Thursday, November 21, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

arvind kejriwal

Arvind Kejriwal : ষষ্ঠবার  হাজিরা এড়ালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল


ফের ইডির হাজিরা এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নিয়ে ষষ্ঠবার তিনি ইডির ডাকে সাড়া দিলেন না তিনি। আপের বক্তব্য, এই সমন পুরোপুরি অবৈধ। সোমবার আম আদমি পার্টির তরফে দাবি করা হয়েছে, “যেহেতু এখন এটি আদালতের বিচারাধীন বিষয়, ইডির উচিৎ বারবার শমন না পাঠিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা"।


উল্লেখ্য ইডি আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে ৫ বার শমন পাঠালেও তিনি হাজিরা দেননি। এরপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে হাজির না হওয়ার অভিযোগ জানিয়ে দিল্লি কোর্টের দ্বারস্থ হয় তাঁরা । শনিবার সেই মামলায় কেজরিওয়াল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন। এরপর আদালত তাঁকে হাজিরার কারন ব্যাখ্যা করতে বলে। আর জার জেরেই আবার ইডি কেজরিওয়ালকে শমন পাঠাল। সূত্রের খবর গ্রেফতারের ভয়ে হাজিরা দিচ্ছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।



প্রসঙ্গত, ইডি দিল্লিতে ২০২১-২২ আবগারি নীতির মাধ্যমে যে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ সামনে আসে তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চালাচ্ছে। ইডি সূত্রে খবর, এই আইনের মাধ্যমে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তার বিনিময়ে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যাবসায়ীদের থেকে নিয়ে তা ২০২২ সালে গোয়ায় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও অভিযুক্তদের তালিকায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম না থাকলেও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং আপাতত জেলে।

Bengal Hour Bureau | 12:49 PM, Mon Feb 19, 2024

Arvind Kejriwal: মোদীর ডিগ্রি মামলায় অরবিন্দের আবেদন খারিজ আদালতের 

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ডিগ্রি মামলায় কেজরীওয়ালের আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত মামলায় গত বছর গুজরাত হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আদালত তাঁর থেকে জরিমানাও ধার্য করে।


উল্লেখ্য কেজরীওয়াল এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহের প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি নিয়ে করা কিছু মন্তব্যের ভিত্তিতে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ প্যাটেল।


কেজরীওয়াল বলেছিলেন, “যদি সত্যি প্রধানমন্ত্রী গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে এ নিয়ে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসব করা উচিত।’’ পাশাপাশি সঞ্জয় সিংহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভুয়ো ডিগ্রিটি সত্যি প্রমাণ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন”। এরপরই পীযূষ গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মানহানি করা হয়েছে বলে কেজরীওয়াল ও সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন।



এরপর গত বছর গুজরাতের একটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। গত ১৫ এপ্রিল আদালত কেজরীওয়াল ও সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ দেয়। তবে এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান তাঁরা। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর সমনের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাত হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আপ নেতারা। সেখানেও ধাক্কা খেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলে সর্বচ্চ আদালত তাঁদের মামলা ফিরিয়ে দেয়। তারপর তাঁরা আবারও হাই কোর্টে ফিরে আসেন। সেই মামলাও খারিজ হয়ে গেল শুক্রবার। 


প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি ৫ বার ডেকে পাঠালেও হাজির হননি কেজরিওয়াল। এরপর ইচ্ছাকৃতভাবে অজুহাত দিয়ে হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে অরবিন্দের বিরুদ্ধে  দিল্লিকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। শনিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং এবং সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। যদিও আপের দাবি এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত।



ইতিমধ্যে শনিবার দিল্লির বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির পক্ষ থেকে আপ বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে আপ ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যদিও তাঁর দাবি, এই প্রস্তাব বিধায়করা গ্রহণ করেননি। এই মুহূর্তে বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়ক এবং বিজেপির ৮ জন বিধায়ক রয়েছে।

