Hemant Soren:হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে ইডি, এলাকা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
Mayuri Datta | 15:20 PM, Wed Jan 31, 2024
Leopard: দলগাঁও চা বাগানে খাঁচায় বন্দী চিতাবাঘ
Mayuri Datta | 13:58 PM, Wed Jan 31, 2024
Imran Khan: আরও বিপাকে ইমরান খান, তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা
Mayuri Datta | 13:40 PM, Wed Jan 31, 2024
Bengali Cinema: ‘শাস্ত্রী’ সিনেমায় ফের দেখা যাবে মিঠুন- দেবশ্রী জুটি, দর্শকমহলে উন্মাদনা
Mayuri Datta | 12:48 PM, Wed Jan 31, 2024
PM on Budget: বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই নারী শক্তিতে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী
Mayuri Datta | 12:22 PM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata Police : সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিশ কনস্টেবল
Mayuri Datta | 11:43 AM, Wed Jan 31, 2024
Budget 2024: আজ শুরু বাজেট অধিবেশন
Mayuri Datta | 10:36 AM, Wed Jan 31, 2024
Kashmir Snowfall: শ্বেতসুন্দরী কাশ্মীর, সাদা বরফের চাদরে পার্বত্য এলাকা
Mayuri Datta | 10:30 AM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata high court: বিচারপতি দ্বন্দ্বের জের! প্রাথমিক মামলা সরানো হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে
Mayuri Datta | 17:50 PM, Tue Jan 30, 2024
Chandigarh Mayor Election: চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয়ী বিজেপি, ব্যর্থ 'ইন্ডিয়া' মঞ্চ!
Mayuri Datta | 17:39 PM, Tue Jan 30, 2024
Uttarakhand : উত্তরাখণ্ডের প্রথম মহিলা মুখ্যসচিব হচ্ছেন রাধা রাতুরি
Mayuri Datta | 17:14 PM, Tue Jan 30, 2024
Hemant Soren Arrest : স্বামী জেলে, ১৮ তম বিবাহ বার্ষিকীতে বিশেষ বার্তা হেমন্ত-পত্নীর
আপাতত তিনি জেলে রয়েছেন। গত সপ্তাহে ইডির হাতে গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বেআইনি জমি মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিকে আজ তাঁদের ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী। কিন্তু, এই বিশেষ দিনে স্ত্রীর কাছে নেই তিনি। এদিন সকালে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেত্রী এদিন লেখেন, “এই বিশেষ দিনে তিনি (হেমন্ত সোরেন) তাঁর পরিবারের সঙ্গে নেই, তবে আমার বিশ্বাস তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া সব চক্রান্তকে হারিয়ে তিনি বাড়ি ফিরবেন”। তিনি আরও লেখেন, "হেমন্তজি কখনও মাথা নিচু করেননি। তিনি ঝাড়খণ্ডের পরিচয় রক্ষা করতে ছেয়েছেন। আমি ঝাড়খণ্ডের বীর যোদ্ধার পত্নি। এই কঠিন সময়ে মুখে হাসি রেখে তাঁর শক্তি হয়ে উঠব।”
প্রসঙ্গত, জমি মাফিয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। ৩১ জানুয়ারি প্রথমে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা পত্র জমা দেন তিনি। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারির পর হেমন্ত সোরেন বলেন, “এত সহজে হার মানব না। লড়াই জারি থাকবে।”
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন তিনি। হেমন্তের দাবি, এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত, বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে গণতান্ত্রিক ভাবে গঠিত একটি সরকারকে ফেলে দিতে চাইছে। এদিকে হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির পর রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য হেমন্তের স্ত্রী কল্পনা সোরেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু, পরিবারের আপত্তির কারণে তা বাতিল করা হয়। তাঁর পরিবারের এক আত্মীয়া প্রশ্ন তোলেন, কল্পনার কোনও রাজনীতিবিদ নন। সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন তিনি। তাহলে কেন তার নাম উঠে আসছে?
