Hemant Soren:হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে ইডি, এলাকা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
Mayuri Datta | 15:20 PM, Wed Jan 31, 2024
Leopard: দলগাঁও চা বাগানে খাঁচায় বন্দী চিতাবাঘ
Mayuri Datta | 13:58 PM, Wed Jan 31, 2024
Imran Khan: আরও বিপাকে ইমরান খান, তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা
Mayuri Datta | 13:40 PM, Wed Jan 31, 2024
Bengali Cinema: ‘শাস্ত্রী’ সিনেমায় ফের দেখা যাবে মিঠুন- দেবশ্রী জুটি, দর্শকমহলে উন্মাদনা
Mayuri Datta | 12:48 PM, Wed Jan 31, 2024
PM on Budget: বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই নারী শক্তিতে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী
Mayuri Datta | 12:22 PM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata Police : সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিশ কনস্টেবল
Mayuri Datta | 11:43 AM, Wed Jan 31, 2024
Budget 2024: আজ শুরু বাজেট অধিবেশন
Mayuri Datta | 10:36 AM, Wed Jan 31, 2024
Kashmir Snowfall: শ্বেতসুন্দরী কাশ্মীর, সাদা বরফের চাদরে পার্বত্য এলাকা
Mayuri Datta | 10:30 AM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata high court: বিচারপতি দ্বন্দ্বের জের! প্রাথমিক মামলা সরানো হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে
Mayuri Datta | 17:50 PM, Tue Jan 30, 2024
Chandigarh Mayor Election: চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয়ী বিজেপি, ব্যর্থ 'ইন্ডিয়া' মঞ্চ!
Mayuri Datta | 17:39 PM, Tue Jan 30, 2024
Uttarakhand : উত্তরাখণ্ডের প্রথম মহিলা মুখ্যসচিব হচ্ছেন রাধা রাতুরি
Mayuri Datta | 17:14 PM, Tue Jan 30, 2024
Arvind Kejriwal: মোদীর ডিগ্রি মামলায় অরবিন্দের আবেদন খারিজ আদালতের
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ডিগ্রি মামলায় কেজরীওয়ালের আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত মামলায় গত বছর গুজরাত হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আদালত তাঁর থেকে জরিমানাও ধার্য করে।
উল্লেখ্য কেজরীওয়াল এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহের প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি নিয়ে করা কিছু মন্তব্যের ভিত্তিতে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ প্যাটেল।
কেজরীওয়াল বলেছিলেন, “যদি সত্যি প্রধানমন্ত্রী গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে এ নিয়ে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসব করা উচিত।’’ পাশাপাশি সঞ্জয় সিংহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভুয়ো ডিগ্রিটি সত্যি প্রমাণ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন”। এরপরই পীযূষ গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মানহানি করা হয়েছে বলে কেজরীওয়াল ও সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন।
এরপর গত বছর গুজরাতের একটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। গত ১৫ এপ্রিল আদালত কেজরীওয়াল ও সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ দেয়। তবে এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান তাঁরা। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর সমনের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাত হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আপ নেতারা। সেখানেও ধাক্কা খেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলে সর্বচ্চ আদালত তাঁদের মামলা ফিরিয়ে দেয়। তারপর তাঁরা আবারও হাই কোর্টে ফিরে আসেন। সেই মামলাও খারিজ হয়ে গেল শুক্রবার।
প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি ৫ বার ডেকে পাঠালেও হাজির হননি কেজরিওয়াল। এরপর ইচ্ছাকৃতভাবে অজুহাত দিয়ে হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে অরবিন্দের বিরুদ্ধে দিল্লিকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। শনিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং এবং সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। যদিও আপের দাবি এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত।
ইতিমধ্যে শনিবার দিল্লির বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির পক্ষ থেকে আপ বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে আপ ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যদিও তাঁর দাবি, এই প্রস্তাব বিধায়করা গ্রহণ করেননি। এই মুহূর্তে বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়ক এবং বিজেপির ৮ জন বিধায়ক রয়েছে।
