Deactivated Aadhar cards : নাগরিকত্ব হারানোর ভয়ে দিন কাটাচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দারা !
দেশজুড়ে CAA,NRC লাগু করার প্রতিবাদে আগাগোড়াই সরব বিরোধীরা। কেন্দ্রের আনা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কোনভাবেই দেশে লাগু হোক তা চায় না বিরোধী শিবির। কিন্তু এরমাঝেই গত কয়েকদিন আগে আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট বা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে চিঠি পেয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বহু পরিবারের বাসিন্দারা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে আধার কার্ডের ২৮-এ রেগুলেশনে তাঁদের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। মূলত বিদেশি বলে সন্দেহ বা বাসস্থান সংক্রান্ত নথি সন্তোষজনক না হলে এই ধারায় আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়। চিঠি হাতে পেয়ে চরম আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।
শুক্রবার সকালেই জামালপুর ব্লকের জৌগ্রাম, আবুজহাটি এলাকায় প্রায় ৬০ জনের কাছে ডাকযোগে ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার রাঁচির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এই ব্লকের আবুজহাটি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জুহিহাটি গ্রামের প্রায় ৫০ জন এমন চিঠি পেয়েছেন। জৌগ্রামের অনেকের কাছেও এই চিঠি এসেছে। পোস্ট অফিস সূত্রে খবর, এই ধরনের কয়েকশো চিঠি এসেছে। অনেকেই নাগরিকত্ব হারানোর আতঙ্কে কাউকে বিষয়টি জানাননি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কেন এভাবে আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা । এমনকি তাঁদের রেশন, ব্যাঙ্কের লেনদেন-সহ আধার নির্ভর সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল জানান, “ প্রায় ১০/১২ বছর ধরে আমি এখানে রয়েছি। কয়েকমাস আগেই আধারের সঙ্গে প্যানকার্ড লিঙ্ক করেছি। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। হঠাৎ করে কী ঘটল, বুঝতে পারছি না।“ আরেক স্থানীয় বাসিন্দা পুতুল সরকার জানান, “আমরা খুবই চিন্তিত। আমাদের রেশন ২/৩ মাস ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি আমরা ভারতীয় নাগরিক না হতাম তাহলে আমাদের ভোটাধিকার দিল কিভাবে সরকার?”
বৃহস্পতিবারেই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এনিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “উত্তরবঙ্গের চা বাগানের অনেক শ্রমিকদের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে। আমি প্রশাসনকে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি। নির্বাচনের আগেই আধার কার্ড নাকি বাতিল করে দিতে বলেছে কেন্দ্র যাতে মানুষ ভোট দিতে না পারে”।
জামালপুরের বিডিও পার্থসারথীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “ব্লক প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে কেউ কোনও তথ্য চায়নি। কেন এমনটা করা হয়েছে তা বুঝতে পারছি না।"
Trending Tag