Sukanta Mazumdar : টাকিতে অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হল হাসপাতালে
মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানকে ঘিরে খণ্ড যুদ্ধ বাধে বিজেপি ও পুলিশের মধ্যে। আটক করা হয় সুকান্ত এবং কয়েক জন বিজেপি কর্মীদের। পরে সুকান্তকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদিন ফের সন্দেশখালিতে যাবেন বলে জানান তিনি। রাতে টাকির একটি হোটেলে ছিলেন সুকান্ত। পরিকল্পনা ছিল হোটেলেই সরস্বতী পুজো করে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেবেন। এদিকে তাঁকে সন্দেশখালি যাওয়া থেকে আটকাতে হোটেলে মোতায়েন ছিল পুলিশও। কিন্তু, বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে নিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর ইছামতীর পাড়ে বসে সরস্বতী পুজো সারেন। পূর্বপরিকল্পনা মাফিক টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এরপরই বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, বচসা চলাকালীন পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যান সুকান্ত। গাড়ি থেকে সুকান্ত মজুমদারকে জোর করে নামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু, ধস্তাধস্তিতে তিনি গাড়ি থেকে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারান। তারপর চোখেমুখে জল দিয়ে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। ওই সময় তড়িঘড়ি তাঁকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায় সুকান্তর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপির দাবি, সরস্বতী পুজোর জন্য উপোস করেছিলেন সুকান্ত। ধস্তাধস্তির সময় পুলিশের গাড়ির চালক গাড়ি চালিয়ে দেওয়াতেই পড়ে যান তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে ইডি। মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের। ইডির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও হামলা চালানো হয়। যদিও সেই ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর আচমকা শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের মধ্যে অত্যাচার চালাত শাহজাহান। ঘর থেকে বউদের তুলে যেত তাঁর শাগরেদরা। শুধু তাই নয় আবাস যোজনা, ১০০ দিনের টাকাও তাঁরা পাননা বলে অভিযোগ করছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। সেখানে প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখলিতে ১৪৪ ধারা তুলে নিতে বাধ্য হয় রাজ্য। এরপর নতুন করে ফের ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া, দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়া, দাউদপুর, ধামাখালি ঘাট, হালদার পাড়া, পিঁপড়ে খালি ঘাট সহ আরও বেশ কিছু জায়গায়। তার মধ্যেই আজ সন্দেশখালিতে যেতে উদ্যত হন সুকান্ত।