তখনই দলের তরফে চম্পাই সোরেনের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি রাজভবনে গিয়ে শপথ নেন চম্পাই। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলেছিলেন। সেই অনুযায়ী ৫ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়। যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী চম্পাইয়ের সমর্থনে রয়েছেন, প্রথমে তাঁদের দাঁড়াতে বলা হয়। ৪৭ জন বিধায়কই দাঁড়িয়ে সমর্থন জানান। এর পর বিপক্ষে কারা রয়েছেন, জানতে চান স্পিকার। তখন ২৯ জন বিধায়ক দাঁড়িয়েছিলেন। তার পরেই আস্থা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে দেওয়া হয়। আস্থা ভোটের ফল প্রকাশের পর মুখে বিজয়ের হাসি হাসেন চম্পাই সোরেন।
Champai Soren : ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোটে জয় চম্পাই সোরেনের
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোটে (Jharkhand Assembly) জয়ী চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিলেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পক্ষে মোট ভোট পড়েছে ৪৭টি। আর বিপক্ষে পড়েছে ২৯টি ভোট। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ৮১। তার মধ্যে ম্যাজিক ফিগার হল ৪১। অর্থাৎ, ৪১টি ভোট পেলেই চম্পাই সোরেনের সরকার গড়তে আর কোনও বাধা থাকত না। কিন্তু, ভোটাভুটির পরে দেখা যায় ম্যাজিক ফিগারের থেকে ৬টি বেশি ভোট পেয়েছে নতুন এই সরকার।
ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের মোট বিধায়ক সংখ্যা ৪৭। এ ছাড়া বিজেপির ২৫ জন, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তিন জন, এনসিপি এবং সিপিআই (এমএল)-এর এক জন করে বিধায়ক রয়েছেন। সিপিআই (এমএল) সমর্থন রয়েছে শাসক জোটের পক্ষে। তিন জন নির্দল বিধায়কও রয়েছেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়। শাসক জোটের সকলেই নতুন সরকারকে ভোট দিয়েছেন। নতুন সরকার যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে তা নিয়ে আগে থেকেই আশাবাদী ছিল জোট।
কেন আস্থাভোট হল ঝাড়খণ্ডে?
জমি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। ৩১ জানুয়ারি প্রথমে রাজভবনে গিয়ে ইস্তফা দেন তিনি। তারপর সেদিন রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তারপর থেকে ইডি হেফাজতেই রয়েছেন। তবে আদালতের অনুমতিতে আজ বিধানসভায় আস্থাভোটে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর গ্রেফতারির জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন।
এদিকে হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির পর রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য হেমন্তের স্ত্রী কল্পনা সোরেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু, পরিবারের আপত্তির কারণে তা বাতিল করা হয়। তখনই দলের তরফে চম্পাই সোরেনের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি রাজভবনে গিয়ে শপথ নেন চম্পাই। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলেছিলেন।
সেই অনুযায়ী আজ ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়। যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী চম্পাইয়ের সমর্থনে রয়েছেন, প্রথমে তাঁদের দাঁড়াতে বলা হয়। ৪৭ জন বিধায়কই দাঁড়িয়ে সমর্থন জানান। এর পর বিপক্ষে কারা রয়েছেন, জানতে চান স্পিকার। তখন ২৯ জন বিধায়ক দাঁড়িয়েছিলেন। তার পরেই আস্থা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে দেওয়া হয়। করতালিতে ফেটে পড়ে সভাকক্ষ। শেষ হাসি হাসেন চম্পাই সোরেন।
Hemant Soren : ইডি হেফাজতে থেকেই বিধানসভায় বক্তব্য রাখলেন হেমন্ত সোরেন
একেবারে বেনজির ঘটনা! জমি সংক্রান্ত ইডির হাতে গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। গ্রেফতারির পর থেকে ইডি হেফাজতেই (Enforcement Directorate) ছিলেন তিনি। ২ ফেব্রুয়ারি রাঁচীর বিশেষ অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর আজকের আস্থাভোটে অংশ নেওয়ার জন্য শনিবার হেমন্তের তরফে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে অনুমতি দেয় আদালত। তার প্রেক্ষিতেই ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আজ বিধানসভায় যান তিনি। সেখানে গিয়ে নিজের গ্রেফতারি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর গ্রেফতারির নেপথ্যে হাত রয়েছে রাজভবনের।
বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন হেমন্ত। বলেন, "৩১ জানুয়ারি দিনটি দেশের গণতন্ত্রের একটা কালো রাত ও কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনের ভিতর থেকে গ্রেফতার করা দেশের ইতিহাসে এটা প্রথম ঘটনা। এটা আগে কখনও হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। আমার অনুমান, এই ঘটনায় রাজভবনের হাত ছিল।"
সরাসরি নাম না করা হলেও মনে করা হচ্ছে, তাঁর গ্রেফতারির জন্য রাজ্যপালকেই দায়ী করলেন হেমন্ত। বিজেপিকে তোপ দেখে তিনি বলেন, “যদি তাদের সাহস থাকে, তবে যে জমি আমার নাম নথিভুক্ত হয়েছে, তার নথি দেখাক। যদি দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।” তাঁর মতে, এই ঘটনার ছককষা শুরু হয়েছিল বহু বছর আগে। বলেন, "৩১ জানুয়ারির ঘটনার ছক অনেক দিন আগে থেকেই কষা শুরু হয়েছিল। সেই ২০২২ সাল থেকেই পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। কম আঁচে অনেকদিন ধরেই তারা রান্না করছিল। কিন্তু, রান্না এখনও শেষ হয়নি। রান্না অর্ধেক হতেই তারা আমাকে গ্রেফতার করিয়েছে।"
