Saraswati puja: ৩৫ বছর পর আচমকাই সরস্বতী পুজো বন্ধ বর্ধমানের এক স্কুলে
আজ সরস্বতী পুজো। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষে আরাধনা করা হয় বিদ্যার দেবীর।আজকের দিনে হাতেখরি দেওয়া হয় শিশুদের। ঘরে ঘরে পুজো করে পড়ুয়ারা। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা বাগ দেবীর আরাধনা করে থাকে। কিন্তু, পুজোর দিনে স্কুলের গেটে ঝুলছে তালা আর তা দেখেই ফিরে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। ফলে মন খারাপ পড়ুয়াদের। এমনই ঘটনা ঘটলো বুধবার বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের বৈকুন্ঠপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালনগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ৩৫বছর ধরে পুজো হয়ে আসলেও এবছর হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেলো বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো।
এবিষয়ে, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা হলে তাঁরা জানান, “বিদ্যালয়ে বিদ্যারদেবীর আরাধনা হবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আজ সকাল থেকে দেখছি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী এসে ফিরে যাচ্ছে, বাধ্য হয়ে স্থানীও ক্লাবে অঞ্জলি দিতে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। আমাদের কিছু জানায়নি হঠাৎ করেই দেখছি পুজো বন্ধ”। শুধু তাই নয়, মিড ডে মিল নিয়েও রয়েছে এই বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। অবিভাবকরা জানান মিড ডে মিলে এক খাবার দিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সুদেষ্ণা রায় বসাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমরা বিদ্যালয় ৩ জন শিক্ষিকা তার মধ্যে একজনের মেয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তার জন্য তিনি ছুটি নিয়েছে। আর আমার শাশুড়ি মারা যাওয়ায় আমি পুজোয় কোনোভাবে হাত দিতে পারছি না। এবিষয়ে অভিভাবকদেরকে জানানো হয়েছিল যে এবছর বিদ্যালয়ের পুজোতে আমি থাকতে পারছি না তাই পুজো বন্ধ থাকবে। তখন অভিভাবকরা জানান একটা বছর পুজো বাদ থাকলে কোন অসুবিধে হবে না, আবার পরের বছর হবে। মিড ডে মিলের প্রসঙ্গে তিনি জানান, স্কুলে ৩জন মাত্র শিক্ষিকা আছে, ৩জন মিলে যতটা করার করি, আরও লোকের প্রয়োজন আমাদের। আর সরকারি নিয়ম অনুযায়ীই মিড ডে মিলের মেনু ঠিক করা হয় সেই মতই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রান্না করে বাচ্চাদের খাবার দেওয়া হয়”।
স্বাভাবিকভাবে বিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজা না হওয়ায় এই স্কুল পড়ুয়ারা একরাশ মন খারাপ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
Trending Tag