Hemant Soren:হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে ইডি, এলাকা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
Mayuri Datta | 15:20 PM, Wed Jan 31, 2024
Leopard: দলগাঁও চা বাগানে খাঁচায় বন্দী চিতাবাঘ
Mayuri Datta | 13:58 PM, Wed Jan 31, 2024
Imran Khan: আরও বিপাকে ইমরান খান, তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা
Mayuri Datta | 13:40 PM, Wed Jan 31, 2024
Bengali Cinema: ‘শাস্ত্রী’ সিনেমায় ফের দেখা যাবে মিঠুন- দেবশ্রী জুটি, দর্শকমহলে উন্মাদনা
Mayuri Datta | 12:48 PM, Wed Jan 31, 2024
PM on Budget: বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই নারী শক্তিতে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী
Mayuri Datta | 12:22 PM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata Police : সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিশ কনস্টেবল
Mayuri Datta | 11:43 AM, Wed Jan 31, 2024
Budget 2024: আজ শুরু বাজেট অধিবেশন
Mayuri Datta | 10:36 AM, Wed Jan 31, 2024
Kashmir Snowfall: শ্বেতসুন্দরী কাশ্মীর, সাদা বরফের চাদরে পার্বত্য এলাকা
Mayuri Datta | 10:30 AM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata high court: বিচারপতি দ্বন্দ্বের জের! প্রাথমিক মামলা সরানো হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে
Mayuri Datta | 17:50 PM, Tue Jan 30, 2024
Chandigarh Mayor Election: চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয়ী বিজেপি, ব্যর্থ 'ইন্ডিয়া' মঞ্চ!
Mayuri Datta | 17:39 PM, Tue Jan 30, 2024
Uttarakhand : উত্তরাখণ্ডের প্রথম মহিলা মুখ্যসচিব হচ্ছেন রাধা রাতুরি
Mayuri Datta | 17:14 PM, Tue Jan 30, 2024
Sukanta Majumdar : বমি বমি ভাব সুকান্তর, স্যালাইন ছাড়া কিছুই নিতে পারছেন না
মঙ্গলবার সুকান্তের সন্দেশখালি যাত্রা নিয়ে টাকিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ টাকির এক হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর ইছামতীর পাড়ে বসে সরস্বতী পুজো করে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। এরপরই সেখানে সুকান্ত সহ বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়। বচসা চলাকালীন পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যাওয়ায় সুকান্ত মজুমদারকে জোর করে নামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সেই ধস্তাধস্তিতে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান তিনি। এরপর তাঁকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে ভর্তি করে বিজেপি কর্মীরা। যদিও স্থানীয় হাসপাতালে তাঁর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাতেই তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। নিউরো ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে তাঁকে। রাতেই তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে পেটে, বুকে, মাথায়, ঘাড়ে ও স্পইনাল কর্ডে। ডঃ এস এন সিং এর নজরদারিতে ভর্তি রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, স্যালাইন ও অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ।
গতকালই দিল্লি থেকে ফিরে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আমার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে বাংলার মানুষের কাছে রিপোর্ট দেওয়া। আমি রাজ্যর নির্বাচিত সরকারের কাছে, রিপোর্ট চেয়েছি অপেক্ষা করছি, তারপর দরকার পড়লে রিপোর্ট পাঠাব দিল্লিতে। আমায় কিছুটা সময় দিন। সংবিধানের ১৭৫ (২) ধারা অনুযায়ী আমার নির্দেশিকা সরকারের কাছে পৌঁছে যাবে। তারপরে এই বিষয়ে আমি কথা বলব।”
এরপর সোজা সেখান থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দেখতে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছে যান। সুকান্তর চিকিৎসা ভালো চলছে বলে জানান তিনি।
সুকান্ত প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আই সি ইউ তে আছেন সুকান্ত, তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শারীরিক হেনস্থা হয়েছে তাঁর। আমার মনে হয় মমতার নির্দেশেই হয়েছে। স্যালাইন ছাড়া কিছু নিতে পারছেন না। বমি ভাব আছে। ওঁর বিশ্রাম দরকার। ভালো চিকিৎসা হচ্ছে। যদিও আমরা ক্রস চেক করেও চিকিৎসার উপর নজর রাখছি।” এরপরই সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলেন, "৯২০ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। প্রত্যেক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে আমরা আছি। গ্রেফতার হলে আমরা দাঁড়াব তাঁদের পাশে।" সেই সঙ্গে আজ ফের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
Sukanta Mazumdar : টাকিতে অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হল হাসপাতালে
মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানকে ঘিরে খণ্ড যুদ্ধ বাধে বিজেপি ও পুলিশের মধ্যে। আটক করা হয় সুকান্ত এবং কয়েক জন বিজেপি কর্মীদের। পরে সুকান্তকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদিন ফের সন্দেশখালিতে যাবেন বলে জানান তিনি। রাতে টাকির একটি হোটেলে ছিলেন সুকান্ত। পরিকল্পনা ছিল হোটেলেই সরস্বতী পুজো করে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেবেন। এদিকে তাঁকে সন্দেশখালি যাওয়া থেকে আটকাতে হোটেলে মোতায়েন ছিল পুলিশও। কিন্তু, বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে নিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর ইছামতীর পাড়ে বসে সরস্বতী পুজো সারেন। পূর্বপরিকল্পনা মাফিক টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এরপরই বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, বচসা চলাকালীন পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যান সুকান্ত। গাড়ি থেকে সুকান্ত মজুমদারকে জোর করে নামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু, ধস্তাধস্তিতে তিনি গাড়ি থেকে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারান। তারপর চোখেমুখে জল দিয়ে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। ওই সময় তড়িঘড়ি তাঁকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায় সুকান্তর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপির দাবি, সরস্বতী পুজোর জন্য উপোস করেছিলেন সুকান্ত। ধস্তাধস্তির সময় পুলিশের গাড়ির চালক গাড়ি চালিয়ে দেওয়াতেই পড়ে যান তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে ইডি। মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের। ইডির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও হামলা চালানো হয়। যদিও সেই ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর আচমকা শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের মধ্যে অত্যাচার চালাত শাহজাহান। ঘর থেকে বউদের তুলে যেত তাঁর শাগরেদরা। শুধু তাই নয় আবাস যোজনা, ১০০ দিনের টাকাও তাঁরা পাননা বলে অভিযোগ করছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। সেখানে প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখলিতে ১৪৪ ধারা তুলে নিতে বাধ্য হয় রাজ্য। এরপর নতুন করে ফের ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া, দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়া, দাউদপুর, ধামাখালি ঘাট, হালদার পাড়া, পিঁপড়ে খালি ঘাট সহ আরও বেশ কিছু জায়গায়। তার মধ্যেই আজ সন্দেশখালিতে যেতে উদ্যত হন সুকান্ত।
High court on Sandeshkhali : সন্দেশখালি নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের
উত্তপ্ত সন্দেশখালিকে শান্ত করতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল রাজ্যপ্রশাসন। এই নিয়ে মঙ্গলবার মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই প্রশ্নের মুখে পরে রাজ্য। এদিন আদালত ১৪৪ ধারা জারির কারন জানতে চায় রাজ্যের কাছে। কিন্তু তা নিয়ে কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি প্রশাসন। এরপরই ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। গোটা পরিস্থিতিকে খুব যত্ন নিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে বলে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সাথে এলাকায় বেশি করে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, "কোন কোন এলাকায় গণ্ডগোল হচ্ছে তা উল্লেখ করা হয়নি ১৪৪ ধারা জারির বিজ্ঞপ্তিতে। ১৪৪ ধারা জারি করার আগে পরিস্থিতি পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল বলে বলে তাঁর মত। এ কদিন যা যা ঘটনা সামনে এসেছে, তা নিয়ে বিচারপতি বলেন, “যে সব অভিযোগ আসছে সেটা গুরুতর”। পুলিশ তিন বছর ধরে মামলা গ্রহণ করেনি, মহিলাদের নিরাপত্তার অভাব আছে”। ১৪৪ ধারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২-৩ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি হলেও বোঝা যেত কিন্তু গোটা সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করার এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয়তা নেই”।
এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, “১৪৪ ধারা জারি করা ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ আছে। এ ক্ষেত্রে তা মানেনি রাজ্য”।