Arvind Kejriwal: বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক কেজরীওয়ালের
শনিবার দিল্লির বিধানসভায় আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে চলেছে আম আদমির পার্টির সরকার। শুক্রবার আচমকাই দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। কদিন আগেই কেজরীওয়াল অভিযোগ করেন বিজেপি আপ বিধায়কদের কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপরই শুক্রবার বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব আনার সময় তিনি বলেন,”দুজন আপ বিধায়ক তাকে জানিয়েছেন যে তাঁদের সঙ্গে বিজেপির সদস্যরা যোগাযোগ করছে এবং তাঁদের বলা হচ্ছে যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে”। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, তাঁর বিধানসভার বিধায়কদের বলা হচ্ছে যে ২১ জন আপ বিধায়ক দল ছেড়ে যেতে রাজি হয়েছেন এবং আরও অনেকে বিজেপির সাথে যোগাযোগ করছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে আপ বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য।পাশাপাশি কেজরীওয়াল দাবি করেছেন বিজেপির এই প্রস্তাব বিধায়করা গ্রহণ করেননি। বাকি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে দিল্লি সরকার জানতে পেরেছে ২১ নয় ৭ জনের সাথে যোগাযোগ করেছে বিজেপি।
এদিন আস্থা ভোটের কারন সপক্ষে কেজরীওয়াল বলেন,"আমি দেখাতে চাই যে আমাদের কোনো বিধায়ক দলত্যাগ করেননি, এবং সকলেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন"। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দিল্লি সরকার আস্থা ভোটের ব্যাবস্থা করেছে। বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়ক এবং বিজেপির ৮ জন বিধায়ক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিকে ৫ বার শমন পাঠালেও অরবিন্দ হাজিরা দেননি। এরপর ইডি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে শমনে সাড়া না দিয়ে একের পর এক অজুহাত দিয়ে হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে দিল্লি কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শনিবার আস্থা ভোটের আগে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ মার্চ হবে
বলে জানিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য আদালত গত সপ্তাহে “আইনিভাবে বাধ্য” জানিয়ে আজ হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছিল কেজরিওয়ালকে। যদিও আপের তরফে ইডির শমনকে বেআইনি এবং রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করা হচ্ছে।
ইডির প্রথম শমনের পর থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতার হওয়ার তীব্র জল্পনা ছিল। মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং এবং সত্যেন্দ্র জৈন
ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। যদিও আপের তরফে জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে কেজরিওয়াল গ্রেফতার হলেও তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।
ইডির অভিযোগ, দিল্লিতে ২০২১-২২ আবগারি নীতির মাধ্যমে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তা
থেকে প্রাপ্ত ৪৫ কোটি টাকা ২০২২ সালে গোয়ায় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছিল।
ED Raid : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর ইডি, পার্থ ঘনিষ্ঠের বাড়িতে তল্লাশি !
শুক্রবার সকাল থেকে আবারও তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। পাঁচটি জায়গায় চলছে তল্লাশি। এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রোমোটারের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। নাকতলায় পার্থর বাড়ির ঠিক উল্টোদিকেই পাঁচতলা বাড়ি রাজীব দের। সেখানে তল্লাশি চালান ইডি (ED Raid) আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি, রাজীব দে-র শ্রীরাম কনস্ট্রাকশনের অফিসেও চালানো হয় তল্লাশি। তার সঙ্গে বাঁশদ্রোনি ও বালিগঞ্জেও তল্লাশি চলে।
ইডি সূত্রে খবর, বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বাজারে খাটিয়েছেন রাজীব দে। তিনি পার্থ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাঁর নামে একাধিক বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। এর আগেও ৩-৪ বার রাজীব দে-কে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। আর আজ তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। প্রোমোটিং-এর টাকা দুর্নীতিতে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অঙ্গ হিসেবেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল ওই কাউন্সিরলের বাড়িতে। পাঁচজন প্রোমোটারের সঙ্গে পার্থর যোগাযোগ ছিল বলে সন্দেহ রয়েছে ইডি। সেই