Bengal Hour Bureau | 15:22 PM, Sat Feb 17, 2024

Arvind Kejriwal: বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক কেজরীওয়ালের

শনিবার দিল্লির বিধানসভায় আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে চলেছে আম আদমির পার্টির সরকার। শুক্রবার আচমকাই দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। কদিন আগেই কেজরীওয়াল অভিযোগ করেন বিজেপি আপ বিধায়কদের কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপরই শুক্রবার বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব আনার সময় তিনি বলেন,”দুজন আপ বিধায়ক তাকে জানিয়েছেন যে তাঁদের সঙ্গে বিজেপির সদস্যরা যোগাযোগ করছে এবং তাঁদের বলা হচ্ছে যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে”। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, তাঁর বিধানসভার বিধায়কদের বলা হচ্ছে যে ২১ জন আপ বিধায়ক দল ছেড়ে যেতে রাজি হয়েছেন এবং আরও অনেকে বিজেপির সাথে যোগাযোগ করছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে আপ বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য।পাশাপাশি কেজরীওয়াল দাবি করেছেন বিজেপির এই প্রস্তাব বিধায়করা গ্রহণ করেননি। বাকি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে দিল্লি সরকার জানতে পেরেছে ২১ নয় ৭ জনের সাথে যোগাযোগ করেছে বিজেপি।



এদিন আস্থা ভোটের কারন সপক্ষে কেজরীওয়াল বলেন,"আমি দেখাতে চাই যে আমাদের কোনো বিধায়ক দলত্যাগ করেননি, এবং সকলেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন"। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দিল্লি সরকার আস্থা ভোটের ব্যাবস্থা করেছে। বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়ক এবং বিজেপির ৮ জন বিধায়ক রয়েছে।



প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিকে ৫ বার শমন পাঠালেও অরবিন্দ হাজিরা দেননি। এরপর ইডি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে শমনে সাড়া না দিয়ে একের পর এক অজুহাত দিয়ে হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে দিল্লি কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শনিবার আস্থা ভোটের আগে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ মার্চ হবে
বলে জানিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য আদালত গত সপ্তাহে  “আইনিভাবে বাধ্য” জানিয়ে আজ হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছিল কেজরিওয়ালকে। যদিও আপের তরফে ইডির শমনকে বেআইনি এবং রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করা হচ্ছে।


ইডির প্রথম শমনের পর থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতার হওয়ার তীব্র জল্পনা ছিল। মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং এবং সত্যেন্দ্র জৈন
ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। যদিও আপের তরফে জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে কেজরিওয়াল গ্রেফতার হলেও তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।
ইডির অভিযোগ, দিল্লিতে ২০২১-২২ আবগারি নীতির মাধ্যমে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তা
থেকে প্রাপ্ত ৪৫ কোটি টাকা ২০২২ সালে গোয়ায় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছিল।

Bengal Hour Bureau | 14:01 PM, Sat Feb 17, 2024

Arvind Kejriwal : ইডির ভয়ে জুজু! এবার কেজরিওয়ালকে তলব আদালতের

কিছুতেই ইডির মুখোমুখি হতে চাইছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। ইডির ভয়ে যেন জুজু হয়ে রয়েছেন তিনি! পাঁচবার তাঁকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। যদিও একবরাও হাজিরা দেননি তিনি। আর সেই কারণেই খানিক বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। এবার আদালতের তরফেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে (Delhi Chief Minister) কড়া নির্দেশ দেওয়া হল। ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।

দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মণীশ সিসোধিয়াকে। এই মামলায় কেজরিওয়ালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। পাঁচবার তাঁকে সমনও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, বিভিন্ন অজুহাতে বার বার তা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ইডি যে সমন পাঠাচ্ছে তা আইনত বৈধ নয়। তা ইডিকেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন তিনি। জানান, তদন্তে যে কোনও রকমের সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত। যে কোনও আইনত বৈধ সমনেরও জবাব দিতে রাজি। কিন্তু, শুধুমাত্র গ্রেফতারের চেষ্টাতেই তাঁকে বার বার সমন পাঠানো হচ্ছে।

