Hemant Soren:হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে ইডি, এলাকা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
Mayuri Datta | 15:20 PM, Wed Jan 31, 2024
Leopard: দলগাঁও চা বাগানে খাঁচায় বন্দী চিতাবাঘ
Mayuri Datta | 13:58 PM, Wed Jan 31, 2024
Imran Khan: আরও বিপাকে ইমরান খান, তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা
Mayuri Datta | 13:40 PM, Wed Jan 31, 2024
Bengali Cinema: ‘শাস্ত্রী’ সিনেমায় ফের দেখা যাবে মিঠুন- দেবশ্রী জুটি, দর্শকমহলে উন্মাদনা
Mayuri Datta | 12:48 PM, Wed Jan 31, 2024
PM on Budget: বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই নারী শক্তিতে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী
Mayuri Datta | 12:22 PM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata Police : সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিশ কনস্টেবল
Mayuri Datta | 11:43 AM, Wed Jan 31, 2024
Budget 2024: আজ শুরু বাজেট অধিবেশন
Mayuri Datta | 10:36 AM, Wed Jan 31, 2024
Kashmir Snowfall: শ্বেতসুন্দরী কাশ্মীর, সাদা বরফের চাদরে পার্বত্য এলাকা
Mayuri Datta | 10:30 AM, Wed Jan 31, 2024
Kolkata high court: বিচারপতি দ্বন্দ্বের জের! প্রাথমিক মামলা সরানো হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে
Mayuri Datta | 17:50 PM, Tue Jan 30, 2024
Chandigarh Mayor Election: চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয়ী বিজেপি, ব্যর্থ 'ইন্ডিয়া' মঞ্চ!
Mayuri Datta | 17:39 PM, Tue Jan 30, 2024
Uttarakhand : উত্তরাখণ্ডের প্রথম মহিলা মুখ্যসচিব হচ্ছেন রাধা রাতুরি
Mayuri Datta | 17:14 PM, Tue Jan 30, 2024
Abudhabi Swaminarayan Temple : অযোধ্যার পর এবার হিন্দু মন্দির আরবে !
অযোধ্যার রামমন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) ঘোর এখনও কাটেনি। তার এক মাসের মধ্যেই আরও একটি বিশাল মন্দির উপহার হিন্দু সমাজের জন্য। শুধু দেশে মধ্যে নয় দেশের বাইরের উড়ছে এখন হিন্দুত্বের পতাকা। তবে মন্দিরের নির্মাণকারী সংগঠন এই মন্দিরকে উন্মুক্ত রাখতে চান সকল ধর্মের মানুষের জন্য। আরব দুনিয়ার এটি প্রথম মন্দির। রক্ষণশীল আরব আমিরশাহীর আবু ধাবিতে প্রথমবার খুলতে চলেছে হিন্দু মন্দির ৷ ইতিমধ্যেই মন্দিরের ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ড করছে আবু ধাবির স্বামীনারায়ণ মন্দিরের (Abudhabi Swaminarayan Temple) ছবি। নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
এদিকে মন্দীর উদ্বোধনের আগে তার কাজ কত দূর এগিয়েছে তা ঘুরে দেখেন দেশের কূটনীতিক ও বহু বিশিষ্ট মানুষ ৷ সাদা মার্বেল ও গোলাপি বেলে পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছে "বোচাসনবাসি অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ"। এই মন্দিরে রামায়ণ, মহাভারত, কৃষ্ণ জীবনাবলী ও পৌরাণিক নানা উপাখ্যান মূর্তি রূপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মন্দিরের কারুকাজ দেখলে মনে হয় যেন ভারতের সোনালী অতীতের কোনও রাজআমলের মন্দির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে তাঁর দ্বিতীয় সফর চলাকালীন দুবাই অপেরা হাউস থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এই মন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন।
মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৩ একর জমির উপরে ৷ আবু ধাবি থেকে মন্দিরের দূরত্ব ৩০ মিনিটের ৷ এই মন্দিরে থাকবে শিব, কৃষ্ণ ও আয়াপ্পার মূর্তি। মন্দিরটিতে রয়েছে সূক্ষ্ম কারুকাজ করা গম্বুজ। মন্দির প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছে সুন্দর উদ্যান ও জলের ফোয়ারা দিয়ে। মন্দির প্রাঙ্গণের সামনেই রয়েছে শিশুদের খেলার পার্ক। রাজস্থান ও গুজরাট থেকে আনা পাথর খোদাই করে নকশা করেন প্রায় তিন হাজার কারিগর। পৌরাণিক নানা কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাথরের মূর্তির মাধ্যমে। ভারতীয় সংস্কৃতিও ধরা পড়েছে মন্দিরের নানা নকশায় ৷ এই মন্দির সাধারণ মন্দির নয়।
তবে একটা মুসলিম প্রধান দেশে কোনও হিন্দু মন্দির তৈরি করা কম বড় কথা নয়। আরব দুনিয়ার একাধিক শহরে দীর্ঘদিন মুসলিম ব্যতীত অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হত না। অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল। এমনকী, এখনও আরব মুলুকের বহু দেশে প্রকাশ্যে অন্য ধর্ম পালনে নিষেধ রয়েছে। ফলে আমিরশাহীতে মন্দির হিন্দুদের জন্য এক নয়া দিগন্তের পথ প্রশস্ত করতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Kamakhya Corridor : রামমন্দিরের পরেই কামাখ্যা করিডরের শিলান্যাস করবেন মোদী
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। গুয়াহাটিতে প্রাচীন শক্তিপীঠ কামাখ্যা মন্দির করিডরের শিলান্যাস করেন মোদী। ৪৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি দিব্যলোক পরিযোজনা নামে এই প্রকল্পই হবে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম মন্দির করিডর। প্রথম দু'টি কাশী বিশ্বনাথ এবং উজ্জয়িনীর মহাকাল করিডর। প্রধানমন্ত্রীর কথায় কথায়, "অযোধ্যার মহা সমারোহের পরে আমি এখানে মা কামাখ্যার দ্বারে এসেছি। এখানে এলে মানুষ অনুভব করেন মায়ের দৈবশক্তি। আমি এই করিডরের শিল্যানাস করতে পেরে অভিভূত।"
গুয়াহাটির ভেটেরিনারি কলেজ মাঠে এক বিরাট জনসভার আগে বিশাল রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভায় যথারীতি বিজেপি সরকারের আগামী চিন্তাভাবনাকে তুলে ধরার পাশাপাশি আত্মপ্রচারেও জনতাকে সম্মোহিত করলেন। একইসঙ্গে কংগ্রেসের নাম না করে উত্তর-পূর্ব ভারতকে যুগ যুগ ধরে পিছিয়ে রাখার কঠোর সমালোচনা করেন।
গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন রাম মন্দির,আর এরপর রবিবার সেখান থেকেই পরের মাত্রা ধরলেন নরেন্দ্র মোদী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের অভিমুখ যে এ বার হিন্দুত্বের রাজানীতিই তা রবিবার তাঁর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়। কংগ্রেসের নাম না করে তিনি বলেন, "স্বাধীনতার পর থেকে যাঁরা এই দেশ শাসনের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে কোনও সম্মান তো ছিলই না, বরং তাঁরা লজ্জিত ছিলেন। ফলে তাঁরা আমাদের দেশের পবিত্র ধর্মস্থানকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন মনে করেননি।"
প্রসঙ্গত, রবিবার গুয়াহাটিতে তাঁর প্রথম জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অসমে ১১,৬০০ কোটি টাকার পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে নতুন রাস্তা, রাস্তা প্রশস্তকরণ, নতুন মেডিকেল কলেজ, স্টেডিয়ামগুলির আপগ্রেডেশন এবং হিন্দুদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এবং পবিত্র স্থান গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরে একটি অ্যাক্সেস করিডোর তৈরি করা।স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল এই কামাখ্যা মন্দিরের অ্যাক্সেস করিডোর, যা সমস্ত আবহাওয়ায় পথচারীদের সংযোগ এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা সরবরাহ করবে।
Gyanvapi Mosque : "এগুলি ফিরিয়ে দিলে হিন্দুরা আর কোনও মন্দিরের দিকে তাকাবে না"
বহু প্রতীক্ষার পর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Temple) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। উপস্থিত ছিলেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। প্রায় ৫০০ বছর পর রামলালা (Ramlala) নিজের ঘরে ফিরেছেন বলে দাবি হিন্দু সমাজের। আর এবার মুঘল আমলে হারিয়ে যাওয়া আরও দুই হিন্দু ঐতিহ্য জ্ঞানবাপী ও মথুরা দুই-ই ফিরে পেতে মরিয়া তারা। তাদের দাবি, ভারতে মুঘল আক্রমণের আগে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) ছিল শিব মন্দির। যা ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল মসজিদ। তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
গতমাসে এএসআই (ASI) সার্ভে রিপোর্টের কপিকে হাতিয়ার করে বারাণসী আদালতে যান এক মামলাকারী। সার্ভে রিপোর্টের কপি আদালতে জমা দেন তিনি। সেই আদালতে ধাক্কা খায় মুসলিম পক্ষ। সার্ভে রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজোর নির্দেশ দেয় আদালত। তারপর থেকেই মসজিদে চলছে পুজো। বারাণসী আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যায় মুসলিম পক্ষ। সেখানে বড় ধাক্কা খায় তারা। বারাণসী আদালতের রায়ের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট। আর আদালতের রায়কে হাতিয়ার করেই জ্ঞানবাপী মসজিদের চলছে পুজো।
এরপরই রামমন্দির জন্মভূমি ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ দেব গিরি মহারাজ মুসলিমপক্ষের কাছে জ্ঞানবাপী ও মথুরা দুই মসজিদ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। পাশাপাশি বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে মিটিয়ে নেওয়ার আর্জিও জানান তিনি। পুনের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের অন্য মন্দিরগুলির দিকে তাকানোর কোনও ইচ্ছা নেই। যদি তিনটি মন্দির ছেড়ে দেওয়া হয়। কারণ আমাদের অতীতে নয় ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাঁচতে হবে।”
এর সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "দেশের ভবিষ্যৎ তখনই ভালো হবে যখন তিনটি মন্দির (অযোধ্যা, জ্ঞানবাপী ও মথুরা) শান্তিপূর্ণভাবে পেয়ে যাব। তখন আমরা অতীতের সব কথা ভুলে যাব। আক্রমণকারীরা এই তিন মন্দির ধ্বংস করে যে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে তার ব্যথা মুসলিম পক্ষের বোঝা উচিত।” এদিন হাতজোড় করে তাঁর কাতর আর্জি, "মানুষ যথেষ্ট ব্যথার মধ্যে আছে। যদি তাঁরা এই কষ্ট দূর করতে পারেন তবে দু'পক্ষের মধ্যে ভাতৃত্বের সম্পর্ক আরও সুদীর্ঘ হবে।"
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কাছেই অবস্থিত জ্ঞানবাপী মসজিদটি। এছাড়া মথুরা মসজিদটি কৃষ্ণ জন্মভূমি সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। গত সপ্তাহে রাম মন্দির জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের প্রধান পুরোহিত আচার্য সতেন্দ্র দাস বারাণসী কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “একটি ভুল ঠিক করে নেওয়া হল।"
Gyanvapi Mosque : জ্ঞানবাপীতে ‘শিবলিঙ্গ’, ভাঙা মূর্তি! সমীক্ষার রিপোর্ট মানতে নারাজ মসজিদ কমিটি
প্রকাশ্যে এসেছে জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’র রিপোর্ট। আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর হিন্দু দেবদেবীদের মতো চেহারার মূর্তি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যদিও সেই রিপোর্ট মানতে নারাজ মসজিদ কমিটি। মসজিদ কমিটির তরফে আখলাখ আহমেদ দাবি করেন, এর আগে অ্যাডভোকেট কমিশনের যা পর্যবেক্ষণ ছিল, এএসআই তার চেয়ে নতুন কিছুই পায়নি। শুধু নতুন করে সমস্ত মাপঝোপের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে মাত্র। মসজিদ কমিটির সম্পাদক মহম্মদ ইয়াসিনের দাবি, “এটা একটা রিপোর্টমাত্র। কোনও চূড়ান্ত রায় নয়। নানা ধরনেরই রিপোর্টই আছে। তাই এএসআই সমীক্ষার রিপোর্টই যে চূড়ান্ত, তা নয়।”
Gyanvapi Mosque : জ্ঞানবাপী মসজিদের নিচে ছিল মন্দির! জানাল ASI
জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে এবার বড় তথ্য দিল ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণ। মসজিদ তৈরি হওয়ার আগে সেখানে ছিল হিন্দু মন্দির। রিপোর্ট পেশ করে এমনটাই জানাল এএসআই। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন জানান, এএসআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, জ্ঞানবাপী মসজিদের নিচে হিন্দু মন্দিরের কাঠামো পাওয়া গিয়েছে। সমীক্ষাকাজে গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং ব়্যাডারের তথ্য বলছে, মসজিদটি মন্দিরের কাঠামোর উপরই তৈরি হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর বারাণসী জেলা আদালতে মুখবন্ধ খামে জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিয়েছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। এএসআইয়ের ওই রিপোর্ট হিন্দু এবং মুসলিম দুই পক্ষকেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল আদালত। এএসআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, মসজিদের নিচে এখনও মন্দিরের ভাঙা কাঠামো রয়েছে।
Ayodhya Ram Mandir : সর্বসাধারণের জন্য খুলল রাম মন্দিরের দরজা, পুণ্যার্থীদের ঢল অযোধ্যায়
সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল অযোধ্যার রাম মন্দিরের দরজা। সোমবার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালেই সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। রামলালাকে দেখতে ভোর থেকেই মন্দির চত্বরে ভক্তদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, সকাল ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাম মন্দির খোলা থাকবে। মাঝে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মন্দির ফের দুপুর ২টোয় খুলবে। আবার সন্ধ্যা ৭টায় বন্ধ হবে মন্দিরের দরজা। সকাল সাড়ে ৬টায় ‘জাগরণ’ অর্থাৎ আরতি এবং সন্ধে সাড়ে ৭টায় সন্ধ্যারতি হবে। তা অনলাইনেও দেখতে পাবেন ভক্তরা।
এদিন ভোরের অযোধ্যা নগরীর সে এক অন্য রূপ। রাতের আঁধার তখনও কাটেনি। অথচ ভক্তদের জমায়েত, পুজোর তোড়জোড়ে মুখরিত মন্দির সংলগ্ন এলাকা। ভোর ৩টে থেকে পুজোর ডালি হাতে মন্দিরের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরই রামলালার মুখদর্শন করবেন বলে। ভিড় সামলাতে রামমন্দিরের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথেষ্ট আঁটসাঁট। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সদাসর্বদা সতর্ক রক্ষীরা। মঙ্গলবারের ভিড়ই বুঝিয়ে দিচ্ছে আগামী দিনগুলিতে অযোধ্যা ভক্ত সমাগমে পরিপূর্ণ হতে চলেছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ দরজা দিয়ে প্রবেশ করার জন্য ধাক্কাধাক্কি শুরু করেছেন। ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীদের। হাতে পুজোর সামগ্রী নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। অনেকে আবার হাতে পতাকা নিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে দিতে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করেন।
Mohan Bhagwat : অযোধ্যায় রামলালার সঙ্গে ভারতের আত্মাও ফিরে এসেছে : মোহন ভাগবত
অত্যন্ত আনন্দের দিন আজ। অযোধ্যায় রামলালার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের 'আত্মাও' ফিরে এসেছে। বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, "সমগ্র বিশ্বকে দুঃখ থেকে মুক্তি দেওয়া নতুন ভারত উঠে দাঁড়াবেই, এই আনন্দ ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। এই অনুষ্ঠান দেখে অনেক দূরদূরান্তের মানুষ আবেগাপ্লুত হচ্ছেন। বিশ্ব দেখছে।"
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন ও রামলালার বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেছেন, "আজ আমরা শুনলাম প্রধানমন্ত্রী মোদী কঠিন ব্রত পালন করেছেন। যতটা কঠিন বলা হয়েছিল, তার চেয়ে আরও কঠিন। তাঁকে আমরা আগে থেকেই জানি। তিনি একা ব্রত রাখলে, আমরা কী করব? এই ব্যাপারে চিন্তা করুন। অযোধ্যায় কখনও কোনও বিরোধ ছিল না। কিন্তু, বিরোধের কারণ হয়ে ওঠে। আজ আবারও রামজি ফিরে এসেছেন। এই দিনের ইতিহাস যে শুনবে সে জাতীয় স্বার্থে নিবেদিত হবে। প্রধানমন্ত্রী তপস্যা করেছেন। এখন আমাদেরও তপস্যা করতে হবে।"
মোহন ভাগবত বলেছেন, "আজ ৫০০ বছর পরে, রামলালা এখানে ফিরে এসেছেন এবং তাঁর প্রচেষ্টার ফলে আমরা আজ এই সোনালী দিন দেখতে পাচ্ছি, আমরা তাঁকে আমাদের অশেষ শ্রদ্ধা জানাই। এই যুগের ইতিহাসে এতই শক্তি আছে যে, যেই রামলালার গল্প শুনবে তাঁর সব দুঃখ-বেদনা মুছে যাবে।"
Ayodhya Ram Mandir : ১৫২৮ থেকে ২০২৪, ফিরে দেখা ইতিহাসের সেই অধ্যায়
অবশেষে দীর্ঘ ৫০০ বছরের লড়াই শেষ হয়ে ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রাম মন্দিরের। সোমবার দুপুরবেলা নব প্রতিষ্ঠিত রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে শ্রীরামের মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে লড়াইটা এত সহজ ছিল না। ৫০০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাস এই মন্দির প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের। হিন্দু-মুসলিম এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রায় পাঁচ শতক ধরে চলেছে ব্যাপক টানাপোড়েন। যার আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ ভারতে ১৩৯ বছর আগে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি এসেছিল মন্দিরের দাবীতে আন্দোলনকারীদের মনে। হিন্দুর মন্দিরের উপর তৈরি হওয়া অযোধ্যায় বিতর্কিত বাবরি মসজিদ (Babri Mosque) তৈরির ৪৯৬ বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জামানায় দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় রামজন্মভূমি অযোধ্যাতে মন্দির হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন পথে কোন কোন সংগ্রামের মধ্যে নিয়ে অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর হাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে হিন্দুদের প্রিয় ‘রামলালার’:
১৫২৮: বিদেশী আক্রমণকারী হাজিরুল মহম্মদ বাবর ১৫২৬ সালে ভারতে মুঘল রাজ শুরু করলেন কয়েকটি জনপদে। এর ঠিক দুই বছর পর বাবরের সেনাপতি বাকি তাশখন্ডি ওরফে মীর বাকি অযোধ্যায় মন্দিরের ভেঙে তার উপর তৈরি করলেন বাবরি মসজিদ। আঘাত লাগল হিন্দুদের মনে। লড়াইয়ের সেই শুরু। মসজিদ তৈরি হলেও জন্মভূমিস্থলে
১৮৫৮: নিহঙ্গ শিখরা হবন করার ইচ্ছে প্রকাশ করে বিতর্কিত স্থলে ঢুকে পড়ে। গুরু নানক ১৫১০-১১ সালে এই স্থলে এসেছিলেন। তাঁদের বাধা দেওয়া হলে শুরু হয় দুই পক্ষের তীব্র বিবাদ।
১৮৮৫: ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের হাতে পতন হল মুঘল সাম্রাজ্য। আইনি পথে প্রথমবার রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার লড়াই শুরু করলেন মহন্ত রঘুবীর দাস। তিনি ফৈজাবাদের জেলা আদালতে আবেদন করলেন বাবরি মসজিদের বিতর্কিত কাঠামোর বাইরে শামিয়ানা খাটিয়ে ভগবান শ্রী রামের মূর্তি স্থাপনের। যদিও মহন্তের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ব্রিটিশ আদালত।
১৯৪৯: মাত্র দেড় বছর আগে ১৯৪৭ এ স্বাধীন হয়েছে দেশ। আর এর ঠিক দেড় বছরের মাথায় ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এক গভীর শীতার্ত রাতে বাবরি মসজিদের বিতর্কিত মূল গম্বুজের কাঠামোর ঠিক নীচে স্থাপিত হল শ্রীরামের মূর্তি। মন্দির আন্দোলনকারীরা দাবি করলেন শ্রীরাম প্রকট হয়েছেন। আবারও মামলা হল আদালতে। এবার মহন্ত রামচন্দ্র দাস এবং গোপাল সিমলা ফৈজাবাদ আদালতে আলাদা আলাদা মামলা করে বিতর্কিত জায়গায় শ্রীরামের পুজোর অনুমতির আবেদন করলেন।
১৯৫৯: ১৯৫০ এর ঠিক ৯ বছর পর ফের আদালতে দায়ের হল আরও একটি মামলা। এবার ওই বিতর্কিত জমির মালিকানা দাবি করে মামলা করা হল নির্মোহী আখড়ার তরফে।
১৯৮১: এরপর সরযূ নদী ধারায় বয়ে গিয়েছে বহু জল। এর মধ্যে ১৯৮০ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হলেন বিশ্বনাথপ্রতাপ সিং। তার ঠিক এক বছর বাদে ১৯৮১ সালে উত্তরপ্রদেশ সেন্ট্রাল সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড আদালতে বিতর্কিত মসজিদের জমির মালিকানা দাবি করে আবেদন করে।
১৯৮৬, ১ ফেব্রুয়ারি: আদালতে নৈতিক জয় হল মন্দিরপন্থীদের। ফৈজাবাদ আদালত রায় দিল বিতর্কিত মন্দিরের কাঠামোর দরজা হিন্দুদের উপাসনার জন্য খুলে দেওয়ার।
১৯৮৯, ১৪ আগষ্ট: ১৯৮৯ সালে যুযুধান দুই পক্ষকে শান্ত করতে স্বাধীনতা দিসবের আগের দিন অর্থাৎ ১৪ই আগষ্ট এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় বিতর্কিত জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার।
১৯৯২, ৬ ডিসেম্বর: রাম মন্দির আন্দোলনের ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত আর রক্তাক্ত দিন। ওই দিন করসেবকরা অযোধ্যার বিতর্কিত কাঠামো ধ্বংস করেন।
৩ এপ্রিল, ১৯৯৩: কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে আইন পাশ করানোর পরই অযোধ্যার বিতর্কিত জমির দখল নেয়।
১৯৯৪, ২৪ অক্টোবর: বাবরি মসজিদ সম্পর্কিত আরও এক বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ঐতিহাসিক ইসমাইল ফারুকির করা একটি মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেয় কোনো ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে কোনো একটি মসজিদকে ধরা হবে না।
২০১০, ৩০ সেপ্টেম্বর: অযোধ্যার বির্কিত মসজিদ এবং রাম মন্দির নিয়ে বড় রায় ইলাহাবাদ হাইকোর্টের। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের উপর ভিত্তি করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিন বিচারকের ডিভিসন বেঞ্চ রায় দেয় ওই বিতর্কিত জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম মন্দির ট্রাস্টের মধ্যে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।
২০১১, ৯ মে: ইলাবাদ হাইকোর্টের তিনভাগে জমি ভাগ করার রায়ে স্থগিতাদেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
২০১৭, ২১ মার্চ: তৎকালীন চিফ জাস্টিস অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর এক রায়ে জানালেন অযোধ্যার বিতর্ককে আইন আদালতের বাইরেই দুপক্ষের সম্মতিতে মীমাংসা করে নেওয়ার কথা।
২০১৭, ৭ আগষ্ট: বিচারপতি খেহরের মন্তব্যের পর ফের অযোধ্যা মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করে।
২০১৭, ২০ নভেম্বর: অযোধ্যায় রাম মন্দির বানানো নিয়ে আপত্তি না থাকার কথা জানানো উত্তরপ্রদেশ শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। যদিও শর্ত দিল অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হলে লখনউতে বানিয়ে দিতে হবে মসজিদ।
২০১৭, ৫ ডিসেম্বর: আবার নতুন করে অযোধ্যা মামলার শুনানি শুরু হল। এবার প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অশোকভূষণ এবং বিচারপতি এস আব্দুল নাজিরের বেঞ্চে নতুন করে মামলার শুনানি শুরু হল।
২০১৮, ২৯ অক্টোবর: এবার দেশের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হলেন রঞ্জন গগৈ। তাঁর নেতৃত্বে অযোধ্যা মামলার শুনানির জন্য নতুন করে ফের গঠিত হল তিন বিচারপতির ডিভিসন বেঞ্চ।
২০১৯, ৮ জানুয়ারি: আবারও বদল হল তিন বিচারপতির বেঞ্চ। আগের বেঞ্চের কেউ হলেন অসুস্থ, কেউ বা সরে দাঁড়ালেন। ফলে এবার রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে তৈরি হল পাঁচ বিচারপতির ডিভিসন বেঞ্চ।
২০১৯, ৮ মার্চ: সুপ্রিম তৈরি করল মধ্যস্থতা প্যানেল। এবার বিচারপতি এফএম কলিফুল্লা, গুরু রবিশঙ্কর এবং আইনজীবি শ্রীরাম পঞ্চুকে নিয়ে তৈরি করা হল এই প্যানেল।
২০১৯, ২ আগষ্ট: ব্যর্থ হল এই মধ্যস্থতা প্যানেল। বাধ্য হয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানালেন ওই বছরের ৬ আগষ্ট থেকে অযোধ্যা মামলার শুনানি হবে রোজ।
২০১৯, ১৮ সেপ্টেম্বর: এক মাসের সময়সীমা বেধে দিয়ে ফের মধ্যস্থতা কমিটিকে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৯, ১৬ অক্টোবর: তিতিবিরক্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিলেন ১৬ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করতে হবে অযোধ্যা মামলার শুনানি।
২০১৯, ৯ নভেম্বর: ঐতিহাসিক রায় দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পরিষ্কার জানিয়ে দিল অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিতে তৈরি হবে শ্রীরামের মন্দির। তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মুসলিম সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়া হবে পাঁচ একর জমি।
২০১৯, ১২ ডিসেম্বর: আবারও বড় সিদ্ধান্ত দেশের সর্বোচ্চ আদালতের। বিতর্কিত অযোধ্যার জমি সংক্রান্ত রায়ের মামলায় একাদিক আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০২০, ৫ ফেব্রুয়ারি: ক্ষমতায় ফিরে প্রধানমন্ত্রীর বড় পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় কেবিনেটের অনুমোদন পেল শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। বর্তমান রামমন্দির নির্মাণের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এই ট্রাস্ট। ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই অনুমোদনের কথা ঘোষণা করলেন।
২০২০, ২৪ ফেব্রুয়ারি: উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রদত্ত মসজিদের জন্য জমি গ্রহণ করল সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। অযোধ্যার সোহাওয়াল তহশিলে ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দিল যোগী সরকার।
২০২০, ৫ আগষ্ট: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপনের আগে ভূমি পুজো করলেন অযোধ্যায়। তারপর মোদীজি রাম মন্দিরের আনুষ্ঠানিক ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন রূপোর ইঁট দিয়ে।
২০২৪, ২২ জানুয়ারি: অবশেষে সমস্ত লড়াই শেষ, শেষ হল শবরীর দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সমস্ত জটিলতা, সমস্ত বিতর্ক শেষে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে রামলালার। প্রায় ১০ হাজার বিশেষ অতিথির সামনে এদিন মন্দির উদ্বোধন তথা প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন মাননীয় নরেন্দ্র মোদী। ইতিহাসের সাক্ষী হল গোটা দেশের পাশাপাশি গোটা পৃথিবীও।
Modi at Ayodhya : প্রাণপ্রতিষ্ঠা শেষে রামলালার পায়ে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর
অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বেলা ১২টা বেজে ২৯ মিনিট ৮ সেকেন্ড থেকে ১২টা বেজে ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত মাহেন্দ্রক্ষণে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধানমন্ত্রী। ষোড়শ উপাচারে দেন পুজো। পুষ্পাঞ্জলির পর করেন আরতি। তারপর বহু প্রতীক্ষিত প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর শিশু-রামের মূর্তির সামনে করলেন সাষ্টাঙ্গ প্রণাম।
এই কয়েকদিন তিনি দেশের বিভিন্ন মন্দিরে পরিভ্রমণ করেন। সূত্রের খবর, এই কদিন শুধুমাত্র ডাবের জল খেয়ে ছিলেন তিনি। রাতে বিশ্রাম নিয়েছেন কম্বলের উপর। সোমবার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান শেষে উপবাস ভঙ্গ করেন তিনি।
Ram Temple : রামমন্দির উদ্বোধনের আগে রাষ্ট্রপতিকে বার্তা মোদীর
অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হাতেই রামলালার বিগ্রহে হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। উদ্বোধনের আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর চিঠির জবাব দিতে গিয়ে প্রাণপ্রতিষ্ঠাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বললেন প্রধানমন্ত্রী। জানালেন, এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়।
এক্স হ্যান্ডেলে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে মোদী লেখেন, ‘‘অযোধ্যা ধামে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ উৎসবে শুভকামনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস, এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে পৌঁছে দেবে নতুন উচ্চতায়।’’
সোমবার রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আচার-অনুষ্ঠান শুরু হবে ১২টা ৫ মিনিটে। ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানের পর অযোধ্যায় একটি জনসভাও করবেন তিনি। সেখান থেকে তাঁর যাওয়ার কথা অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান কুবের টিলায়।
রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় সোমবার অন্তত ৮০০০ মানুষের সমাগম হতে চলেছে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রাজনীতি থেকে শুরু করে বলিউড, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে শিল্পবাণিজ্য, বিভিন্ন জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ইতিমধ্যে অনেকে পৌঁছেও গিয়েছেন।
Ram Temple Security : মন্দির উদ্বোধনের আগে কড়া নিরাপত্তা অযোধ্যায়
রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেজে উঠেছে অযোধ্যা শহর। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রবিবার থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মন্দির-নগরী। রাম মন্দির-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কম্যান্ডো মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য মন্দির চত্বরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সিআরপিএফ, এসএসএফ এবং রাজ্য সরকারের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী পিএসি রয়েছে। প্রায় ১৩ হাজার জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় নাশকতার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাক জঙ্গি সংগঠন, জইশ-ই-মহম্মদ। তাই নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে নারাজ যোগী প্রশাসন।
Ayodhya Ram Mandir : রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর
অপেক্ষার মুহূর্ত শেষ। আজ অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই আজ রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। গোটা দেশেই উন্মাদনা রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র ভাই মোদীজি বলে উল্লেখ করেন এবং ১১ দিনের আচার অনুষ্ঠান পালন করার জন্য প্রশংসা করেন।
রবিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠিতে বলেন, “১১ দিনের অনুষ্ঠান কেবল পবিত্র রীতিই নয়, একইসঙ্গে শ্রীরামের প্রতি আত্মত্যাগ ও আধ্যাত্মিক আত্মসমর্পণের সর্বোচ্চ প্রমাণ।”
চিঠিতে রাষ্ট্রপতি মুর্মু আরও লেখেন, “আপনি অযোধ্যায় রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আমি আপনাকে অন্তর থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ শ্রীরামের মূল্যবোধ, তাঁর সাহস, লক্ষ্য ও সহানুভূতির প্রতি আরও সচেতন ও কাছ থেকে দেখতে পাবে। শ্রীরামের জীবন ও তার নীতি আমাদের দেশের নির্মাতাদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করেছে। মহাত্মা গান্ধী তাঁর শেষ নিশ্বাস অবধি রাম নাম নিয়েছিলেন।”
Mohan Bhagwat In Ayodhya : রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে অযোধ্যায় পৌঁছলেন মোহন ভাগবত
অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। কাশীর ডোমরাজা সহ ১৫ জন যজমান প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ঐতিহাসিক এই দিনের সাক্ষী থাকতে দেশ-বিদেশের অতিথিরা এসে পৌঁছেছেন অযোধ্যায়। সারা দেশ থেকে এসে পৌঁছেছেন সাধুসন্তরা। নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।
প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবারই অযোধ্যায় এসে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। অযোধ্যা পৌঁছলে মোহন ভাগবতকে এদিন অভিবাদন জানানো হয়। আরও অনেকেই অযোধ্যা এসে পৌঁছেছেন। অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত এদিনই অযোধ্যায় এসে পৌঁছেছেন। অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন অনু মালিক প্রমুখও।
Ayodhya Ram Temple : গর্ভগৃহে উপবিষ্ট রামলালা, প্রকাশ্যে এল প্রথম ছবি
২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সারা দেশ। তার আগে ৫১ ইঞ্চি দীর্ঘ রামলালার মূর্তি গর্ভগৃহে স্থাপন করা হল। রামমন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপিত রামলালার প্রতিমার প্রথম ছবি এবার সামনে এল। ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিডিয়া ইনচার্জ শরদ শর্মা।