Electoral Bonds Scheme : নির্বাচনী বন্ড কি বৈধ? রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট
নির্বাচনী বন্ড বা ইলেকটোরাল বন্ড (Electoral Bond) কি আদৌ বৈধ? আজ এই মামলার রায়দান করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। লোকসভা নির্বাচনের আগে শীর্ষ আদালতের এই রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। মামলাটি নিয়ে ইতিপূর্বে মামলাকারীরা দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ তোলেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্বাচনে কালো টাকা ঢালা রুখতেই ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) এই প্রকল্প এনেছিল। কিন্তু অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে তা চ্যালেঞ্জ করে বিরোধীরা। গত বছরই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় সংরক্ষিত রাখে। আজ সেই মামলারই রায়দান হতে পারে।
নির্বাচনী বন্ড কি?
কালো টাকার রমরমা রুখতেই নির্বাচনী বন্ড আনা হয়েছিল। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া অনুদানের পদ্ধতিতে স্বচ্ছতার আনার জন্যই এই বন্ড তৈরি করা হয়েছিল। এই বন্ড হল রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচনের আগে আর্থিক অনুদান দেওয়ার একটি পদ্ধতি। ২০১৭ সালে অর্থবিলে একাধিক সংশোধন করা হয় এই নিয়ম চালুর জন্য। এর নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনও রাজনৈতিক দলকে আর্থিক অনুদান দিতে চাইলে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে ইলেকটোরিয়াল বন্ড কিনে পছন্দের রাজনৈতিক দলকে দিতে পারেন। ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ এবং ১ কোটি টাকা মূল্যের বন্ড পাওয়া যায় স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায়। অনুদানপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলগুলি ১৫ দিনের মধ্যে এসবিআই-র শাখায় গিয়ে বন্ড ভাঙিয়ে নগদ করতে পারে। কে অর্থ অনুদান দিচ্ছেন, তা গোপন রাখা হবে।
তবে এর কিছু শর্ত আছে। যেমন, যে রাজনৈতিক দল গত লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে কমপক্ষে এক শতাংশ ভোট পেয়েছে, তারাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান পেতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড আনা হয়।
যদিও এই বন্ড নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। বন্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা। তাদের অভিযোগ, এই প্রক্রিয়াতে নির্বাচনে অস্বচ্ছতাই বাড়বে। বিশ্বের কোনও দেশেই এমন ব্যবস্থা নেই, যেখানে রাজনৈতিক দল বন্ড ভাঙিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে। কোন কর্পোরেট সংস্থা কাকে ভোটে সাহায্য করছে, তার বিনিময়ে ক্ষমতাসীন দলের থেকে কী সুবিধা পাচ্ছে, সেই তথ্য জানারও উপায় নেই সাধারণ জনগণ বা ভোটারের। যেখানে শাসক দলের আর্থিক অনুদানের কোনও তথ্য থাকবে না, সেখানেই বিরোধী দলে কে কত অনুদান দিচ্ছেন, তা জানা সম্ভব। এই অভিযোগ নিয়েই মামলা দায়ের হয়।