Sunday, November 24, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

Justice Abhijit Gangopadhyay : "আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ", সন্দেশখালি নিয়ে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

Maitreyi Mukherjee | 11:28 AM, Wed Feb 14, 2024

কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, দিনের পর দিন ধরে তাঁদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী। জলের দরে জমি হাতিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে মহিলাদের উপর অত্যাচার, ধর্ষণ, খুনের হুমকি কোনও কিছুই বাদ যায়নি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর অবশেষে মুখ খুলেছেন মহিলারা। চলছে বিক্ষোভ। এদিকে এখনও পর্যন্ত ফেরার এলাকার ত্রাশ শাহজাহান। এত অভিযোগ সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সেই সন্দেশখালি নিয়েই এবার মুখ খুললেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।



সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের যে সব অভিযোগ উঠেছে, তা শুনে বিস্মিত বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, "জ্ঞান হওয়া থেকে আমি কখনও শুনিনি যে রাতে ফোন করে মহিলাদের ডেকে পাঠানো হত। এই ঘটনা আমার কাছে একেবারেই পরিচিত নয়। এনিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ। তবে আপাতত আমি মুখ বন্ধ করেই রাখছি।" একটু থেমে বিচারপতির সংযোজন, "বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি, আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। আপাতত আমি মুখ বন্ধ করেই রেখেছি।"



তবে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "অনেকের মতো আমার মনেও এনিয়ে প্রশ্ন উঠছে যে প্রশাসন কি জানত না এই রকম ঘটনা ঘটছে? পুলিশ প্রশাসন জানত না নাকি জেনেও চোখ বুজে ছিল? এটাই একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।"



৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু, সেখানে যাওয়ার পরই শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে হেনস্থা হতে হয় তাঁদের। মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের। তবে শুধুমাত্র ইডি নয়, হামলা চালানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও। প্রাণ ভয়ে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। সেই দিন থেকে আজও ফেরার শাহজাহান। তাঁর টিকিও নাকি খুঁজে পায়নি পুলিশ। এদিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর এক শাগরেদ উত্তম সর্দারকেষ পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি। কিন্তু, যতক্ষণ না পর্যন্ত পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করছে ততক্ষণ পর্যন্ত মহিলারা গ্রামের মধ্যে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।



মহিলাদের এই অভিযোগ নিয়ে রাজ্য জুড়ে তো বটেই, এ বার জাতীয় স্তরেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্মৃতি। এমনকী, সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। সেখানে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অন্য দিকে, সন্দেশখালি নিয়ে ওই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্রের নেতৃত্বের ১০ সদস্যের বিশেষ দল তদন্ত করছে।

upload
upload