Arvind Kejriwal: মোদীর ডিগ্রি মামলায় অরবিন্দের আবেদন খারিজ আদালতের
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ডিগ্রি মামলায় কেজরীওয়ালের আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত মামলায় গত বছর গুজরাত হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আদালত তাঁর থেকে জরিমানাও ধার্য করে।
উল্লেখ্য কেজরীওয়াল এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহের প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি নিয়ে করা কিছু মন্তব্যের ভিত্তিতে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ প্যাটেল।
কেজরীওয়াল বলেছিলেন, “যদি সত্যি প্রধানমন্ত্রী গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে এ নিয়ে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসব করা উচিত।’’ পাশাপাশি সঞ্জয় সিংহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভুয়ো ডিগ্রিটি সত্যি প্রমাণ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন”। এরপরই পীযূষ গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মানহানি করা হয়েছে বলে কেজরীওয়াল ও সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন।
এরপর গত বছর গুজরাতের একটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। গত ১৫ এপ্রিল আদালত কেজরীওয়াল ও সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ দেয়। তবে এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান তাঁরা। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর সমনের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাত হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আপ নেতারা। সেখানেও ধাক্কা খেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলে সর্বচ্চ আদালত তাঁদের মামলা ফিরিয়ে দেয়। তারপর তাঁরা আবারও হাই কোর্টে ফিরে আসেন। সেই মামলাও খারিজ হয়ে গেল শুক্রবার।
প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি ৫ বার ডেকে পাঠালেও হাজির হননি কেজরিওয়াল। এরপর ইচ্ছাকৃতভাবে অজুহাত দিয়ে হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে অরবিন্দের বিরুদ্ধে দিল্লিকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। শনিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং এবং সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। যদিও আপের দাবি এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত।
ইতিমধ্যে শনিবার দিল্লির বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির পক্ষ থেকে আপ বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে আপ ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যদিও তাঁর দাবি, এই প্রস্তাব বিধায়করা গ্রহণ করেননি। এই মুহূর্তে বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়ক এবং বিজেপির ৮ জন বিধায়ক রয়েছে।