এদিকে এর আগে গত বছরের ২ নভেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বরের পর চলতি বছরে ৩ জানুয়ারি, ১৯ জানুয়ারি আপ প্রধানকে ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, কোনও তলবেই সাড়া দেননি তিনি। তার মধ্যে ২১ ডিসেম্বর কেজরিওয়াল তাঁর যোগাভ্যাসের অনুশীলনের জন্য যেতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ। আর নভেম্বরে ইডির সমনে সাড়া না দিয়ে মধ্যপ্রদেশে প্রচারের কাজে গিয়েছিলেন তিনি। বাকি দুটি তলবে না যাওয়ার কারণও জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল।

এরপর বাধ্য হয়ে রাউস অ্য়াভিনিউ আদালতে যায় ইডি। আদালতের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিব্যা মালহোত্রা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগের মামলা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তাঁকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠান। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, "আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ৫০ নম্বর ধারার অধীনে তদন্তকারী সংস্থার যে কাউকে তলব করার অধিকার রয়েছে, যাদের উপস্থিতি তদন্তের জন্য বা প্রমাণ সংগ্রহ বা পেশ করার জন্য প্রয়োজনীয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও এই নিয়ম মানতে বাধ্য।" কেন তিনি বারবার হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন, সেই বিষয়ও তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে।

প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ২০২১-২২ আবগারি নীতি নিয়েই ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এরপরে ইডি-সিবিআই এই দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করে। আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। সেই মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার তলব করা হচ্ছিল কেজরিওয়ালকে।

Maitreyi Mukherjee | 10:48 AM, Thu Feb 08, 2024

Arvind Kejriwal : আরও বিপদে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী! কেজরিওয়ালের সচিবের বাড়িতে ইডির তল্লাশি

মঙ্গলবার সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব ও আম আদমি পার্টির কয়েকজন মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তাঁদের বিরুদ্ধে জল বোর্ডের টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন সকালে দিল্লি, চণ্ডীগড় ও বারাণসী সহ মোট বারোটি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। বৈভব কুমার (যিনি কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব তথা রাজ্যসভার সাংসদ), রাজ্যসভার সাংসদ এন ডি গুপ্তা এবং দিল্লির জল বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য সলভ কুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিররা। যদিও ইডির অভিযানকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ মন্ত্রী অতিশী। তিনি বলে, "আমরা একটুই ভীত নই, কোনও প্রমাণ নেই, ইডি অভিযুক্তদের রাজসাক্ষী করার চেষ্টা করছে।"

জলবোর্ডের যে দুর্নীতি হয়েছে তাকে কেন্দ্র করেই আজকের তল্লাশি। সিবিআইয়ের দায়ের করা মূলত দুটি আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত করছে ইডি। এখন পর্যন্ত জলবোর্ডের প্রাক্তন দুই প্রধান ইঞ্জিনিয়ার গ্রেফতার হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জগদীশ কুমার অরোরা ও কন্ট্রাক্টর অনীল কুমার আগরওয়ালকে গত সপ্তাহেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, কেজরিওয়ালকে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় পাঁচবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু, একবারও হাজিরা দেননি তিনি। ইডির সমন বৈধ নয় বলে যুক্তি দেখিয়ে তা এড়িয়ে গিয়েছেন। এই মামলায় কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে চায় ইডি।

এদিকে কেজরিওয়াল না যাওয়ায় এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শনিবার মামলার কিছুটা অংশের শুনানি হলেও বাকিটা ৭ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত শুক্রবার কেজরিওয়াল সহ আপ মন্ত্রীরা ও দলীয় কর্মীরা মিলে বিজেপির সদর দফতর ডিডিইউ মার্গের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। আপের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী কোনওমতেই ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না। তাঁকে বেআইনিভাবে তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের দাবি কেজরিয়ালকে গ্রেফতার করে বিজেপি তাদের সরকার ফেলে দিতে চাইছে।