জনজাতিদের উপর কোনও অত্যাচার এবং অপমান তিনি সহ্য করবেন না বলেও জানিয়ে দেন হেমন্ত। তাঁর কথায়, “এরা ভাবে আমাকে জেলে ভরে উদ্দেশ্য সফল হবে। এটা ঝাড়খণ্ড। দেশের এমন রাজ্য, যার প্রতি কোণে জনজাতিরা আছেন। রক্তের বিনিময়ে তাঁরা লড়াই করেছেন। জনজাতিদের জোর এত কম নয়।" তিনি না কেঁদে কান্না জমিয়ে রাখছেন বলেও দাবি করেছেন হেমন্ত। তিনি বলেন, “এদের কাছে জনজাতিদের চোখের জলের কোনও দাম নেই।” রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন, লোকসভা ভোটের আগে নিজের জনজাতি ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতেই জোরালো এই বার্তা দিলেন হেমন্ত।
তবে গ্রেফতার হওয়া কোনও রাজনীতিক এর আগে বিধানসভায় এসে বক্তব্য রেখেছেন এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এবার সেই বেনজির ঘটনারই সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। এদিন রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। বক্তব্য রাখেন হেমন্তের গ্রেফতারির পর দল এবং সরকারের দায়িত্ব সামলানো ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। তার পরই বক্তব্য রাখেন হেমন্ত। আর নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে কার্যত বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি।
CM Champai Soren : টানাপোড়েন শেষ, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ চম্পাই সোরেনের
দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টার জল্পনায় অবশেষে ইতি। সব টানাপোড়েনকে দূরে সরিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। আজ সওয়া ১২টার সময় রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ (Jharkhand Governor C. P. Radhakrishnan) তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। তাঁর পাশাপাশি শপথ নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা (Congress Leader) আলমগীর আলম ও আরজেডি নেতা (RJD Leader) সত্যানন্দ ভোগতা। সোরেনের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেন তাঁরা।
বুধবার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে (Jharkhand Ex Chief Minister Hemant Soren) জমি দুর্নীতি মামলায় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তারপর রাতের দিকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই ঘটনার পর থেকে ঝড় বয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে। জল্পনা ছিল যে হেমন্ত সোরেনের পদত্যাগের পর, তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন (Kalpana Soren) মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। তবে পরিবারের আপত্তির মধ্যে, জেএমএম সভায় চম্পাই সোরেনকে আইনসভা দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়। বুধবার রাতেই চম্পাই রাজভবনে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানান। বিধায়কদের সমর্থনের চিঠিও জমা দেন।
এদিকে রাজ্যপাল সরকার গঠনের আহ্বান না জানানোয় চম্পাই রাতে তাঁর শিবিরের বিধায়কদের তেলেঙ্গানায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কম থাকায় উড়ান বাতিল করা হয়। এরপর বেশি রাতে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ চম্পাইকে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানান। সেই মতোই এদিন শপথ নেন চম্পাই। দশদিনের মধ্যে তাঁকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলা হয়েছে। এদিন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন একজন কংগ্রেসের এবং একজন আরজেডির বিধায়ক।
উল্লেখ্য, জেএমএম প্রধান শিবু সোরেনের অনুগত হিসেবে পরিচিত রাজ্য পরিবহন মন্ত্রী চম্পাই সোরেন। ১৯৯০-এর দশকে একটি পৃথক (ঝাড়খণ্ড) রাজ্যের জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ে অবদানের জন্য 'ঝাড়খণ্ড টাইগার' (Jharkhand Tiger) নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৯১ সালে সেরাকেলা আসন থেকে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে সাহায্য করতেন চম্পাই। পড়াশোনা করেছেন সরকারি স্কুলে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা। খুব কম বয়সেই বিয়ে। চার সন্তান রয়েছে তাঁর। ৯০-এর দশকের শেষ দিকে রাজনীতিতে পা। নির্দল হিসেবে লড়াই করে সরাইকেলা আসন থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন চম্পাই। পরে যোগ দেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায়।
Hemant Soren:হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে ইডি, এলাকা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
জমি কেলেঙ্কারি ও হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে পৌঁছল ইডি। অশান্তি এড়াতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে রাঁচিতে। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ হেমন্ত সোরেনের রাঁচির বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকরিকেরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী ডেকে পাঠানো হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সময় এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কা করছে তারা। সে জন্যই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাইছেন তদন্তকারীরা
