Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

congress party

Sonia Gandhi : রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সোনিয়া, মায়ের ছাড়া আসনে লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা

পাঁচ দফায় লোকসভার সাংসদ ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তবে এবার আর লোকসভা নয়। রাজ্যসভায় যাচ্ছেন তিনি। রাজস্থান আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের তিনটি আসনের মধ্যে রাজস্থান আসনেও কংগ্রেসের জয় একপ্রকার নিশ্চিত। ফলে যদি তাই হয় তাহলে সোনিয়া হবেন গান্ধী পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য যিনি ইন্দিরা গান্ধীর পর রাজ্যসভায় যাবেন। ফলে খুব শীঘ্রই ইন্দিরা-পুত্রবধূ সংসদের উচ্চকক্ষে প্রথমবার তাঁর ইনিংস শুরু করতে চলেছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।



এতদিন সোনিয়া রায়বেরেলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতেন। এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না তিনি। কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৯৯৯ সালে প্রথম নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন তিনি। সোনিয়ার রাজ্যসভার প্রার্থী হওয়া এপ্রসঙ্গে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সোনিয়া গান্ধীকে স্বাগত জানাই। গোটা রাজস্থান আজ খুশি রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে সোনিয়া গান্ধীর নাম ঘোষণা করায়। এই ঘোষণার সঙ্গে সব পুরোনো স্মৃতি তাজা হয়ে গিয়েছে।"


২৭ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি। এর আগে রাজস্থান আসন থেকে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এপ্রিলে তাঁর ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হবে। তার জেরেই শূন্য হবে আসনটি। আর সেই আসন থেকেই এবার মনোনয়ন জমা দিলেন সোনিয়া। উল্লেখ্য, রাজ্যসভা ৫৬টি আসনের মধ্যে ৯ থেকে ১০টি আসনে জয়ের মতো জায়গায় রয়েছে কংগ্রেস। তার মধ্যে কংগ্রেসের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ দুটি রাজ্য হল তেলেঙ্গানা এবং কর্ণাটক। রাজস্থান এবং হিমাচল প্রদেশেও একটি করা আসন জেতার জায়গায় রয়েছে হাত শিবির। হিন্দি বলয়ে যে কংগ্রেস একেবারে আশা ছেড়ে দেয়নি সেটা বোঝাতেই দক্ষিণের দুই রাজ্যকে বাদ দিয়ে সোনিয়া রাজস্থানকে বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।



প্রসঙ্গত, চলতি লোকসভা নির্বাচনে যে দাঁড়াবেন না তা ২০১৯ সালেই ঘোষণা করেছিলেন সোনিয়া। জানিয়েছিলেন, সেটিই ছিল তাঁর শেষ লোকসভা নির্বাচন। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয় যে সোনিয়ার পর তাঁর রায়বেরেলি কেন্দ্রে থেকে কাকে প্রার্থী করবে কংগ্রেস। সূত্রে খবর, মায়ের আসন থেকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।


এদিকে বুধবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনের সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী, বিহার থেকে লড়বেন ডঃ অখিলেশ প্রসাদ সিং, অভিষেক মনু সিংভি হিমাচল প্রদেশ ও চন্দ্রকান্ত হান্ডরে লড়বেন মহারাষ্ট্র থেকে।

Bengal Hour Bureau | 13:28 PM, Wed Feb 14, 2024

Ashok Chavan : হাত ছেড়ে এবার পদ্মে আশোক চৌহান

সোমবার কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অশোক চৌহান। তারপর থেকেই অশোকের বিজেপিতে যোগদানের গুঞ্জন ওঠে রাজনৈতিক মহলে। সেই জল্পনাকে সত্যি প্রমান করে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দেবেন্দ্র ফোড়নবিশের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চৌহান।সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর পদ প্রার্থী হয়ে দাঁড়াতে পারেন তিনি।


প্রসঙ্গত, আগেই মিলিন্দ দেওরা কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনাতে যোগ দেন। এছাড়াও বাবা সিদ্দিকও অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিতে যোগদান করেছে।এবার সেই পথেই হাঁটলেন আশোক। রাজ্য নির্বাচন এবং সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে অশোক চৌহানের দলত্যাগ মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের জন্য আরেকটি ধাক্কা।


গতকাল পদত্যাগের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, “আমি বিধায়ক হিসেবে বিধানসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। এছাড়াও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এবং কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। কোন দলে যোগদান করব তা নিয়ে দু'দিন পরে আমার অবস্থান পরিষ্কার করব"। গতকাল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় অশোক জানান,”ভোটের মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকা সত্ত্বেও মহা বিকাশ আঘাদি দলের সাথে আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে বিলম্বের জন্য তিনি ক্ষুব্ধ”।

কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজ্যের দলীয় প্রধান নানা পাটলের সঙ্গে চৌহানের মতপার্থক্যর জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।  তবে মুম্বই কংগ্রেসের নেতা সঞ্জয় নিরুপমের বক্তব্য, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মহারাষ্ট্রের একজন কংগ্রেস নেতার কাজেকর্মের ওপর বিরক্ত ছিলেন। সেকথা অশোক শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হলে, এই পরিস্থিতি ঘটত না"।

উল্লেখ্য কংগ্রেস নেতারা অশোকের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বিজেপিকে "ওয়াশিং মেশিন" বলে কটাক্ষ করে। তিনি আরও বলেন, যখন বন্ধু এবং সহকর্মীরা এমন একটি রাজনৈতিক দল ছেড়ে যায়, যা তাদের প্রাপ্য থেকে অনেক কিছু বেশি দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বেদনাদায়ক। কিন্তু যারা দুর্বল তাদের কাছে যে ওয়াশিং মেশিন সবসময় আদর্শর থেকে বেশি আকর্ষণীয় তা প্রমাণিত”। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান নানা পাটল বলেছেন, "দুর্ভাগ্যজনক যে নেতারা সবকিছু পেয়েছেন তারা কংগ্রেস দল এবং আদর্শ ছেড়ে যাচ্ছেন"।


এখন পর্যন্ত অশোকের রাজনৈতিক জীবন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কলেজে জীবনে ছাত্র নেতা হিসাবে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করন, এরপর তিনি মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সহ কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি দুইবার নান্দেদ থেকে সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং রাজ্য আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর, মুম্বাইতে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর বিলাসরাও দেশমুখ পদত্যাগ করার পর তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। আদর্শ হাউজিং সোসাইটি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেও ২০০৯ সালের রাজ্য নির্বাচনের পরও কংগ্রেস তাকে শীর্ষ পদে বহাল রেখেছিল।

Bengal Hour Bureau | 17:11 PM, Tue Feb 13, 2024
upload
upload