Thursday, November 21, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

gyanvapi mosque

Gyanvapi Mosque : জ্ঞানবাপীতে পুজো শুরু হতেই বাড়তি সতর্ক দিল্লি পুলিশ

 

একের পর এক জয় হিন্দুদের। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এরই মধ্যে এবার বারাণসী জেলা কোর্টের নির্দেশে গত ৩১ জানুয়ারি জ্ঞানবাপী মসজিদের দক্ষিণ তয়খানাতে পুজো করার অনুমতি দেয় আদালত। সেই থেকেই পুজো চলছে মসজিদের তয়খানায়। এই নির্দেশের পরই বাড়তি সতর্ক দিল্লি পুলিশ। পুলিশের তরফে নির্দেশিকা জারি করে সব থানাগুলিকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে নজরদারি চালাতে এবং কোনও রকম অশান্তি এড়ানোর জন্য তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি এদিন নির্দেশিকায় কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া অশান্তি ছড়াতে পারে এমন কোনও গোষ্ঠীর উপর নজরদারি চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। শুধু তাই নয়, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাখি সিং নামে এক মামলাকারী মসজিদের বাকি অংশগুলি খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা করেন। মঙ্গলবার বারাণসী আদালত আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি মসজিদের বাকি অংশের যে প্রত্নত্বাত্তিক সমীক্ষা করেছে তার শুনানির দিন ধার্য করেছে।

উল্লেখ্য, মসজিদের এই অংশেই ১৯৯৩ সালের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিয়মিত পুজো হত বলে দাবি হিন্দুপক্ষের। তবে তৎকালীল মুলায়ম সিং যাদব সরকার মসজিদের অন্দরে পুজো বন্ধ করে দেয়। সিল করে দেওয়া হয় বেসমেন্ট। তারপর মসজিদ চত্বরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রবন্ধন সমিতি অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদকে। কোর্টের নির্দেশের সেখানে পুজোর যাবতীয় ব্যবস্থা করেন বারাণসীর জেলাশাসক।

মসজিদের অন্দরে ASI যে বৈজ্ঞানিক সার্ভে চালিয়েছিল তাতে জ্ঞানবাপীর অন্দরে এই বেসমেন্টের মধ্যেই হিন্দু দেবদেবীর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। সেই রিপোর্ট পেশ করে দাবি করেছে হিন্দু পক্ষ। এই বেসমেন্টেই সর্বাধিক বেশি হিন্দু চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ASI রিপোর্টে। হিন্দু পক্ষের দাবি, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের রিপোর্ট প্রমাণ করছে জ্ঞানবাপীর অন্দরে এই অংশেই হিন্দু দেবতাদের নিত্য পুজো হত।

জ্ঞানবাপীর ASI সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী, বাস্তু শিল্পের সঙ্গে জড়িত নানা হিন্দু চিহ্ন, কারুকার্য করা পাথর, শিলালিপির অংশ, আলাদা আলাদা শাস্ত্রের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বেসমেন্টে। হিন্দু পক্ষের দাবি অনুযায়ী, জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে পাওয়া গিয়েছে আটটি শিবলিঙ্গ। তার পাশাপাশি মোট ২৫৯টি সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে দেবদেবীর মূর্তির ভাঙা খণ্ড, শিবলিঙ্গ, শিলালিপি সহ আরও অনেক কিছুই।

Bengal Hour Bureau | 18:07 PM, Wed Feb 07, 2024

Gyanvapi Mosque : "এগুলি ফিরিয়ে দিলে হিন্দুরা আর কোনও মন্দিরের দিকে তাকাবে না" 

বহু প্রতীক্ষার পর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Temple) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। উপস্থিত ছিলেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। প্রায় ৫০০ বছর পর রামলালা (Ramlala) নিজের ঘরে ফিরেছেন বলে দাবি হিন্দু সমাজের। আর এবার মুঘল আমলে হারিয়ে যাওয়া আরও দুই হিন্দু ঐতিহ্য জ্ঞানবাপী ও মথুরা দুই-ই ফিরে পেতে মরিয়া তারা। তাদের দাবি, ভারতে মুঘল আক্রমণের আগে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) ছিল শিব মন্দির। যা ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল মসজিদ। তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।

গতমাসে এএসআই (ASI) সার্ভে রিপোর্টের কপিকে হাতিয়ার করে বারাণসী আদালতে যান এক মামলাকারী। সার্ভে রিপোর্টের কপি আদালতে জমা দেন তিনি। সেই আদালতে ধাক্কা খায় মুসলিম পক্ষ। সার্ভে রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজোর নির্দেশ দেয় আদালত। তারপর থেকেই মসজিদে চলছে পুজো। বারাণসী আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যায় মুসলিম পক্ষ। সেখানে বড় ধাক্কা খায় তারা। বারাণসী আদালতের রায়ের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট। আর আদালতের রায়কে হাতিয়ার করেই জ্ঞানবাপী মসজিদের চলছে পুজো।

এরপরই রামমন্দির জন্মভূমি ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ দেব গিরি মহারাজ মুসলিমপক্ষের কাছে জ্ঞানবাপী ও মথুরা দুই মসজিদ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। পাশাপাশি বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে মিটিয়ে নেওয়ার আর্জিও জানান তিনি। পুনের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের অন্য মন্দিরগুলির দিকে তাকানোর কোনও ইচ্ছা নেই। যদি তিনটি মন্দির ছেড়ে দেওয়া হয়। কারণ আমাদের অতীতে নয় ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাঁচতে হবে।”

