Friday, May 17, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

ed raid

Arvind Kejriwal: মোদীর ডিগ্রি মামলায় অরবিন্দের আবেদন খারিজ আদালতের 

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ডিগ্রি মামলায় কেজরীওয়ালের আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত মামলায় গত বছর গুজরাত হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আদালত তাঁর থেকে জরিমানাও ধার্য করে।


উল্লেখ্য কেজরীওয়াল এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহের প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি নিয়ে করা কিছু মন্তব্যের ভিত্তিতে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ প্যাটেল।


কেজরীওয়াল বলেছিলেন, “যদি সত্যি প্রধানমন্ত্রী গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে এ নিয়ে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসব করা উচিত।’’ পাশাপাশি সঞ্জয় সিংহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভুয়ো ডিগ্রিটি সত্যি প্রমাণ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন”। এরপরই পীযূষ গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মানহানি করা হয়েছে বলে কেজরীওয়াল ও সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন।



এরপর গত বছর গুজরাতের একটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। গত ১৫ এপ্রিল আদালত কেজরীওয়াল ও সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ দেয়। তবে এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান তাঁরা। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর সমনের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাত হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আপ নেতারা। সেখানেও ধাক্কা খেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলে সর্বচ্চ আদালত তাঁদের মামলা ফিরিয়ে দেয়। তারপর তাঁরা আবারও হাই কোর্টে ফিরে আসেন। সেই মামলাও খারিজ হয়ে গেল শুক্রবার। 


প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি ৫ বার ডেকে পাঠালেও হাজির হননি কেজরিওয়াল। এরপর ইচ্ছাকৃতভাবে অজুহাত দিয়ে হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে অরবিন্দের বিরুদ্ধে  দিল্লিকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। শনিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং এবং সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। যদিও আপের দাবি এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত।



ইতিমধ্যে শনিবার দিল্লির বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির পক্ষ থেকে আপ বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে আপ ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যদিও তাঁর দাবি, এই প্রস্তাব বিধায়করা গ্রহণ করেননি। এই মুহূর্তে বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়ক এবং বিজেপির ৮ জন বিধায়ক রয়েছে।

Bengal Hour Bureau | 15:22 PM, Sat Feb 17, 2024

Arvind Kejriwal: বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক কেজরীওয়ালের

শনিবার দিল্লির বিধানসভায় আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে চলেছে আম আদমির পার্টির সরকার। শুক্রবার আচমকাই দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। কদিন আগেই কেজরীওয়াল অভিযোগ করেন বিজেপি আপ বিধায়কদের কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপরই শুক্রবার বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব আনার সময় তিনি বলেন,”দুজন আপ বিধায়ক তাকে জানিয়েছেন যে তাঁদের সঙ্গে বিজেপির সদস্যরা যোগাযোগ করছে এবং তাঁদের বলা হচ্ছে যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে”। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, তাঁর বিধানসভার বিধায়কদের বলা হচ্ছে যে ২১ জন আপ বিধায়ক দল ছেড়ে যেতে রাজি হয়েছেন এবং আরও অনেকে বিজেপির সাথে যোগাযোগ করছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে আপ বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য।পাশাপাশি কেজরীওয়াল দাবি করেছেন বিজেপির এই প্রস্তাব বিধায়করা গ্রহণ করেননি। বাকি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে দিল্লি সরকার জানতে পেরেছে ২১ নয় ৭ জনের সাথে যোগাযোগ করেছে বিজেপি।



এদিন আস্থা ভোটের কারন সপক্ষে কেজরীওয়াল বলেন,"আমি দেখাতে চাই যে আমাদের কোনো বিধায়ক দলত্যাগ করেননি, এবং সকলেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন"। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দিল্লি সরকার আস্থা ভোটের ব্যাবস্থা করেছে। বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়ক এবং বিজেপির ৮ জন বিধায়ক রয়েছে।



প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিকে ৫ বার শমন পাঠালেও অরবিন্দ হাজিরা দেননি। এরপর ইডি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে শমনে সাড়া না দিয়ে একের পর এক অজুহাত দিয়ে হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে দিল্লি কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শনিবার আস্থা ভোটের আগে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ মার্চ হবে
বলে জানিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য আদালত গত সপ্তাহে  “আইনিভাবে বাধ্য” জানিয়ে আজ হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছিল কেজরিওয়ালকে। যদিও আপের তরফে ইডির শমনকে বেআইনি এবং রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করা হচ্ছে।


ইডির প্রথম শমনের পর থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতার হওয়ার তীব্র জল্পনা ছিল। মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং এবং সত্যেন্দ্র জৈন
ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। যদিও আপের তরফে জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে কেজরিওয়াল গ্রেফতার হলেও তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।
ইডির অভিযোগ, দিল্লিতে ২০২১-২২ আবগারি নীতির মাধ্যমে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তা
থেকে প্রাপ্ত ৪৫ কোটি টাকা ২০২২ সালে গোয়ায় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছিল।

Bengal Hour Bureau | 14:01 PM, Sat Feb 17, 2024

ED Raid : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর ইডি, পার্থ ঘনিষ্ঠের বাড়িতে তল্লাশি !

