Abudhabi Swaminarayan Temple : অযোধ্যার পর এবার হিন্দু মন্দির আরবে !
অযোধ্যার রামমন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) ঘোর এখনও কাটেনি। তার এক মাসের মধ্যেই আরও একটি বিশাল মন্দির উপহার হিন্দু সমাজের জন্য। শুধু দেশে মধ্যে নয় দেশের বাইরের উড়ছে এখন হিন্দুত্বের পতাকা। তবে মন্দিরের নির্মাণকারী সংগঠন এই মন্দিরকে উন্মুক্ত রাখতে চান সকল ধর্মের মানুষের জন্য। আরব দুনিয়ার এটি প্রথম মন্দির। রক্ষণশীল আরব আমিরশাহীর আবু ধাবিতে প্রথমবার খুলতে চলেছে হিন্দু মন্দির ৷ ইতিমধ্যেই মন্দিরের ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ড করছে আবু ধাবির স্বামীনারায়ণ মন্দিরের (Abudhabi Swaminarayan Temple) ছবি। নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
এদিকে মন্দীর উদ্বোধনের আগে তার কাজ কত দূর এগিয়েছে তা ঘুরে দেখেন দেশের কূটনীতিক ও বহু বিশিষ্ট মানুষ ৷ সাদা মার্বেল ও গোলাপি বেলে পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছে "বোচাসনবাসি অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ"। এই মন্দিরে রামায়ণ, মহাভারত, কৃষ্ণ জীবনাবলী ও পৌরাণিক নানা উপাখ্যান মূর্তি রূপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মন্দিরের কারুকাজ দেখলে মনে হয় যেন ভারতের সোনালী অতীতের কোনও রাজআমলের মন্দির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে তাঁর দ্বিতীয় সফর চলাকালীন দুবাই অপেরা হাউস থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এই মন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন।
মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৩ একর জমির উপরে ৷ আবু ধাবি থেকে মন্দিরের দূরত্ব ৩০ মিনিটের ৷ এই মন্দিরে থাকবে শিব, কৃষ্ণ ও আয়াপ্পার মূর্তি। মন্দিরটিতে রয়েছে সূক্ষ্ম কারুকাজ করা গম্বুজ। মন্দির প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছে সুন্দর উদ্যান ও জলের ফোয়ারা দিয়ে। মন্দির প্রাঙ্গণের সামনেই রয়েছে শিশুদের খেলার পার্ক। রাজস্থান ও গুজরাট থেকে আনা পাথর খোদাই করে নকশা করেন প্রায় তিন হাজার কারিগর। পৌরাণিক নানা কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাথরের মূর্তির মাধ্যমে। ভারতীয় সংস্কৃতিও ধরা পড়েছে মন্দিরের নানা নকশায় ৷ এই মন্দির সাধারণ মন্দির নয়।
তবে একটা মুসলিম প্রধান দেশে কোনও হিন্দু মন্দির তৈরি করা কম বড় কথা নয়। আরব দুনিয়ার একাধিক শহরে দীর্ঘদিন মুসলিম ব্যতীত অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হত না। অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল। এমনকী, এখনও আরব মুলুকের বহু দেশে প্রকাশ্যে অন্য ধর্ম পালনে নিষেধ রয়েছে। ফলে আমিরশাহীতে মন্দির হিন্দুদের জন্য এক নয়া দিগন্তের পথ প্রশস্ত করতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।