সূত্র ধরেই রাজীবের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত কোনও নথি উদ্ধার হয় কিনা তাই খুঁজে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বাপ্পাদিত্য কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এর পাশাপাশি তিনি পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকও বটে। পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবেই পরিচিত তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআইয়ের আনা অভিযোগের শুনানিও চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে বহু বার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ। সম্প্রতি দিল্লি থেকে পার্থের হয়ে সওয়াল করতে এসেছিলেন ইডিরই এক প্রাক্তন আইনজীবী। পার্থের দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। হাই কোর্টেও এই একই আর্জি নিয়ে মামলা করেন পার্থ। এর পর চলতি মাসের ৮ তারিখ বাপ্পাদিত্যকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়। ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই এই নয়া অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
ED raids: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ইডির তল্লাশি
মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের দাবাং-মোডে ইডি। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় শহরের ছ’জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে তাঁরা। সকাল ৭টা নাগাদ প্রথমে সল্টলেকের আইবি ব্লকের বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় তাঁরা। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সল্টলেক,পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি, নিউ আলিপুর এর মত জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি।তাঁদের সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।
জানা যাচ্ছে, এদিন সকালে বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকরা।বাড়ির এক মহিলা জানান তিনি বাড়িতে নেই। এরপরই ফোনেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ইডির ডেপুটি ডিরেক্টরও আসেন নম্বরের বিশ্বজিৎ এর সল্টলেক আইবি ৭৮ নম্বরের বাড়িতে। ইডি সূত্রেখবর, বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁর বাসিন্দা।শঙ্কর আঢ্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এর নাম উঠে আসে। বাংলায় রেশন সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জ্যোতিপ্রিয়ের সূত্র ধরেই এই মামলায় নাম উঠে আসে বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের। এরপর তাঁকেও গ্রেফতার করে ইডি। সূত্রের খবর, শঙ্কর জেরার মুখে স্বীকার করে ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা খুলেছিল সে। তার মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করেছে। ইডির দাবি ওই টাকার মধ্যে প্রায় ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের।
পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়ের আরেক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী তথা চাল-গমের মিল মালিক বাকিবুর রহমানকেও এই মামলায় গ্রেফতার করে ইডি।তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী হানিস তোসিবালের কৈখালীর ফ্লাটে আজ অভিযান চালাচ্ছে ইডি আধিকারিকেরা। প্রায় দেড় ঘন্টার ওপরএই অভিযান চলছে। ইডি আধিকারিকরা আসার সাথে সাথেই ব্যবসায়ী মোবাইল ফোন ছুড়ে অন্যত্র ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও ফোন দুটি পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়াও,৩৯৭ জি ব্লক, নিউ আলিপুরের এক বহুতলেও আজ হানা দিয়েছে ইডি। জানা যাচ্ছে, এখানে সুনীল কায়ান নামে এক ব্যবসায়ী থাকেন। যদিও কোন মামলায় এই অভিযান তা এখনও জানা যায়নি ।পাশাপাশি এই মুহূর্তে ৮ নম্বর সদর স্ট্রিটের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার একটি অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।পুরো জায়গাটি ঘিরে রেখেছে সি আর পি এফ জওয়ানরা।
Arvind Kejriwal : আরও বিপদে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী! কেজরিওয়ালের সচিবের বাড়িতে ইডির তল্লাশি
মঙ্গলবার সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব ও আম আদমি পার্টির কয়েকজন মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তাঁদের বিরুদ্ধে জল বোর্ডের টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন সকালে দিল্লি, চণ্ডীগড় ও বারাণসী সহ মোট বারোটি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। বৈভব কুমার (যিনি কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব তথা রাজ্যসভার সাংসদ), রাজ্যসভার সাংসদ এন ডি গুপ্তা এবং দিল্লির জল বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য সলভ কুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিররা। যদিও ইডির অভিযানকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ মন্ত্রী অতিশী। তিনি বলে, "আমরা একটুই ভীত নই, কোনও প্রমাণ নেই, ইডি অভিযুক্তদের রাজসাক্ষী করার চেষ্টা করছে।"
