Saturday, November 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

Arabul Islam Arrest : পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি-সহ খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার আরাবুল ইসলাম

Maitreyi Mukherjee | 11:02 AM, Fri Feb 09, 2024

গ্রেফতার ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। পঞ্চায়েত ভোটের সময় অশান্তি, মনোনয়নে বাধা দেওয়া, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের কাশীপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে সম্প্রতি এই থানা কলকাতা পুলিশের আওতায় এসেছে। আর বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। গোটা রাত লালবাজারেই কাটান তিনি।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু আরাবুলের নেতার গ্রেফতারি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ঘটনা, তাই তাঁকে স্থানীয় থানায় না নিয়ে গিয়ে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবারই তাঁকে বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেরের আদালতে পেশ করা হবে।

আরাবুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ

২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আইএসএফকে মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আরাবুলের বিরুদ্ধে। এক আইএসএফ কর্মী খুন হন। এরপরই বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি স্থানীয় থানায় আরাবুলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া বিজয়গঞ্জ বাজারে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। সেই ঘটনারও তদন্ত শুরু হয়। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অশান্তি, অস্ত্র রাখা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল।

আরাবুলের ছেলে বলেন, "থানায় বাবাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ১৩ তারিখের মিটিং নিয়ে আলোচনার জন্যই ডাকা হয়েছিল। আলোচনা চলছিল। হঠাৎ করেই একজন এসে বললেন আপনাকে আমার সঙ্গে লালবাজারে যেতে হবে। এটা বলেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর জানা যায় বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।" এমনকী, নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। বলেন, "যেভাবে আইএসএফ-রা দোষ করল। নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাতটা খুন হল। আর যেই অভিযোগে বাবাকে গ্রেফতার করা হল সেদিন কিন্তু, বাবা পঞ্চায়েত সমিতির ঘরের ভিতরেই ছিল। সিসিটিভি দেখলে সেটা ভালো করেই জানা যাবে। যেভাবে বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অনৈতিক। তাই আমাদের দাবি অবিলম্বে নওশাদকে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আগামীদিনে তৃণমূল ভাঙড়ে বৃহত্তর আন্দোলন করবে।"

আরাবুলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আরাবুলকে পুলিশ ধরেছে! লালবাজারে নিয়ে গিয়েছে বিরিয়ানি খাওয়াতে। পরে ঠিক ছেড়ে দেবে।" শাহজাহানের থেকে নজর ঘোরাতেই আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, "এদের ঝগড়া নতুন নয়। যার রাজনৈতিক শক্তি বেশি থাকে সে অন্যকে দমিয়ে রাখে পুলিশ দিয়ে। এদের এই অত্যাচার লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। এর কোনও সমাধান নেই। কারণ এর পিছনে বড় নেতাদের হাত রয়েছে। আমার যেটা মনে হয়েছে শাহজাহান শেখের যে কেস তার থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে ওটাকে হালকা করার জন্য এটা করা হয়েছে। কারণ ওখানে সরকারই তাঁকে নিরাপত্তা দিচ্ছে।"

upload
upload