Thursday, November 21, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

sandeshkhali incident

Justice Abhijit Gangopadhyay : "আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ", সন্দেশখালি নিয়ে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, দিনের পর দিন ধরে তাঁদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী। জলের দরে জমি হাতিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে মহিলাদের উপর অত্যাচার, ধর্ষণ, খুনের হুমকি কোনও কিছুই বাদ যায়নি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর অবশেষে মুখ খুলেছেন মহিলারা। চলছে বিক্ষোভ। এদিকে এখনও পর্যন্ত ফেরার এলাকার ত্রাশ শাহজাহান। এত অভিযোগ সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সেই সন্দেশখালি নিয়েই এবার মুখ খুললেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।



সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের যে সব অভিযোগ উঠেছে, তা শুনে বিস্মিত বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, "জ্ঞান হওয়া থেকে আমি কখনও শুনিনি যে রাতে ফোন করে মহিলাদের ডেকে পাঠানো হত। এই ঘটনা আমার কাছে একেবারেই পরিচিত নয়। এনিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ। তবে আপাতত আমি মুখ বন্ধ করেই রাখছি।" একটু থেমে বিচারপতির সংযোজন, "বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি, আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। আপাতত আমি মুখ বন্ধ করেই রেখেছি।"



তবে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "অনেকের মতো আমার মনেও এনিয়ে প্রশ্ন উঠছে যে প্রশাসন কি জানত না এই রকম ঘটনা ঘটছে? পুলিশ প্রশাসন জানত না নাকি জেনেও চোখ বুজে ছিল? এটাই একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।"



৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু, সেখানে যাওয়ার পরই শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে হেনস্থা হতে হয় তাঁদের। মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের। তবে শুধুমাত্র ইডি নয়, হামলা চালানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও। প্রাণ ভয়ে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। সেই দিন থেকে আজও ফেরার শাহজাহান। তাঁর টিকিও নাকি খুঁজে পায়নি পুলিশ। এদিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর এক শাগরেদ উত্তম সর্দারকেষ পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি। কিন্তু, যতক্ষণ না পর্যন্ত পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করছে ততক্ষণ পর্যন্ত মহিলারা গ্রামের মধ্যে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।



মহিলাদের এই অভিযোগ নিয়ে রাজ্য জুড়ে তো বটেই, এ বার জাতীয় স্তরেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্মৃতি। এমনকী, সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। সেখানে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অন্য দিকে, সন্দেশখালি নিয়ে ওই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্রের নেতৃত্বের ১০ সদস্যের বিশেষ দল তদন্ত করছে।

Maitreyi Mukherjee | 11:28 AM, Wed Feb 14, 2024

Sandeshkhali Incident : ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি, TMC নেতার পোলট্রি ফার্মে আগুন ক্ষিপ্ত জনতার

বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃতীয় দিনে পড়ল এই আন্দোলন। তৃণমূল নেতা (TMC Leader) শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির হানার পর থেকেই একের পর এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। গত এক সপ্তাহ ধরেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গ্রামের মহিলারা। আজ সকালেও রাস্তায় নামেন তাঁরা। শাহজাহান শেখ (Sheikh Shahjahan), শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারের গ্রেফতারির দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান।

সকাল থেকেই থমথমে বসিরহাটের সন্দেশখালি। উত্তেজনা থাকায় এাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানা চত্বরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল সন্দেশখালি। তবে রাতের দিকে বিক্ষোভ কিছুটা হলেও কম ছিল। সকালের দিকে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আন্দোলনে যোগ দেন একাধিক জনজাতি মহিলা। ঝাঁটা, লাঠি হাতে নিয়ে সন্দেশখালি থানার সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শাহজাহান, শিবু ও উত্তমকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শুক্রবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় জেলিয়াখালিতে। তৃণমূল নেতার পোলট্রি ফার্ম জ্বালিয়ে দিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ, ওই ফার্ম তাঁদের জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছিল। মহিলারা জানান, তাঁদের স্বামীদের জোর করে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। কাজ করার পর মেলে না প্রাপ্য পারিশ্রমিক। টাকা চাইতে গেলে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ শিবুদের বিরুদ্ধে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের মধ্যে অত্যাচার চালান ওই তিন তৃণমূল নেতা। তাঁদের অত্যাচারে জেরবার সাধারণ মানুষ জোর খাটিয়ে গ্রামবাসীদের দিয়ে নানা কাজ করিয়ে নেন ইচ্ছার বিরুদ্ধে। জমির জবরদখল থেকে শুরু করে একাধিক অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে শাহজাহানদের গ্রেফতারির দাবিতে যাঁরা পথে নেমেছিলেন, তাঁরা নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলেই দাবি করেছিলেন। অভিযোগ, দলের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান শাহজাহান, শিবু, উত্তম এবং তাঁদের সহযোগীরা। তৃণমূল নেতাদের ভয়ে এতদিন মুখ খুলতে পারেননি তাঁরা। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার সহ ১১৭ জনের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা। তাঁকে খুনের চেষ্টা, জনজাতিদের উস্কে আন্দোলন, বেআইনি জমায়েত করে অপরাধ সংগঠিত করা, শান্ত সন্দেশখালিকে অশান্ত করার পরিকল্পনা করা, বারবার মিছিল বিক্ষোভ করে পুলিশকে হেনস্থা করার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শিবপ্রসাদ। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষের মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে 'নিখোঁজ' শাহজাহান। ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সে দিন শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে ইডি আধিকারিকেরা মার খেয়েছিলেন। সেই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। গ্রামবাসীদের দাবি, শাহজাহান এলাকাতেই আছেন। পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে। তাঁদের অভিযোগ, শাহজাহান, শিবু ও উত্তমকে গ্রেফতার না করে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে গোপন ডেরায় বসে মিটিং করছে।