জলবোর্ডের যে দুর্নীতি হয়েছে তাকে কেন্দ্র করেই আজকের তল্লাশি। সিবিআইয়ের দায়ের করা মূলত দুটি আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত করছে ইডি। এখন পর্যন্ত জলবোর্ডের প্রাক্তন দুই প্রধান ইঞ্জিনিয়ার গ্রেফতার হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জগদীশ কুমার অরোরা ও কন্ট্রাক্টর অনীল কুমার আগরওয়ালকে গত সপ্তাহেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, কেজরিওয়ালকে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় পাঁচবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু, একবারও হাজিরা দেননি তিনি। ইডির সমন বৈধ নয় বলে যুক্তি দেখিয়ে তা এড়িয়ে গিয়েছেন। এই মামলায় কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে চায় ইডি।
এদিকে কেজরিওয়াল না যাওয়ায় এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শনিবার মামলার কিছুটা অংশের শুনানি হলেও বাকিটা ৭ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত শুক্রবার কেজরিওয়াল সহ আপ মন্ত্রীরা ও দলীয় কর্মীরা মিলে বিজেপির সদর দফতর ডিডিইউ মার্গের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। আপের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী কোনওমতেই ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না। তাঁকে বেআইনিভাবে তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের দাবি কেজরিয়ালকে গ্রেফতার করে বিজেপি তাদের সরকার ফেলে দিতে চাইছে।
যদিও আপের সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি কটাক্ষ করে বলেন, “কেজরিওয়াল ইডির ডাকে সাড়া না দিয়ে বিজেপির সদর দফতরের সামনে নাটক করছেন। কারণ তিনি জানেন আবগারি নীতিতে দুর্নীতি হয়েছে।” বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারির প্রশ্ন, "তিনি কি বাচ্চাদের আইন ভাঙার বার্তা দিচ্ছেন? এর জন্যই কি তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন?"
উল্লেখ্য, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি ডিসেম্বরের ২ তারিখ ৬ নম্বর চার্জশিট পেশ করে। তাতে আপ নেতা সঞ্জয় সিং ও তাঁর সহকারি সারভেশ মিশ্রর নাম ছিল। অভিযোগ, এই নীতির মাধ্যমে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার মাধ্যমে বেআইনিভাবে প্রাপ্ত ৪৫ কোটি টাকা ২০২২ সালে গোয়ায় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়। এই মামলায় গত বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি আপ নেতা মণীশ সিশোদিয়া সিবিআই এর হাতে এবং ৫ অক্টোবর ইডির হাতে গ্রেফতার হন সঞ্জয় সিং।
ED Raid In Hooghly : ঘুমের ঘোর কাটার আগেই ভুল বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ল ইডি!
সাত সকালে তখনও ঘুম ঘোর কাটেনি। তার মধ্যেই আচমকা দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। বাড়ির উঠোন ততক্ষণে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ছয়লাপ। সেই দৃশ্য দেখে বাড়ির সদস্যরা তখন ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছেন। কী করবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না। কোনওরকমে ভয়ে ভয়ে বাড়ির দরজা খুলে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেন। জানতে পারেন ইডি তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে এসেছে। কিন্তু, সাতে পাঁচে না থাকা চুঁচুড়ার ময়নাডাঙার ব্যবসায়ী সন্দীপ কুমার সাধুখাঁ বুঝেই উঠতে পারছিলেন না যে তাঁর বাড়িতে কেন ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালাতে এলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপবাবুর লজেন্সের ব্যবসা রয়েছে। পোলবা থানা এলাকার মহেশপুরে রয়েছে তাঁর কারখানা। সেখানে কয়েকজন শ্রমিক কাজও করে। আজ সকালে সবাই তখন সবে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। ঠিক সেই সময় ইডি এসে ডাকায় বেশ কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে শুধুমাত্র তিনিই নন, অবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাঁরা জানান, সাধুখাঁ পরিবার কারও সাতে পাঁচে থাকেন না। হুট করে কেন তাঁদের বাড়িতে ইডি এল তা বুঝতেই পারছিলেন না তাঁরা।