এর সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "দেশের ভবিষ্যৎ তখনই ভালো হবে যখন তিনটি মন্দির (অযোধ্যা, জ্ঞানবাপী ও মথুরা) শান্তিপূর্ণভাবে পেয়ে যাব। তখন আমরা অতীতের সব কথা ভুলে যাব। আক্রমণকারীরা এই তিন মন্দির ধ্বংস করে যে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে তার ব্যথা মুসলিম পক্ষের বোঝা উচিত।” এদিন হাতজোড় করে তাঁর কাতর আর্জি, "মানুষ যথেষ্ট ব্যথার মধ্যে আছে। যদি তাঁরা এই কষ্ট দূর করতে পারেন তবে দু'পক্ষের মধ্যে ভাতৃত্বের সম্পর্ক আরও সুদীর্ঘ হবে।"

কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কাছেই অবস্থিত জ্ঞানবাপী মসজিদটি। এছাড়া মথুরা মসজিদটি কৃষ্ণ জন্মভূমি সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। গত সপ্তাহে রাম মন্দির জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের প্রধান পুরোহিত আচার্য সতেন্দ্র দাস বারাণসী কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “একটি ভুল ঠিক করে নেওয়া হল।"

Maitreyi Mukherjee | 16:33 PM, Mon Feb 05, 2024

Gyanvapi Mosque : জ্ঞানবাপী মসজিদে শুরু পুজো, মসজিদের 'গুপ্তঘর' থেকে শোনা গেল ঘণ্টাধ্বনি

এ যেন হিন্দু পক্ষের মন্দির ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়ায় প্রথম পদক্ষেপ। বুধবার মধ্যরাতেই জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্ট তথা গুপ্তঘর থেকে ভেসে এল ঘণ্টাধ্বনি। শুরু হল আরতি। আদালতের রায়ের পর অপেক্ষার অবসান। পুজো শুরু হল জ্ঞানবাপী মসজিদের নির্দিষ্ট অংশে। ৩১ বছর পর জ্ঞানবাপীর ব্যস তয়খানায় খুলে দেওয়া হল তালা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে মুসলিম পক্ষ। অন্যদিকে প্রতিনিয়িত এই জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে এবার থেকে আরতি ও পূজার্চনা হবে বলে জানিয়েছে হিন্দু পক্ষ।

বুধবার বিকেলে বারাণসী জেলা আদালতের রায় আসে তেহখানায় পুজো করতে পারবে ভক্তরা। এর জন্য প্রশাসনকে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পর সন্ধ্যা থেকেই জ্ঞানবাপী মসজিদের বাইরে কোলাহল শুরু হয়ে যায়। রাত ১০টা নাগাদ বারাণসীর জেলাশাসক এবং ডিআইজি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। প্রশাসনের নির্দেশে মসজিদের বেসমেন্ট চত্বর থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়া হয়। গোটা এলাকা পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়।

এরপর রাত ২টো নাগাদ পুলিশ কমিশনার এবং জেলাশাসক একসঙ্গে বেসমেন্ট থেকে বেরিয়ে আসেন। কোর্টের নির্দেশ পালন করার জন্য অনুমতি দেন তাঁরা। আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, পুজোপাঠ করা, ভোগ দেওয়া, বেসমেন্টে যে মূর্তি রয়েছে সেটা যথাযথ রাখতে হবে ও লোহার বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা সাতদিনের মধ্যে করতে হবে। জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এরই সঙ্গে কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্ট বোর্ডের পুরোহিতের বিষয়গুলি দেখাশোনা করতে পারবেন বলেই জানিয়েছে আদালত। সব মিলিয়ে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় বিরাট মোড় এসেছিল বুধবার। আর বৃহস্পতিবারই সেখানে পুজোপাঠ হয়ে গেল। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে এখনই জ্ঞানবাপীর এই বেসমেন্ট ভক্তদের জন্য খোলা হচ্ছে না।

Maitreyi Mukherjee | 14:35 PM, Thu Feb 01, 2024

Gyanvapi Mosque : জ্ঞানবাপীতে ‘শিবলিঙ্গ’, ভাঙা মূর্তি! সমীক্ষার রিপোর্ট মানতে নারাজ মসজিদ কমিটি

প্রকাশ্যে এসেছে জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’র রিপোর্ট। আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর হিন্দু দেবদেবীদের মতো চেহারার মূর্তি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যদিও সেই রিপোর্ট মানতে নারাজ মসজিদ কমিটি। মসজিদ কমিটির তরফে আখলাখ আহমেদ দাবি করেন, এর আগে অ্যাডভোকেট কমিশনের যা পর্যবেক্ষণ ছিল, এএসআই তার চেয়ে নতুন কিছুই পায়নি। শুধু নতুন করে সমস্ত মাপঝোপের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে মাত্র। মসজিদ কমিটির সম্পাদক মহম্মদ ইয়াসিনের দাবি, “এটা একটা রিপোর্টমাত্র। কোনও চূড়ান্ত রায় নয়। নানা ধরনেরই রিপোর্টই আছে। তাই এএসআই সমীক্ষার রিপোর্টই যে চূড়ান্ত, তা নয়।”

Mayuri Datta | 12:04 PM, Sat Jan 27, 2024
upload
upload