যদিও আপের সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি কটাক্ষ করে বলেন, “কেজরিওয়াল ইডির ডাকে সাড়া না দিয়ে বিজেপির সদর দফতরের সামনে নাটক করছেন। কারণ তিনি জানেন আবগারি নীতিতে দুর্নীতি হয়েছে।” বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারির প্রশ্ন, "তিনি কি বাচ্চাদের আইন ভাঙার বার্তা দিচ্ছেন? এর জন্যই কি তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন?"

উল্লেখ্য, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি ডিসেম্বরের ২ তারিখ ৬ নম্বর চার্জশিট পেশ করে। তাতে আপ নেতা সঞ্জয় সিং ও তাঁর সহকারি সারভেশ মিশ্রর নাম ছিল। অভিযোগ, এই নীতির মাধ্যমে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার মাধ্যমে বেআইনিভাবে প্রাপ্ত ৪৫ কোটি টাকা ২০২২ সালে গোয়ায় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়। এই মামলায় গত বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি আপ নেতা মণীশ সিশোদিয়া সিবিআই এর হাতে এবং ৫ অক্টোবর ইডির হাতে গ্রেফতার হন সঞ্জয় সিং।

Bengal Hour Bureau | 15:31 PM, Tue Feb 06, 2024

Arvind Kejriwal : গ্রেফতারির ভয়ে 'জুজু' কেজরিওয়াল! ফের ইডির হাজিরা এড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী

এনিয়ে মোট পাঁচবার। আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলা ফের হাজিরা এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Delhi Chief Minister)। আজ তাঁকে দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। কিন্তু, বাকি চারবারের মতো এবারও হাজিরা এড়িয়ে গেলেন তিনি। আজ দিল্লিতে (Delhi) ইডির সদর দফতরেই তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এবারও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেলেন।

এর আগে ১৯ জানুয়ারি তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। তখনও তা এড়িয়ে যান তিনি। বরং হাজিরা দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন আপ সুপ্রিমো। তিনি জানিয়েছিলেন, ইডি যে সমন জারি করেছে তা অবৈধ। আর তা শুধুমাত্র তাঁকে গ্রেফতার করার জন্যই জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy Case) এর আগে ২ নভেম্বর, ২১ ডিসেম্বর ও ৩ জানুয়ারি কেজরিওয়ালকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, কোনও বারই তিনি হাজিরা দেননি। যদিও ইডির এই সমনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি আম আদমি পার্টি। দলের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Delhi Chief Minister Arvind Kejriwal) গ্রেফতার করে দিল্লি সরকারকে সমস্যায় ফেলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মূল লক্ষ্য। আমরা এটা কখনওই হতে দেব না।

এই মামলায় ইতিমধ্যেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন আপের তিন নেতা মণীশ সিসোধিয়া, সঞ্জয় সিং ও সত্যোন্দ্র জৈন। প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ সালের দিল্লির আবগারি নীতি ঘিরে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই নীতি তৈরি করা হয়েছিল। এর বিনিময়ে সরকার ১০০ কোটি টাকাও পেয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলাতেই আপের তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে তিনজন নেতাকে গ্রেফতারের পর থেকেই আর ইডি দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না কেজরিওয়াল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ইডির ভয়ে রীতিমতো জুজু হয়ে রয়েছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে যদি কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয় তাহলে সমস্যায় পড়তে পারে দল। সেই গ্রেফতারির ভয়েতেই তিনি হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন জল্পনা শুরু হয়েছে। বারবার হাজিরা এড়ানোয় এবার কেজরিবালের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারে ইডি। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে।

Maitreyi Mukherjee | 13:07 PM, Fri Feb 02, 2024
upload
upload