বাড়ির বাইরে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কনভয় দেখে প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে গিয়েছিলেন সন্দীপবাবু। এরপর ইডির সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা কথা কাটাকাটি হয় তাঁদের। তারপর একপ্রকার হাল ছেড়ে দিয়ে ইডিকে তল্লাশি চালানোর অনুমতিও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, মেমো নম্বরে সই করার সময়ই খটকা লাগে সন্দীপবাবু। দেখেন তাঁর নাম ঠিক থাকলেও তাঁর বাবার নামের বানান ভুল রয়েছে। তার সঙ্গে চুঁচুড়া থানারও কোনও উল্লেখ ছিল না। মেমো নম্বরে সই করতে অস্বীকার করেন সন্দীপবাবু। তখন ইডি আধিকারিকরা সন্দীপবাবুর ভোটার ও আধার কার্ড দেখাতে বলেন। তখনই ভুল ভাঙে ইডি আধিকারিকদের। বুঝতে পারেন নাম বিভ্রাটের জেরে ভুল বাড়িতে চলে গিয়েছেন তাঁরা। ভুল বুঝতে পেরে সোজা বেরিয়ে পড়েন ওই বাড়ি থেকে। এদিকে ইডি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর যুদ্ধ জয়ের হাসি ফোটে সাধুখাঁ পরিবারের মুখে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সন্দীপবাবুর ছেলে শুভদ্বীপ বলেন, "আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। কলকাতায় চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় আমরা সবাই বেশ ভয়ে পেয়ে গিয়েছিলাম। কী করব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তারপর মেমো নম্বরে সই করতে গিয়ে দেখতে পাই নামের বানান ভুল রয়েছে। থানার নামও সেখআনে উল্লেখ করা নেই। তখনই আমাদের সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি ইডিকে জানাই। তারপর ওঁরা যাচাই করে দেখে বুঝতে পারেন ভুল বাড়িতে চলে এসেছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁরা বেরিয়ে যান।"
তবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বেশ তৎপর ইডি। রাজ্যের একাধিক জায়গায় চলে তল্লাশি। একদিকে ঝাড়গ্রামে যখন ডব্লুবিসিএস অফিসারের আবাসনে অভিযান চলছে, তখন হুগলির চুঁচুড়াতেও ইডির হানা। অন্যদিকে বহরমপুরের বিষ্ণুপুরে এক পঞ্চায়েত কর্মীর বাড়িতেও মঙ্গলবার সকালে গিয়ে হাজির হয় ইডি। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজে প্রায় ১.৭৯ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় তদন্তে নেমেছে ইডি।
সপ্তাহান্তে আবারও রাজ্যে তৎপর সিবিআই (CBI)। শনিবার সকালে বসিরহাটে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI Raid)। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানা (Basirhat Police Station) এলাকার বসিরহাট পৌরসভার (Basirhat Municipality) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নৈহাটি এলাকার বাসিন্দা রজত মণ্ডলের বাড়িতে অভিযানে যান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, রজত মণ্ডল এসডিও অফিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিক। তল্লাশি চালানোর কথা আগে বসিরহাট থানায় লিখিতভাবে জানান তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসটি, এসসি ও ওবিসি সার্টিফিকেট জাল করা সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে রজতের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আজ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজ সকালে কুয়াশার চাদরে ঢেকেছিল বসিরহাট। তারই মধ্যে সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল বসিরহাটে তল্লাশি চালাতে যান। পূর্বের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রজতের বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বসিরহাট থানার পুলিশকে।
প্রসঙ্গত, তফসিলি জাতি উপজাতি শংসাপত্র জাল ধরার একাধিক অভিযোগ এর আগে উঠেছে। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। সেই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলার দায়িত্ব সিবিআই-কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন। তা নিয়ে দুই বিচারপতি দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, তাতে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমানে এই মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যেই ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র তৈরির অভিযোগে SDO অফিসের আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি।
যদিও তল্লাশি চালাতে যাওয়ার আগে বাড়তি সতর্ক ছিলেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। সেই সময় হামলার মুখে পড়েন আধিকারিকরা। এক অফিসারের মাথাও ফাটে। ভাঙচুর চালানো হয় ইডির গাড়িতে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তল্লাশি চালানোর আগে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলেন তদন্তকারীরা। যেমন আজও বসিরহাটে তল্লাশি চালানোর বিষয়টি আগাম রাজ্য পুলিশকে জানানো হয়েছিল।
তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, যে কোনও সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে তল্লাশি চালাতে পারেন অফিসাররা। সকাল ১০টার সময় বসিরহাট থানার কর্মরত ডিউটি অফিসারের কাছে এই সংক্রান্ত একটি নোটিশও দেওয়া হয়। তারপরই তল্লাশি চালানো হয় রজত মণ্ডলের বাড়িতে।
Hemant Soren:হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে ইডি, এলাকা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
জমি কেলেঙ্কারি ও হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে পৌঁছল ইডি। অশান্তি এড়াতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে রাঁচিতে। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ হেমন্ত সোরেনের রাঁচির বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকরিকেরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী ডেকে পাঠানো হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সময় এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কা করছে তারা। সে জন্যই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাইছেন তদন্তকারীরা
Hemant Soren: খোঁজ নেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত ED-র
জমি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। আর্থিক তছরূপ মামলায় ইতিমধ্যেই একাধিকবার তাঁকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু ৯ বারের সমনেও ইডির মুখোমুখি হননি হেমন্ত। সোমবার হেমন্তের দিল্লির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও নাগাল পাওয়া যায় নি হেমন্ত সোরেনের।
তাঁর বিলাসবহুল গাড়ি বেআইনি টাকায় কেনা বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। তাই সোমবার রাতেই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তারপর মধ্যরাত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের বাড়ির বাইরে এবং রাঁচি বিমানবন্দরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু, সোরেনের দেখা মেলেনি।
বিজেপির দাবি, ইডির ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে আছেন হেমন্ত। হেমন্তের দলের আরও দাবি, বুধবার দুপুর ১টার আগেই ইডির তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেন কিনা এখন সেটাই দেখার।
Hemant Soren : ৯ বার তলব এড়িয়ে বিপাকে, হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাড়িতে গেল ইডি
ন’বার তলব করলেও প্রতি বারই তা এড়িয়ে গিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এবার তাঁর দিল্লির বাড়িতে পৌঁছে গেলেন ইডির আধিকারিকেরা। সোমবার সকালে বেশ কয়েক জন ইডি আধিকারিককে হেমন্তের বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। ঝাড়খণ্ডের শাসক দল জেএমএম সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল যে, বর্তমানে দিল্লিতেই রয়েছেন শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত। ন’বার তলব এড়ানোর পরে গত শনিবার হেমন্তকে নতুন করে সমন পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। প্রথমে তাঁকে ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্তপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। কিন্তু প্রত্যুত্তর না পেয়ে পরে তাঁকে ২৯ কিংবা ৩১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় রাখতে বলা হয়। ২০ জানুয়ারি রাঁচিতে হেমন্তের সরকারি বাসভবনে হানা দিয়েছিল ইডি।
SSC Scam : ২১ ঘন্টা তল্লাশি শেষে ট্রাঙ্ক ভর্তি নথি নিয়ে প্রসন্নর বাড়ি ছাড়লেন ED
বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। ২০২২ সালে নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায় জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন । গতকাল তাঁরই বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাগানবাড়ি ও অফিসে হানা দেয় ইডি। প্রসন্ন রায়ের বিভিন্ন আস্তানা থেকে ট্রাঙ্ক ভর্তি নথি বাজেয়াপ্ত করে আধিকারিকরা। প্রায় ২১ ঘন্টা ধরে তল্লাশি অভিযান। সূত্রের খবর প্রসন্ন রায়ের অফিসগুলি ছিল টাকা লেনদেনের অন্যতম বড় আস্তানা। তদন্তের শেষে দেখা যায় তিনটি ট্রাঙ্ক ও তিনটি ট্রলিতে ভর্তি করে কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে বেশ কিছু ব্যাঙ্কের পাস বইও রয়েছে।
Recruitment Scam | বৃহস্পতিবার ফের তল্লাশি ইডি'র; জামিনে মুক্ত প্রসন্ন রায়ের বাড়িসহ ৬ জায়গায় হানা
কখনও রেশন বন্টন দুর্নীতি, কখনওবা নিয়োগ দুর্নীতি, বিভিন্ন দুর্নীতিতে জর্জরিত বাংলা। আর এই সব দুর্নীতির জট ছাড়াতে আসরে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়ে ইডি আধিকারিকরা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে মোট ৬টি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালায় ইডি।