Modi vs Congress : ৪০ আসনও পাবে না! কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে মমতার চ্যালেঞ্জকে ‘হাতিয়ার’ মোদীর
ফাটলটা প্রকাশ্যে এসেছিল অনেক আগেই। কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) সম্পর্ক যে খুব একটা মধুর নয়, তা প্রায় সবারই জানা। জোট করলেও কংগ্রেসের কথা শুনে যে চলতে পারবেন না তাও আগে থেকেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর সবই ঠিকঠাক চলছিল। ইন্ডিয়া জোটের সনিয়ার ও রাহুলের পাশে দেখা গিয়েছিল মমতাকে। কিন্তু, ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন কংগ্রেসের সঙ্গে ফাটল আরও বাড়ছে। আসন বণ্টন নিয়ে কংগ্রেসকে প্রকাশ্যেই আক্রমণ করেছেন মমতা। লোকসভায় কংগ্রেস ৪০টা আসনও পাবে না বলে দাবি করেছেন তিনি। রেড রোডের কেন্দ্র-বিরোধী ধর্নামঞ্চ থেকে কংগ্রসকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, "কংগ্রেস সারা দেশে ৪০টা আসন পাবে কি না জানি না! আগে নিজের জায়গা দেখাও! পারলে বারাণসীতে গিয়ে বিজেপিকে হারাও। রাজস্থান তোমরা জেতা জায়গা হেরেছ। মধ্যপ্রদেশে গিয়ে বিজেপিকে হারাও।"
মমতার মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই বুধবার কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ থেকে চ্যালেঞ্জ এসেছে, কংগ্রেস ৪০ পার করতে পারবে না। আমি চাই কংগ্রেস ৪০ আসন রক্ষা করুক।"
এভাবে বিজেপিকে মমতা সুবিধা করে দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের একাংশের। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বিজেপি বিরোধী শিবিরে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি জানিয়ে চলেছে তৃণমূল। এমনকী, কংগ্রেস নিজেদের সুর নরম করতে চাইলেও তাতে যেন কানই দিচ্ছেন না মমতা। গত কয়েকদিন আগে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা রাজ্যে ঢোকার পর থেকে চলছে লাগাতার প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক আক্রমণ। বারেরবারেই কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম)’কে নিশানা করছেন মমতা।
তার মধ্যে শিবির বদলে ইন্ডিয়া জোটে বড় ধাক্কা দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিরোধী জোট ছেড়ে আবারও এনডিএ জোটে ফিরে গিয়েছেন তিনি। আর কখনও জোট পরিবর্তন করবেন না বলেও মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে জানিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আবার গ্রেফতারির আশঙ্কায় ভুগছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। পাঁচবার ইডির সমন এড়িয়ে রীতিমতো চাপে রয়েছেন তিনি। এবার তাঁকে সমন পাঠিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতিতে ভারে জর্জরিত তৃণমূল ও আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়া জোট কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের দাবি, টালমাটাল পরিস্থিতি ইন্ডিয়া জোটের। ফলে জোটের পালে হাওয়া লাগিয়ে বিরোধীদের পক্ষে লোকসভার বৈতরণী পার করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।
Trending Tag