Ashok Chavan : হাত ছেড়ে এবার পদ্মে আশোক চৌহান
সোমবার কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অশোক চৌহান। তারপর থেকেই অশোকের বিজেপিতে যোগদানের গুঞ্জন ওঠে রাজনৈতিক মহলে। সেই জল্পনাকে সত্যি প্রমান করে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দেবেন্দ্র ফোড়নবিশের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চৌহান।সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর পদ প্রার্থী হয়ে দাঁড়াতে পারেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আগেই মিলিন্দ দেওরা কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনাতে যোগ দেন। এছাড়াও বাবা সিদ্দিকও অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিতে যোগদান করেছে।এবার সেই পথেই হাঁটলেন আশোক। রাজ্য নির্বাচন এবং সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে অশোক চৌহানের দলত্যাগ মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের জন্য আরেকটি ধাক্কা।
গতকাল পদত্যাগের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, “আমি বিধায়ক হিসেবে বিধানসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। এছাড়াও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এবং কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। কোন দলে যোগদান করব তা নিয়ে দু'দিন পরে আমার অবস্থান পরিষ্কার করব"। গতকাল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় অশোক জানান,”ভোটের মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকা সত্ত্বেও মহা বিকাশ আঘাদি দলের সাথে আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে বিলম্বের জন্য তিনি ক্ষুব্ধ”।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজ্যের দলীয় প্রধান নানা পাটলের সঙ্গে চৌহানের মতপার্থক্যর জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে মুম্বই কংগ্রেসের নেতা সঞ্জয় নিরুপমের বক্তব্য, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মহারাষ্ট্রের একজন কংগ্রেস নেতার কাজেকর্মের ওপর বিরক্ত ছিলেন। সেকথা অশোক শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হলে, এই পরিস্থিতি ঘটত না"।
উল্লেখ্য কংগ্রেস নেতারা অশোকের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বিজেপিকে "ওয়াশিং মেশিন" বলে কটাক্ষ করে। তিনি আরও বলেন, যখন বন্ধু এবং সহকর্মীরা এমন একটি রাজনৈতিক দল ছেড়ে যায়, যা তাদের প্রাপ্য থেকে অনেক কিছু বেশি দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বেদনাদায়ক। কিন্তু যারা দুর্বল তাদের কাছে যে ওয়াশিং মেশিন সবসময় আদর্শর থেকে বেশি আকর্ষণীয় তা প্রমাণিত”। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান নানা পাটল বলেছেন, "দুর্ভাগ্যজনক যে নেতারা সবকিছু পেয়েছেন তারা কংগ্রেস দল এবং আদর্শ ছেড়ে যাচ্ছেন"।
এখন পর্যন্ত অশোকের রাজনৈতিক জীবন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কলেজে জীবনে ছাত্র নেতা হিসাবে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করন, এরপর তিনি মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সহ কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি দুইবার নান্দেদ থেকে সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং রাজ্য আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর, মুম্বাইতে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর বিলাসরাও দেশমুখ পদত্যাগ করার পর তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। আদর্শ হাউজিং সোসাইটি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেও ২০০৯ সালের রাজ্য নির্বাচনের পরও কংগ্রেস তাকে শীর্ষ পদে বহাল রেখেছিল।
Trending Tag