সপ্তাহান্তে আবারও রাজ্যে তৎপর সিবিআই (CBI)। শনিবার সকালে বসিরহাটে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI Raid)। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানা (Basirhat Police Station) এলাকার বসিরহাট পৌরসভার (Basirhat Municipality) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নৈহাটি এলাকার বাসিন্দা রজত মণ্ডলের বাড়িতে অভিযানে যান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, রজত মণ্ডল এসডিও অফিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিক। তল্লাশি চালানোর কথা আগে বসিরহাট থানায় লিখিতভাবে জানান তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসটি, এসসি ও ওবিসি সার্টিফিকেট জাল করা সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে রজতের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আজ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজ সকালে কুয়াশার চাদরে ঢেকেছিল বসিরহাট। তারই মধ্যে সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল বসিরহাটে তল্লাশি চালাতে যান। পূর্বের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রজতের বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বসিরহাট থানার পুলিশকে।
প্রসঙ্গত, তফসিলি জাতি উপজাতি শংসাপত্র জাল ধরার একাধিক অভিযোগ এর আগে উঠেছে। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। সেই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলার দায়িত্ব সিবিআই-কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন। তা নিয়ে দুই বিচারপতি দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, তাতে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমানে এই মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যেই ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র তৈরির অভিযোগে SDO অফিসের আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি।
যদিও তল্লাশি চালাতে যাওয়ার আগে বাড়তি সতর্ক ছিলেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। সেই সময় হামলার মুখে পড়েন আধিকারিকরা। এক অফিসারের মাথাও ফাটে। ভাঙচুর চালানো হয় ইডির গাড়িতে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তল্লাশি চালানোর আগে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলেন তদন্তকারীরা। যেমন আজও বসিরহাটে তল্লাশি চালানোর বিষয়টি আগাম রাজ্য পুলিশকে জানানো হয়েছিল।
তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, যে কোনও সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে তল্লাশি চালাতে পারেন অফিসাররা। সকাল ১০টার সময় বসিরহাট থানার কর্মরত ডিউটি অফিসারের কাছে এই সংক্রান্ত একটি নোটিশও দেওয়া হয়। তারপরই তল্লাশি চালানো হয় রজত মণ্ডলের বাড়িতে।