শুক্রবার সকাল থেকে আবারও তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। পাঁচটি জায়গায় চলছে তল্লাশি। এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রোমোটারের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। নাকতলায় পার্থর বাড়ির ঠিক উল্টোদিকেই পাঁচতলা বাড়ি রাজীব দের। সেখানে তল্লাশি চালান ইডি (ED Raid) আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি, রাজীব দে-র শ্রীরাম কনস্ট্রাকশনের অফিসেও চালানো হয় তল্লাশি। তার সঙ্গে বাঁশদ্রোনি ও বালিগঞ্জেও তল্লাশি চলে।


ইডি সূত্রে খবর, বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বাজারে খাটিয়েছেন রাজীব দে। তিনি পার্থ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাঁর নামে একাধিক বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। এর আগেও ৩-৪ বার রাজীব দে-কে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। আর আজ তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। প্রোমোটিং-এর টাকা দুর্নীতিতে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।



এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অঙ্গ হিসেবেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল ওই কাউন্সিরলের বাড়িতে। পাঁচজন প্রোমোটারের সঙ্গে পার্থর যোগাযোগ ছিল বলে সন্দেহ রয়েছে ইডি। সেই সূত্র ধরেই রাজীবের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত কোনও নথি উদ্ধার হয় কিনা তাই খুঁজে দেখছেন তদন্তকারীরা।


বাপ্পাদিত্য কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এর পাশাপাশি তিনি পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকও বটে। পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবেই পরিচিত তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআইয়ের আনা অভিযোগের শুনানিও চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে বহু বার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ। সম্প্রতি দিল্লি থেকে পার্থের হয়ে সওয়াল করতে এসেছিলেন ইডিরই এক প্রাক্তন আইনজীবী। পার্থের দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। হাই কোর্টেও এই একই আর্জি নিয়ে মামলা করেন পার্থ। এর পর চলতি মাসের ৮ তারিখ বাপ্পাদিত্যকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়। ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই এই নয়া অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

Maitreyi Mukherjee | 12:48 PM, Fri Feb 16, 2024

ED raids: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ইডির তল্লাশি

মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের দাবাং-মোডে ইডি। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় শহরের ছ’জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে তাঁরা। সকাল ৭টা নাগাদ প্রথমে সল্টলেকের আইবি ব্লকের বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় তাঁরা। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সল্টলেক,পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি, নিউ আলিপুর এর মত জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি।তাঁদের সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।



জানা যাচ্ছে, এদিন সকালে বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকরা।বাড়ির এক মহিলা জানান তিনি বাড়িতে নেই। এরপরই ফোনেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ইডির ডেপুটি ডিরেক্টরও আসেন নম্বরের বিশ্বজিৎ এর সল্টলেক আইবি ৭৮ নম্বরের বাড়িতে। ইডি সূত্রেখবর, বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁর বাসিন্দা।শঙ্কর আঢ্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এর নাম উঠে আসে। বাংলায় রেশন সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জ্যোতিপ্রিয়ের সূত্র ধরেই এই মামলায় নাম উঠে আসে বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের। এরপর তাঁকেও গ্রেফতার করে ইডি। সূত্রের খবর, শঙ্কর জেরার মুখে স্বীকার করে ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা খুলেছিল সে। তার মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করেছে। ইডির দাবি ওই টাকার মধ্যে প্রায় ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের।



পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়ের আরেক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী তথা চাল-গমের মিল মালিক বাকিবুর রহমানকেও এই মামলায় গ্রেফতার করে ইডি।তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী হানিস তোসিবালের কৈখালীর ফ্লাটে আজ অভিযান চালাচ্ছে ইডি আধিকারিকেরা। প্রায় দেড় ঘন্টার ওপরএই অভিযান চলছে। ইডি আধিকারিকরা আসার সাথে সাথেই ব্যবসায়ী মোবাইল ফোন ছুড়ে অন্যত্র ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও ফোন দুটি পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে।



এছাড়াও,৩৯৭ জি ব্লক, নিউ আলিপুরের এক বহুতলেও আজ হানা দিয়েছে ইডি। জানা যাচ্ছে, এখানে সুনীল কায়ান নামে এক ব্যবসায়ী থাকেন। যদিও কোন মামলায় এই অভিযান তা এখনও জানা যায়নি ।পাশাপাশি এই মুহূর্তে ৮ নম্বর সদর স্ট্রিটের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার একটি অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।পুরো জায়গাটি ঘিরে রেখেছে সি আর পি এফ জওয়ানরা।

Bengal Hour Bureau | 13:29 PM, Tue Feb 13, 2024

Arvind Kejriwal : আরও বিপদে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী! কেজরিওয়ালের সচিবের বাড়িতে ইডির তল্লাশি

মঙ্গলবার সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব ও আম আদমি পার্টির কয়েকজন মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তাঁদের বিরুদ্ধে জল বোর্ডের টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন সকালে দিল্লি, চণ্ডীগড় ও বারাণসী সহ মোট বারোটি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। বৈভব কুমার (যিনি কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব তথা রাজ্যসভার সাংসদ), রাজ্যসভার সাংসদ এন ডি গুপ্তা এবং দিল্লির জল বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য সলভ কুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিররা। যদিও ইডির অভিযানকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ মন্ত্রী অতিশী। তিনি বলে, "আমরা একটুই ভীত নই, কোনও প্রমাণ নেই, ইডি অভিযুক্তদের রাজসাক্ষী করার চেষ্টা করছে।"

জলবোর্ডের যে দুর্নীতি হয়েছে তাকে কেন্দ্র করেই আজকের তল্লাশি। সিবিআইয়ের দায়ের করা মূলত দুটি আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত করছে ইডি। এখন পর্যন্ত জলবোর্ডের প্রাক্তন দুই প্রধান ইঞ্জিনিয়ার গ্রেফতার হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জগদীশ কুমার অরোরা ও কন্ট্রাক্টর অনীল কুমার আগরওয়ালকে গত সপ্তাহেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, কেজরিওয়ালকে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় পাঁচবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু, একবারও হাজিরা দেননি তিনি। ইডির সমন বৈধ নয় বলে যুক্তি দেখিয়ে তা এড়িয়ে গিয়েছেন। এই মামলায় কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে চায় ইডি।

এদিকে কেজরিওয়াল না যাওয়ায় এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শনিবার মামলার কিছুটা অংশের শুনানি হলেও বাকিটা ৭ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত শুক্রবার কেজরিওয়াল সহ আপ মন্ত্রীরা ও দলীয় কর্মীরা মিলে বিজেপির সদর দফতর ডিডিইউ মার্গের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। আপের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী কোনওমতেই ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না। তাঁকে বেআইনিভাবে তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের দাবি কেজরিয়ালকে গ্রেফতার করে বিজেপি তাদের সরকার ফেলে দিতে চাইছে।

যদিও আপের সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি কটাক্ষ করে বলেন, “কেজরিওয়াল ইডির ডাকে সাড়া না দিয়ে বিজেপির সদর দফতরের সামনে নাটক করছেন। কারণ তিনি জানেন আবগারি নীতিতে দুর্নীতি হয়েছে।” বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারির প্রশ্ন, "তিনি কি বাচ্চাদের আইন ভাঙার বার্তা দিচ্ছেন? এর জন্যই কি তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন?"

উল্লেখ্য, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি ডিসেম্বরের ২ তারিখ ৬ নম্বর চার্জশিট পেশ করে। তাতে আপ নেতা সঞ্জয় সিং ও তাঁর সহকারি সারভেশ মিশ্রর নাম ছিল। অভিযোগ, এই নীতির মাধ্যমে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার মাধ্যমে বেআইনিভাবে প্রাপ্ত ৪৫ কোটি টাকা ২০২২ সালে গোয়ায় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়। এই মামলায় গত বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি আপ নেতা মণীশ সিশোদিয়া সিবিআই এর হাতে এবং ৫ অক্টোবর ইডির হাতে গ্রেফতার হন সঞ্জয় সিং।

Bengal Hour Bureau | 15:31 PM, Tue Feb 06, 2024

ED Raid In Hooghly : ঘুমের ঘোর কাটার আগেই ভুল বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ল ইডি! 

সাত সকালে তখনও ঘুম ঘোর কাটেনি। তার মধ্যেই আচমকা দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। বাড়ির উঠোন ততক্ষণে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ছয়লাপ। সেই দৃশ্য দেখে বাড়ির সদস্যরা তখন ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছেন। কী করবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না। কোনওরকমে ভয়ে ভয়ে বাড়ির দরজা খুলে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেন। জানতে পারেন ইডি তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে এসেছে। কিন্তু, সাতে পাঁচে না থাকা চুঁচুড়ার ময়নাডাঙার ব্যবসায়ী সন্দীপ কুমার সাধুখাঁ বুঝেই উঠতে পারছিলেন না যে তাঁর বাড়িতে কেন ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালাতে এলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপবাবুর লজেন্সের ব্যবসা রয়েছে। পোলবা থানা এলাকার মহেশপুরে রয়েছে তাঁর কারখানা। সেখানে কয়েকজন শ্রমিক কাজও করে। আজ সকালে সবাই তখন সবে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। ঠিক সেই সময় ইডি এসে ডাকায় বেশ কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে শুধুমাত্র তিনিই নন, অবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাঁরা জানান, সাধুখাঁ পরিবার কারও সাতে পাঁচে থাকেন না। হুট করে কেন তাঁদের বাড়িতে ইডি এল তা বুঝতেই পারছিলেন না তাঁরা।