প্রসঙ্গত, আজ বিজেপির এসপি অফিস অভিযানকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বসিরহাট। শেখ শাহাজানকে গ্রেফতার এবং বিকাশ সিংহের মুক্তির দাবিতে বিজেপির পক্ষ থেকে বসিরহাট এসপি অফিস অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুটো থেকে এসপি অফিস অভিযান শুরু হয় বসিরহাটে বিজেপির সাংগঠনিক দলীয় কার্যালয় থেকে। সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে এক বিশাল মিছিল করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সকাল থেকেই এই অভিযান ঘিরে পুলিশের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। বসিরহাট এসপি অফিসের সামনেই পুলিশের বিশাল ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়। ব্যারিকেডের সামনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পৌঁছানোর পর পুলিশের সাথে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এরপরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের, তারপর ইট বৃষ্টি করা হয় বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। পুলিশের দাবি বিজেপির মিছিল থেকেই প্রথমে ইট ছোড়া হয় পুলিশের দিকে। তারপরেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। একই সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় উত্তেজিত বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার লক্ষ্য রেখে। সব মিলিয়ে ধন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে। বিজেপির মহিলা কর্মী সমর্থক সহ বেশ কিছু বিজেপি কর্মীরা আহত হয়।
Sandeshkhali News: তৃণমূলের প্যান্ডোরা বক্স খুলে যাবে : সুকান্ত মজুমদার
সন্দেশখালির উত্তাল পরিস্থির মাঝেই ট্রেনে চেপে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন সুকান্ত মজুমদার। বসিরহাটের উদ্দেশ্যে হৃদয়পুর স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে রওনা দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। রাস্তায় পুলিশের বাধ আটকাতে সুকান্ত বাবুর এই পদক্ষেপ। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি এদিন বলেন, “১০০০ টাকা দিয়ে বাংলার মহিলাদের ইজ্জত নেবেন এটা বিজেপি চলতে দেবে না।রাজ্যসরকার ভয় পাচ্ছে, বিজেপি গেলে তৃণমূলের প্যান্ডোরার বক্স খুলে যাবে, তাই বিজেপিকে ওখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না”। তাঁর আরও দাবি, “পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে শাহজাহানকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে”।
মঙ্গলবার এপ্রসঙ্গে বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান বলেছেন, 'সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আগুনে ঘি ঢালার চেয়ে, আগুন নেভানো উচিত”।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার পুলিশের এক ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার সহ ১০ জনের মহিলা পুলিশের দল সন্দেশখালিতে পৌঁছেছে। সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের সমস্যার কথা শোনেন বলে জানা যায়। মঙ্গলবার ইন্টারনেট পরিষেবা পুনর্বহাল করা হয়েছে। এর আগে বেশ কয়েকদিন একালায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
এখনও উত্তপ্ত সন্দেশখালি। অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। গোটা ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। প্রকাশ্যে এসেছে শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনী। পরিস্থিতির হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে সোমবার সন্দেশখালি যান রাজ্যপাল। সেখানেই গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলার পর যথা সম্ভব সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। যদিও সোমবার সন্দেশখালি যাওয়ার মাঝপথে শুভেন্দু অধিকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। ইতিপূর্বে হিংসায় জড়িত থাকার কারনে তৃণমূলের উত্তম সর্দার ও বিজেপির বিকাশ সিংহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও ফের গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। সন্দেশখালিকাণ্ডে শেখ শাজাহান,শিবু হাজরার গ্রেফতার এবং সন্দেশখালীর প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার ও বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার আহবায়ক বিকাশ সিংহের নিঃশর্তে মুক্তির দাবীতে সিপিআইএম ও বিজেপির পৃথক পৃথকভাবে আজ দুপুর থেকেই বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে বিজেপি ও সিপিআইএম এর । বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিজেপির এই ঘেরাও আন্দোলন কর্মসূচীতে অংশ নেবেন। সিপিআইএমের স্থানীয় নেতৃত্ব ও রাজ্যনেতৃত্বের ও সেখানে যাবার কথা আছে। তার আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।গোটা এলাকা জুড়ে পুলিশি টহলদারি চলছে সাথে মাইকিং এর মাধ্যমে পাঁচজনের বেশি এক জাগায় জমায়েত করা যাবে না বলে প্রচার করা হচ্ছে। যদি কেউ জমায়েত করে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করবে বলে জানানো হচ্ছে। বসিরহাটের সংগ্রামপুরে এসপি অফিসের থেকে ৫০০ মিটার দূরে সামনে এবং পেছনে উভয় দিকেই ব্যারিকেট দিয়ে রাখা হয়েছে। ইছামতি নদীর ওপর যে ব্রীজ রয়েছে সেই ব্রীজ টপকে কোন রকম ভাবেই ব্যারিকেড ভেঙ্গে ভিতরে না প্রবেশ করতে পারে তার জন্য প্রশাসন যথেষ্ট সক্রিয়।