Friday, May 17, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

cm mamata banerjee

Deactivated Aadhar cards : নাগরিকত্ব হারানোর ভয়ে দিন কাটাচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দারা ! 

দেশজুড়ে CAA,NRC লাগু করার প্রতিবাদে আগাগোড়াই সরব বিরোধীরা। কেন্দ্রের আনা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কোনভাবেই দেশে লাগু হোক তা চায় না বিরোধী শিবির। কিন্তু এরমাঝেই গত কয়েকদিন আগে আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট বা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে চিঠি পেয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বহু পরিবারের বাসিন্দারা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে আধার কার্ডের ২৮-এ রেগুলেশনে তাঁদের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। মূলত বিদেশি বলে সন্দেহ বা বাসস্থান সংক্রান্ত নথি সন্তোষজনক না হলে এই ধারায় আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়। চিঠি হাতে পেয়ে চরম আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।



শুক্রবার সকালেই জামালপুর ব্লকের জৌগ্রাম, আবুজহাটি এলাকায় প্রায় ৬০ জনের কাছে ডাকযোগে ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার রাঁচির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এই ব্লকের আবুজহাটি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জুহিহাটি গ্রামের প্রায় ৫০ জন এমন চিঠি পেয়েছেন। জৌগ্রামের অনেকের কাছেও এই চিঠি এসেছে। পোস্ট অফিস সূত্রে খবর, এই ধরনের কয়েকশো চিঠি এসেছে। অনেকেই নাগরিকত্ব হারানোর আতঙ্কে কাউকে বিষয়টি জানাননি।



স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কেন এভাবে আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা । এমনকি তাঁদের রেশন, ব্যাঙ্কের লেনদেন-সহ আধার নির্ভর সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল জানান, “ প্রায় ১০/১২ বছর ধরে আমি এখানে রয়েছি। কয়েকমাস আগেই আধারের সঙ্গে প্যানকার্ড লিঙ্ক করেছি। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। হঠাৎ করে কী ঘটল, বুঝতে পারছি না।“ আরেক স্থানীয় বাসিন্দা পুতুল সরকার জানান, “আমরা খুবই চিন্তিত। আমাদের রেশন ২/৩ মাস ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি আমরা ভারতীয় নাগরিক না হতাম তাহলে আমাদের ভোটাধিকার দিল কিভাবে সরকার?”



বৃহস্পতিবারেই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এনিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “উত্তরবঙ্গের চা বাগানের অনেক শ্রমিকদের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে। আমি প্রশাসনকে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি। নির্বাচনের আগেই আধার কার্ড নাকি বাতিল করে দিতে বলেছে কেন্দ্র যাতে মানুষ ভোট দিতে না পারে”।



জামালপুরের বিডিও পার্থসারথীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “ব্লক প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে কেউ কোনও তথ্য চায়নি। কেন এমনটা করা হয়েছে তা বুঝতে পারছি না।"

Bengal Hour Bureau | 17:33 PM, Fri Feb 16, 2024

Idrish Ali: প্রয়াত ইদ্রিশ আলি,  শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল 


শুক্রবার ভোর ২টো ২০ মিনিটে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে
প্রয়াত হলেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি। বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। সূত্রের খবর আজই পার্কসার্কাসের একটি কবরস্থানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন।

করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই আরও অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি। বেশকিছু দিন থেকেই হাঁটাচলায় সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। এরপর কদিন আগেই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। এরপরই আজ তাঁর মৃত্যু হয়। অসুস্থতার কারনে চলতি বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি তিনি। ইদ্রিসের মৃত্যুতে শুক্রবারের বিধানসভার বাজেট অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে।

ইদ্রিস আলি পেশায় ছিলেন আইনজীবী। সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে আইন নিয়ে পাশ করার পর রাজনীতিতে যোগ দেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন ছিল বেশ বর্ণময়। রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন কংগ্রেস কর্মী হিসেবে। এরপর সোমেন মিত্রের হাত ধরেই তৃণমূলে পা রাখেন তিনি। ২০১৪ সালে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি।এরপর ২০২১ সালের বিধানসভাভোটে ভগবানগোলা থেকে জয়ী হন।

রাজনীতিতে আসার পর থেকে একাধিক বিতর্কে জড়ান ইদ্রিস আলি। কখনও বিডিও দফতরে দলীয় সভা করা বা লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অঞ্চল সভাপতি পদ বিক্রির অভিযোগ আনা। প্রায়শই শিরোনামে আসতেন তিনি। বাম জমানার শেষের দিকে ২০০৭ সালে কলকাতায় একটি ধর্মীয় সংগঠনের হয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই পেট্রল বোমা ছুঁড়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন ইদ্রিস। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এক কংগ্রেস নেতার মন্তব্যের প্রতিবাদে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বই লিখে যদি কেউ অপপ্রচার করার চেষ্টা করে , তবে তাঁর জিভ, হাত-পা কেটে নেওয়া হবে।’’ এছাড়াও অধীর চৌধুরী, দিলীপ ঘোষের উদ্দেশে বলেছিলেন, “আবার যদি মিথ্যা ভাবে বই প্রচার করে, তাদের মুখমণ্ডলটা পাল্টে দেওয়া হবে।’’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর থেকে ধমকও খেয়েছিলেন তিনি।

শুধু বিরোধীদের সম্পর্কে নয়, বেশকিছু সময়ে নিজের দলের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের আগে ওই আসনে হারের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ইদ্রিস। মুসলিম প্রার্থী না থাকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এরপর মমতা তাঁকে দলীয় বৈঠকে তীব্র ভৎসনা করেছিলেন।যদিও এতকিছুর পর তিনি বা তাঁরদল পরস্পরকে ছাড়েনি। উল্টে প্রশাসনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

