Omar Abdullah On Modi : "ইন্ডিয়া নয় মোদীর জেতার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি", জল্পনা বাড়িয়ে মন্তব্য ওমর আবদুল্লার
লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন প্রকাশ্যে আসছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের (India Alliance) ফাটল। সম্প্রতি শিবির বদলে জোটে বড় ধাক্কা দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। ইন্ডিয়া জোটের হাত ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন এনডিএ-তে। আর এবার এনডিএ-র স্তুতি শোনা গেল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah) মুখে। তাঁর মতে, লোকসভা নির্বাচনে ৪০০-র বেশি আসনে বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-র পক্ষে জেতা অসম্ভব কিছু নয়।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা আবদুল্লা বলেন, "তৃতীয় দফায় নরেন্দ্র মোদীর জেতার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এনডিএ লোকসভা ভোটে ৪০০-র বেশি আসনে জিততেই পারে। কারণ, বিরোধী দলগুলি নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি করতেই ব্যস্ত।"
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত না হলেও, তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাদ যায়নি বিজেপিও। এবারে লোকসভা ভোটে ‘মিশন ৪০০’ লক্ষ্য নিয়ে লড়তে নেমেছে ঘেরুয়া শিবির। তাদের স্লোগান, ‘অব কি বার, ৪০০ পার’। প্রধানমন্ত্রী মোদী সংসদে দাবি করেছেন লোকসভার ৫৪৩ আসনের ভোটে বিজেপি একাই ৩৭০টি আসনে জিতবে। তাঁর দাবি, এনডিএ শরিকদের নিয়ে সেই সংখ্যা ৪০০ পেরোবে। আর সেই একই সুর শোনা গিয়েছে ওমর আবদুল্লার গলাতেও।
কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্সের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি-ও রয়েছে ‘ইন্ডিয়া’য়। কাশ্মীর উপত্যকার তিনটি লোকসভা আসন ঘিরে ইতিমধ্যেই দু’দলের টানাপড়েন শুরু হয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সহযোগী হিসাবে লড়ে ওই তিনটি আসনেই জিতেছিল ওমর। কিন্তু এ বার মেহবুবা কোনও অবস্থাতেই তাঁর প্রাক্তন লোকসভা কেন্দ্র অনন্তনাগের দাবি ছাড়তে রাজি নয় বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল কনফারেন্স আবারও এনডিএ-র হাত ধরতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিকে ক্রমশ বাড়ছে ইন্ডিয়া জোটের ফাটল। কংগ্রেসের সঙ্গে কখনও তৃণমূল, কখনও আপ আবার কখনও সমাজবাদী পার্টির সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। আসন বণ্টন নিয়ে প্রকাশ্যেই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। তারপরই কংগ্রেসের সঙ্গে না লড়ে 'একলা চলো'-র নীতি নেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, কাশ্মীরেও অব্যাহত রয়েছে জোটের জট। জোট শরিকদের সঙ্গে না লড়ে একাই উপত্যকার নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কংগ্রেস। আর যদি সত্যিই তাই হয় তাহলে নির্বাচনের আগেই জোট 'ধূলিস্যাৎ' হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।