Hemant Soren: খোঁজ নেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত ED-র
জমি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। আর্থিক তছরূপ মামলায় ইতিমধ্যেই একাধিকবার তাঁকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু ৯ বারের সমনেও ইডির মুখোমুখি হননি হেমন্ত। সোমবার হেমন্তের দিল্লির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও নাগাল পাওয়া যায় নি হেমন্ত সোরেনের।
তাঁর বিলাসবহুল গাড়ি বেআইনি টাকায় কেনা বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। তাই সোমবার রাতেই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তারপর মধ্যরাত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের বাড়ির বাইরে এবং রাঁচি বিমানবন্দরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু, সোরেনের দেখা মেলেনি।
বিজেপির দাবি, ইডির ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে আছেন হেমন্ত। হেমন্তের দলের আরও দাবি, বুধবার দুপুর ১টার আগেই ইডির তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেন কিনা এখন সেটাই দেখার।
Hemant Soren : ৯ বার তলব এড়িয়ে বিপাকে, হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাড়িতে গেল ইডি
ন’বার তলব করলেও প্রতি বারই তা এড়িয়ে গিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এবার তাঁর দিল্লির বাড়িতে পৌঁছে গেলেন ইডির আধিকারিকেরা। সোমবার সকালে বেশ কয়েক জন ইডি আধিকারিককে হেমন্তের বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। ঝাড়খণ্ডের শাসক দল জেএমএম সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল যে, বর্তমানে দিল্লিতেই রয়েছেন শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত। ন’বার তলব এড়ানোর পরে গত শনিবার হেমন্তকে নতুন করে সমন পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। প্রথমে তাঁকে ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্তপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। কিন্তু প্রত্যুত্তর না পেয়ে পরে তাঁকে ২৯ কিংবা ৩১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় রাখতে বলা হয়। ২০ জানুয়ারি রাঁচিতে হেমন্তের সরকারি বাসভবনে হানা দিয়েছিল ইডি।
Hemant Soren : ফের হেমন্ত সোরেনকে তলব ইডি-র
বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরেও রেহাই নেই। ফের ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে তলব করল ইডি। ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অর্থাৎ এবার হাজিরা দেওয়ার জন্য হেমন্ত সোরেনকে পাঁচদিন সময় দেওয়া হয়েছে। আর্থিক তছরুপের মামলাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করবে ইডি। এই সময়ের মধ্যে এবার তিনি হাজিরা না দিলে ইডি কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, রাঁচিতে জমি বিক্রি সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। এই মামলায় তাঁকে ইতিমধ্যে ৫ বার নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। কিন্তু, একবারও হাজিরা দেননি মুখ্যমন্ত্রী। এরপর শনিবার ইডি আধিকারিকেরা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিলে হেমন্ত সোরেনের বাড়ির বাইরে তীব্র বিক্ষোভ দেখান জেএমএম কর্মী-সমর্থকরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। যদিও এই মামলায় তাঁর নাম জড়ানো এবং ইডি-র তলব বেআইনি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি হেমন্ত সোরেনের।
Hemant Soren : ২২ জানুয়ারি ২৫০০ যুবকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন হেমন্ত সোরেন
আগামী ২২ জানুয়ারি ২৫০০ যুবকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বেসরকারি সেক্টরের যুবকদের এই নিয়োগ পত্র প্রদান করা হবে। এই উপলক্ষ্যে খেলগাঁওতে অবস্থিত তানা ভগত স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অরবিন্দ টেক্সটাইল, কিশোর এক্সপোর্ট, শ্রী গণপতি ক্রিয়েশন, আরবান ডিজাইন প্রাইভেট লিমিটেড, ম্যাট্রিক্স ক্লোথিং, ভ্যালেন্সিয়া অ্যাপারেলস এবং ওরিয়েন্ট ক্রাফট টেক্সটাইল কোম্পানিগুলিতে যুবকদের নিয়োগপত্র প্রদান করা হবে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মসংস্থান মেলার আয়োজন করে প্রায় ৫৬ হাজার যুবককে বেসরকারি খাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্থানীয় যুবকদের বেসরকারি খাতে ৭৫ শতাংশ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে, যেসব কোম্পানিতে যুবকদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে তার বেশিরভাগই ওরমাঞ্জির কুলিতে অবস্থিত। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কুলহি শিল্প এলাকায় বেশ কয়েকটি টেক্সটাইল প্ল্যান্ট উদ্বোধন করা হয়েছিল। এই কোম্পানিগুলিতে কর্মরত ৯০ শতাংশ মহিলা কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছিল।