Pakistan General Election 2024 : জেলে বসেই 'বাজিমাত' ইমরানের! বোল্ড আউটের সম্ভাবনা শরিফ-ভুট্টোদের
গ্রেফতারির পর থেকে সেই জেলেই রয়েছেন পাকিস্তানের (Pakistan Election) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। জেলে বসেই ম্যাজিক দেখাচ্ছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে (Pakistan General Election) তিনি নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। দলীয় প্রতীকে লড়তে পারছে না তাঁর দলের কেউই। তার পরিবর্তে বেগুন প্রতীক নিয়ে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রার্থীরা। আর সেই নির্দলে লড়েই বাজিমাত করতে চলেছেন তিনি। অন্তত ভোটগণনার প্রাথমিক রিপোর্ট সেই কথাই বলছে।
পাকিস্তানের স্থানীয় সময় অনুসারে বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছিল। কিন্তু, তারপরই গণনা শুরু করা যায়নি। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর শুরু হয় গণনা। তারপর নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোর ৩টের সময় সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাথমিক ফলাফল জানানো হয়। অধিকাংশ আসনেই এখন গণনা চলছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির খবর অনুযায়ী, ১২৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের প্রার্থীরা। প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা এগিয়ে মাত্র ৪৪টি আসনে। আর বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি এগিয়ে মাত্র ২৮ আসনে। ৩৩৬ আসনের পাকিস্তান লোকসভায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৬৯টি আসন।
এদিকে গণনায় দেরি হওয়ার জন্য মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে, স্থানীয় স্তরে গণনার উপর ভিত্তি করে, পাক সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, জয়ের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সবার আগে রয়েছে ইমরান খানের দলই। প্রসঙ্গত, ইমরানের নাম জড়িয়েছে একাধিক মামলায়। দোষী সাব্যস্ত হয়ে এখন জেলে রয়েছেন তিনি। তার জেরে এবার ভোটে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দল পিটিআই-এর নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট কেড়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে এবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে অন্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামেন তিনি। আর সেখানেই একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
যদিও এবার অনেকেই ভেবেছিলেন যে নির্বাচনে বাকি রাজনৈতিক দলের তুলনায় এগিয়ে থাকবে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পার্টি। মনে করা হচ্ছিল সব থেকে বেশই আসন তারাই জিতবে। এমনকী, নওয়াজ শরিফের উপর পাক সামরিক নেতৃত্বের আশীর্বাদও ছিল। কিন্তু, প্রাথমিক ফলাফল যা দেখা যাচ্ছে তাতে মুখ থুবরে পড়েছে শরিফ-ভুট্টোরা।
আর প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ইমরান। লেখেন, “জনগণের ইচ্ছাকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য সম্ভাব্য প্রতিটি পদ্ধতি অবলম্বন করা সত্ত্বেও, আমাদের জনগণ আজ ব্যাপক হারে ভোট দিয়ে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। আমরা বারবার বলেছি, সময়ের দাবিতে যে ধারণার জন্ম হয়, কোনও শক্তি তাকে পরাজিত করতে পারে না।”