Mimi Chakraborty: প্রার্থী না হতে চেয়ে মমতাকে চিঠি সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার ঠিক আগেই তৃণমূলের অন্দরে জোর কোন্দল। একের পর এক সাংসদদের ইস্তফা নিয়ে বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস। কদিন আগেই ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব ইস্তফা দেন। যদিও শেষপর্যন্ত তাঁকে মানিয়ে ধরে রেখেছেন মমতা ব্যানার্জি। এবার দেবের দেখানো পথেই হাঁটলেন আরেক তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মমতাকে চিঠি লেখেন মিমি। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁকে বিধানসভায় ডাকা হয়। সেইমত আজ সকালে উপস্থিত হন তিনি। সূত্রের খবর একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর চিঠিতে। চিঠিতে তিনি জানান তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। নানানভাবে বহু জায়গায় হেনস্থার শিকার হচ্ছেন তিনি । তবে জানা যাচ্ছে চিঠিতে কারোর নাম উল্লেখ করেনি মিমি। তবে সূত্রের খবর, নিজের দলের বিরোধী গোষ্ঠীর ওপর ক্ষোভের কারনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারকা সাংসদ। শুধু তাই নয়, করোনাকালে যাদবপুর কেন্দ্রে কী কী কাজ করেছেন, সেই কথাও চিঠিতে লিখে জানিয়েছেন মিমি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথমবারের জন্য তৃণমূলের টিকিটে যাদবপুর থেকে লোকসভা ভোটে লড়েন তিনি। এরপর সিপিআই(এম) এর নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে হারিয়ে সাংসদ হন অভিনেত্রী।
এদিন মিমি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “ রাজনীতি আমার জন্য না। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি যদি কিছু বাজে কাজ করতাম বা করেছি তাহলে তো আপনারাই সবার আগে দেখাতেন। আমি নিজের দল তো ছেড়েই দিন অন্য দলকে নিয়েও কখনো খারাপ কথা বলিনি। তাহলে আমাকে কেন এত খারাপ কথা শুনতে হবে। আমি দিল্লিতে থাকলে বলা হয় সাংসদ তো দিল্লিতেই থাকেন আবার কলকাতায় থাকলে বলা হবে আমি তো দিল্লিতেই যাই না। আমি আজ আমার কাজের হিসাব দিতে আসিনি। এমপি ল্যাড ইউটিলাইজেশনে কার নাম এক নম্বরে আছে দেখে নিন। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে খুব ভালোবাসেন। স্নেহ করেন। আমি দুই দিন আগে আমার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দিদির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু উনি এখনও সেটা অ্যাকসেপ্ট করেননি। উনি অ্যাকসেপ্ট করলে আমি লোকসভার স্পিকার কে পাঠিয়ে দেবো। আমার যে অভিযোগ ছিলো সেটা আমি দিদিকে জানিয়েছি। দেখি উনি কি স্টেপ নেন। কাদের কাছ থেকে বাঁধা পেয়েছি, সেটা আমার দলের সুপ্রিমোকে জানিয়েছি।“
“তিনি আরও বলেন,”দলের সদস্যপদ এখনও রয়েছে। আইনত রাজনীতি থেকে সরতে গেলে যা যা করার সেটাই আমি করেছি। আমি প্রার্থী হতে চাই না।“
এদিন মিমির ইস্তফা প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ শিল্পীরা আজ বীতশ্রদ্ধ। তৃণমূল নিজের স্বার্থে এই শিল্পীদের ব্যবহার করে। নিজেদের পাক এই শিল্পীদের গায়ে ফেলে দেয়।” বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, যারা গণতন্ত্র লুঠ করার চক্রান্ত দেখতে পারছেন না তারাই বেরিয়ে আসছেন, কেউ আগে মুখ খুলছে, কেউ পরে।”
Trending Tag