Tuesday, October 22, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

champai soren

Champai Soren : ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোটে জয় চম্পাই সোরেনের

ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোটে (Jharkhand Assembly) জয়ী চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিলেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পক্ষে মোট ভোট পড়েছে ৪৭টি। আর বিপক্ষে পড়েছে ২৯টি ভোট। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ৮১। তার মধ্যে ম্যাজিক ফিগার হল ৪১। অর্থাৎ, ৪১টি ভোট পেলেই চম্পাই সোরেনের সরকার গড়তে আর কোনও বাধা থাকত না। কিন্তু, ভোটাভুটির পরে দেখা যায় ম্যাজিক ফিগারের থেকে ৬টি বেশি ভোট পেয়েছে নতুন এই সরকার।

ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের মোট বিধায়ক সংখ্যা ৪৭। এ ছাড়া বিজেপির ২৫ জন, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তিন জন, এনসিপি এবং সিপিআই (এমএল)-এর এক জন করে বিধায়ক রয়েছেন। সিপিআই (এমএল) সমর্থন রয়েছে শাসক জোটের পক্ষে। তিন জন নির্দল বিধায়কও রয়েছেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়। শাসক জোটের সকলেই নতুন সরকারকে ভোট দিয়েছেন। নতুন সরকার যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে তা নিয়ে আগে থেকেই আশাবাদী ছিল জোট।

কেন আস্থাভোট হল ঝাড়খণ্ডে?
জমি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। ৩১ জানুয়ারি প্রথমে রাজভবনে গিয়ে ইস্তফা দেন তিনি। তারপর সেদিন রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তারপর থেকে ইডি হেফাজতেই রয়েছেন। তবে আদালতের অনুমতিতে আজ বিধানসভায় আস্থাভোটে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর গ্রেফতারির জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন।

এদিকে হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির পর রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য হেমন্তের স্ত্রী কল্পনা সোরেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু, পরিবারের আপত্তির কারণে তা বাতিল করা হয়। তখনই দলের তরফে চম্পাই সোরেনের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি রাজভবনে গিয়ে শপথ নেন চম্পাই। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলেছিলেন।

সেই অনুযায়ী আজ ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়। যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী চম্পাইয়ের সমর্থনে রয়েছেন, প্রথমে তাঁদের দাঁড়াতে বলা হয়। ৪৭ জন বিধায়কই দাঁড়িয়ে সমর্থন জানান। এর পর বিপক্ষে কারা রয়েছেন, জানতে চান স্পিকার। তখন ২৯ জন বিধায়ক দাঁড়িয়েছিলেন। তার পরেই আস্থা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে দেওয়া হয়। করতালিতে ফেটে পড়ে সভাকক্ষ। শেষ হাসি হাসেন চম্পাই সোরেন। 

Maitreyi Mukherjee | 15:03 PM, Mon Feb 05, 2024

CM Champai Soren : টানাপোড়েন শেষ, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ চম্পাই সোরেনের

দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টার জল্পনায় অবশেষে ইতি। সব টানাপোড়েনকে দূরে সরিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। আজ সওয়া ১২টার সময় রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ (Jharkhand Governor C. P. Radhakrishnan) তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। তাঁর পাশাপাশি শপথ নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা (Congress Leader) আলমগীর আলম ও আরজেডি নেতা (RJD Leader) সত্যানন্দ ভোগতা। সোরেনের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেন তাঁরা।

বুধবার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে (Jharkhand Ex Chief Minister Hemant Soren) জমি দুর্নীতি মামলায় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তারপর রাতের দিকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই ঘটনার পর থেকে ঝড় বয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে। জল্পনা ছিল যে হেমন্ত সোরেনের পদত্যাগের পর, তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন (Kalpana Soren) মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। তবে পরিবারের আপত্তির মধ্যে, জেএমএম সভায় চম্পাই সোরেনকে আইনসভা দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়। বুধবার রাতেই চম্পাই রাজভবনে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানান। বিধায়কদের সমর্থনের চিঠিও জমা দেন।

এদিকে রাজ্যপাল সরকার গঠনের আহ্বান না জানানোয় চম্পাই রাতে তাঁর শিবিরের বিধায়কদের তেলেঙ্গানায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কম থাকায় উড়ান বাতিল করা হয়। এরপর বেশি রাতে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ চম্পাইকে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানান। সেই মতোই এদিন শপথ নেন চম্পাই। দশদিনের মধ্যে তাঁকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলা হয়েছে। এদিন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন একজন কংগ্রেসের এবং একজন আরজেডির বিধায়ক।

উল্লেখ্য, জেএমএম প্রধান শিবু সোরেনের অনুগত হিসেবে পরিচিত রাজ্য পরিবহন মন্ত্রী চম্পাই সোরেন। ১৯৯০-এর দশকে একটি পৃথক (ঝাড়খণ্ড) রাজ্যের জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ে অবদানের জন্য 'ঝাড়খণ্ড টাইগার' (Jharkhand Tiger) নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৯১ সালে সেরাকেলা আসন থেকে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে সাহায্য করতেন চম্পাই। পড়াশোনা করেছেন সরকারি স্কুলে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা। খুব কম বয়সেই বিয়ে। চার সন্তান রয়েছে তাঁর। ৯০-এর দশকের শেষ দিকে রাজনীতিতে পা। নির্দল হিসেবে লড়াই করে সরাইকেলা আসন থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন চম্পাই। পরে যোগ দেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায়। 

Maitreyi Mukherjee | 15:55 PM, Fri Feb 02, 2024
upload
upload