Thursday, December 05, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

Haldwani Violence : অশান্তির জেরে উত্তপ্ত উত্তরাখণ্ড, মৃত ২; জারি কারফিউ


Bengal Hour Bureau | 12:53 PM, Fri Feb 09, 2024

সাম্প্রদায়িক অশান্তির আগুনে পুড়ছে উত্তরাখণ্ডের হালদওয়ানি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২৫০ জন। কারফিউ জারি করা হয়েছে প্রশাসনর তরফে। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। জানা গিয়েছে, হালদওয়ানি ভানবুলপুরা এলাকায় বেআইনিভাবে তৈরি একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে পুলিশ সহ সরকারি আধিকারিকরা গেলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে বহু সরকারি আধিকারিকও। একদল দুষ্কৃতি তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছুড়তে শুরু করে। এরপর থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় দেয় তারা। ২০টির বেশি বাস ও বাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ।

এদিন বুলডোজার দিয়ে মসজিদ ভাঙার কাজ শুরু হতেই স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেক মহিলাও ছিলেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি জনসাধারণের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছেন। এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন ধামি। মিউনিসিপ্যাল কমিশনার পঙ্কজ উপাধ্যায়ের দাবি, "মাদ্রাসা ও নমাজের জায়গাটি বেআইনি ছিল। মসজিদ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তিন একর জমি দখল করেছিল।"

পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতেই সমস্ত স্কুল এবং দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব়্যাফ নামানো হয়েছে। এবিষয়ে উত্তর প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেন, "এই সমস্যাটি উদ্বেগজনক। কিন্তু, রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং অন্যান্য রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ দখল করা হয়েছে। যেগুলি আইনতভাবে খালি জায়গা।"

বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল। যাতে মসজিদ ভাঙা বন্ধ করার জন্য আবেদন করা হয়। আদালত অবশ্য এই আর্জি মঞ্জুর করেনি। এমনকী, ভাঙার কাজ এখনও জারি রাখা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে নৈনিতাল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বন্দনা সিং বলেন, "বিক্ষোভকারীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে থানা। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি কোনও সাম্প্রদায়িক ঘটনা ছিল না। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, এটিকে সাম্প্রদায়িক অশান্তির আখ্যা না দিতে। কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায় প্রতিশোধ নেয়নি। এটি রাজ্য সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ করার একটি প্রচেষ্টা ছিল। আপাতত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, "শান্তিপূর্ণভাবে মসজিদ ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল, সেখানে বাহিনী মোতায়েন ছিল, এরপরই আধঘণ্টার মধ্যে পূর্ব পরিকল্পনা পুরসভার আধিকারিকদের উপর পাথর ছোড়া হয়। প্রথমবার একদল জনতা আশপাশের বাড়ির ছাদ থেকে পাথর ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তারপর কিছু লোক পেট্রোল বোমা নিয়ে হামলা চালায়।" বৃহস্পতিবারের পর আজ সকালেও উত্তেজনা রয়েছে হালদওয়ানিতে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশ।

upload
upload