Arvind Kejriwal: বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক কেজরীওয়ালের
শনিবার দিল্লির বিধানসভায় আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে চলেছে আম আদমির পার্টির সরকার। শুক্রবার আচমকাই দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। কদিন আগেই কেজরীওয়াল অভিযোগ করেন বিজেপি আপ বিধায়কদের কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপরই শুক্রবার বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব আনার সময় তিনি বলেন,”দুজন আপ বিধায়ক তাকে জানিয়েছেন যে তাঁদের সঙ্গে বিজেপির সদস্যরা যোগাযোগ করছে এবং তাঁদের বলা হচ্ছে যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে”। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, তাঁর বিধানসভার বিধায়কদের বলা হচ্ছে যে ২১ জন আপ বিধায়ক দল ছেড়ে যেতে রাজি হয়েছেন এবং আরও অনেকে বিজেপির সাথে যোগাযোগ করছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে আপ বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য।পাশাপাশি কেজরীওয়াল দাবি করেছেন বিজেপির এই প্রস্তাব বিধায়করা গ্রহণ করেননি। বাকি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে দিল্লি সরকার জানতে পেরেছে ২১ নয় ৭ জনের সাথে যোগাযোগ করেছে বিজেপি।
এদিন আস্থা ভোটের কারন সপক্ষে কেজরীওয়াল বলেন,"আমি দেখাতে চাই যে আমাদের কোনো বিধায়ক দলত্যাগ করেননি, এবং সকলেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন"। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দিল্লি সরকার আস্থা ভোটের ব্যাবস্থা করেছে। বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়ক এবং বিজেপির ৮ জন বিধায়ক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিকে ৫ বার শমন পাঠালেও অরবিন্দ হাজিরা দেননি। এরপর ইডি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে শমনে সাড়া না দিয়ে একের পর এক অজুহাত দিয়ে হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে দিল্লি কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শনিবার আস্থা ভোটের আগে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ মার্চ হবে
বলে জানিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য আদালত গত সপ্তাহে “আইনিভাবে বাধ্য” জানিয়ে আজ হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছিল কেজরিওয়ালকে। যদিও আপের তরফে ইডির শমনকে বেআইনি এবং রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করা হচ্ছে।
ইডির প্রথম শমনের পর থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতার হওয়ার তীব্র জল্পনা ছিল। মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং এবং সত্যেন্দ্র জৈন
ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। যদিও আপের তরফে জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে কেজরিওয়াল গ্রেফতার হলেও তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।
ইডির অভিযোগ, দিল্লিতে ২০২১-২২ আবগারি নীতির মাধ্যমে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তা
থেকে প্রাপ্ত ৪৫ কোটি টাকা ২০২২ সালে গোয়ায় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছিল।