Shahjahan Sheikh : সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ, ফের হাজিরা এড়ালেন শাহজাহান
সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) মামলায় সিট গঠনের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের তদন্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের (Kolkata High Court) দ্বারস্থ হয় ইডি। সেখানেই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আদালতে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য নষ্টের আশঙ্কা প্রকাশ করে ইডি। এরপরই সিট গঠন ও রাজ্যপুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। যদিও এদিন ফের আদালতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় ইডি (Enforcement Directorate)।
এদিকে সন্দেশখালিতে ইডি-র উপর হামলার পর ৩৩ দিন পার। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ ফের তাঁকে তলব করেছিল ইডি। আজ সকাল ১১টার সময় সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁর হাজিরার কথা ছিল। তবে এবারও হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। দেখা মেলল না শেখ শাহজাহানের।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান তাঁরা। এদিকে সেখানে তাঁরা পৌঁছতেই তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। মারধরও করা হয় তাঁদের। মাথা ফাটে এক আধিকারিকের। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে এলাকা ছাড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে। শুনানির পর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, এই মামলার তদন্ত করবে সিট। সিবিআই ও রাজ্যের আইপিএসদের নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। বুধবার সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ মার্চ।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) দাবি, আদালতের এই ঢিলেমির জন্য তৃণমূল তার লক্ষ্যে সফল হয়ে যাচ্ছে। কারণ তৃণমূলের লক্ষ্য লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে শেখ শাহজাহানকে জেলে যাওয়ার থেকে আড়াল করা। এদিকে আবার মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে। তাই ৬ মার্চ এই মামলার শুনানির পর সিবিআই যদি এই মামলার তদন্তের ভার পায়ও, তাহলে লোকসভা ভোটের আগে সিবিআইয়ের (CBI) পক্ষে সেই সময় শাহজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।