PM Narendra Modi: "তুলনা করা বন্ধ করুন", পরীক্ষা পে চর্চায় অভিভাবকদেরও পরামর্শ মোদীর
IAF Pilots killed in Air Crash: হায়দরাবাদে ভেঙে পড়ল আইএএফ প্রশিক্ষণ বিমান, মৃত ২ পাইলট- নেপথ্যে কী?
Mizoram Assembly Election 2023: বড় ব্যবধানে এগিয়ে জেডপিএম, ৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি
Michaung Updates: রবিবার ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, বঙ্গে কতটা তাণ্ডব ঘটাবে মিগজাউম?
Bharat Bandh : 'ভারত বনধ'-এর ডাক কৃষকদের, কোন কোন পরিষেবা মিলবে আজ?
কৃষক বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত দিল্লি (Delhi) সীমান্ত। কেন্দ্রের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন কৃষকরা। কিন্তু, সেখানেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি বলে জানা গিয়েছে। আর তার জেরেই দিল্লি মার্চ জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। পাশাপাশি আজ সংযুক্ত কিষান মোর্চা-সহ একাধিক কৃষক সংগঠনের তরফে ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রে উপর চাপ দিতেই ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে। এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (BKU), ভারতীয় কিষান পরিষদ (BKP)।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিল্লি এবং হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল (Piyush Goyal) ও অর্জুন মুন্ডা (Arjun Munda)। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও। অনেক রাত পর্যন্ত চলে বৈঠক। কিন্তু, সেখানেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। বৈঠক শেষে অর্জুন মুন্ডা জানান, কৃষকদের সঙ্গে রবিবার আরেক দফা আলোচনা হবে। তাতেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হবে। যদিও কৃষকদের হুঁশিয়ারি, সমাধানসূত্র না বের হওয়া পর্যন্ত দিল্লিতে অভিযান জারি থাকবে। এরই মধ্যে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে আজ ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা (SKM)। তবে সংযুক্ত কিষান মোর্চা দিল্লি অভিযানের সঙ্গে যুক্ত নয়। মূলত গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বনধ সফল করতে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে কৃষকদের আজ মাঠে ও মার্কেটে যেতে বারণ করা হয়েছে। এছাড়া এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে শিরোমনি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি। তার জেরে কমিটির তরফে তাদের সব অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নয়ডাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ধর্মীয় থেকে শুরু করে রাজনৈতিক যে কোনও জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
তবে বনধের থেকে জরুরি পরিষেবাগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যেমন, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সবই স্বাভাবিক নিয়মে খোলা রয়েছে। এদিকে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে। গাড়ি বা বাসের পরিবর্তে গন্তেব্যে পৌঁছনোর জন্য মেট্রো রেলের উপরই নির্ভর করছেন দিল্লির বাসীন্দারা। তবে দিল্লিতে বনধের প্রভাব তেমন একটা পড়েনি। খোলা রয়েছে স্কুল, কলেজ, দোকানপাট সবই।
উল্লেখ্য, ২০২০র স্মৃতি উসকে ফের ‘দিল্লি চলোর’ ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। মূলত তিন দফা দাবি নিয়ে রাজধানী অভিমুখে এই মিছিল। তাঁদের মূল দাবি, আইন এনে সমস্ত রকম ফসলের জন্য নূন্যতম সহায়ক মূল্য (MSP) নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে কৃষি ঋণ মকুব করার এবং স্বামীনাথন কমিশনের সমস্ত সুপারিশ কার্যকর করতে হবে।
Trending Tag