বাড়ির বাইরে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কনভয় দেখে প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে গিয়েছিলেন সন্দীপবাবু। এরপর ইডির সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা কথা কাটাকাটি হয় তাঁদের। তারপর একপ্রকার হাল ছেড়ে দিয়ে ইডিকে তল্লাশি চালানোর অনুমতিও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, মেমো নম্বরে সই করার সময়ই খটকা লাগে সন্দীপবাবু। দেখেন তাঁর নাম ঠিক থাকলেও তাঁর বাবার নামের বানান ভুল রয়েছে। তার সঙ্গে চুঁচুড়া থানারও কোনও উল্লেখ ছিল না। মেমো নম্বরে সই করতে অস্বীকার করেন সন্দীপবাবু। তখন ইডি আধিকারিকরা সন্দীপবাবুর ভোটার ও আধার কার্ড দেখাতে বলেন। তখনই ভুল ভাঙে ইডি আধিকারিকদের। বুঝতে পারেন নাম বিভ্রাটের জেরে ভুল বাড়িতে চলে গিয়েছেন তাঁরা। ভুল বুঝতে পেরে সোজা বেরিয়ে পড়েন ওই বাড়ি থেকে। এদিকে ইডি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর যুদ্ধ জয়ের হাসি ফোটে সাধুখাঁ পরিবারের মুখে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে সন্দীপবাবুর ছেলে শুভদ্বীপ বলেন, "আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। কলকাতায় চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় আমরা সবাই বেশ ভয়ে পেয়ে গিয়েছিলাম। কী করব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তারপর মেমো নম্বরে সই করতে গিয়ে দেখতে পাই নামের বানান ভুল রয়েছে। থানার নামও সেখআনে উল্লেখ করা নেই। তখনই আমাদের সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি ইডিকে জানাই। তারপর ওঁরা যাচাই করে দেখে বুঝতে পারেন ভুল বাড়িতে চলে এসেছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁরা বেরিয়ে যান।"

তবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বেশ তৎপর ইডি। রাজ্যের একাধিক জায়গায় চলে তল্লাশি। একদিকে ঝাড়গ্রামে যখন ডব্লুবিসিএস অফিসারের আবাসনে অভিযান চলছে, তখন হুগলির চুঁচুড়াতেও ইডির হানা। অন্যদিকে বহরমপুরের বিষ্ণুপুরে এক পঞ্চায়েত কর্মীর বাড়িতেও মঙ্গলবার সকালে গিয়ে হাজির হয় ইডি। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজে প্রায় ১.৭৯ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় তদন্তে নেমেছে ইডি।

Maitreyi Mukherjee | 14:37 PM, Tue Feb 06, 2024

SSC Scam : ২১ ঘন্টা তল্লাশি শেষে ট্রাঙ্ক ভর্তি নথি নিয়ে প্রসন্নর বাড়ি ছাড়লেন ED

বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। ২০২২ সালে নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায় জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন । গতকাল তাঁরই বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাগানবাড়ি ও অফিসে হানা দেয় ইডি। প্রসন্ন রায়ের বিভিন্ন আস্তানা থেকে ট্রাঙ্ক ভর্তি নথি বাজেয়াপ্ত করে আধিকারিকরা। প্রায় ২১ ঘন্টা ধরে তল্লাশি অভিযান। সূত্রের খবর প্রসন্ন রায়ের অফিসগুলি ছিল টাকা লেনদেনের অন্যতম বড় আস্তানা। তদন্তের শেষে দেখা যায় তিনটি ট্রাঙ্ক ও তিনটি ট্রলিতে ভর্তি করে কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে বেশ কিছু ব্যাঙ্কের পাস বইও রয়েছে।

Mayuri Datta | 11:18 AM, Fri Jan 19, 2024

Recruitment Scam | বৃহস্পতিবার ফের তল্লাশি ইডি'র; জামিনে মুক্ত প্রসন্ন রায়ের বাড়িসহ ৬ জায়গায় হানা

কখনও রেশন বন্টন দুর্নীতি, কখনওবা নিয়োগ দুর্নীতি, বিভিন্ন দুর্নীতিতে জর্জরিত বাংলা। আর এই সব দুর্নীতির জট ছাড়াতে আসরে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়ে ইডি আধিকারিকরা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে মোট ৬টি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালায় ইডি।

Mayuri Datta | 15:43 PM, Thu Jan 18, 2024
upload
upload