Pakistan Election : শান্তিতে নির্বাচন মেটাতে পাকিস্তানে বন্ধ মোবাইল পরিষেবা! ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা
আজ থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) শুরু হয়েছে সাধারণ নির্বাচন। এর মধ্যেই দেশজুড়ে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Service) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই সাময়িকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। আপাতত জেলে বন্দি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। সেখান থেকেই ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দেন তিনি। এরপর তাঁর দল পিটিআই (PTI) কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ইমরানের একটি পুরোনো ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তাঁর স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ। সেই ভিডিও বার্তায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, "ভোটটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র, আপনারা ঠিকঠাকভাবে ভোট দিন।"
গত কয়েক বছর ধরে তলানিতে ঠেকেছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। ভাঁড়ার ক্রমশ শূন্য। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। তার সঙ্গে দেশের ভিতরে ও বাইরে কোথাও কোনও শান্তি নেই ভারতের এই পড়শি দেশটির। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচন হচ্ছে পাকিস্তানে। গত কয়েকদিনে দেশের অভ্যন্তরে লাগাতার হামলা চালিয়েছে পাক তালিবান-সহ একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী। তাই নির্বাচনের দিন যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদে সেনাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদিও সকাল থেকে নির্বাচনে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি তেমন একটা লক্ষ্য করা যায়নি।
এদিকে নির্বাচনের জন্য ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু তা কাউকে জানানোর কোনও জায়গা নেই। ফোন বন্ধ হওয়ায় রীতিমতো চিন্তিত তাঁরা। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তান পিপল পার্টির প্রাক্তন সেনেটর মুস্তফা নওয়াজ খোখার বলেন, "ভোটের দিন মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করা মানে কারচুপির শুরু করা।" নির্বাচনের দিন প্রার্থীদের তাঁদের এজেন্ট এবং কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার এই ঘটনা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। তাদের মতে, পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন 'বিশ্বাসঘাতকতা' করেছে।
তবে এই নির্বাচনে কে জেতে এখন সেদিকে নজর রয়েছে ভারতের। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না কোনও দল। যদিও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছে ইমরান খান, তারপরেই পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা নওয়াজ শরীফ ও তিন নম্বরে আছে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে নির্বাচন এবং শেষ হবে বিকেল ৫টায়।
এদিকে নির্বাচনের আগের দিনই জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বালুচিস্তান। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪। জানা গিয়েছে, নির্দল প্রার্থীর নির্বাচনী দফতরের সামনেই প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। দ্বিতীয় বিস্ফোরণও ঘটে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে।
Trending Tag