Bengal Hour Bureau | 13:21 PM, Fri Feb 16, 2024

West Bengal Budget 2024 : বাড়ল লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা! ভোটমুখী বাজেটে ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর


আজ বিধানসভায় দুপুর ৩টে নাগাদ রাজ্য বাজেট পেশ করেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অতিরিক্ত ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েই আগামী অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করে সরকার। এই দিন বাজেটে কী চমক থাকে তার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন রাজ্যবাসী। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে চালু হয় লক্ষ্মীর ভান্ডার। যার মাধ্যমে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। আর জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা পান ১০০০ টাকা। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের আগে সেই প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশনে জানানো হয়েছে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে বর্ধিত সহায়তা চালু হবে। উপভোক্তারা মে মাস থেকে এর সুবিধা পাবেন। মে মাস থেকে ৫০০ টাকার পরিবর্তে মিলবে ১০০০ আর ১০০০ টাকার পরিবর্তে মিলবে ১২০০ টাকা। বাজেটে এই ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। এর জন্য রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে অতিরিক্ত ১,২০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানান তিনি।

শুধু তাই নয়, মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের জন্য 'সমুদ্র সাথী' নামে একটি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি রাজ্যই দেবে বলে ঘোষণা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে ৩৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আরও চার শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা (DA) বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেন চন্দ্রিমা। এই ঘোষণার পর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বেড়ে হল ১৪ শতাংশ।
এছাড়া বাজেটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভাতা বাড়ানোর ঘোষণাও করেছেন মন্ত্রী। তাঁদের ভাতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০০ টাকা। এর জন্য ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। এছাড়া এখন থেকে রাজ্য পুলিশের চাকরিতে ২০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য। চন্দ্রিমার দাবি, বামফ্রন্টের আমলে ৫৭.৬০ শতাংশ রাজ্যবাসী দারিদ্রসীমার নীচে ছিলেন। কিন্তু, তৃণমূলের আমলে ২ কোটির বেশি মানুষের জীবিকা সংস্থান হয়েছে। এবার থেকে মাধ্যমিক পাশ করার পর ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে ভর্তি হলেই স্মার্টফোন পাবে বলে বাজেটে ঘোষণা মন্ত্রীর। পাশাপাশি বাজেটে চারটি নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ গঙ্গা এবং দামোদর নদীর উপর সেতু তৈরি করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।

Bengal Hour Bureau | 17:53 PM, Thu Feb 08, 2024

Mamata vs Governor : রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের জের! সিভি আনন্দ বোসের ভাষণ ছাড়াই শুরু বাজেট অধিবেশন

রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। কখনও প্রকাশ্য সভা থেকে আবার কখনও নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। যত দিন যাচ্ছে ততই তলানিতে ঠেকছে সম্পর্ক। আর এবার সেই আঁচ গিয়ে পড়ল বিধানসভার বাজেট অধিবেশনেও (Budget Session)!

নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও রাজ্যের বাজেট অধিবেশন শুরু হয় সেই রাজ্যের রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে। আজ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। যদিও এবার ভাষণ দেননি রাজ্যপাল। শোকপ্রস্তাব পাশ করে প্রথম দিনের অধিবেশন মুলতুবি হয়ে গিয়েছে সোমবার। মঙ্গলবার হাওড়া পুরসভা স‌ংক্রান্ত বিল পেশ করা হবে। বুধবার রাজ্য বাজেট পেশ করবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া কেন বাজেট অধিবেশন শুরু করা হল তা নিয়ে সোমবার দুপুর পর্যন্ত রাজভবনের তরফে কোনও বিবৃতি মেলেনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, এটা রাজ্যর সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের এক নতুন সংযোজন।

উল্লেখ্য, এ বার বাজেট অধিবেশনে যে রাজ্যপালের ভাষণ থাকবে না, সেই ইঙ্গিত মিলেছিল গত শীতকালীন অধিবেশনেই। কারণ, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশন শেষ না করেই অধিবেশন মুলতুবি করে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, বাজেট অধিবেশন কোন ‘নতুন অধিবেশন’ নয়। এটি শীতকালীন অধিবেশনেরই প্রলম্বিত বা বাকি অংশ। ফলে সেখানে শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণ না থাকলেও চলে। যদিও সরকারপক্ষ চাইলে পরে আলোচনার ভিত্তিতে শীতকালীন অধিবেশন চালানো যেত এবং অধিবেশন শেষ করা যেত। কিন্তু তা হয়নি। তাই এ বছর বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণ রাখা হয়নি।

রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে শাসকদলের মধ্যে ‘ক্ষোভ’ রয়েছে। নবান্নের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজভবনের দ্বন্দ্ব, সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। বাজেট অধিবেশনকে ঘিরে তা আরও একবার প্রকাশ্যে এল। অতীতে বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বক্তৃতা না পড়তে চাওয়ায় জগদীপ ধনখড়কে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছিল বিধানসভায়। গোটা ভাষণ না পড়ে নেমে আসতে চাওয়ায় শাসকদলের মহিলা বিধায়কেরা কার্যত ঘিরে ফেলেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল ধনখড়কে। তা নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছিল। তবে বর্তমান রাজ্যপালকে এখনও পর্যন্ত বিধানসভায় এতটা ঘোরাল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়নি। যদিও বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণ না দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 

Maitreyi Mukherjee | 17:04 PM, Mon Feb 05, 2024
upload
upload