Thursday, November 21, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

calcutta high court

Supreme Court : নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বাংলা থেকে সরানো হোক সন্দেশখালি মামলা, আবেদন সুপ্রিম কোর্টে


বিগত ক'দিন ধরেই খবর শিরোনামে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ওই এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী রাতের পর পর মেয়ে-বউদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালাত। এবার এই অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়। চার দফা দাবিও জানানো হয়েছে। প্রথমত, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই বা সিট গঠন করে তদন্ত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মণিপুরের মতো সন্দেশখালিতেও হাই কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের কমিটি গঠন করে তদন্ত করতে হবে। তৃতীয়ত, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। চতুর্থত, প্রশাসনের যে সব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।


এদিন আইনজীবী অলোক বলেন, “সন্দেশখালিতে যে সব তথ্য উঠে আসছে তাতে বাংলায় সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া সম্ভব নয়, তাই ন্যায়বিচারের জন্য মামলাটি রাজ্যের বাইরে সরিয়ে আনা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করে তাঁকে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন, তার থেকে প্রমাণ হচ্ছে প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়।” এছাড়াও সন্দেশখালিতে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েনের আর্জিও জানান তিনি। সূত্রের খবর, দ্রুত তদন্ত সম্পূর্ণ করে দিল্লির ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে সময়সীমা বেঁধে বিচার প্রক্রিয়ার আবেদন জানিয়েছেন অলোক শ্রীবাস্তব।


প্রসঙ্গত, শুক্রবারই সন্দেশখালি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করার অনুমতি চেয়েছেন আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সন্দেশখালিতে দ্রুত সিআরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ। আগামী সোমবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।




উল্লেখ্য, আজও অধরা শেখ শাহজাহান। ৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু, সেই সময় তাঁর অনুগামীদের হাতে হেনস্থা হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। এই ঘটনার পর থেকেই শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মহিলাদের উপর অত্যাচার থেকে শুরু করে ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়া, আবাস যোজনার টানা না দেওয়া, জলের দরে জমি হাতিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গ্রামের মহিলাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। সন্দেশখালির আঁচ রাষ্ট্রপতির ভবন পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। আজ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সন্দেশখালি নিয়ে এক রিপোর্ট জমা দিয়েছে তফসিলি কমিশন।  

Bengal Hour Bureau | 16:21 PM, Fri Feb 16, 2024

Sukanta Mazumdar : টাকিতে অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হল হাসপাতালে

মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানকে ঘিরে খণ্ড যুদ্ধ বাধে বিজেপি ও পুলিশের মধ্যে। আটক করা হয় সুকান্ত এবং কয়েক জন বিজেপি কর্মীদের। পরে সুকান্তকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদিন ফের সন্দেশখালিতে যাবেন বলে জানান তিনি। রাতে টাকির একটি হোটেলে ছিলেন সুকান্ত। পরিকল্পনা ছিল হোটেলেই সরস্বতী পুজো করে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেবেন। এদিকে তাঁকে সন্দেশখালি যাওয়া থেকে আটকাতে হোটেলে মোতায়েন ছিল পুলিশও। কিন্তু, বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে নিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর ইছামতীর পাড়ে বসে সরস্বতী পুজো সারেন। পূর্বপরিকল্পনা মাফিক টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এরপরই বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়।


জানা গিয়েছে, বচসা চলাকালীন পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যান সুকান্ত। গাড়ি থেকে সুকান্ত মজুমদারকে জোর করে নামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু, ধস্তাধস্তিতে তিনি গাড়ি থেকে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারান। তারপর চোখেমুখে জল দিয়ে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। ওই সময় তড়িঘড়ি তাঁকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায় সুকান্তর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও বিজেপি কর্মীরা।



বিজেপির দাবি, সরস্বতী পুজোর জন্য উপোস করেছিলেন সুকান্ত। ধস্তাধস্তির সময় পুলিশের গাড়ির চালক গাড়ি চালিয়ে দেওয়াতেই পড়ে যান তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।


প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে ইডি। মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের। ইডির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও হামলা চালানো হয়। যদিও সেই ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর আচমকা শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের মধ্যে অত্যাচার চালাত শাহজাহান। ঘর থেকে বউদের তুলে যেত তাঁর শাগরেদরা। শুধু তাই নয় আবাস যোজনা, ১০০ দিনের টাকাও তাঁরা পাননা বলে অভিযোগ করছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। সেখানে প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখলিতে ১৪৪ ধারা তুলে নিতে বাধ্য হয় রাজ্য। এরপর নতুন করে ফের ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া, দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়া, দাউদপুর, ধামাখালি ঘাট, হালদার পাড়া, পিঁপড়ে খালি ঘাট সহ আরও বেশ কিছু জায়গায়। তার মধ্যেই আজ সন্দেশখালিতে যেতে উদ্যত হন সুকান্ত।


