে তাঁর ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হবে। তার জেরেই শূন্য হবে আসনটি। আর সেই আসন থেকেই এবার মনোনয়ন জমা দিলেন সোনিয়া। উল্লেখ্য, রাজ্যসভা ৫৬টি আসনের মধ্যে ৯ থেকে ১০টি আসনে জয়ের মতো জায়গায় রয়েছে কংগ্রেস। তার মধ্যে কংগ্রেসের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ দুটি রাজ্য হল তেলেঙ্গানা এবং কর্ণাটক। রাজস্থান এবং হিমাচল প্রদেশেও একটি করা আসন জেতার জায়গায় রয়েছে হাত শিবির। হিন্দি বলয়ে যে কংগ্রেস একেবারে আশা ছেড়ে দেয়নি সেটা বোঝাতেই দক্ষিণের দুই রাজ্যকে বাদ দিয়ে সোনিয়া রাজস্থানকে বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।



প্রসঙ্গত, চলতি লোকসভা নির্বাচনে যে দাঁড়াবেন না তা ২০১৯ সালেই ঘোষণা করেছিলেন সোনিয়া। জানিয়েছিলেন, সেটিই ছিল তাঁর শেষ লোকসভা নির্বাচন। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয় যে সোনিয়ার পর তাঁর রায়বেরেলি কেন্দ্রে থেকে কাকে প্রার্থী করবে কংগ্রেস। সূত্রে খবর, মায়ের আসন থেকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।


এদিকে বুধবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনের সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী, বিহার থেকে লড়বেন ডঃ অখিলেশ প্রসাদ সিং, অভিষেক মনু সিংভি হিমাচল প্রদেশ ও চন্দ্রকান্ত হান্ডরে লড়বেন মহারাষ্ট্র থেকে।

Bengal Hour Bureau | 13:28 PM, Wed Feb 14, 2024

Bharat Ratna 2024 : ভারতরত্ন পাচ্ছেন নরসিমা রাও-চৌধুরী চরণ সিং, ঘোষণা মোদীর


ভারতরত্ন পাচ্ছেন দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও এবং চৌধুরী চরণ সিং। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একথা ঘোষণা করেন। যদিও এতদিন বছরে সর্বাধিক তিনজনকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া যেত। কিন্তু, চলতি বছর সেই নিয়মে বদল আনা হয়েছে। এবার একসঙ্গে পাঁচজনকে ভারতরত্ন দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরি ঠাকুর।



পিভি নরসিমা রাও



১৯৯১ সালের ২১ জুন থেকে ১৯৯৬ সালের ১৬ মে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নরসিমা রাও। তাঁর জন্ম ১৯২১ সালে অন্ধ্র প্রদেশের করিমনগরে। হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয় এবং নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তিনি। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। এছাড়া ১৯৮০ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৪ সালের ১৮ জুলাই পর্যন্ত বিদেশমন্ত্রী, ১৯৮৪ সালের জুলাই মাস থেকে ১৯৮৪-র ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।



চৌধুরী চরণ সিং



১৯০২ সালে উত্তর প্রদেশের মিরাটে জন্ম চৌধুরী চরণ সিংয়ের। এরপর ১৯৭৯ সালের ২৮ জুলাই থেকে ১৯৮০-র ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৩৭ সালে ছাপরাউলি থেকে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় প্রথমবার নির্বাচিত হন। তারপর থেকে ১৯৪৬, ১৯৫২, ১৯৬২ এবং ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এই আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। দু'বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন চরণ সিং। প্রথমে ১৯৬৭ সালে এবং তারপর ১৯৭০ সালে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।



এমএস স্বামীনাথন



১৯২৫ সালে জন্ম কএমএস স্বামীনাথনের। ভারতে সবুজ বিপ্লবের জনক হিসেবে পরিচিত তিনি। তিরুবনন্তপুরমের মহারাজা কলেজ থেকে প্রাণীবিদ্যায় এবং কোয়েম্বাটোর কৃষি কলেজ থেকে কৃষি বিজ্ঞানে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (IARI) থেকে কৃষি বিজ্ঞানে (জেনেটিক্স এবং উদ্ভিদ প্রজননে বিশেষজ্ঞ) স্নাতকত্তর ডিগ্রি এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন তিনি।



এল কে আডবাণী



১৯৮৬ থেকে ১৯৯০, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ এবং ২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিজেপির জাতীয় সভাপতি ছিলেন এলকে আডবাণী। প্রায় তিন দশক ধরে সাংসদ ছিলেন তিনি। আডবাণী প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।



কার্পুরি ঠাকুর



১৯২৪ সালে বিহারের সমস্তিপুর জেলায় জন্ম কার্পুরি ঠাকুরের। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দু'বার দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। প্রথমে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের জুন ও ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব সহ রাজ্যের বর্তমান প্রজন্মের অনেক নেতার পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি।



কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানান কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, "আমি সকলকে স্বাগত জানাই।" এদিন প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "রাও-এর দূরদর্শীতা ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে সাহায্য করেছিল। দেশের প্রতি অবদানের জন্য চরণ সিংকে ভারতরত্ন উৎসর্গ করা হল। স্বামীনাথন কৃষি এবং কৃষকদের কল্যাণে দেশে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তিনি ভারতকে কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।"

Maitreyi Mukherjee | 17:33 PM, Fri Feb 09, 2024
upload
upload