Higher secondary exam: স্কুলের শিক্ষকদের অবহেলায় এক ঘন্টা দেরিতে পৌঁছলো ৫০ জন ছাত্রছাত্রী
আজ থেকে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯০ হাজার। পরীক্ষা শুরু হয়েছে সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে। শেষ হবে দুপুর ১ টায়। প্রথমদিনেই ঘটলো বিপত্তি। মগরাহাট কুলদিয়া স্কুলের শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতার জন্য ৫০ জন ছাত্রছাত্রী এক ঘন্টা পরীক্ষা দিতে পারল না। জানা যাচ্ছে অ্যাডমিটে ছিল না পরীক্ষার সেন্টারের নাম। মগরাহাট কুলদিয়া স্কুলের শিক্ষকেরা জানিয়েছিলেন তাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার সেন্টার পড়েছে ঝিংকি কাটাখালি হাইস্কুলে। রীতিমতো মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে স্কুলের সামনে ন'টায় হাজির হয় ছাত্রছাত্রীরা। এরপর স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করে রোল নাম্বার অনুযায়ী রুম নাম্বার খুঁজতে গিয়ে পরে বিরাম্বনায় ছাত্রছাত্রীরা। লিস্টে রোল নাম্বার না থাকায় ঝিংকি কাটাখালি হাইস্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা। সেখানে কতৃপক্ষ তাঁদের পরিষ্কার জানিয়ে দেন কুলদীয়া হাইস্কুলের সীট এই স্কুলে পড়েনি।
এরপর স্বভাবত ভেঙে পড়ে স্কুলের ৫০ জন ছাত্রছাত্রীরা । পরে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কেউ তাদের ফোন তোলেনি। বহুপরে ঝিংকি কাটাখালি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জানা যায় ওই স্কুল থেকে প্রায় নয় থেকে দশ কিলোমিটার দূর মহেশপুর হাই স্কুলে তাদের সেন্টার পড়েছে। এরপর ৫০ জন ছাত্রছাত্রী আশেপাশে টোটো,অটো ভাড়া করে অতি কষ্টে তারা মহেশপুর স্কুলের সেন্টারে পৌঁছয়। এরপর এগারোটা নাগাদ অর্থাৎ ১ ঘন্টা পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর সেন্টার কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক অনুনয়-বিনয় করে তাদেরকে হলে ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এরপরে বাকি দুঘন্টায় পরীক্ষা দিয়ে ফিরে এসে কুলদিয়া হাইস্কুল অর্থাৎ নিজেদের স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক অভিভাবীকারা। উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে সামাল দিতে আসেন মগরাহাট থানার পুলিশ। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি পুনরায় তাদেরকে ৩ ঘন্টা পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
এবিষয়ে কুলদিয়া হাইস্কুলের এক শিক্ষিকা জানান, “এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ছাত্র ছাত্রীরা আমায় এই ঘটনা জানালে সঙ্গে সঙ্গে আমি ঝিংকি কাটাখালি হাইস্কুলে কথা বলি। তারপর সেখানে পরীক্ষা দেয় পড়ুয়ারা।“উল্লেখ্য বিক্ষোভের চাপে পড়ে স্কুল কতৃপক্ষ এই পুরো ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এরপর তাঁদের তরফে ছাত্রছাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়। ৪ মার্চ স্কুল কতৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বলে জানা যাচ্ছে।
Saraswati puja: ৩৫ বছর পর আচমকাই সরস্বতী পুজো বন্ধ বর্ধমানের এক স্কুলে
Higher secondary exam: স্কুলের শিক্ষকদের অবহেলায় এক ঘন্টা দেরিতে পৌঁছলো ৫০ জন ছাত্রছাত্রী