Bengal Hour Bureau | 17:44 PM, Wed Feb 14, 2024

Justice Abhijit Gangopadhyay : "আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ", সন্দেশখালি নিয়ে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, দিনের পর দিন ধরে তাঁদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী। জলের দরে জমি হাতিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে মহিলাদের উপর অত্যাচার, ধর্ষণ, খুনের হুমকি কোনও কিছুই বাদ যায়নি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর অবশেষে মুখ খুলেছেন মহিলারা। চলছে বিক্ষোভ। এদিকে এখনও পর্যন্ত ফেরার এলাকার ত্রাশ শাহজাহান। এত অভিযোগ সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সেই সন্দেশখালি নিয়েই এবার মুখ খুললেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।



সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের যে সব অভিযোগ উঠেছে, তা শুনে বিস্মিত বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, "জ্ঞান হওয়া থেকে আমি কখনও শুনিনি যে রাতে ফোন করে মহিলাদের ডেকে পাঠানো হত। এই ঘটনা আমার কাছে একেবারেই পরিচিত নয়। এনিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ। তবে আপাতত আমি মুখ বন্ধ করেই রাখছি।" একটু থেমে বিচারপতির সংযোজন, "বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি, আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। আপাতত আমি মুখ বন্ধ করেই রেখেছি।"



তবে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "অনেকের মতো আমার মনেও এনিয়ে প্রশ্ন উঠছে যে প্রশাসন কি জানত না এই রকম ঘটনা ঘটছে? পুলিশ প্রশাসন জানত না নাকি জেনেও চোখ বুজে ছিল? এটাই একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।"



৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু, সেখানে যাওয়ার পরই শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে হেনস্থা হতে হয় তাঁদের। মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের। তবে শুধুমাত্র ইডি নয়, হামলা চালানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও। প্রাণ ভয়ে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। সেই দিন থেকে আজও ফেরার শাহজাহান। তাঁর টিকিও নাকি খুঁজে পায়নি পুলিশ। এদিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর এক শাগরেদ উত্তম সর্দারকেষ পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি। কিন্তু, যতক্ষণ না পর্যন্ত পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করছে ততক্ষণ পর্যন্ত মহিলারা গ্রামের মধ্যে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।



মহিলাদের এই অভিযোগ নিয়ে রাজ্য জুড়ে তো বটেই, এ বার জাতীয় স্তরেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্মৃতি। এমনকী, সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। সেখানে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অন্য দিকে, সন্দেশখালি নিয়ে ওই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্রের নেতৃত্বের ১০ সদস্যের বিশেষ দল তদন্ত করছে।

Maitreyi Mukherjee | 11:28 AM, Wed Feb 14, 2024

Sandeshkhali: ফের ১৪৪ ধারা জারি সন্দেশখালিতে 

গোটা সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ভৎসনার মুখে পরে রাজ্য প্রশাসন। আদালত ১৪৪ ধারা জারির করার কারন জানতে চাইলে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি রাজ্য। এরপরই ১৪৪ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন,” কোন কোন অঞ্চলে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি,১৪৪ ধারা জারি করার আগে প্রশাসনের পুরো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল”। ফলে আদালতের রায় মেনে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় রাজ্য। তবে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টা থেকে নতুন করে ১৯টি জায়গা স্পর্শকাতর উল্লেখ করে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধামাখালি ঘাট সহ সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। যার মধ্যে সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া, দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়া, দাউদপুর, ধামাখালি ঘাট, হালদার পাড়া, পিঁপড়ে খালি ঘাট সহ আরও বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

বেশ কদিন ধরেই অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি। অবিলম্বে শাহজাহানকে গ্রেফতারে দাবিতে গতকাল বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে যান বিজেপির সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি কর্মীরা। অভিযানকে ঘিরে তুমুল অশান্তি হয় বসিরহাটে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় উত্তেজিত বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। সব মিলিয়ে ধন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে। বিজেপির মহিলা কর্মী সমর্থক সহ বেশ কিছু বিজেপি কর্মীরা আহত হয়। এরপর বাসন্তী ব্লকের পালবাড়ি বাজারের রাস্তা অবরোধ করে সন্ধ্যা থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তাদের বিক্ষোভের মূল কারণ ছিল রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ হাজারের বিজেপির কর্মী সমর্থক ও মহিলাদের উপর পুলিশি প্রশাসনের ও নির্বিচার।যার জেরে তারা পথ অবরোধ করে।

পাশাপাশি, মঙ্গলবার দুপুরে সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন ও সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়নের ডাকে একাধিক দাবি দাওয়াকে সামনে রেখে বহরমপুরে জেলা শাসক দফতর অভিযান কে কেন্দ্র করে উতপ্ত হয়।উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও জেলার সিপিএমের নেতৃত্বরা।সভা শেষ করেই জেলা শাসক অফিস অভিযান করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে বাম কর্মীদের ।পুলিশ কে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট ছুড়তে থাকেন বাম কর্মীরা। পাল্টা পুলিশ কাঁদানী গ্যাসের সেল ফাটায় এবং লাঠি চার্জ করে। ঘটনাকে ঘিরে রনক্ষত্রের চেহারা নেয় বহরমপুর শহর।