Maitreyi Mukherjee | 14:53 PM, Fri Feb 09, 2024

Sandeshkhali Incident : উত্তপ্ত সন্দেশখালি, শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে বাঁশ হাতে রাস্তায় মহিলারা


একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে সন্দেশখালিতে। তৃণমূলের দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান, ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা এবং তাঁর সঙ্গী উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে লাঠি ও বাঁশ হাতে রাস্তায় নামেন স্থানীয় মহিলারা। জানা গিয়েছে, তাঁরাও তৃণমূল কর্মী। দলের নাম ভাঙিয়ে শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা বহুদিন ধরেই এলাকায় অত্যাচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এর প্রতিবাদেই আজ সকালে প্রতিবাদে নামেন তাঁরা। সন্দেশখালি থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এরপর রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন মিলে প্রথমে নিজেদের পোলট্রি ফার্মে ভাঙচুর চালায়। তারপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর এই গোটা ঘটনার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের উপর। তারই প্রতিবাদে এলাকার মহিলারা বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সন্দেশখালি থানায়।
তাঁদের আরও অভিযোগ, শাহজাহান এতদিন ধরে একের পর এক জমি দখল করেছে। তাঁর ভয়ে মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করে গিয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের এক মহিলার অভিযোগ, বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে তাঁদের উপর অত্যাচার চালাতেন শাহজাহান। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আজ রাস্তায় নেমেছে তাঁরা। পুলিশের কাছে গেলেও কোনও সমাধান মিলত না বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক মহিলা বলেন, "থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেখান থেকে শাহজাহানের কাছে পাঠিয়ে দিত। আবার শাহজাহানের কাছে গেলে বলে শিবু হাজরার কাছে যাও। গ্রামের মানুষ কোথায় যাবেন?"

প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে ৫ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষের শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু, অনেক ডাকাডাকির পরও বাড়ির দরজা খুলতে দেখা যায়নি কাউকে। প্রায় ঘণ্টা খানেক ডাকাডাকির পর কেন্দ্রীয় বাহিনী তালা ভাঙার চেষ্টা করে। তখনই শাহজাহানের অনুগামীরা তাঁদের উপর চড়াও হয়। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায়। মেরে এক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ইডি আধিকারিক সহ সাংবাদিকদের মারধর করে গ্রাম ছাড়া করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁকে বার বার হাজিরা দিতে বলা হলেও তা এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। শাহজাহান কোথায় রয়েছেন তা এক বিক্ষোভকারীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "শাহজাহান বাঘ হয়ে বিড়ালের মতো লুকিয়ে আছে!"

Bengal Hour Bureau | 16:29 PM, Thu Feb 08, 2024

Shahjahan Sheikh : সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ, ফের হাজিরা এড়ালেন শাহজাহান

সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) মামলায় সিট গঠনের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের তদন্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের (Kolkata High Court) দ্বারস্থ হয় ইডি। সেখানেই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আদালতে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য নষ্টের আশঙ্কা প্রকাশ করে ইডি। এরপরই সিট গঠন ও রাজ্যপুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। যদিও এদিন ফের আদালতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় ইডি (Enforcement Directorate)।

এদিকে সন্দেশখালিতে ইডি-র উপর হামলার পর ৩৩ দিন পার। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ ফের তাঁকে তলব করেছিল ইডি। আজ সকাল ১১টার সময় সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁর হাজিরার কথা ছিল। তবে এবারও হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। দেখা মেলল না শেখ শাহজাহানের।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান তাঁরা। এদিকে সেখানে তাঁরা পৌঁছতেই তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। মারধরও করা হয় তাঁদের। মাথা ফাটে এক আধিকারিকের। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে এলাকা ছাড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে। শুনানির পর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, এই মামলার তদন্ত করবে সিট। সিবিআই ও রাজ্যের আইপিএসদের নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। বুধবার সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ মার্চ।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) দাবি, আদালতের এই ঢিলেমির জন্য তৃণমূল তার লক্ষ্যে সফল হয়ে যাচ্ছে। কারণ তৃণমূলের লক্ষ্য লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে শেখ শাহজাহানকে জেলে যাওয়ার থেকে আড়াল করা। এদিকে আবার মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে। তাই ৬ মার্চ এই মামলার শুনানির পর সিবিআই যদি এই মামলার তদন্তের ভার পায়ও, তাহলে লোকসভা ভোটের আগে সিবিআইয়ের (CBI) পক্ষে সেই সময় শাহজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Maitreyi Mukherjee | 16:41 PM, Wed Feb 07, 2024
upload
upload