Thursday, November 21, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

burdawan

Higher secondary exam: স্কুলের শিক্ষকদের অবহেলায় এক ঘন্টা দেরিতে পৌঁছলো ৫০ জন ছাত্রছাত্রী


আজ থেকে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯০ হাজার। পরীক্ষা শুরু হয়েছে সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে। শেষ হবে দুপুর ১ টায়। প্রথমদিনেই ঘটলো বিপত্তি। মগরাহাট কুলদিয়া স্কুলের শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতার জন্য ৫০ জন ছাত্রছাত্রী এক ঘন্টা পরীক্ষা দিতে পারল না। জানা যাচ্ছে অ্যাডমিটে ছিল না পরীক্ষার সেন্টারের নাম। মগরাহাট কুলদিয়া স্কুলের শিক্ষকেরা জানিয়েছিলেন তাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার সেন্টার পড়েছে ঝিংকি কাটাখালি হাইস্কুলে। রীতিমতো মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে স্কুলের সামনে ন'টায় হাজির হয় ছাত্রছাত্রীরা। এরপর স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করে রোল নাম্বার অনুযায়ী রুম নাম্বার খুঁজতে গিয়ে পরে বিরাম্বনায় ছাত্রছাত্রীরা। লিস্টে রোল নাম্বার না থাকায় ঝিংকি কাটাখালি হাইস্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা। সেখানে কতৃপক্ষ তাঁদের পরিষ্কার জানিয়ে দেন কুলদীয়া হাইস্কুলের সীট এই স্কুলে পড়েনি।


এরপর স্বভাবত ভেঙে পড়ে স্কুলের ৫০ জন ছাত্রছাত্রীরা । পরে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কেউ তাদের ফোন তোলেনি। বহুপরে ঝিংকি কাটাখালি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জানা যায় ওই স্কুল থেকে প্রায় নয় থেকে দশ কিলোমিটার দূর মহেশপুর হাই স্কুলে তাদের সেন্টার পড়েছে। এরপর ৫০ জন ছাত্রছাত্রী আশেপাশে টোটো,অটো ভাড়া করে অতি কষ্টে তারা মহেশপুর স্কুলের সেন্টারে পৌঁছয়। এরপর এগারোটা নাগাদ অর্থাৎ ১ ঘন্টা পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর সেন্টার কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক অনুনয়-বিনয় করে তাদেরকে হলে ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হয়।



এরপরে বাকি দুঘন্টায় পরীক্ষা দিয়ে ফিরে এসে কুলদিয়া হাইস্কুল অর্থাৎ নিজেদের স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক অভিভাবীকারা। উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে সামাল দিতে আসেন মগরাহাট থানার পুলিশ। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি পুনরায় তাদেরকে ৩ ঘন্টা পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। 



এবিষয়ে কুলদিয়া হাইস্কুলের এক শিক্ষিকা জানান, “এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ছাত্র ছাত্রীরা আমায় এই ঘটনা জানালে সঙ্গে সঙ্গে আমি ঝিংকি কাটাখালি হাইস্কুলে কথা বলি। তারপর সেখানে পরীক্ষা দেয় পড়ুয়ারা।“উল্লেখ্য বিক্ষোভের চাপে পড়ে স্কুল কতৃপক্ষ এই পুরো ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এরপর তাঁদের তরফে ছাত্রছাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়। ৪ মার্চ স্কুল কতৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বলে জানা যাচ্ছে।

Bengal Hour Bureau | 18:23 PM, Fri Feb 16, 2024

Saraswati puja: ৩৫ বছর পর আচমকাই সরস্বতী পুজো বন্ধ বর্ধমানের এক স্কুলে   

আজ সরস্বতী পুজো। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষে আরাধনা করা হয় বিদ্যার দেবীর।আজকের দিনে হাতেখরি দেওয়া হয় শিশুদের। ঘরে ঘরে পুজো করে পড়ুয়ারা। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা বাগ দেবীর আরাধনা করে থাকে। কিন্তু, পুজোর দিনে স্কুলের গেটে ঝুলছে তালা আর তা দেখেই ফিরে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। ফলে মন খারাপ পড়ুয়াদের। এমনই ঘটনা ঘটলো বুধবার বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের বৈকুন্ঠপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালনগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ৩৫বছর ধরে পুজো হয়ে আসলেও এবছর হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেলো বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো।


এবিষয়ে, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা হলে তাঁরা জানান, “বিদ্যালয়ে বিদ্যারদেবীর আরাধনা হবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আজ সকাল থেকে দেখছি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী এসে ফিরে যাচ্ছে, বাধ্য হয়ে স্থানীও ক্লাবে অঞ্জলি দিতে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। আমাদের কিছু জানায়নি হঠাৎ করেই দেখছি পুজো বন্ধ”। শুধু তাই নয়, মিড ডে মিল নিয়েও রয়েছে এই বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। অবিভাবকরা জানান মিড ডে মিলে এক খাবার দিয়ে যাচ্ছে।


এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সুদেষ্ণা রায় বসাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমরা বিদ্যালয় ৩ জন শিক্ষিকা তার মধ্যে একজনের মেয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তার জন্য তিনি ছুটি নিয়েছে। আর আমার শাশুড়ি মারা যাওয়ায় আমি পুজোয় কোনোভাবে হাত দিতে পারছি না। এবিষয়ে অভিভাবকদেরকে জানানো হয়েছিল যে এবছর বিদ্যালয়ের পুজোতে আমি থাকতে পারছি না তাই পুজো বন্ধ থাকবে। তখন অভিভাবকরা জানান একটা বছর পুজো বাদ থাকলে কোন অসুবিধে হবে না, আবার পরের বছর হবে। মিড ডে মিলের প্রসঙ্গে তিনি জানান, স্কুলে ৩জন মাত্র শিক্ষিকা আছে, ৩জন মিলে যতটা করার করি, আরও লোকের প্রয়োজন আমাদের। আর সরকারি নিয়ম অনুযায়ীই মিড ডে মিলের মেনু ঠিক করা হয় সেই মতই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রান্না করে বাচ্চাদের খাবার দেওয়া হয়”।

স্বাভাবিকভাবে বিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজা না হওয়ায় এই স্কুল পড়ুয়ারা একরাশ মন খারাপ নিয়ে  বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।

Bengal Hour Bureau | 17:55 PM, Wed Feb 14, 2024
Madhyamik Exam 2024 : অদম্য জেদ! সাপের কামড় খেয়ে হাসপাতালের বেডে বসে মাধ্যমিক পরীক্ষা ছাত্রের  

২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এর মাঝেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার হাইস্কুলের অর্জুন মাঝি নামে এক ছাত্রকে রবিবার রাতে একটি সাপ কামড়ায়। সেই সময় বাড়িতেই ছিল সে। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে তড়িঘড়ি ভর্তি করে ভাতার ব্লক হাসপাতালে। তবে পরীক্ষার আগে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও তার মনোবল একটু ভাঙেনি। হাসপাতালের বেডে বসেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল সে।

চিকিৎসার পর এখন কিছুটা সুস্থ অর্জুন। তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বড়বেলুন হাইস্কুলে। ওই স্কুলেরই শিক্ষক দেবাশিস চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে পরীক্ষা দেয় ছাত্রটি। তিনি জানান, ছেলেটি এখন একটু ভালো আছে। তবে তাকে কবে ছাড়া হবে সেটা ডাক্তার জানাননি। ছাত্রের বাবা উৎপল মাঝি গর্বের সঙ্গে বলেন, “সাপে কামড়ানোর পর অনেকেই আধমরা হয়ে যায়। তবে আমার ছেলে নার্ভাস হয়নি, পরীক্ষা দেবে বলে ঠিক করেছিল সেটাই করছে”। তার সাহসের প্রশংসা করেছেন শিক্ষক থেকে স্থানীয়রা সবাই।

এদিন আরও একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার জানাপুল হাইস্কুলে। পরীক্ষার হলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরুর কিছু মুহূর্ত আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। এরপর তড়িঘড়ি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পুলিশের তৎপরতায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। তারপর কিছুটা সুস্থ হলে হাসপাতালেই ওই ছাত্রীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

জানা গিয়েছে,গোবরডাঙার বেড়গুম হাইস্কুলের এই ছাত্রীর সিট পড়েছিল জানাপুল হাইস্কুলে। তার নাম পায়েল চৌধুরী। বাড়ি কৃষ্ণনগরে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অতিরিক্ত চিন্তা ও বদহজমের কারণে তার জ্ঞান হারিয়ে গিয়েছিল। যদিও এখন সে ভালো আছে।

এই বছর প্রায় ১০ লক্ষের কাছাকাছি ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে। এবার পরীক্ষার সময়সূচিতে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। সকাল ৯টা বেজে ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্নপত্রের প্রতিটি প্রশ্নের পাশে থাকছে একটি করে QR কোড ,যদি কেউ প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার চেষ্টা করে তাহলে সে সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ে যাবে। তার পরীক্ষাও বাতিল করবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। এই বছর পর্ষদের নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে শপথ বাক্য পাঠ করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি বাস সংগঠনগুলো পরীক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বিশেষ বাস পরিষেবা চালু করেছে। বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ, কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে পরীক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে ফুল, পেন, বোর্ড ইত্যাদি দেওয়া হচ্ছে।

Maitreyi Mukherjee | 18:03 PM, Mon Feb 05, 2024
upload
upload