Bengal Hour Bureau | 11:19 AM, Wed Feb 14, 2024

High court on Sandeshkhali : সন্দেশখালি নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের

উত্তপ্ত সন্দেশখালিকে শান্ত করতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল রাজ্যপ্রশাসন। এই নিয়ে মঙ্গলবার মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই প্রশ্নের মুখে পরে রাজ্য। এদিন আদালত ১৪৪ ধারা জারির কারন জানতে চায় রাজ্যের কাছে। কিন্তু তা নিয়ে কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি প্রশাসন। এরপরই ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। গোটা পরিস্থিতিকে খুব যত্ন নিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে বলে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সাথে এলাকায় বেশি করে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, "কোন কোন এলাকায় গণ্ডগোল হচ্ছে তা উল্লেখ করা হয়নি ১৪৪ ধারা জারির বিজ্ঞপ্তিতে। ১৪৪ ধারা জারি করার আগে পরিস্থিতি পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল বলে বলে তাঁর মত। এ কদিন যা যা ঘটনা সামনে এসেছে, তা নিয়ে বিচারপতি বলেন, “যে সব অভিযোগ আসছে সেটা গুরুতর”। পুলিশ তিন বছর ধরে মামলা গ্রহণ করেনি, মহিলাদের নিরাপত্তার অভাব আছে”। ১৪৪ ধারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২-৩ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি হলেও বোঝা যেত কিন্তু গোটা সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করার  এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয়তা নেই”।


এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, “১৪৪ ধারা জারি করা ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ আছে। এ ক্ষেত্রে তা মানেনি রাজ্য”।

প্রসঙ্গত, আজ বিজেপির এসপি অফিস অভিযানকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বসিরহাট। শেখ শাহাজানকে গ্রেফতার এবং  বিকাশ সিংহের মুক্তির দাবিতে বিজেপির পক্ষ থেকে বসিরহাট এসপি অফিস অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুটো থেকে এসপি অফিস অভিযান শুরু হয় বসিরহাটে বিজেপির সাংগঠনিক দলীয় কার্যালয় থেকে। সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে এক বিশাল মিছিল করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সকাল থেকেই এই অভিযান ঘিরে পুলিশের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। বসিরহাট এসপি অফিসের সামনেই পুলিশের বিশাল ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়। ব্যারিকেডের সামনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পৌঁছানোর পর পুলিশের সাথে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এরপরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের, তারপর ইট বৃষ্টি করা হয় বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। পুলিশের দাবি বিজেপির মিছিল থেকেই প্রথমে ইট ছোড়া হয় পুলিশের দিকে।  তারপরেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। একই সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় উত্তেজিত বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার লক্ষ্য রেখে। সব মিলিয়ে ধন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে। বিজেপির মহিলা কর্মী সমর্থক সহ বেশ কিছু বিজেপি কর্মীরা আহত হয়।

Maitreyi Mukherjee | 18:03 PM, Tue Feb 13, 2024

Supreme Court: দুই বিচারপতির দ্বন্দ্বের জেরে মেডিক্যালে ভর্তি মামলা সরল সুপ্রিম কোর্টে

কলকাতা হাই কোর্টের দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাতের জের। মেডিক্যালে ভর্তি মামলা সরল সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ৩ সপ্তাহ পর শীর্ষ আদালতে মামলার পরবর্তী শুনানি। ইতিমধ্যে মামলার সব পার্টিকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে। 

সুপ্রিম নির্দেশের ফলে হাইকোর্টের সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চের কোনও নির্দেশ আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। এবার থেকে মেডিক্যালে ভর্তির সব মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত করা হল।

Mayuri Datta | 11:46 AM, Mon Jan 29, 2024

SUPREME COURT: মেডিক্যাল দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টে

  • সিঙ্গল ও ডিভিশন বেঞ্চের যাবতীয় নির্দেশের উপর সুপ্রিম স্থগিতাদেশ
  • মেডিক্যাল দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
  • সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
  • রাজ্যকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের, আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি
Mayuri Datta | 11:02 AM, Sat Jan 27, 2024

Supreme Court: দুই বিচারপতির সংঘাতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ, শনিতেই শুনানি

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে বেনজির সংঘাত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি সৌমেন সেনের সংঘাতের জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ শীর্ষ আদালতের। পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।

শনিবার আদালত ছুটির দিনেই বসবে ওই বেঞ্চ। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুনানি শুরু। প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের উপর প্রথমে স্থগিতাদেশ দেয়। পরে সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর খারিজ করে দেয়। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের প্রক্রিয়াগত ‘ত্রুটি’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Mayuri Datta | 10:25 AM, Sat Jan 27, 2024
upload
upload